নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সমালোচক,তবে তা সংশোধনরে জন্য। আবার একজন প্রশংসাকারিও বটে, তবে তোষামোদকারি নয়।জানতে চাই অনেক কিছু।হতে চাই কালের সাক্ষী।

মুসাফির নামা

সত্যানুসন্ধানী

মুসাফির নামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভোট প্রাপ্তি অনুপাতের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদের আসন নির্ধারিত হওয়া উচিত(সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব_-১)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১২




ওয়েস্টমিনিস্টার সংসদীয় ব্যবস্থা অনেক ত্রুটিপূর্ণ।এর অন্যতম, এলাকা ভিওিক আসন।যাতে রয়েছে অনেক বড়ধরনের কারচুপি।এ ব্যবস্থা এমনও হতে পারে সংখ্যাগরিস্ট দল যারা সংখ্যালগিস্ট দল তাদের থেকে ভোট কম পেয়েও সংখ্যাগরিষ্টতা পেয়ে যেতে পারে।যেমন ধরুন দশ আসনে আপনার দল ভোট পেয়েছে দশ লাখ,আর অন্য দল পেল নয় লাখ এবং প্রত্যেক আসনে আপনার দল কিছুনা কিছু ভোট বেশি পেয়ে দশটি আসন জিতে নিল।আবার ধরুন আরো দুইটি আসনে আপনার দল পেল দুই লাখ আর অন্য দল পেল চার লাখ।এতে আপনার দলের ভোট সংখ্যা দাঁড়ায় বার লাখ আর অন্যদলের ভোটের সংখ্যা তেরোলাখ। তারপরও তাদের আসন সংখ্যা দুই।আমিতো পার্থক্যটা অনেক বেশি দেখিয়েছি।আরো কম পার্থক্যেও কম ভোট পেয়ে আপনার দল অনেক আসন জিতে যেতে পারে।যা বরাবরই একধরনের প্রাতিষ্ঠানিক অসংগতি।কিন্তু সারাদেশের মোট প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতের ভিত্তিতে আসন নির্ধারিত হলে এ ধরণের অসংগতি দূর হত।তাছাড়া যেসব এলাকা থেকে সরকারি দলের সাংসদ নির্বাচিত হয় তারা সেসব এলাকাকে উন্নয়ন করে বিরোধীদের আসন থাকে অবহেলিত,কিন্তু নির্বাচন জাতীয় ভিত্তিক হলে প্রত্যেক জায়গায় ভোটারদের সমান কদর থাকবে।আর যেসব দল বর্তমান সিস্টেমে অনেক ভোট পেয়েও আসন থেকে বঞ্চিত হয় তারাও সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেত।আইনসভার কাজ রাষ্ট্রের জন্য আইন প্রণয়ন করা আর পুরো রাষ্ট্রের উন্নয়ন কিভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তা করা। স্থানীয় উন্নয়নে কাজ করবে স্থানীয় সরকার, তাদের তদারকি এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে আইনসভা। আইনসভা কাজ করবে জাতীয় উন্নয়ন নিয়ে।একটু ধারণা দিলে আরো পরিস্কার হবে।নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে দলগুলো তাদের ৩০০ প্রার্থীর লিস্ট জমা দিবে। লিস্টে সিরিয়াল অনেক গুরুত্ব বহন করবে।এর ফলে যোগ্যরা সহজে নির্বাচিত হতে পারবে।
আসন বন্টনের একটি সাধারণ ফরমূলা:
দরুণ মোট আসন ৩০০,আর নির্বাচনে কোন দল ৫০% ভোট পেল, তাহলে তাদের আসন হবে-.৫*৩০০=১৫০,অন্য দল পেল৪০%,তাদের আসন হবে-.৪*৩০০=১২০,আরেক দল পেল৫%,তাদের আসন হবে-.০৫*৩০০=১৫ এভাবে করা যেতে পারে। তবে ৫% এর নিচে ভোট পেলে কোন আসন পাবেনা, সেক্ষেত্রে বাকী আসনগুলো আনুপাতিক হারে বড় দলগুলোকে ভাগ করে দেওয়া হবে।এ পদ্ধতিতে কোন উপনির্বাচনের প্রয়োজন পড়বেনা। তবে গভেষণা করে পদ্ধতিটাকে আরো যুক্তিযুক্ত করা যেতে পারে।


ছবিসূত্রঃ-নেট

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

কামরুল হাসান বলেছেন: ভেবে দেখার মত বিষয়।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

মুসাফির নামা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.