নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সহজিয়া

যে ঘড়ি তৈয়ার করে - সে - লুকায় ঘড়ির ভিতরে

সাদিক মোহাম্মদ আলম

প্রথমত: সময় নাই। দ্বিতীয়ত এখনই সময়। তৃতীয়ত: আমি না থাকলেও ব্যাপারটা ঘটবে, তবু আমাকেই চাই।

সাদিক মোহাম্মদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের ইতিহাস: যা জানি না, যা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন

০৫ ই মে, ২০০৬ রাত ১২:১০

আমার পূর্বের পোস্টটি: ধমর্ান্ধরা মুড়ি খাও : হাদীসের সমালোচনা করা যাবে না? ... যথেষ্ট বিতর্ক সৃষ্টি করবে এটা আগেই বুঝেছিলাম। যারা এখনও পড়েন নি, তাদের জন্য লিংকটি দিচ্ছি এখানে:

http://tinyurl.com/pwcmf



যারা ধর্ম সম্পর্কে সচেতন বলে দাবী করেন বা অন্তত ধর্মকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে তাদেরকে অনুরোধ করবো শিয়াদের পার্সপেক্টিভ থেকে ইসলামকে পড়ার। তাদের রক্ষিত ইসলামের ইতিহাসটি দেখার।



আমি নিজে দেখার পর পরেই এই পোস্টটি দেইনি। আমি দর্ীঘদিন ধরেই পড়ছি। আমার পড়া যে শেষ হয়ে গেছে এবং আমি যে রাস্তার শেষ মাথায় পৌছে গেছি তা নয়। এখনও অনেক পড়া বাকি। আপনারাও যদি জানতে শুরু করেন তাহলে একটা আলাদা আনন্দ পাওয়া যেতো। কিছু শেয়ার করতে গেলে আপনারা হারে রে রে করে এখাবে ছুটে আসতেন না। আশা করি ইতিহাস জানার কৌতুহল থেকে হলেও শিয়াদের লিটারেচার পড়বেন দুই একজন। তাহলেও অন্তত এখানে সময় দেওয়া কিছুটা হলেও স্বার্থক হবে।



আমার বেশ কয়েকজন শিয়া ইরানী বন্ধু আছে যারা আমাকে সাহায্য করেছে ভালোভাবে জানার জন্য। আমি জানি না দেশে ভালো বই পাওয়া যাবে কি না। তবে বিদেশে যারা আছে তারা শিয়া মসজিদ বা ইসলামিক সেন্টারে গেলেই অসাধারন সব বই পাবেন। হিস্ট্রি বা স্পিরিচুয়াল যেকোন বিষয়েই। দেশে আপনারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।



আমি নিজেকে শিয়াও নই, সুন্নীও নই - এমন মুসলিম হিসেবে আখ্যায়িত করতেই ভালোবাসি। প্রত্যেক সুন্নীই ঠিক যেরকম শিয়াদের সম্পর্কে বায়াসড ধারনা পোষণ করতো, আমি নিজেও সেরকম ধারনা পোষণ করতাম এক সময়ে।



আমি নিজেও ভাবতাম; শিয়া সুন্নী বিভেদ খুবই সামান্য। ফান্ডামেন্টালে ঠিক আছে, সুতরাং এটি নিয়ে কেন এত বিভেদ? এই প্রশ্ন আমাকেও ভাবিয়েছে যতক্ষন না পর্যন্ত পড়ে ব্যাপারটা পরিস্কার হয়েছে। মজার বিষয় হলো শিয়ারা কিন্তু বিভেদটা হালকা দেখে না। তাদের জন্য এটা বিশাল পার্থক্য। কেন? কারন তারা প্রকৃত ইতিহাসটা জানে। তারা জানে যে নবীর মৃতু্যর সাথে সাথে তার জানাজা ও দাফনের আগেই কিভাবে একদল মানুষ ক্ষমতার জন্য হুড়োহুড়ি করে তার পবিত্র দেহকে ফেলে রেখে সিংহাসন ভাগে ছুটে যায়? তারা জানে আলী এবং ফাতেমার তীব্র শোকের কথা এবং নবীর মৃতু্যর পর পর অনেক মানুষের চেহারা পালেট যাবার ইতিহাস।



অনেকেই ভাবে শিয়া সুন্নী বোধ হয় হালকা অতীত নিয়ে রাজনৈতিক বিভেদ। কিন্তু সমস্যা অত হালকা নয়। ইসলামের পুরো বেসিক আন্ডাস্ট্যান্ডিংয়েই বিভেদ আছে। ইতিহাস লেখার ও তুলে ধরার মধ্যে মারাত্নক পার্থক্য আছে যেটা না জানলে ইসলামের প্রতি অবিচার করা হয়। তাই যারা এই পোস্টের টাইটেল এবং কনটেন্ট দেখে মনে করছেন পোস্টের রেটিং কমানো ইমানী দায়িত্ব এবং প্রতিবাদ জানানো ছাড়া ইমানী জোশ দূর্বল প্রমাণিত হবে; তাদের কাছে অনুরোধ চেষ্টা করুন শিয়াদের লিটারেচার পড়ার, তাদের পক্ষ থেকে।



কোথা থেকে শুরু করবেন?



নবীর (তার প্রতি সালাম) মৃতু্যর ইমিডিয়েট মুহুর্ত থেকে পড়তে পারেন। শিয়াদের ইতিহাসে এটা খুব ভালোভাবে সংরক্ষিত আছে যা সুনি্নরা একেবারে কার্পেটের তলায় লুকিয়ে রেখেছে।



পড়তে পারে গাদির খুমের ঘটনা, যা আমি নিশ্চিত আমাদের দেশের 99% সুন্নীরই অজানা।



পড়তে পারেন কেন কিভাবে, কখন ফাতিমা (তার প্রতি সালাম) মৃতু্য বরণ করেন? নবীর ওফাতের খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে, গর্ভবতী অবস্থায় ফাতিমার মৃতু্য এবং তারপরে রাতের অন্ধকারে খুব গুরত্বপুর্ণ ও সিনিয়র সাহাবীরা (যেমন আবু বকর, ওমর, ওসমান) যেন জানাযায় অংশ নিতে না পারে (ফাতেমার মৃতু্য পূর্ব অনুরোধে) তাকে রাতের অন্ধকারে গোপন স্থানে কবর দেওয়া হয়। আজ পর্যন্ত তার কবর অনাবিস্কৃত, কেউ জানে না কোথায় আছে...



আপাতত এই প্রশ্নগুলোর অনুুসন্ধান করুন। শিয়াদের লিটারেচার থেকে পড়তে হবে, কেননা সুনি্নরা এগুেলা গুরুত্বপূর্ন নয় মনে করে অনেক আগেই ইসলামের লিটারেচার থেকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছে। শিয়ারা দেয় নি। সবাইকে সালাম ও ভালোবাসা।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫

অতিথি বলেছেন: শুনেছি আগে। পড়েছিও। তবে আপনার বলা ইতিহাসগুলোকে ফ্যাব্রিকেশন ছাড়া আর কিছু মনে হয় নি, আমি স্যরি। শিয়া, সুন্নী আমার কাছে কোন ঘটনা না। যারা শিয়াদের ঢালাও ভাবে খারাপ বলতে চায় তাদের বিরুদ্ধে যেমন আমার লাগে, তেমনি আপনি সুন্নীদের পিছনে লেগেছেন বলে আপনার সাথে আমার মতের মিল হবে না। আগের পোস্টে আমার মন্তব্য পড়ে নিন। দেখুন আমি কি বলেছিলাম...
বলেছি, কারও বিরুদ্ধে "বায়াসড" অপবাদ আপনি তখনই দিতে পারবে যখন সে কাওকে ঢালাও ভাবে প্রশংসা করে সবার উপরে উঠিয়ে দেয় কিংবা বিশেষ কারো চরম নিন্দা করে, অবমাননা করে। শিয়ারা হাই এস্টিমে হোলড করে সে রকম কোন ফিগারকে আমি সুন্নী কোন টেক্সটে নিচে নামাতে দেখি নি, কিন্তু অদ্ভূত ব্যপার হচ্ছে, আপনার এই ছোট্ট পোস্টেই তা দেখতে পাচ্ছি।
ফ্যাসিনেশন আসেই নতুন ভাবে কিছু দেখতে শিখলে, কিন্তু তার মানে এই না যে সেই নতুন চোখটা সত্য... হতে পারে সেটা জাস্ট নতুন একটা রঙিন চশমা
ভাল থেকেন... আর পড়াশোনা চালিয়ে যান...

২| ০৫ ই মে, ২০০৬ সকাল ৭:০৫

অতিথি বলেছেন: বলতে চাচ্ছিলাম আপনার এই পোস্টেই দেখতে পারছি আপনি যেই শিয়া টেক্সট গুলো পড়েছেন সেখানে বিভিন্ন সাহাবীকে কিভাবে অবমাননা করা হয়েছে, হাতে গোণা কয়েকজনকে ভীষণ উচুতে তুলে দিয়ে, অত্যাচরিত হিসেবে দেখিয়ে। এগুলো ইম্পরট্যান্ট ফ্যাব্রিকেশন টেকনিক

৩| ০৫ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫

এম বলেছেন: যাক, এই ব্যপার নিয়ে লিখতে চাইলে আমি অন্তত: কোন resistance দিতে চেষ্টা করব না । আস্তমেয়ের সাথে আমি একমত। বাই দ্যা ওয়ে, আপনি শিয়াদের কোর'আনের পছন্দের আয়াতগুলো দেবেন না? 33:33, for example? অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকেন।

৪| ০৫ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫

এম বলেছেন: আপনার সালামের উত্তর দিতে ভুলে গিয়েছিলাম - আপনাকেও সালাম।

৫| ০৫ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫

অতিথি বলেছেন: ভাই সাদিক আপনি আর একটি বাজে কথাও সুন্নী সম্পর্কে বলবেন না । যতক্ষন না আপনি আমার সাথে বসেছেন।

৬| ০৫ ই মে, ২০০৬ সকাল ৮:০৫

অতিথি বলেছেন: বেয়াদবির একটা সীমা থাকার দরকার। সুন্নীরা রাসুল (দঃ) এর আওলাদের জীবন কাহিনী কার্পেটের নিচে রাখার মত ব্যাক্তি নয়। আপনি কি জানেন না রাসুল (দঃ) বলেছেন মুসলমানদের মধ্যে 73 ভাগ হবে এর মধ্যে 1 ভাগ ছাড়া সবাই যাবে দোযখে। যারা বেহেস্তে যাবে তারা হচ্ছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অনুসারী। যারা মনে প্রাণে রাসুলের সুন্নত , আল্লার প্রতি ঈমান এবং আমল করেছে । শাফায়াতের কান্ডারী নবী (দঃ) ছাড়া একটি লোকও বেহেস্তে যেতে পারবে না। আপনি আর একটি বাজে কথা লিখলে আমি আপনার সাথে সত্যি সত্যি ঝগড়া সৃষ্টি করে দিব। তাই বলছি আপনি না বুঝে আর একটা কথা সাহাবীদের সম্পর্কে লিখবেন না।

৭| ০৫ ই মে, ২০০৬ সকাল ৯:০৫

এম বলেছেন: সরি, দু'টা বিষয় লিখিনি - পরেরটা আপনার আগামীর কোন পোস্ট anticipate করে লিখছি:
1) আপনার শিয়া বন্ধুরা তো আপনাকে "ভালোভাবে জানার জন্য" সাহায্য করেছে - আশা করি আপনিও আপনার পড়া কিছু mainstream literature*-এর সন্ধান এবং accessibility দিয়ে ওনাদেরকেও "ভালোভাবে জানার জন্য" সুযোগটা করে দিয়েছেন। না দিয়ে থাকলে অবশ্যই দিবেন। আপনি চাইলে আমাদের মাঝের কেউও হয়তো আমাদের পড়া কিছু recommend দিতে পারি তাদেরকে পড়বার জন্য।

2) ইতিহাস জানাটা অবশ্যই জরুরি, কিন্তু Usuluddin এবং Fiqh জানাটাও কিন্তু কম জরুরি না। ওদিকেও কিন্তু নজর দিতে হবে আমাদের সবাইকে। সেগুলো শুধুমাত্র জানবার জন্য ভাষা না জানলেও হয়, তবে assess করতে হলে classical Arabic, হয়তো সাথে ফার্সিও জানা জরুরি। নইলে assessmentটা অনেকটা Abridged edition পড়ে critical literature review লেখার মত হাস্যকর লাগার সম্ভাবনা বেশি

* mainstream লিখেছি, সুনি্ন না। ভুল বুঝবেন না।

৮| ০৫ ই মে, ২০০৬ সকাল ১০:০৫

:) বলেছেন: অনেকেই অনেক কিছু বলছেন। সাদিক বলছেন শিয়া লিটারেচার পড়ার কথা , অন্যরা সেটাকে ফেব্রিকেটেড বলে বিষয়টা হালকা করে দিচ্ছেন। এভাবে 'তর্ক' বেশিদিন চলবে না। দেখা যাক সাদিকের পেশেন্স কতদিন থাকে। আমার মনে হয় সাদিক ইলাবোরেটলি কিছু হিস্টোরিকাল ইনসিডেন্টের বর্ণনা দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হত। কয়েনের আদার সাইডে কী আছে সেটা জানলে সমস্যা কী? মেইনস্ট্রিম সেটাকে ফেব্রিকেটেড প্রচার করতেই পারে, সেটা তাদের গনতান্ত্রিক অধিকার।

৯| ০৫ ই মে, ২০০৬ সকাল ১০:০৫

অতিথি বলেছেন: ধন্যবাদ হাসিমুখ আপনার চিন্তাশীল মন্তব্যের জন্য। অনেক বিশ্বাসীদের কাছে তাদের ইমান এতটাই পলকা কাঁচের মতো ঠুনকো যে তারা মনে করে একটা প্রশ্ন করলেই বুঝি ঝমঝমিয়ে সব ভেঙ্গে যাবে।

একই সাথে কেউ কেউ মনে করে সত্য অনুসন্ধান করার চেষ্টা বা চিন্তাই বুঝি ইমান চলে যাওয়ার প্র্রথম পদক্ষেপ। খোদা এদের হেদায়েত করো।

ইমাম হুসেন (সালাম) কারবালায় শহীদ হওয়ার পরেই ইসলামের ইতিহাসে টুইস্ট শুরু হয়। ইসলাম তখন ব্যবহার করা হয় অনৈতিক শাসকদের শোষন যন্ত্র হিসেবে। সেই ইসলামই ইভোলিউশনের মধ্যে দিয়ে আমাদের উপমহাদেশে পৌছেছে, যে ইসলামে চিন্তাশীল মানুষ মানে মুরতাদ, যে ইসলামে কুরআন না বুঝেই মুসলিম, যে ইসলামে নবীর প্রকৃত পরিবার ও অনুসারীদের সন্মান নেই ...

দু:খ হলো, পেছনে হাটতে হাটতে এমন অবস্থা হয়ে গেছে যে সামনে যে হাঁটা যায়, সেই কথা বললেও এরা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে, মনে মনে গালি দেয় ... আর পরম ভক্তিতে মাথা নাড়ে, ইমান গ্যালো, ইমান গ্যালো।

(শেষের কঠিন কথাগুলো কাউকে ব্যক্তিগতভাবে বলা হয় নাই। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের ব্যাকডেটেড মুসলিমদের কমন কন্ডিশন এবং এ্যাটিচুডের ড্রামাটিক জেনারেলাইজেশন এটি)

১০| ০৫ ই মে, ২০০৬ সকাল ১১:০৫

অতিথি বলেছেন: সাদিক, এটা আমাদের উপমহাদেশের অবস্থা না শুধু। কোরআন আর সুন্নাহের সাথে বিচ্ছিন্নতা প্রসূত অজ্ঞতা থেকে ঠুনকো বিশ্বাসের জন্ম হয়। তবে আমার আর এম এর প্রস্তাবটাও ভেবে দেখেন। আমাকে উপমহাদেশের অন্ধ মানুষেরা ইসলাম শিখায় নি।
ধন্যবাদ।

১১| ০৫ ই মে, ২০০৬ সকাল ১১:০৫

অতিথি বলেছেন: সব মানলাম আপনার কথা। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়, ইসলামের অনেক গুরুত্বপুর্ণ বিষয়গুলো সম্পর্কে সুন্নীরা এত কম জানে কেন? ডাল মে কুচ কালা হ্যায় প্রসঙ্গগুলো সব সময়েই কথা না বলার প্রবণতাটা (অথবা বলতে চেষ্টা করলে তাকে বুলশিট করার প্রবণদা) কি আপনাকে কখনো ভাবিয়েছে?

১২| ০৫ ই মে, ২০০৬ সকাল ১১:০৫

অতিথি বলেছেন: আবার বলছি, আমি শিয়া সুন্নী আলাদা করে ভাবতে শিখি নি।
ইসলামের কোন দিক নিয়ে কোন মুসলিমই লজ্জিত না।
আমি একজন মুসলিম, আমিও না।

১৩| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১২:০৫

অতিথি বলেছেন: আমি লজ্জিত আস্তমেয়ে।

মারাত্নক লজ্জিত হয়েছিলাম যখন ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো জানলাম যে প্রিয় নবীর মৃতু্যর পরে তার ঘনিষ্ঠ সাহাবীরা কি ধরনের সংঘাতে লিপ্ত হয়েছিলো। কতটা স্বার্থময় হতে পারে একেকজন যে নবীর দাফনের আগেই শুরু হয়ে যায় ক্ষমতা ক্যাচাল।

আমি লজ্জিত হই বারবার যতবার গাদির খুমের ঘটনা পড়ি।

আমি লজ্জিত হই যখন কোন অমুসলিম বা অবিশ্বাসী আবু হুরায়রার অযৌক্তিক কথন সমৃদ্ধ হাদীস তুলে দিয়ে নবীর কথা দাবী করে উপহাস করে।

আমি লজ্জিত হই যখন খ্রিস্টান ফান্ডামেন্টালিস্টরা হাদীস এবং কুরআনের কনটাডিক্ট শিক্ষা বের করে উপহাস করে।

আমি লজ্জিত হই পল ঠিক যেভাবে খ্রিস্টান ধর্মকে ইসা (সালাম) এর কাছ থেকে হাইজ্যাক করে নিজেই খ্রিষ্টান ধর্মকে পালেট দিয়েছে, আবু হুরায়রার আচরনে সেই ছায়া দেখে।

আমি লজ্জিত হই বারবার, বারবার, অসাধারন সেই মানুষ, মুহাম্মদ (সালাম) এর মেধাকে উপহাস করে কিছু বানোয়াট হাদীস ; যাকে আবার পুজা করে অন্ধ মুসলিম নামের কলংকরা - তা দেখে।

১৪| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১২:০৫

অতিথি বলেছেন: শাহাব আহমেদ মামুনকে বলছি, আপনি যদি ভিন্ন কোনো বক্তব্য বা অন্যরকম ইতিহাস আমাদের জানাতে চান তবে তা লিখে পোস্ট করুন। আমরা আপনার ও সাদিকের লেখার মধ্য থেকে বিচার-বিশ্লেষন করে যার যার মত করে সত্যকে অনুধাবন করবো।

চাই মুক্তচিন্তার প্রবাহ!!!

১৫| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১২:০৫

অতিথি বলেছেন: "ইসলামের কোন দিক নিয়ে কোন মুসলিমই লজ্জিত না। আমি একজন মুসলিম, আমিও না।"
হুম.. এতক্ষনে বুঝলাম জামাত এতকিছুর পরও 71-এর কৃতকর্মের জন্য কেন এতটুকু লজ্জিত হয় না, অনুশোচনা করে না।

১৬| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১২:০৫

সাইমুম বলেছেন: সাদিক : ধর্মানুসারীদের ভুল ধর্মের ঘায়ে চাপিয়ে দেয়া ঠিক নয়। মহানবীর (স:) সাহাবীরা কি জাগতিক দুর্বলতা মুক্ত ছিলেন? ইতিহাস জানতে অসুবিধা নেই। তবে শিয়াদের সব ইতিহাসকে অথেনটিক মনে করার কি কারণ থাকতে পারে? ইতিহাস নিয়ে মতপার্থক্য আছে এবং তা থাকবেই। শিয়াদের উপগোষ্ঠীর সংখ্যা সুন্নীদের চেয়ে অনেক বেশি।
মূল ব্যাপার হচ্ছে : ইসলামের মৌলনীতিগুলো নিয়ে শিয়া-সুনি্নর বিরোধ রয়েছে কিনা? নামাজকে কেউ দশ ওয়াক্ত বলে কিনা? ধর্মের ইতিহাস নিয়ে মতপার্থক্য কি অস্বাভাবিক কিছু? আর এটা নিয়ে গবেষণার পথ তো খোলাই রয়েছে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে : এসব মতপার্থক্যকে আপনি ইসলাম ধর্মের অন্তর্নিহিত দুর্বলতা মনে করেন কিনা? ধর্মীয় গোড়ামিতে আমার আস্থা নেই। আমি জানি, আরবের সেই 'আল্লাহ' পারস্য মরুভূমি পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পেঁৗছতে পেঁৗছতে 'খোদা' হয়ে গেছেন। তারপরও ইসলামের মৌলনীতিসমূহ যাচাইয়ের জন্য পবিত্র কুরআন মজুদ রয়েছে। ওখানে যদি ইসলামের মৌলনীতি যাচাইয়ের সুযোগ না থাকে, তাহলে বলে দিন :'যে আল্লাহ আমার জীবন চলার জন্য একটা মৌলনীতি উপহার দিতে পারেন না, সে আল্লাহর দরকার কি?'

১৭| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১২:০৫

অতিথি বলেছেন: থ্যাকংস শোহেইল ভাই। আপনার মন্তব্যে আশা করছিলাম।

শেষ কথাটা ভালো বলেছেন। চাই মুক্তচিন্তার প্রবাহ।

সাজেদকেও ধন্যবাদ। গুগলি ভালোই দিছেন মিয়া ভাই!

১৮| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১২:০৫

অতিথি বলেছেন: সাইমুমের মন্তব্য পছন্দ হয়েছে।

সাদিক আপনি শিয়াদের সব টেক্সট অথেনটিক মনে করছেন কেন, আমার কাছে গ্রহণ যোগ্যতা কম কেন তা বলেছি, আপনি তা খন্ডন করেন নি।

১৯| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১২:০৫

অতিথি বলেছেন: সাইমুম দা: শিয়াদের ইতিহাসে কেন, অনেক কিছুই ত্রুটিমুক্ত তা নয়। তবে তাদের আধ্যাতি্নকতা লক্ষ্যনীয়। তাদের ইসলাম সম্পর্কে ডাইনামিক মনোভাব এবং মেকানিজক শিক্ষনীয়।

ইসলামের অনর্্তনিহিত দূর্বলতা নয়। তবে ইসলামকে দূর্বল হিসেবে দেখার সুযোগ করে দেয় যদি অনুসারীরা প্রকৃত সত্যকে না জানে।

পবিত্র কুরআনের গ্রহনযোগ্য নিয়ে কারো দ্্বিধা নেই। দ্্বিধা হাদীসের অপ বক্তাদের নিয়ে। এবং এটা মারাত্নক একটা বিষয় যা জানা দরকার।

২০| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১২:০৫

সাইমুম বলেছেন: সাদিক : হাদিস নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। অনেক জাল হাদিস বইতে ঢুকে গেছে। ওগুলোকে বাছাই করার পথ কি খোলা নেই? হাদিস মানে কাউলি, ফেলি আর তাকরিরি না বুঝে হাদিস শাস্ত্র' পড়তে পারেন। কোনটা জাল আর কোনটা সন্দেহযুক্ত তা সহজেই জানার পথ রয়ে গেছে । আসমাউর রিজাল শাস্ত্রএক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। জাল হাদিস মানা জরুরি নয়। আবার এগুলোর মাধ্যমে এটাও প্রমাণ করা যায় না যে ইসলাম ধর্ম ভুয়া। তবে কেই যদি ভুয়া দাবি করে তৃপ্তি পেতে চান, তাহলে এসব বলে বা লিখে যেতে পারেন।

২১| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১২:০৫

সাইমুম বলেছেন: সাদিক : শিয়াদের ডাইনামিক মনোভাবের পেছনে যৌক্তিক কারণ আছে। ওরা নানা ভাবে অপ্রেসড হয়েছে। আর এ নিপীড়ণটাই তাদের মাঝে ডাইনামিজম এনে দিয়েছে। বিশ্বে সংখ্যালঘুদের মাঝে ডাইনামিজম থাকে, নতুবা তারা বিশ্ব থেকে অতি দ্রুত মার্জ হয়ে যাবে।

২২| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: কেবল সেটাই নয়। প্রত্যেক সময়ের জন্য স্পিরিচুয়াল ইমাম বা নেতা নির্বাচনও এর পেছনে কারন। এর ফলে ইসলাম সম্পর্কে সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষটি সময়, পরিস্থিতি অনুসারে দৈনন্দিন জীবনধারনকে রিয়েল টাইম গাইড লাইন দিতে পেরেছে ।

যেখানে সুন্নীরা আধুনিক জীবন ব্যবস্থায় মধ্যযুগের মনোভাব নিয়ে পড়ে থাকতে অবিরাম চেষ্ট চালায় সেখানে শিয়ারা ধর্মকে জীবনের ইন্টিগ্রাল পার্ট করতে খুবই সফল হয়েছে। তাদের জীবনে ধর্মের অবস্থান আমাদের সুন্নীদের মতো সুপারফিশিয়াল নয়।

২৩| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: শিয়ারা কি সংখ্যালঘু?

২৪| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

সাইমুম বলেছেন: সাদিক : একটা মূলনীতির কথা বলি। ইসলাম ধর্ম একটি কিন্তস্বীকৃত মাজহাব চারটি। সাধারণ যুক্তিতে এটাকে ধর্মের অন্তর্নিহিত দুর্বলতা বলা যায়। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপার কি তাই? বরং যে এলাকায় যে মাজহাবের ইমাম থাকেন, তাকেই অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এবং আম মুসলিম জনতার জন্য তা প্রযোজ্য। নতুবা তারা মতপার্থক্যের কারণ বুঝতে না পেরে বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু মৌলনীতিসমূহ জানার কারণে একজন আলেম (কাঠমোল্লা নয়) বিভ্রান্ত হবেন না। সোজা কথায় একজন আলেমের গাইডলাইন হলো কুরআন। মাজহাব তার জন্য সেকেন্ড পেপার । মরমী দার্শনিক সাদিকের জন্য কি মাজহাব জরুরি? আমারতো তা মনে হয় না।

২৫| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: সাইমুম দা, মূলনীতি প্রসঙ্গ নিয়ে নয়, ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে আলোকপাত করতেই আমার এই পোস্টগুলো।

মাজহাব কখনোই সমস্যা নয়। যে শিয়াদের সুন্নীরা বিদআতকারী বলে আখ্যায়িত করে থাকে, এমনকি মিশরের আল আজহার থেকে শিয়া মতবাদকেও একটি স্বীকৃত মাজহাব বা স্কুল অফ থট বলে স্বীকার করা হয়েছে অনেক আগেই।

২৬| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: রিপন ভাই (সাজেদ) শিয়ারা চিরকালই সংখ্যা লঘু। সৌদি আরবে শিয়ারা 15%। তবে ইসলামের প্রকৃত সত্য ধারন কারীদের সংখ্যা সব সময় মাইনরিটি থাকবে এটা নবীর নিজের ভবিষ্যতদ্্বানী যার তাৎপর্য অনেক ব্যাপক।

Ali, the devout son-in-law of the Prophet, was out-maneuvered for the succession by the father-in-law when Mohammed died. The seminal figure in Shia history, the Imam Hussein, was a grandson of the Prophet and he died a martyr, hopelessly outnumbered, at the battle of Karbala in 680, defending the faith and its purity against the corrupt dynasty that had assumed power in Islam.

২৭| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: শিয়াদের ঢালাও বিরোধিতা এখানে কেউ করছে না, কিন্তু আপনি তখন থেকে 'সুন্নী সুন্নী' করছেন...

২৮| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: তারমানে কি বলতে চাচ্ছেন প্রতিটা শিয়াই শুধু ইসলামকে বুঝেছে? সুন্নীরা বুঝে নি?
আমার তো বক্তব্যটা তাদের জন্য প্রযোজ্য মনে হয় যারা ইসলামের সার্বজনীন চিত্রটা দেখতে পারে... হোক সে শিয়া বা সুন্নী...
ধূর, আমি নিজেকে কখনও সুন্নী মুসলিম হিসেবে আইডেন্টিফাই করি নি, তাই এই তর্ক অদ্ভূত লাগছে।

২৯| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ১:০৫

অতিথি বলেছেন: ও হ্যা সাদিক, আপনার শিরোনাম "ইসলামের ইতিহাস" হওয়া উচিৎ না, উচিৎ "মুসলিমদের ইতিহাস"। আমরা তা নিয়েই আলোচনা করছি। ইসলামকে দ্্বীন হিসেবে আল্লাহ পারফেক্টেড করে দিয়েছেন।

৩০| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ২:০৫

অতিথি বলেছেন: হ্যা সাদী, মুসলিমদেরকে আপনি যত ইচ্ছে আর্বজনা আর ডোবায় ফেলেন কোন সমস্যা নাই, শুধু ইসলামকে ......

৩১| ০৫ ই মে, ২০০৬ দুপুর ২:০৫

অতিথি বলেছেন: আস্ত আপনার পয়েন্ট ইজ টেইকেন। তবে যে ইসলাম আপনার সামনে উপস্থাপিত সেটা ইতিহাসের হাত ধরে পালটাতে পালটাতে আপনার কাছে এসেছে কি না; তাই ইসলামের ইতিহাস বললে খুব ভুল বলছি না।

প্রশ্ন একটাই, পোস্টগুলো পড়ছেন কি পুরোটা; নাকি কেবলই কমেন্ট?

সুন্নীদের কৃতকর্ম এবং ইতিহাসে নবীর বংশধরদের সিস্টেমেটিকভাবে হত্যা করার ব্যাপারটা নিয়ে পরের পোস্ট করেছি। পড়ে দেখলে বাধিত হতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.