নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সমালোচক,তবে তা সংশোধনরে জন্য। আবার একজন প্রশংসাকারিও বটে, তবে তোষামোদকারি নয়।জানতে চাই অনেক কিছু।হতে চাই কালের সাক্ষী।

মুসাফির নামা

সত্যানুসন্ধানী

মুসাফির নামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের উপর বিখ্যাত লেখকদের বই এবং বিখ্যাত বইসমূহের তুলনামূলক পর্যালোচনা।

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০০


আমাদের হাজার বছরের গর্ব ও অহংকারের আমাদের মুক্তিযুদ্ধ।মুক্তিযুদ্ধ যেমনি দিয়েছে আমাদের একটি স্বাধীন ভূখন্ড, তেমনি মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে রচিত হয়েছে হাজার হাজার পুস্তক।যেখানে আছে ইতিহাস, কল্পিত কাহিনী, কবিতা, প্রবন্ধ।যে আঙ্গিকে লেখা হোক বাস্তবতা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ একটি ইতিহাস।তাই এই ইতিহাস চাই তথ্যভিত্তিক, মুত্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত উপন্যাস বা কবিতাসমূহ হওয়া চাই প্রাসঙ্গিক।মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রচিত বইসমূহ কখনও এমন হওয়া উচিত হবে না যাতে ভবিষ্যৎ প্রজম্ম একে পৌরাণিক কাহিনী মনে করে।তাহলে আমাদের গর্বের জায়গাটা হারিয়ে যাবে।সময়ের প্রয়োজনে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের উপর রচিত বিভিন্ন বিখ্যাত লেখক এবং বিখ্যাত বইসমূহের তুলনামূলক পর্যালোচনা করার প্রয়াস পেলাম।




১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের উপর ব্যাপক গভেষণাধর্মী বই রিচার্ড সিসন ও লিও রোজ এর 'War and secession,Pakistan,india and the creation of Bangladesh'(1990)।বইটি সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হচ্ছে নিরপেক্ষ এবং রীতিসিদ্ধ গভেষণা।বইটিতে যেমন স্থান পেয়েছে যুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত অনেক ব্যক্তির সাক্ষাৎকার, তেমনি সমৃদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্থান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্কাইভ থেকে তথ্য সংযুক্ত করে।স্থানীয় এবং আর্ন্তজাতিক নীতি নির্ধারণ পর্যায়ে গভেষষণা করে লেখকদ্বয় ভারত,বাংলাদেশ এবং পাকিস্থানে প্রচারিত অনেক তথ্য ভুল প্রমাণ করেন।




বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রওনক জাহান লিখিত বই 'Pakistan Failure is National Integration'(1972)এর বইটি আর্ন্তজাতিকভাবে ব্যাপক আলোচিত।বইটিতে তথ্য উপাত্তের যথেষ্ট ঘাটতি থাকলেও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ধারাবাহিকতা লক্ষণীয়।তবে যুদ্ধকালীন সময়ে কোনরুপ রেফারেন্স ছাড়া অনেক তথ্য উথাপন বইটিকে যুক্তিতর্কে যথেষ্ট দুর্বল করে দিয়েছে।

পাকিস্থান সেনাবাহিনীর লে.জেনারেল কামাল মতিনউদ্দিন যিনি পরবর্তীতে ইসলামাবাদ ইন্সটিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এর মহাপরিচালক ছিলেন, তিনি বাঙালিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগের বিষয়ে রওনক জাহানের সাথে সরাসরি দ্বিমত পোষণ করেছেন।বাঙালিদের সাথে পক্ষপাতমূলক আচরণের বিষয়টি পৃথক ও স্পষ্ট বিতর্কিত বিষয় হিসাবে উল্লেখিত হয়েছে তার লেখা'Tragedy of errors: East Pakistan crisis 1968-1971'(1993)) বইয়ে।নিঃসন্দেহে এটি একটি তথ্যবহুল, বিশ্লেষণমূলক ও বিশদ বর্ণনা সমৃদ্ধ বই যাতে সেনা অভিযানের জন্য তৎকালীন সামরিক শাসকের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।তবে একজন সেনা কর্মকর্তার বই হিসাবে তার তথ্যসমূহ অনেকে বিচার বিবেচনা ছাড়া গ্রহণ করতে অপরগতা প্রকাশ করেছে।

রাজনীতি ও সরকার বিষয়ক মার্কিন অধ্যাপক ওয়েইন উইলকক্স এর 'The Emergence of Bangladesh'বইটি যথেষ্ট দিক নির্দেশক।বইটি উন্মোক্ত যুক্তিতর্কের মাধ্যমে সে সময়ের ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখে যে কয়েকজন সাংবাদিক বিখ্যাত হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন এ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস।যুদ্ধ শুরু হলে তিনি বৃটেনে পালিয়ে গিয়ে ’সানডে টাইমসে’ পাকিস্থান বাহিনীর বর্বরতা তুলে ধরে ব্যাপক নিন্দা জানান।তারা লেখনি বিশ্বকে অনেক নাড়া দেয়।সেসাথে তিনি উগ্র বাঙালীদের অপকর্মও তুলে ধরেন।তথ্য উপাত্ত ছাড়া শুধু রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের বরাত দিয়ে ঐ বছরই তিনি প্রকাশ করেন ’দি রেপ অব বাংলাদেশ’ যা তাকে ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।শেখ মুজিবের সাথে সম্পর্কের কারণে তিনি ছয়দফার সমর্থক হলে ইয়াহিয়ার সাথে শেখ মুজিবের সমঝোতা পক্রিয়া চালানোর কঠোর সমালোচনা করেন।বইটিতে অনেক কিছু অতিরঞ্জিত বা বিকৃত বলে প্রমাণ হয়েছে।তার পরের বই ’বাংলাদেশ: এ লিগেসী অব ব্লাড(১৯৮৬), যেটিতে ম্যাসকারেনহাস বাংলাদেশ সৃষ্টির পর হত্যা আর পাল্টা হত্যার ব্যাপক বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন।তিনি শেখ মুজিব,খন্দকার মোশতাক ও জেনারেল জিয়ার নতুন দেশের আশা-ভরসার সাথে বিশ্বাসঘাতকার জন্য দায়ী করেছেন এবং এ ক্ষেত্রে তিনি শেখ মুজিবের রক্ষী বাহিনীকে তুলনা করেছেন নাৎসী ব্রাউন শার্টের সাথে

সংঘাত চলাকালীন অন্য একটি বই দ্রুত প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল যেটি ছিল সাংবাদিক ডেভিড লোশকের লেখা ’পাকিস্থান ক্রাইসিস’(১৯৭১)।লেখক নিজেই স্বীকার করেছেন এটি একটি সাংবাদিকতা ধাঁচের কাজ,একাডেমিক ধরণের কোন কাজ নয়।

আরো যে কয়েকটি বই তথ্য উপাত্ত নিয়ে লিখিত অক্সফোর্ডের অল সোলস কলেজের ফেলো রবার্ট জ্যাকসনে ’সাউথ এশিয়ান ক্রাইসিস’(১৯৭৫), সাংবাদিক ও ইতিহাসবিদ এল.এফ.রাশব্রুক উইলিয়ামস এর 'The East Pakistan In Crisis', লরেন্স লিফ্যসুলজ এর ’বাংলাদেশ: দি আনফিনিশড রেভ্যুলিউশন’(১৯৭৯)আলোচনার দাবী রাখে।এছাড়া ১৯৭১ সালের সংকট নিয়ে গ্রন্থিত কিসিঞ্জারের ’হোয়াইট হাউস ইয়ারম’ ও নিক্সনের ’মেময়ারস’ থেকে সে সময়ে পাকিস্থান নিয়ে মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গি ও তাদের গৃহিত নীতি এবং কিছু উপাত্ত সংবলিত বইগুলো ব্যাপক আলোচনার দাবী রাখে।




সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহনকারী লে.জেনারেল জে এফ আর জেকব এর ’সারেন্ডার এট ঢাকা’(২০০১) বইটি বিশেষভাবে গুরত্বপূর্ণ।তবে বইটিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কৃতিত্বকে খুবই খাটো করা হয়েছে।

লে.জেনারেল এ এ কে নিয়াজী রচিত ’দি বিট্রেয়াল অফ ইষ্ট পাকিস্থান ’(১৯৯৮)বইটিও বিশেষভাবে গুরত্বপূর্ণ।বইটিতে তিনি যুদ্ধকালীন সময়ে জে.টিক্কা, জে.রাও ফরমান আলী এদের কাছে নিজের অসহায়ত্ব বেশি তুলে ধরেছেন, সে সাথে একজন পরাজিত সেনাপতি হিসাবে নিজ দেশে তার প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে তা তুলে ধরেছেন।

কুতুবউদ্দিন আজিজের লেখা ’ব্রাড এন্ড টিয়ারস’(১৯৭৪) মূলত:বাঙ্গালিরা পূর্ব পাকিস্থানে অবাঙ্গালি বেসামরিক জনগোষ্টিকে কীভাবে হত্যা ও জুলুম করেছে তার বিশদ বিবরণ সমৃদ্ধ একটি সংগ্রহ।ঐসব হত্যাকান্ডে বেঁচে যাওয়াদের মতামত ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বইটি রচিত।তবে বইটিতে শুধু একপক্ষের সাক্ষ্যই গ্রহণ করা হয়েছে।

সরকারের প্রতি আনুগত্যশীল চাকমা প্রধান রাজা ত্রিদিব রায় তাঁর আত্মজীবনী’ দি ডির্পাটেড মেলোডী’(২০০৩)-তে উগ্রবাঙালি জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে চাকমা দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।

এছাড়া নীলিমা ইব্রাহিমের 'ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা'(১৯৮৯),'সাতজন বাঙালি নারী' (১৯৯৮-২০০০) স্বাধীনতার স্বপক্ষে একজন ঘোর সমর্থকের কাল্পনিক অভিজ্ঞতা হিসাবেই চিহিৃত হয়েছে।

এছাড়া জাহানার ইমামের 'একাত্তরের দিনগুলি'(১৯৮৬) তে নিজের ছেলের রুমীর বীরত্ব ফুটিয়ে তুলেতে গিয়ে রুমী এবং তার বন্ধুদের যুদ্ধ করার অযোগ্যতাই ফুটিয়ে তুলেছেন।তারা বড়জোর দু’একটা ককটেল ফোটানোর যোগ্যতাই রাখতো।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে লিখিত একে খন্দকারের '৭১ এর ভিতরে বাহিরে' বইটি বিশেষভাবে গ্রহণ যোগ্যতা পায়।মুক্তিযুদ্ধের উপ-অধিনায়ক হিসাবে সরাসরি যুদ্ধ পরিচালনার অভিজ্ঞতা বইটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন।তাছাড়া বইটিতে আওয়ামী লীগ, মুজিব বাহিনীর ও কাদেরীয়া বাহিনীর অপকর্মের ব্যাপক সমালোচনা করা হয়।এছাড়া বইটির বিশেষত্ব হচ্ছে ব্যাপক তথ্য উপাত্ত সংযোজন।



নারীবাদী লেখক হুমায়ুন আজাদের 'পাক সার জমিন সাদ বাদ 'মুক্তযুদ্ধকেন্দ্রিক একটি উপন্যাস হলেও এটি রগরগে যৌন আবেদনময়ী বই হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে।ফলে মুক্তিযুদ্ধ বইটিতে একপ্রকার গৌণ হয়ে পড়ে।জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের 'আগুনের পরশমনি' মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি স্বাথর্ক উপন্যাস হিসাবে সুধীমহলে গৃহীত হয়।বইটিকে পরবর্তীতে চলচিত্রেও রুপায়ন করা হয়।

সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ -এর সিনিয়র রিসার্চ এসোসিয়েট শর্মিলা বসুর ’ডেড রেকনিং’ বাংলাদেশের মুুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিশেষ সংযোজন।ব্যাপক তথ্য সমৃদ্ধ এবং উভয় পক্ষের ব্যাপক মতামত উল্লেখ সাপেক্ষে লেখিকা ’ডেড রেকনিং’ বইটি সম্পাদনা করেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের দৃষ্টিভঙ্গি বা প্রেক্ষাপট বিবেচনায় একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হচ্চে রশিদ হায়দার সম্পাদিত তের খন্ডের ’স্মৃতি ১৯৭১’ যা এক বিশাল সংগ্রহ।

তবে মুক্তিযুদ্ধের উপর রচিত বইসমূহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকে সবচেয়ে বেশি হাসির খোরাকে পরিণত করেছে মুনতাসির মামুন ও শাহরিয়ার কবিরের বইসমূহ এবং উপস্থাপিত দলিলসমূহ।তারা ইতিহাসকে কল্পকাহিনীতে নিয়ে গেছেন।

সবশেষ বলতে মুক্তিযুদ্ধের তথ্য উপাত্তসংগ্রের মূল দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশের সরকারসমূহের।কিন্তু বলা যায়, তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যর্থ।আমাদের একটি মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর আছে,সেখানে অনেক ছবি,দলিল,মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত সরঞ্জামি থাকলেও তা গভেষণার ক্ষেত্রে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।এর সবচেয়ে বড় দুবলর্তা হচ্ছে এক পক্ষের তথ্য প্রমাণাদির অবস্থান।আমাদের মনে রাখতে হবে এই যাদুঘর যুগ যুগ ধরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের গভেষণার একমাত্র দ্বার।তাই সরকারের উচিত এখনই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া, না হয় কোন এক সময় ইতিহাসের ব্যাপক বিকৃতি হতে পারে, এমনকি কারো কাছে মুক্তিযুদ্ধ পৌরণিক কাহিনীতেও পরিণত হতে পারে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: বাহ!

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫১

মুসাফির নামা বলেছেন: ধন্যবাদ,বিজন ভাই।বেশ কিছুদিন আপনাকে মিস করছিলাম।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

বিদ্রোহী চাষী বলেছেন: অনেক ভাল লেখেছেন।খুব ভাল লাগল

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

মুসাফির নামা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৬

শরণার্থী বলেছেন: শিরোনাম দেখেতো ভয় পেলাম।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

মুসাফির নামা বলেছেন: ভয় পাচ্ছেন কেন? এটা একটা গভেষণাধর্মী লেখা।

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

শরণার্থী বলেছেন: সব পক্ষের বইয়ের আলোচনায় এনে লেখাটি বস্তুনিষ্ঠ করায় ভাল লেগেছে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

মুসাফির নামা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪

কামরুল হাসান বলেছেন: অনেক গভেষণাধর্মী লেখা।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

মুসাফির নামা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

কালনী নদী বলেছেন: সংগ্রহে রাখার মতন, বইগুলাও পড়তে হবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৬

মুসাফির নামা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.