![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাঁচ তারিখের প্যাঁচ কিভাবে খুলবে এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম গত কয়েকদিন থেকেই। বিএনপি বা তার জোট চাচ্ছে একটা বড় ধরনের শো-ডাউন করে দেখানো যে সরকার বিরোধী শক্তি দৌরাত্ন কতটুকু। বিএনপি’র উদ্দেশ্য নেতাকর্মীদের ঝিমানো ভাব দূর করে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা চাঙ্গাভাব তৈরি করা। দীর্ঘদিন বলার মত কোন কার্যক্রম না থাকায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে এক-ধরনের হতাশা তৈরি হচ্ছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কার্যক্রমে প্রতি তৃণমূলের আস্থা ও বিশ্বাসের সংকটের ছায়া স্পষ্ট বিদ্যমান। এই অবিশ্বাস ভাঙতে মরিয়া বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব । একটা বড় সমাবেশ হতে পারে দলের জন্য ‘মোমেন্টাম’। ভাঙতে পারে অবিশ্বাস। আর কেটে যাবে সংকট।
অপরদিকে আওয়ামীলীগ ৫ জানুয়ারীর অগ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে পাবলিক আস্থাহীনতার মধ্যেও খড়কুটো ধরে আস্থা খোঁজার চেষ্টা করছে। বিগ-ব্রাদার আর রাঘব-বোয়ালদের কন্টিনিউড রিলেশনকে এক ধরনের স্বীকৃতি হিসেবে ধরে নিলেও নির্বাচন প্রসঙ্গ আসলেই আবার রিলেশনের ডেপথনেস নিয়ে সংশয় জাগে। মোটাদাগে গ্লোবাল গণতন্ত্রের মাদবরদের সাথে মেয়েলী রিলেশন (দ্রুত উন্নতি-অবনতি) সরকারের উচ্চস্থরের অস্থিরতা মুখের বুলিতে উড়িয়ে দেওয়া প্রচেষ্টাতেই স্পষ্ট । তবে অভ্যন্তরীণভাবে তেমন কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি।বিরোধী জোটের অতি প্রতিক্রিয়াশীল পক্ষকে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে কায়দা মতো ডোজ দিয়ে শিকার করে আর অন্যপক্ষকে জেল-জুলুম আর হুলিয়ার ভয় দেখিয়ে নিষ্ক্রিয় করে রাখার নিরন্তর চেষ্টা করে অনেকটাই সফল। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে বিএনপি’র রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে এই বিশ্বাসেই তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে একটা শো-ডাউন করতে। সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেমে তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিশ্বাস অর্জন করতে।
এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামীলীগ বাংলা লিঙ্ক দামে পাওয়া ক্ষমতা আর তার স্মুথ চলার পথকে বন্ধুর করতে দিতে নারাজ। কোনোভাবেই মোমেন্টাম পেতে দিতে চাচ্ছে না বিএনপি ও তার জোটের আন্দোলন। গনতন্ত্রের কান্ডারীর দাবিদার’রা গনতন্ত ডি-কন্সট্রাকশানের পথে কোন বাধাই বরদাশত করবে না। সেজন্য চক্ষু লজ্জার মাথা থেকে শুরু করে যা যা খাওয়া দরকার সবই খেতে প্রস্তুত। ধর-পাকড়- সরকারী অবরোধ থেকে শুরু করে -‘দ্যা আল্টিম্যাট বালুর ট্রাক’ সব অস্ত্রই তো এর পূর্বে ব্যবহৃত হয়ে গেছে। অবজারবেশনের বিষয় ছিল এবারের ম্যাজিক কি? দেখা যাচ্ছে আওয়ামীলীগ সেই আগের অস্ত্রই ব্যাবহার করতে যাচ্ছে। একদিকে সারাদেশে নেতাকর্মীদের ধর-পাকড় আবার অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। রিজভীকে ‘এরশাদীয় কায়দায়’ বাধ্যতামূলক হাসপাতালে প্রেরণ করে পুরনো আবেদন রিভাইভ করে নিরাপত্তা বাড়ানোর নামে কার্যত অবরুদ্ধ করে রেখেছে বাচনে গন্ততান্তিক কিন্তু কর্মে স্বৈরতান্ত্রিক বর্তমান ক্ষমতাসীন দল।
আর এই স্বৈরতান্ত্রিক কাজকে জায়েজ করে দেখানোর জন্য অনেক গুলো পন্থা অবলম্বন করে।বিভিন্ন প্ল্যান করা থাকে। দলের সিনিয়র নেতারা কেউ কনজারভেটিভ, কেউবা মডারেট আবার কেউবা হার্ড লাইনে বক্তব্য দেন। উদ্দেশ্য হল ব্যালেন্স করা। এই বক্ততাদের লালিত মিডিয়া গুপগুলো মডারেট বক্তব্যগুলো লাইম লাইটে এনে মাঠে ময়দানে আলোচনায় ব্যস্ত রাখে হুজুগে সচেতন নাগরিকদের। আর তলে তলে চলতে থাকে কনজারভেটিভ কাজ । একপাল মুড়ি-মুড়কি দরের প্রিন্ট আর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক/সাংবাদিক আছেন যারা বিভিন্ন স্টেজে ক্ষমতাসীন দলের এই কাজগুলোকে সমর্থন দিয়ে যান। এদেরকে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করা যায়।
গ্রুপ-০১
সরাসরি সরকারকে সাপোর্ট করে। এরা ঠোঁট কাটা। চোখ বন্ধ করে ক্ষমতাসীনদের কর্মকাণ্ড সাপোর্ট করে। এদের রক্তে আওয়ামীলীগ ।এদেরকে সাধারণ লোকজন আমলে নেয়না বটে তবুও এদের আলামত সর্বত্র বিরাজমান। এরা অনলাইনে-অফলাইনে মানুষকে পাজেল করতে ওস্তাদ। এরা অনেক অরগাইজড ওয়েতে কাজ করে। কে তাদের মতামত খাইলো আর কে খাইলো না এটাকে তারা তোয়াক্কা করে না।
গ্রুপ-০২
অন্যের ছোট একটা দোষকে সামনে এনে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত করে তাদের দোষ ঢাকার অপচেষ্টা করেন। এরা যখন বিপক্ষের ছোট-খাট দোষ না পায় তখন লতা পাতা আর পাখির গান করে। এরা এক ধরনের ডিসিভার। এদের অন্যান্য মানব হিতৈষী কাজকর্মের কারনে এদের প্রতি মানুষের একটা অন্ধ ভালোবাসা আছে বলে এরা এটা ইউজ করে মানুষকে অখাদ্য খাওয়ানোর চেষ্টা করে।
গ্রুপ-০৩
অন্তরে আওয়ামীলীগ মুখে নিরপেক্ষতার ভান করে। এরা মনে মনে আওয়ামীলীগের নাম জপে কিন্তু বাইরে লোক দেখানো গালি দেয় আওয়ামীলীগকে। যেই ইস্যুতে আওয়ামীগকে গালি না দিলে নিরপেক্ষতার সারটিফিকেট হারাবে তখনই কেবল আওয়ামীলীগকে গালি দিবে। এরাও এক ধরনের ডিসিভার। এদের ফাঁদে পড়ে সাধারন নিরপেক্ষ মানুষ অনেক সময় লক্ষ্যচ্যুত হয়।
গ্রুপ-০৪
এরা আওয়ামী মতাদর্শের সরাসরি সাপোরটার না হলে এরা এন্টি এন্টি-আওয়ামীলীগ হওয়ার কারনে আওয়ামীলীগের প্রতি একটা সফট কর্নার আছে।এরা চায় আওয়ামীলীগ ভালো করুক। এরা আওয়ামীলীগের দালাল না তবে এরা সবার সমালোচনা করে সাথে আওয়ামীলীগেরও সমালোচনা করে। তবে এন্টি-আওয়ামীলীগের সমালোচনা এরা বেশি করে।
অনলাইনে-অফলাইনে-কাগজে-স্ক্রিনে এইসব মুখোয়া বাহিনী আওয়ামী ইন্টারেস্ট প্রটেক্ট করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে। যে কোন ইস্যুতে যে কয়েক ধরনের মতামত পাওয়া যায় এর বেশিরভাগই এই চার ধরনের মধ্যে ঘোরাফেরা করে বলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাবলিক সেন্টিমেন্ট/মতামত এর মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে । এই স্তরগুলো শিক্ষক, সাংবাদিক, আমলা থেকে শুরু করে হালের ফেসবুকারের মধ্যেও এর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
৫ জানুয়ারি, ২০১৫ তে যদি সমাবেশ না করতে পারে তারপর এইসব মুখোয়া বাহিনী যে যার লেভেলে সরব হবে এই বলে যে-
‘বিএনপি নেতা কর্মীদের মাঠে পাওয়া যায়নি’।
‘ঘরে বসে থেকে আন্দোলন হয় না’।
‘মার না খেলে কিসের নেতা’।
‘ম্যাডাম ইচ্ছে করে তালা মেরে কার্যালয়ে ছিলেন, বাইরে বের হওয়ার রিস্ক নেন নি’ ।
‘এসির বাতাস লাগিয়ে কি আর আন্দোলন হয়!’
আরও কত কি!?
এসব অহেতুক বক্তব্য দিয়ে মিডিয়া গরম করবে কিন্তু একবারও প্রশ্ন তুলবে না কেন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা রাখা হয়েছিল। রাস্তাঘাট এরকম যান-বাহন শুন্য করছে কে? কেন একটা জনসভার অনুমুতি দেওয়া হয় নাই?
কতগুলো কন্ডিশন দিয়ে একটা সমাবেশ করতে দিলে কি এমন হত! একটা রাজনৈতিক সমাবেশ করার অধিকার কি নাই একটা বৃহৎ রাজনৈতিক দলের!এটা কোন ধরণের গণতন্ত্র। নিকুচি করি এমন গন্ততন্ত্রের!
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৩
আবু শাকিল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
পড়লাম
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১১
তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ভালো বলেছেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এসব অহেতুক বক্তব্য দিয়ে মিডিয়া গরম করবে কিন্তু একবারও প্রশ্ন তুলবে না কেন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা রাখা হয়েছিল। রাস্তাঘাট এরকম যান-বাহন শুন্য করছে কে? কেন একটা জনসভার অনুমুতি দেওয়া হয় নাই?
কতগুলো কন্ডিশন দিয়ে একটা সমাবেশ করতে দিলে কি এমন হত! একটা রাজনৈতিক সমাবেশ করার অধিকার কি নাই একটা বৃহৎ রাজনৈতিক দলের!এটা কোন ধরণের গণতন্ত্র। নিকুচি করি এমন গন্ততন্ত্রের!
আর মূলত বিএনপি সফল- এই অর্থে তাকে ঠেকানো জণ্য সরকারকে সারকারী হরতাল করতে হচ্ছে!!
আমজনতাকে সরকার কতটা ভয় পায়- তার প্রমাণ সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা রাস্ট্রীয় আয়োজনে বন্ধ করার মধ্য দিয়ে।
সর্বোত ভাবে স্বৈরাচারের সর্বোচ্চ প্রকাশে মরিয়া সরকার!!!