![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) উত্থান এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। ভারতের কেন্দ্রে বসে গোটা ভারতবর্ষ শাসন করছে বিজেপি। কিন্তু আশির দশকে জনতা দলের প্রতিষ্ঠা, এরপর তার হাত ধরে অধুনা বিজেপি এখন ভারতের সবচেয়ে বৃহৎ ক্ষমতাশালী দল। ভারতের ইতিহাসে অন্যতম বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এখন দেশ চালাচ্ছে দলটি। কিন্তু শ্যামাপ্রসাদ, অটল বিহারী বাজপেয়ী থেকে বিজেপির প্রথম মেয়াদে নরেন্দ্র মোদির সময় পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে বিজেপি কার্যত কোনো শক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। অথচ, বিগত ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে দলটি পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য ঘরে তুলেছে। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮টি নিজেরা দখল করে নিয়েছে বিজেপি। রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগেসকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে বিজেপি। ইতিপূর্বে বিজেপির নির্বাচনী ইতিহাসে রাজ্যে সাকুল্যে ২টি আসন জয়ের রেকর্ড রয়েছে। আগামী ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। এখন বিজেপি বলছে, একুশে ২০০ শতাধিক আসন নিয়ে তারা ক্ষমতায় বসতে চলেছে। কিন্তু এক লাফে বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় বসবে-এমন দাবির যৌক্তিকতা কি আদৌ রয়েছে? এ প্রশ্নটির উত্তর জানা দরকার।
তিন দশকেরও অধিক সময়ের বামপন্থী শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রামে ২০০৪ সালে বুদ্ধদেব বসুর নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকারের ভূমি অধিগ্রহণ নীতির বিরুদ্ধে রেকর্ড অনশন করে এবং হামলা-মামলার মধ্য দিয়ে বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে সরকার গড়েন মমতা। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিগত ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রীও ছিলেন মমতা। কংগ্রেসে থাকাকালীন রাজনৈতিক ক্যারিয়ার তো আছেই। অর্থাৎ জনপ্রিয়তার বিচারে এবং কৌশলে ভোট রাজনীতিতে কোনো ছোটো খেলোয়ার নন মমতা। কিন্তু এসবের মধ্যেও মমতাকে হটিয়ে ক্ষমতা বসার দৌড়ে কত দূর এগিয়েছে রাজ্য বিজেপি- সেটাই দেখার বিষয়।
বিগত লোকসভায় বিজেপির সাফল্যের রহস্য কী?
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, যিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) একজন প্রচারক। বিয়ে শাদি করেননি, রাজনীতিই করেন। আরএসএসের দেশসেবাকেই তাঁর ব্রত হিসেবে নিয়েছেন। প্রতিপক্ষকে তীর্যক ও কটু ভাষায় আক্রমণের জন্য খ্যাতি রয়েছে তাঁর। রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। মমতা সরকারের হামলা-মামলা-ভয়ভীতি সরিয়ে তিনি এখনও অটল রয়েছেন। এরপর যে কাজটি তিনি সবচেয়ে ভালো করতে পেরেছেন তা হলো হিন্দু-মুসলিমের বিভজন রেখাটা বেশ দক্ষতায় আঁকতে পেরেছেন। তবে বিজেপি দলবদলের মধ্য দিয়ে রাজ্যে সাফল্যের সিড়ির সন্ধান পেয়েছে। বিজেপি এ রাজ্যে সবচেয়ে বড় চাল দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের এক সময়ের দ্বিতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি তথা মমতার একদা ঘনিষ্ঠ মুকুল রায়কে দলে ভিড়িয়ে। মুকুল রায়কে বিজেপিতে যোগদান করিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে উদ্যম পেয়েছে, সাহস পেয়েছে দলটি। মুকুল রায়ের হাত ধরেই লোকসভা নির্বাচনের আগে আগে বেশ কয়েক জন তৃণমূল দলীয় লোকসভা ও বিধানসভায় নির্বাচিত সদস্য বিজেপিতে যোগ দেয়। গত লোকসভায় বিষ্ণুপুর থেকে তৃণমুল কংগ্রেসের নির্বাচিত সাংসদ সৌঁমিত্র খাঁ দল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর যোগ দেন বীরভূম এলাকায় তৃনমূলের বিধায়ক অনুপম হাজরা। তৃণমূল আরেকটি বড় ধাক্কা খায় ব্যারাকপুর ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং দলত্যাগ করলে। অর্জুন সিং মমতার সঙ্গী তার উত্থানকাল থেকেই। এছাড়া মনে করা হয়, অর্জুনের মাধ্যমে তৃণমূল ব্যারাকপুরের পাটকলের শ্রমিক রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতো। তার মাধ্যমে ওই এলাকায় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিল তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সর্বভারতীয় কংগ্রেস থেকে বের হয়ে এসে নতুন দল গড়েন সে সময়ের সহযোগী কলকাতা করপোরেশনের মেয়র/মহানাগরিক শোভন চট্টপাধ্যায়ও দল ত্যাগ করেছেন এবং যথারীতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, যদিও এখনও সক্রিয় হননি তিনি। কোচবিহারের তৃণমূলের সাবেক বিধায়ক নীতীশ প্রামাণিক এখন ওই এলাকা থেকে বিজেপির লোকসভা সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সিপিএম, কংগ্রেসের রাজ্যস্তরের বহু নেতাকর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। মূলত দলছুটদের ওপর ভর করেই বিজেপির এই বিপুল সাফল্য। সময়ের ধারাবাহিকতায় তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মিছিলে রয়েছেন অনেকে। সর্বশেষ শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে, যিনি ক'দিন আগেই রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রিত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। এবার যদি সত্যি শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেন তাহলে তৃণমূলের রাজনীতিতে বড় ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, বিজেপির মতো একটি সর্বভারতীয় এবং প্রবলভাবে সুসংগঠিত ডাপন্থী দল দলছুটদের ওপর নির্ভর করে ক্ষমতার অলিন্দ ছুঁতে পারবে কী না- এমন সংশয় বহু আগেই ভুল প্রমাণ করেছে দলটি। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন রাজ্যসমূহ ও সেভেন সিস্টার্সে একটি ভিন্ন কৌশলে এগুচ্ছে। এসব অঞ্চলের শক্তিশালী আঞ্চলিক দল কিংবা সর্বভারতীয় স্তরের দলের প্রভাব বিস্তারকারী নেতাদের দলে ভিড়িয়ে শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়েছে বিজেপি। আসামের হেমন্ত বিশ্বশর্মা, ত্রিপুরার রতন লালসহ আরও অনেকে রয়েছেন যারা নিজ নিজ অঞ্চলে বিজেপিবিরোধী দলগুলোর সাবেক শীর্ষ নেতাকর্মী। অর্থাৎ একদিকে আরএসএসের কঠোর দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শ, অন্যদিকে অঞ্চলভিত্তিক শক্তিশালী নেতা- এ দুইয়ের সমন্বয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে বিজেপি। এই রসায়নে পশ্চিমবঙ্গেও ক্ষমতায় স্বপ্ন দেখছে বিজেপি।
বিজেপি উত্থানের দায় কার?
প্রথমত, তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করে আসছে, ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদি)-সিপিআইএম এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস এ রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করছে। এর মধ্য দিয়ে বিজেপি রাজ্যে শক্তি বৃদ্ধি করছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভায় সিপিএমের ভোটের একটি অংশ বিজেপির ঘরে গেছে- এমন অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অপরদিকে সিপিআইএম ও কংগ্রেস বলছে, তৃণমূলের মুসলিম তোষণের রাজনীতি বিজেপিকে হিন্দুত্বের তাস খেলার সুযোগ দিচ্ছে। বিজেপির প্রবল মেরুকরণ রাজনীতির ষোলআনা সুযোগ হয়েছে এতেই। তবে এসব পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে বাস্তব কিছু প্রেক্ষাপট রয়েছে যা হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকে রসদ জুগিয়েছে। তৃণমূল সরকার সর্বশেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে নজিরবিহীন সন্ত্রাস চালিয়েছিল এবং রাজ্যের ৩০ শতাংশ পঞ্চায়েত আসনে কোনো নির্বাচনই হতে দেয়নি। এর ফলে মানুষ প্রবল ক্ষুব্ধ ছিল দলটির প্রতি।
দ্বিতীয়ত, সত্যিকার অর্থে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান কিসের ভিত্তিতে। একটু পরিহাসের সুরেই বলা যায়, এক চিমটি দলছুট সিপিআইএম, এক চিমটি দলত্যাগী কংগ্রেস, এক চিমটি মাওবাদী, আর বাম সরকারের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া প্রতিষ্ঠান বিরোধীতার হাওয়া- এই সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ক্ষমতায় আসার পর অন্যের দল ভাঙিয়ে দল গড়েছেন। কোনো বিধিবদ্ধ আদর্শের বালাই নেই দলটিতে। গোটা দলের ঐক্যের ভিত্তি ওই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুখ্যাতি রয়েছে যে, যাবতীয় নীতি নৈতিকতাকে পদদলিত করে অন্যের দল ভেঙে গড়েছেন নিজের দল। এখন বিজেপি তৃণমূল ভাঙছেন! অন্যের দল ভেঙে যারা এক সময় বড়াই করতেন তারাই এখন সেই খপ্পরে!! রাজ্যের সচেতন মহলও বলছেন, যে কাজ মমতা করছেন সে কাজ দিলীপ ঘোষ করছেন, তাতে দোষের কী?
তৃতীয়ত, মূলত দল ভাঙার এই খেলায় শক্তি হারিয়েছে সিপিআইএম ও কংগ্রেস। এর মধ্য দিয়ে নিচুতলার মানুষের আশ্রয় হয়ে উঠেছে বিজেপি। তৃণমূল তার শাসনামলে সাধারণ মানুষের ওপর যে সন্ত্রাস নৈরাজ্য চালিয়েছেন তার বিপরীতে মানুষ দেখেছে সিপিআইএম বা কংগ্রেস তাকে আশ্রয় দিতে পারছেন না কিন্তু বিজেপি কেন্দ্রের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে তাদের পাশে এসে দাড়াচ্ছে। মূলত, এর মাধ্যমেই মানুষের কাছে বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। কাজেই বিজেপির উত্থানের দায় মমতা কিংবা তার দল অস্বীকার করলেই চলবে না।
বিজেপি ক্ষমতায় বসার স্বপ্ন এবং মুসলিম ভোটের সমীকরণ
পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোটার প্রায় ৩০ শতাংশ। আবার এ রাজ্যে এমন প্রায় ১০০ শতাধিক আসন রয়েছে যেখানে মুসলিম ভোটার নির্ণায়ক ভূমিকা নেয় ফলাফল নির্ধারণে। এর মধ্যে হায়দ্রাবাদের মুসলিম নেতা আসাদউদ্দীন ওয়াইসির নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া মুললিম ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (এআইএমইএম) বা মিম পার্টি ঘোষনা দিয়েছে, আসন্ন বিধানসভায় তারা বাংলায় একা লড়বে। বলা হয়ে থাকে, রাজ্যের মুসলিম ভোট এক সময় সিপিআইএম ও কংগ্রেস পেতো কিন্তু তৃণমূলের উত্থানের পর তারাই এই ভোটের বেশিরভাগ অংশ পায়। এবার বাম-কংগ্রেস জোট বেধে নির্বাচনে লড়বে। মিম যদি নির্বাচনে লড়ে তাহলে মুসলিম ভোট বিভক্ত হয়ে পড়বে মিম, তৃনমূল, সিপিআইএম ও কংগ্রেসের মধ্যে। আর বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার হাওয়ায় হিন্দু ভোট এক জায়গায় করতে পারলে জয় তাদেরই। এই মেরুকরণ আরও প্রবল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কারণ পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের তীর্থ ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা ও মুসলিমদের নেতা আব্বাস সিদ্দীকিও একা লড়াই করার ঘোষনা দিয়েছেন। সুতরাং এ রাজ্যের মুসলিম ভোটের বিপরীতে হিন্দু ভোট একাট্টা হওয়ার সম্ভাবনা আরও তীব্র হচ্ছে। ভোটের অঙ্কের এই খেলা ইতিপূর্বে এবং সদ্য সমাপ্ত বিহারের বিধানসভা ভোটে প্রমাণ হয়েছে ওয়াইসির মিম পার্টির মাধ্যমে।
দেখা যাচ্ছে, ভারতের বিতর্কিত এনআরসি ইস্যু, নাগরিকত্ব আইন ইস্যু, কাশ্মীর ইস্যুসহ এমন কিছুই নেই যা বিজেপিকে থামাতে পারছে। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সত্ত্বেও তার জয়রথ ছুটছেই। কার্যত, ভারতে হিন্দুত্বের ট্রামকার্ড কাজে দিচ্ছে অবিসংবাদিতভাবে। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বাংলাদেশি মুসলিম তাড়ানোর স্লোগান তুলছে। বাংলাদেশের হিন্দুদের জমি দখল ও নির্যাতনের ঘটনাকে সেখানে কাজে লাগানো হচ্ছে। এপার থেকে দেশান্তরী হওয়া মানুষকে তারা মুসলিম বিরোধীতায় উদ্বুদ্ধ করছে। ধর্মীয় হাওয়া ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে। এর বিপরীতে রাজ্যের ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি বলে পরিচিত সিপিআইএম ও কংগ্রেসের অবস্থা নাজুক। এ দুই দল আসলে তেমন কোনো প্রভাব তৈরি করতে পারবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এক সময়ের শাসকদল সিপিআইএম এবার লোকসভায় এ রাজ্য থেকে কোনো আসনই জিততে পারেনি। আবার তৃণমূলের অভ্যন্তরেও সংকট বাড়ছে। বিগত লোকসভায় দলের ভরাডুবির পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কুমারকে (পিকে) নিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু এ নিয়ে দলের ভেতরেই ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। দলের বেশ কিছু বিধায়ক এর বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। অন্যদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা পশ্চিমবঙ্গে এখন সবচেয়ে বেশি সময় দিচ্ছেন। অমিত শাহ- জেপি নাড্ডারা এখন দফায় দফায় আসছেন রাজ্যে। যেকোন সংকটে দ্রুত তৎপর হচ্ছেন। সব মিলিয়ে বিজেপি যদি পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েই যায় তাহলে দর্শীয় মেরুকরণের রাজনীতির অচেনা অধ্যায় উন্মোচিত হবে। চলুন আমরা সেইটা দেখার অপেক্ষায় থাকি...
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি পশ্চিম বঙ্গের মানুষ?