![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান না ফেরার দেশে চলে গেছেন গত শনিবার দিবাগত রাতে। বাংলাদেশের সর্বজনগ্রাহ্য লোকদের মধ্যে তিনি একজন। মূলত বিচারপতি হলেও সাহিত্যজগতে তার বিচরণ ছিল চোখে পড়ার মতো। কবি, চিন্তক, ভাষাবিদ, গবেষক হিসেবে তার অবদান উল্লেখযোগ্য। এককথায় যাকে জ্ঞান তাপস বলা যায়। তার সমসাময়িক কালে তার মতো ভারসেটাইল জ্ঞানের শাখা বিচরণের নজীর মেলে না।
ভাষা আন্দোলনে ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম যে ১০ জন ১৪৪ ধারা ভেঙ্গেছিলেন তার মধ্যে বিচারপতি হাবিবুর রহমানের একজন। ভাষা আন্দোলন এবং তৎপরবর্তী সময়ে সততা এবং নিষ্ঠা সহকারে অর্পিত দায়িত্ত্ব পালন করে এদেশের সাধারণ জনগণের মানসপটে স্থান করে নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালের কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে একটি স্বচ্ছ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার পর তার অবস্থানটা আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠে।
ভার্চুয়াল জগতে কিছু মানুষ তাকে নিয়ে কাটাছেড়া করছেন। কিছু মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন গোলাম আজমের নাগরিকত্ব মামলায় গোলামের পক্ষে বাংলাদেশের বাঘাবাঘা বিচারপতিরা (পরে ৫ জনের চারজনই প্রধান বিচারপতি) তারপক্ষে রায় দিয়েছেন তাদের মধ্যে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান একজন। তার এই ভূমিকা নিয়েই তাদের আপত্তি। বিচারপতির এই দেশপ্রেম আর সততার কারণে কারও কারও মতে ঐ মামলায় বিচারক হিসেবে রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি বিব্রতবোধ করতে পারতেন যেমনটা শেখ মুজিব হত্যা মামলার আপিলের শুনানীর ক্ষেত্রে বিচারকরা করেছিলেন। সমালোচকদের এই অবস্থানটার ব্যাপারে আমার সহমত আছে কেননা ৭১ এর বিরোধীদের কোন রকম ছাড় দেওয়া কোনভাবেই উচিৎ নয় আইনে যাহাই থাকুক না কেন বা আইন অনুযায়ী রায় যাই নির্ধারিত হোক না কেন বিব্রতবোধ করতে কোন সমস্যা ছিল না। তবুও এতদিন পরে বিশেষ করে তার মৃত্যুর পড় এধরনের প্রশ্ন তুলে তার অবদানকে খাটো করার কোন সুযোগ নেই। কেননা তিনি বিব্রতবোধ করলেও অন্য কেউ হয়তো এই রায়টা দিতেন। মামলা পরিচালনার মুল সমস্যার দিকে না গিয়ে এর জন্য তার সমালোচনা করা অবান্তর।
এবার ঐ মামলার বিষয়ে আসি। মামলা ছিল রাষ্ট্র বনাম গোলাম আজম। রাষ্ট্র সরকারে ছিল বিএনপি-জামাত। এটা অনুমিত ছিল যে জামাত বিএনপিকে সমর্থন দিয়েছিল এই শর্তে যে গোলাম আজমের নাগরিকত্ব মামলায় পার পাইয়ে দিবে। রাষ্ট্র এই মামলায় তার এটর্নি জেনারেলদের আর অন্যান্য আইনজীবীদের দিয়ে যে মামলা পরিচালনা করেছিল তার টার্গেট ছিল গোলামের নাগরিকত্ব নিশ্চিতকরণ । সরকারের উদ্দেশ্য সফল হয়েছিল। বাংলাদেশে রাজনীতিতে নতুনভাবে জামাতের জগরন শুরু হয়েছিল সেদিন থেকে।
গোলাম আজমের মামলার বিচারক যারা ছিলেন তারা বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সবচেয়ে উজ্জ্বল লোকগুলোই ছিল সেদিনের সেই বিচার বেঞ্চে। প্রশ্ন থাকছে তাহলে গোলামের নাগরিকত্ব পেল কিভাবে? দায় কি বিচারকের নাকি মামলা পরিচালনা করেছিলেন যেসব আইজীবী বা আইনজীবী নিয়োগকারী সরকারের।
সরকার তার পূর্বস্থিরকৃত এজেণ্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়েই গোলাম আজমের পাকিস্তান ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাকাপোক্ত করেছিলেন। এখানে বিচারকের কোন দোষ নেই। কারন বিচারক তার সামনে উত্থাপিত তথ্য-উপাত্ত, দলিলাদী, যুক্তিতর্ক আর প্রমাণের ভিত্তিতেই আইনের আওতায় রায় দিবেন। সরকারের নিয়োগকৃত আইনজীবীরা এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে তেমন দলীলপত্র উত্থাপন করেননি। মামলার রায়ে সেই ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কথা হচ্ছে রাষ্ট্রের আইনজীবীরা যদি তথ্য-প্রমান উপস্থাপন না করবেন তাহলে বিচারক কি হাওয়ার উপরে রায় দিবেন?! গোলাম আজমের নাগরিকত্ব মামলার ক্ষেত্রে তাই হয়েছে।
বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে যারা এজন্য সমালোচনা করেন তারা অসুস্থ চিন্তার ধারক-বাহক। জ্ঞান-তাপস হিসেবে পরিচিত বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের যারা সমালোচনা করে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮
বাংগাল মানব বলেছেন: মানুষ সমালোচনার উরধে নয়। ইনিয়ে বিনিয়ে কারো সমালোচনার করার কোন কারন নাই।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:২৬
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: আল্লাহ্পাক স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য ঈদ বা খুশি প্রকাশ করে থাকেন।ধর্ম যার যার উৎসব সবার!!!এই মতবাদের প্রবক্তারা আজ কোথায়?আসুন সবাই পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করি।
Click This Link
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৯
বাংগাল মানব বলেছেন: কিসের মধ্যে কি?
ভাই, যেখানে যেটা করার সেখানে সেটা করুন।
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪৫
ম্রিয়মাণ বলেছেন: ৭১ এর বিরোধীদের কোন রকম ছাড় দেওয়া কোনভাবেই উচিৎ নয় আইনে যাহাই থাকুক না কেন বা আইন অনুযায়ী রায় যাই নির্ধারিত হোক না কেন বিব্রতবোধ করতে কোন সমস্যা ছিল না।
এই লাইনটার সাথে একমত হতে পারছি না। আইন লঙ্ঘন অনেক সমস্যার জন্ম দেয়।
বিষয়টা হচ্ছে, গোলাম আজম অন্যায় করেছেন ঠিকই, কিন্তু তার সে অন্যায়ের কারণে তার নাগরিকত্ব বাতিল হয় না বলে আদালত রায় দিয়েছিল।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫
বাংগাল মানব বলেছেন: গোলাম আযম কখনো তার ৭১ এর কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ পর্যন্ত করেনি সেকারনেই তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া উচিৎ না হোয়াটএভার দ্যা লিগ্যাল গ্রাউন্ড।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২১
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: সত্য কথাবলতে কি ভাই, বাঙালী কখনও ভাল মানুষের মূল্য দিতে জানে না ।