নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুসলমান নই মানুষ হতে চাই।

মোস্তাকুর

মোস্তাকুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি মুসলিম রাষ্ট্রের চিত্রকল্প।।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৬



আসুন আজ আমরা ইসলামের আলোকে একটি আর্দশ মুসলিম রাষ্ট্র কল্পনা করি। রাষ্ট্রপ্রধান একজন খলিফা। তিনি রসুল সাঃ এর অনুসারী। পবিত্র কোরান শরীফ রাষ্ট্রের সংবিধান। তাই এখানে অন্যকোন মত, দল বা রাজনৈতিক মত পার্থক্যের কোন সুযোগ নাই। অনেকটা বঙ্গবন্ধুর বাকশালের মত একটি শাসন ব্যাবস্থা। বাকশালে নির্বাচনের একটা বিধান থাকলেও ইসলামি রাষ্ট্রে এই্ প্রথা রাখার সুযোগ নেই। সয়ং আল্লাহ যাকে যোগ্য ভাববেন তিনিই রাষ্ট্রের খলিফা নির্বাচিত হবেন। খলিফা নিজেও স্বপ্ন দেখে খলিফা র্নিবাচিত হতে পারেন অথবা তার অনুসারীরাও সেই স্বপ্নটি দেখিয়া তাহাকে খলিফা নির্বাচিত করতে পারেন। কোরান ও সুন্নার আলোকে দেশটি পরিচালিত হবে।


এই মুসলিম রাষ্ট্রে স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদৌও কোন প্রয়োজন নাই। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডই দেশের শিক্ষাব্যাবস্থা পরিচালনা করবে। প্রধানত ইহাই প্রকৃত ইসলামী শিক্ষা ব্যাবস্থা। প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে কায়দা, মাধ্যামিক স্তরে আম পাড়া ও উচ্চতর শিক্ষায় কোরান শিক্ষার ব্যাবস্থা থাকবে। কোরানে হাফেজ কোরানশরীফের ব্যাখ্যা বা তফশির সমুহ উচ্চতর শিক্ষায় পাড়ানো হবে। মুসলিম গবেষকরা উচ্চতর ক্ষেত্রে কোরানশরীফের নানারকম গবেষনায় নিযুক্ত থাকবেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যাল সমুহে কারন কোরান শরীফই সমস্ত শিক্ষার একমাত্র উৎসস্থল।

স্বাস্থ্যসেবার বিষয় সমুহ মসজিদের তত্ববধানে পরিচালিত হবে। দোয়া, দরুদ, ঝারফুক, আয়ুবের্দিয় চিকিৎসা শাস্র, গাছ গাছরার, শিকর বাকর, পাতা, ফল ও্ পানি পড়াই একমাত্র বৈধ চিকিৎশা বলে ধরে নিতে হবে। আল্লাহর রহমতই যেখানে শেষ কথা সেখানে স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগ না করে প্রার্থনা নির্ভর চিকিৎশা সেবায় আস্থা স্থাপন করতে হবে। সমস্ত রোগের সাথে তার উপশমও মহান আল্লাহই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ তালাই সমস্ত রোগ বালাই দেন এবং তিনিই তার উপশম ঘটান। বর্তমান হাসপাতালগুলি মসজিদের অধিনস্থ করা হবে।

আজকের বাস্তবতায় আজ যা কিছু বিজ্ঞানের কল্যানে মানুষ ব্যাবহার করছে বা যে সকল বৈজ্ঞানিক সুবিধা সমুহ ব্যাবহার করে আসছে তা মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য জায়েজ, কেননা এই সব কিছুই আল্লাহ সাড়ে ১৪০০ বছর আগেই কোরানের মাধ্যমে রসুল সাঃ কে জানিয়ে দিয়ে ছিলেন। শুধুমাত্র ব্যাবহারের দিকটা কোরান ও সুন্নার আলোয় আলোকিত করে নিলেই চলবে। বিজ্ঞান শিক্ষা এই মুসলিম রাষ্ট্রের জন্য নিষিদ্ধ থাকিবে কেননা এই বিজ্ঞানগ্রন্থটি কোরানশরীফের সাথেই সংযুক্ত করা আছে অধিকিন্তু প্রতিয়মান হয় যে, পার্থিব বিজ্ঞান মহান আল্লাহ তায়ালাকে অস্বীকার করবার সাহস যোগাতে পারে।

যেহেতু ইহা একটি আর্দশ মুসলিম রাষ্ট্র। এখানে নারী শিক্ষার অবকাশ নাই। নৃত্যকলা, গান, বাজনা ও অভিনয় শিল্প সম্পুর্ন নিশিদ্ধ। নারীর জন্য হিজাব পরিধান আবশ্যকিয় এর বর্তায় ঘটলে, পরিবার প্রধান তাকে হত্যা পর্যন্ত করবার অধিকার সংরক্ষন করেন। নারী গৃহকর্ম পরিচালনা, সন্তান প্রসব ও তাদের দেখভালের দায়িত্ব পলন করিবেন। এটা ছাড়া নারী আর কোন র্পাথিব কাজে অংশগ্রহন করতে পারবে না। সহায় সম্বলহীনা হত দরিদ্র নারীরা আবস্থাপন্ন আলেম, ওলেমা বা মাশায়েখদের বাসায় পয়সার বিনিময়ে গৃহকর্মে অংশগ্রহন করতে পারবেন। ইহা বৈধ। যাহাতে যৌনদাসী ব্যাবহারে জ্ঞানী ও গুনি লোকের কোন অসুবিধা না থাকে।

বেতার, টিভি ও রাষ্ট্রিও চ্যানেল সমুহ শুধুমাত্র খবর, টক শো ও খলিফার গুনকৃর্তনে সদা সর্বদা নিয়জিত থাকিবে। মানুষের আত্মিক উন্নতির জন্য রেডিও টিভিতে কবরের আযাব ও বেহেস্তের সুখের বয়ান সিরিয়াল আকারে প্রচার বাধ্যতামুলক। ইহাই হইল প্রকৃত অর্থে একটি মুসলিম রাষ্ট্রের চিত্রকল্প। যা বাস্তবে সম্ভব কি না তা আপনারাই বিবেচনা করবেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.