![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সেচ্ছায় পৃথিবীতে আসিনি। দুজন মানব মানবীর আনন্দঘন মুর্হুতের ফসল আমি। ইশ্বরকে যে যে নামেই ডাকুক ইশ্বরের কোন অধিকার নেই আমার কৃতকর্মের বিচার করার। আমি এই জীবনে যা কিছু করেছি সবই তার ইশারায়। যদি বিশ্বাস করি তার হুকুম ছাড়া গাছের একটি পাতাও নড়ে না। তা হলে আমি কোন ছাড়। আমি কিইবা করার ক্ষমতা রাখি। আমি বিধাতার প্রেরিত একটি কলের পুতুল বই তো আর কিছুই নই। মানুষের কল্যান চিন্তায় মনে আসে মানসিক মুক্তি। আর কুচিন্তায় মনে আসে অস্থিরতা ও অশান্তি। এইটুকু বুঝতে হলে ধর্মিও শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার আদৌ কোন দরকার নেই। একটু মানবিক হলেই বোঝা যায়। মানুষের প্রকৃত ধর্ম মানবতা। আর ইশ্বর সেটাই চান। নিজেকে সবার উপরে স্থান দিতেই আমাদের যবতীয় ইতরামি। মানুষের মধ্যে মানুষের নানা পদের এই যে বিভক্তি তার জন্য মানুষই দায়ী, ইশ্বর নয়। যারা যারা ইশ্বরকে দেখেছিলেন বলে দাবী করে গেছেন তারা কেউ আর আমাদের মাঝে বেচে নেই। প্রকৃতির নিয়মে মিশে গেছেন প্রকৃতিতেই।।তাদের লেখা গ্রন্থ সমুহ পড়তে কোন বাধা নেই, পড়ুন এবং যাচাই করুন নিজের আকল দিয়ে। তারা যা যা বলছেন তাকি সত্যি না কল্পনার আশ্রয় নিয়ে শুধুমাত্র কল্পকথাই রচনা করে গিয়েছিলেন। কেউ যদি বলে মিথ্যাকথা বলো না। সে যে অর্থে বলছে তা আগে বুঝতে হবে। মিথ্যা আরো মিথ্যার জন্ম দেয়। তাই হয়তো তিনি মিথ্যা বলতে বারন করেছিলেন। পাপ পুন্যের ধর্মিও কোন ক্রাইটেরিয়া আজো আমি খুজে পাইনি। বিবেকের নিষেধকে আমি পাপ বুঝি, আর বিবেকের আদেশকে আমি পুন্য বুঝি। এইটুকুই। মানুষ আবার বড্ড বেশী চালাক। কেউ কেউ অন্যায়টাকেও যুক্তিতর্কের আর্বতে ফেলে বিবেকের আদেশ বানিয়ে র্নিবিগ্নে অন্যায় করে যান আর বলে বেড়ান এতে আমার পুন্যই হবে। তবে অতি চালাকের গলায় দড়ি ঠিকি পরে।
জাগ্রত বিবেক দ্বারা পরিচালিত কোন মানুষ অন্যায় কাজ কখনো করতে পারেন না। ইচ্ছা করলে নামাজটা যে কেউ পড়তে পারে ধর্মর্নিবিষেশে। যোগ ব্যায়ামের মতো এতেও রয়েছে স্বাস্থ্য রক্ষার সমস্ত উপকরন। নামাযে উঠা, বসা ও সেজদা দেয়ার যে প্রক্রিয়াটি রোজ রোজ পাঁচবার নিয়ম করে করার কথা বলা হয়েছে। এটাও অনেকটা শরীরচর্চার মতো মানুষের শারীরিক সুস্থ্যতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। যোগ ব্যায়ামে কতিপয় ক্ষেত্রে ক্ষতির আশংকা থাকলেও নামাযে কোন ক্ষতি নেই এটা প্রমানিত। নামাযের বাইন্ডিংস গুলি শুধু মাত্র মানুষকে মনযোগি করতেই দেয়া হয়েছে। মসজিদে গিয়ে পাচবার উঠা বসা করুন না ক্ষতি কি। সুরা বা নিয়তের স্থলে মঙ্গল চিন্তায় মগ্ন থাকলেই তো হল।
©somewhere in net ltd.