নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের অনুভূতি গুলো যখন অক্ষর দিয়ে সাজাই

ডাঃ এন এইচ সার্জা

ডাঃ নেহাল এইচ সার্জা https://about.me/drnhsarja

ডাঃ এন এইচ সার্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বারডেম এর ভিতরের কথা বলছি - বলছি ডাক্তার নামের মানুষদের কথা

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

আপনি ডাক্তার না, সো ঠিক চিকিৎসা বা ভুল চিকিৎসা বোঝা আপনার পক্ষে সম্ভব না, আর যদি সেটা সম্ভব হতো, তাহলে আপনি চিকিৎসা নিজেই দিতে পারতেন, কোনো ডিগ্রীধারি ডাক্তার এর প্রয়োজন হতো না!



আর মেডিকেল সাইন্সের লিমিটেশান ও আছে, সব রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না, কিন্তু চেষ্টা করা হয় শেষ পর্যন্ত! সফলতা সব সময় আসেনা, তার মানে এই নয় যে চেষ্টাও করা হবে না!



এই পোস্টের সাথে একটা ছবি আছে, এক হতভাগ্য মানুষের এপ্রোনের ছবি, যে কিনা পহেলা বৈশাখের আগের রাতে বেশির ভাগ মানুষের মতো পাঞ্জাবি সিলেকশানে ব্যস্ত হতে পারে নাই, বরং নিরলস ভাবে চেষ্টা করেছিল এক মুমুর্ষু রোগীকে বাচিয়ে তুলতে, ফলাফল নেগেটিভ, শত চেষ্টা সত্ত্বেও সম্ভব হয়নাই তাকে বাঁচিয়ে তোলা!



এর পরই ঘটতে থাকে ঘটনা, নিরলস চেষ্টা হয়ে যায় ভুল চিকিৎসা! যে চিকিৎসার কিছুই বোঝেনা সে নিজের বলা "ভুল চিকিৎসা" থিওরি দিয়ে পাশবিক ভাবে পিটিয়ে চিকিৎসক দের আই সি উ সাপোর্টে ভর্তি করিয়ে দেয়।



দেখুন, ডাক্তাররাও মানুষ ঠিক আপনার মতই যারা তার জীবন যৌবন সুখ আহ্লাদ বিসর্জন করে দেয় অন্য মানুষের সুস্থতার জন্যই! আর আমাদের ভিতর জাতিগত ভাবে ডাক্তাররা খারাপ আর তাদের বিপরীতে দাঁড়ানো খুব ক্রেডিট এর ব্যপার, কিন্তু অনিয়ম আমাদের সাথে হলেই সেটা নিয়ম হয়ে যাবেনা, আজ যা হয়েছে বারডেম হাসপাতালে তাতে ডাক্তারদের বিপরীতে দাঁড়িয়ে দয়া করে নিজেদের পাশবিক কার্যক্রম এর সাথে এক করবেন না। ডাক্তাররাও মানুষ, খুজে দেখলে আপনার সামাজিক পরিমন্ডলেও এক দু জন খুজে পাবেন। সবাই যাচ্ছেতাই ভাবে ভুল চিকিৎসাও দিচ্ছে না! কিন্তু সঠিক চিকিৎসাকে নিজের মন মতো "ভুল চিকিৎসা" বলে ডাক্তার আধমরা করে ফেলাটা স্বাভাবিক হতে পারে না! ডাক্তারদের এই আন্দোলনে অনলাইনে হলেও বা মানসিক ভাবে হলেও আপনাদেরকে পাশে চাচ্ছি!









(বারডেম হাসপাতালে সকল চিকিৎসা বন্ধ + সকল রোগী ফেরত দেয়া হচ্ছে - এটা জানেনতো!)



জ্বী - কথা (আংশিক) সত্য বটে - সাপোর্ট - এ যেসব রোগী আছে, তাদের চিকিৎসা বন্ধ হয় নাই, কেননা তাদের চিকিৎসা ১ মিনিট বন্ধ হলেই তারা মারা যাবে! ইমার্জেন্সি অন আছে - যে কোনো রোগীকে ইমার্জেন্সি সার্ভিস দেয়া হচ্ছে। কিন্তু অন্য সব সার্ভিস বন্ধ, ডাক্তাররা নিজেরাই যেখানে সঠিক চিকিৎসা দিয়ে ভুল চিকিৎসার মানে মাইর খাবে - সেখানে তাদের আত্মরক্ষা বলেও তো ব্যপার আছে - তবে আত্মরক্ষার নামে তারা কাউকে পিটায় মেরে ফেলে নাই - জাস্ট বিচার চেয়েছে - বিচার - আর কিছু না! - সঠিক চিকিৎসা দিয়ে ভুল চিকিৎসার নামে ডাক্তারকে অর্ধমৃত করে ফেলার বিচার!



(এখানে যা বলা হয় নাই, দেশের কোনো এর প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সাধারন/অসাধারন কোনো ব্যক্তি এই রোগীর আত্মীয় মহলে আছে বলে শুনেছি, রাজনীতি দেশ ও দশের সেবার জন্য, চিকিৎসা সঠিক বা ভুল বলে পুরুষ ডাক্তার (২ জন) আধমরা করে ফেলা বা মহিলা ডাক্তার (১ জন) লাঞ্ছিত করা না)



আমি চিকিৎসক, কিন্তু আমি আপনার মতই বাংলাভাষী, আপনার মতই বাংলাদেশী, সর্বোপরি আপনার মতই মানুষ - সুস্থ ভাবে বেচে থাকার অধিকার আমারও আছে, নিরাপদ কর্মস্থলের অধিকার আমারও আছে - মিথ্যা অভিযোগ এ বেধম প্রহার করাটা অনেকটা অন্যের ঘরে ঢুকে ডাকাতি বা পিটানোর মতো ব্যপার!

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অভিযোগ সঠিক আর বেঠিক- ডাক্তারদের গায়ে হাত তোলার এই প্রক্রিয়াকে আমি নিন্দা জানাই। এই দেশে সকল ডাক্তার যেমন দুধে ধোঁয়া তুলসী পাতা না, তেমনি মানুষের জন্য অকাতরে কাজ করে যাওয়া ডাক্তারদের সংখ্যাও কম না।

রোগী মারা যাওয়া মাত্র ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে এই দাবি করা অবান্তর। সঠিক তদন্ত শেষে যারা দোষী হবে, তাদের শাস্তি দাবি করি।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: আপনার চিন্তাধারার সাথে সম্পূর্ণ একমত। অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

ঢাকাবাসী বলেছেন: এদেশে তদন্তটা ঠিক আছে কিনা তার তদন্ত দরকার হয়! কয় হাজার তদন্তের কথা জানতে চান? কা.ভা. বলেছেন সবাই খারাপ না বাট ভালর সংখ্যা নগন্যই! এছাড়া আর্থ সামাজিক অবস্হা দেখে প্রায় সবাই খারাপ হওয়ার পথে এগোয়! বহুদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ডাক্তারদের সাপোর্টে একটা কথাই বলব 'এদেশে একটা সেকটর সেকশন নেই যেখানে ভাল মানুষ আছে! লিটারেলি সারা দেশটাই পঁচে গেছে!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৪

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: এদেশে কোনো সেক্টর নেই যেখানে ভালো মানুষ আছে, লিটারেলি পুরা দেশটাই পচে গেছে - আংশিক ভাবে একমত।

তবে এটাও ঠিক, ব্যাংকিং সেক্টর আপনাকে ঘোরায়, গিয়ে কিছু ব্যাংক এর কর্মকতা মেরে আশাটা সাধারন ব্যপার, বা মন্ত্রনালয় কিংবা অন্য কোনো পেশার লোকদের সাথে এমনটা হয় না, হয় শুধু ডাক্তারদের সাথেই, তাহলে কি পচার দায়টা শুধু চিকিৎসকদের উপর দিয়েই যাবে?

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

প্রকৌশলী মোঃ জুলফিকার আলী জুয়েল বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা এর সাথে সম্পূর্ণ সহমত। ডাক্তার অবশ্যই রোগীকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। তার মানে এই না যে ডাক্তারের হাতে জীবন মরনের সার্টিফিকেট। তবে ভুল চিকিৎসা যে হয়না তাও না। অনেক ক্ষেত্রে হয়। তবে তার জন্য রোগী মরলেই সেটা ভুল চিকিৎসায় মরেছে সেটা দাবি করাটা অযৌক্তিক।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৫

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৮

গরল বলেছেন: এর মানে হচ্ছে বাংলাদেশে ডাক্তারদের প্রতি বিশ্বাস বা শ্রদ্ধা কোনটাই আর অবশিষ্ঠ নাই বরং আছে ক্ষোভ। আর কোন ক্ষেত্রেই ভূল চিকিৎসা বোঝা সম্ভব না এটা বলার অর্থ হচ্ছে অন্যদেরকে গর্দভ ভাবা। একারনেই আপনারা না পেরেছেন ডক্টর হতে না পেরেছেন ভাল চিকিৎসক হতে। বাংলাদেশে সব চিকিৎশকরাই ডক্টর বলে নিজেদের জাহির করে অথচ এই ডক্টর মানে হচ্ছে মেডিকেল ডক্টর বা MD, যা পিএইচডির সমমান উন্নত বিশ্বে। বাংলাদেশের তথাকথিত ডক্টররা উন্নত বিশ্বে যেয়ে ১০% ও লাইসেন্সিং পরীক্ষায় পাশ করে না। এমনকি আমার পরিচিত অনেকে ডক্টর ইউএসএতে নার্সিং পরীক্ষা দিয়েও পাশ করতে পারে নাই।

তবে এটা আপনাদের দোষ না, সিস্টেমের দোষ, আর এজন্য কাউকে শারিরীক আঘাত সমর্থন করি না। এবার আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ভূল চিকিৎসার উদাহরণ দিচ্ছি। বড় কোনো রোগের ইতিহাস ঝানা নাই েমন এক রোগীর হঠাৎ ভীষণ পেট ব্যাথা নিয়ে সহরোয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করার সাথে সাথেই ডক্টর একটা ইনজেকশন দিল এবং তার `৩ মিনিটের মধ্যে রোগী ছটফট করে নীল হয়ে মারা গেল। উনি আমার বন্ধুর মা। এখন আমার বন্ধুর বা আমার মনের অবস্থা কি হতে পারে বলে আপনার ধারণা যারা সামনে দড়িয়ে দাড়িয়ে দেখলাম এবং ঐ ডক্টরকে আর পাওয়াই গেল না।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৫

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: ভাই, ডক্টর ব্যপারটা আরেকটু গুগল করলে ভালো হতো, কেননা সব দেশে ডক্টদের গ্রাজুয়েশন কে MBBS বলে না। usa তে MD বলে আবার কোথাও MBChB বলে, অনেক ব্যপার আছে।

জ্বী আমরা বেশির ভাগই খারাপ কোয়ালিটির কেননা আমরা বাংলাদেশের প্রোডাক্ট, ওয়াল্টন যত ভালো ফোন ই বানাক না কেনো আমরা বেশি টাকা দিয়ে কম প্রসেসর এর সনি বা স্যামসাং কিনি - জাতীয় ইস্যু - কিছুই বলার নাই।

আমি একবার ও বলি নাই দেশে কু চিকিৎসা নাই, বলি নাই ভুল হয় না, কিন্তু ভাই, পেটে ব্যথার 100 টা কারনে রোগী দ্রুত মারা যেতে পারে, আমি জানি এবং আপনি জানেন না - এর অর্থ যে আপনি গর্দভ তাও না, কেননা আমি আপনার সেক্টরের জিনিস জানি না - এটাই স্বাভাবিক।

এবার ধরেন কোন মানুষের রাপচারড এওরটিক এনউরিজম হলো, রোগীকে হাসপাতালে অতি দ্রুত অপারেশান না করলে বাচানো যাবে না, এই ব্যপারের যোগ্য লোক এবং ওটি সব ই দেশে আছে নাই ইনফ্রাস্ট্রাকচার, প্লাস বিদেশিরা এই ওটি করলে প্রায় ৪০% রোগী মারা যায় - এটা চিকিৎসক এর দোষনা মেডিকেল সাইন্সের অপারগতা।

ভাই, পরিবার পরিজন আমাদেরও আছে, বিপদ আমাদের ও হয়, কষ্ট আমরাও বুঝি। কিন্তু আপনি মানুষ বলে ওই দিন অই ডাক্তারকে মেরে আইসিইউ তে পাঠাননাই, কেননা এই কাজ মনুষ্য প্রকাশ করে না, প্রকাশ করে পাশবিকতা।

ভালো থাকবেন, আর দোয়া করি আপনি বড় হয়ে এই দেশ ত্যাগ করে বিদেশে যান, কেননা চিকিৎসা তো আপনারো লাগতে পারে, তখন দেশে থাকলে তো মহা বিপদ।

বিদ্রঃ আমাদের দেশের অনেক অনেক চিকিৎসক এখন বিদেশে চিকিৎসক হিসেবেই কর্মরত আছেন, আল্লাহ না করুক যে বিদেশে গিয়ে আপনি আবার কোনো দেশি চিকিৎসক দ্বারা সেবা না পেয়ে যান।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৬

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

ধুমধাম বলেছেন: ডাক্তারদের এই আন্দোলনে অনলাইনে হলেও বা মানসিক ভাবে হলেও আপনাদেরকে পাশে চাচ্ছি!
পাশে থাকারতো প্রশ্নই আসে না, কথায় কথায় এই কাজ বন্ধ করার জন্য পারলে উল্টা ব্যবস্হা নিতাম, মানুষকে জিম্মি করার কোন অধিকার আপনাদের নেই

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৯

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: ভাই, অনুরোধ জানিয়েছি, বলিনি যে এটাতে সাপোর্ট না করলে কোনো ডাক্তার গিয়ে আপনাকে পিটাবে।

সমর্থন করা না করা আপনার ব্যক্তিগত ব্যপার, কিন্তু যেই সমাজে শুধু একটি পেশার মানুষই দিনের পর দিন নিজ কর্মস্থলে মার খেয়েই যাবে সে মৌন প্রতিবাদ ও করতে পারবেনা, তা হয়না।

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

রিফাত ২০১০ বলেছেন: কিছুদিন আগে হেফাজত ইসলামের সমাবেশ নারী সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন লাঞ্ছিত হওয়ার পর প্রতিবাদের ঝড় উঠে । আমার কথা হল বারডেমে যে মহিলা ডাক্তারকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তিনিও তো একজন নারী। কারো বোন কারো মা কারো মেয়ে।

অথচ কি অবাক করা ব্যাপার দেখেন এই সাংবাদিকরা নিজেদের সহকর্মী হওয়ার কারণে রিপোর্টের পর রিপোর্ট , প্রতিবেদনের পর প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কিন্তু এই নারী ডাক্তার লাঞ্ছিত হওয়ার পর সাংবাদিক নামের এই নরপিচাশরা তার কয়েকদিন আগে যেভাবে নারীবাদী ও নারী অধিকার এর নামে প্রতিবাদ করেছেন এখন তার বিপরীতে নিজেদের অবস্থান ইতোমধ্যে পরিষ্কার করেছে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২২

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: অধিকার শব্দটা এদেশের চিকিৎসক দের জন্যনা, তা নারী অধিকার হোক আর মৌন আন্দোলনের অধিকারই হোক না কেনো।

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১২

রিফাত ২০১০ বলেছেন: ধুমধাম @ তাহলে তারা কি করবে ? এভাবে মার খাবে ? নাকি সরকারের কাছে যাবে বিচার চেয়ে ? আর সরকার ব্যাপারটার সমাধান করতে যে সময় নিবে এর মধ্যে আবার পত্রিকায় নিউজ আসবে রোগীর আটেন্ডেন্স এর হামলায় অমুক ডাক্তার নিহত।

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৬

শাহ আজিজ বলেছেন: যে দেশে একটি মৃতদেহকে লাইফ সাপোর্টইং মেশিন দিয়ে দুদিনের বিল আদায় করা হয় কৈ, তখন তো এই কসাইদের কেউই প্রতিবাদ করেনা , একটা মিছিল করলে বুঝতাম যে না তারা আম পাব্লিকের সাথে আছে । তারা স্ব উদ্যোগী হয়ে সেই ক্লিনিকের ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিয়েছে কখনো ? এখন তারা চিকিৎসা বন্ধ রেখে শাহবাগি হটে চাচ্ছে । আই সি ইউর সংখ্যা কিন্তু বেশিনা । ফেরত যান এবং চিকিৎসা দিন । বৈশাখের গরম্র মাথা আউলাইয়া গেলে কিন্তু ও টি তেও সেফ না ।

আমরা যারা কিছুটা সচ্ছল তারা ভালো ডাক্তারের কাছে যাই শুধু ভালো ভাবে বেচে থাকার জন্য । এদেশ টি এখনো মরে যায়নি ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২৮

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: ঠিক বলেছেন কিন্তু মর্গের ব্যবস্থাপনাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আন্ডারে থাকে সাধারন ডাক্তারদের আন্ডারে নয়। আমাদের সিস্টেম ডিফেক্টিভ, এবং শুধু স্বাস্থ্য বিভাগ নয়, দেশের সব বিভাগ ই ডিফেক্টিভ।

আশা করি বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আপনি আমাদের নিরাপদ কর্মস্থল দাবির পাশে দাঁড়াবেন।

দোয়া করি, আল্লাহ আপনাকে আরো সচ্ছলতা দিন, আপনি ভালো ভাবে বেচে থাকার জন্য আরো ভালো ডাক্তারের শরনাপন্ন হোন।

১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৬

ধুমধাম বলেছেন: আমার একটা অভিজ্ঞতা বলি, একবার এক সরকারী হাসপাতালে আমার সামনে, শুধুমাএ কথার মাঝখানে কথা বলায়, ডাক্তার রোগীকে হুমকি দিলেন ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলার, বললেন মারলে কিছুই হবে না..............হতভম্ব আমরা.......পারলে সেদিনই কিছু করতাম। আমার পরিবারেও ডাক্তার আছে, আমি দেখেছি কতটা কষ্ট তিনি করেন, কিন্ত কিছু আন্দোলন জীবির কারণে যখন সবাই জিম্মি হয়ে পড়ে তখন কি করতে ইচ্ছা হয় বুঝে নেন

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২৭

ধুমধাম বলেছেন: @ এইডা কিছু হই?? উপরের মন্তব্যটা আপনার জন্য

১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭

মাহবুবুর রহমান এমিল বলেছেন: সব হাসপাতাল ২দিন বন্ধ থাকুক,
তাইলেই হবে, সরকার বাপ বাপ করে ডাক্তার দের নিরাপত্তা বিধানে ব্যবস্থা নিবে।।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, আমরা কি সেটা পারবো?? পারবো এক হয়ে আন্দোলন করতে???
.....
না, পারবো না।। কারণ আমাদের মধ্যেও ঝামেলা আছে। আমরা চাটুকারিতা করতে অত্যন্ত পছন্দ ও উপভোগ করি।।
আর যতদিন আমরা এমনই থেকে যাবো তত দিন আমাদের সাথে এমনই হবে

১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩

ধুমধাম বলেছেন: সব হাসপাতাল দুই দিন বন্ধ থাকুক, এর ফলে যদি কারো মরণ হয়, তার জন্য মামলা হলে তাও ফেস করুন......... নাকি তখন মামলা তোলার আন্দোলন হবে?!

১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭

হেডস্যার বলেছেন:
ডাক্তারদের উপর হামলা করে কিভাবে? হামলা করে তারা পালিয়েই বা যায় কিভাবে? নিরাপত্তা কর্মীরা কি করতেছিলো?

তবে এইরকম পোষ্টগুলাতে ডাক্তারদের মাস্তানি টাইপের কমেন্ট পড়লে থাপড়াইয়া দাঁত ফালাইয়া দিতে ইচ্ছা করে। বদমাশের দল।

সবাই ডাক্তারদের উপর হামলার নিন্দা জানাইছে/জানাচ্ছে।

কিন্তু কিছু ডাক্তার সাহেবরা যে সব সময় ভালো না এইটা স্বীকার করতে এনারা নারাজ।
ভাবখানা এমন ডাক্তার মাত্রই ফেরেশতা....


একজন আবার বলল ২ দিনা হাসপাতাল বন্ধ থাকলে .....প্যান প্যান প্যান.......

আরে ব্যাটা এইসময় যদি তার নিজের পরিবারের কেউ অসুস্থ্য হয় তাহলে কি করবে? নিশ্চই সোজা আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যাবে না।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: "সবাই ডাক্তারদের উপর হামলার নিন্দা জানাইছে/জানাচ্ছে।" - ধন্যবাদ ভাই, এটার কথাই বলেছি।

আমি কোথাও বলিনি আমরা ফেরেশতা, বরং বার বার বলেছি আমরা ঠিক আপনার মত সাধারন মানুষ সো ভুল হতে পারে, আর আমাদের দেশের স্বাস্থ্য সিস্টেম যথেষ্ট ডিফেক্টিভ, এখানে সিস্টেমের ভুল আছে, এবং এর জন্য ভুক্তভোগী হয় সাধারন মানুষ, এই কারনে আমাদের অনেকের মনোকষ্ট থাকলেও আমরা নিজেরা সিস্টেম চেঞ্জ করতে পারি না!

নিরাপত্তা কর্মীদের প্রসঙ্গ বলছেন তো, জানেন তো এই ঘটনার সাথে এক জন প্রভাবশালী পুলিশ সদস্য জড়িত ছিল (যাকে বর্তমানে সাস্পেন্ড করা হয়েছে)। তাদের পাওয়ার নিরাপত্তাকর্মীদের থেকে ঢের বেশি।

ভাই, আমি মাস্তান নই, মারা মারি করি না, যদি আমার কথায় আপনার ওরকম কিছু মনে হয়, তবে সেটা আমার বোঝানোর ব্যর্থতা!

১৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫

শাহ আজিজ বলেছেন: হেড স্যার , ঐ সময় নিরাপত্তা কর্মীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করিতে রোগীদের কালি বেডে চাদর মুড়ি দিয়া শুইয়া ছিল ।

ডাক্তারদের কেঁউ অসুস্থ হইলে উহারা চাপিয়া যাইবে ।

১৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: এই আস্থা হারানোর জন্য আপনারা কি একটুও দায়ী নন? আপনারা ৪৫ বছর বয়েস পর্যন্ত শুধু লেখাপড়াই করে গেছেন। আমি সেলুট করি আপনাদের। আপনারা আমাকে আমার সবচেয়ে দুর্বল মুহুর্তে সাহস জুগিয়েছেন। আমি সেলুট করি। কিন্তু আপনাদেরই ভাই যখন আমাকে বোঝায় কেন আমাকে গ্রীন হসপিটালেই এম আর আই করাতে হবে তখন আমি ঘৃনা ভরে চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসি। যখন আমার ৫ বছর এর মেয়েকে ৭ দিন ধরে কানোলা লাগিয়ে রাখে, যেখানে অন্য স্পেশালিস্টরা বারবার বলছে এখন ওরাল এ চলে যাওয়া উচিত, তখন বিষন্নতা আমাকে ছেয়ে ফেলে। I feel sorry for you guys!!!! Really sorry!!!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত, ডাক্তারি পেশা, বিশেষ করে ল্যাব এরিয়া পুরা পরি পুজিবাদী ব্যবহার করে।

তাও আমি আপনাকে বলতে চাই, দেশের একটা বড় গ্রুপ ডাক্তার এখনো ঐ রকম নয়। আমরা বে সিস্টেমের ভিতর পড়ে গেছি!

১৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৬

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: সবাই ডাক্তারদের গায়ে হাত তোলা নিয়ে কথা বলছে; কেউ কিন্তু সমস্যার মূলে আঘাত করছে না। মূল সমস্যা হল, কেন ডাক্তারদের প্রতি সাধারণ মানুষের এত ক্ষোভ? এপ্রসঙ্গ উঠলেই ডাক্তাররা তোতা পাখির মত বলা শুরু করে, ডাক্তাররা ভাল বেতন পায় না, দিন-রাত কাজ করে ইত্যাদি ইত্যাদি। গার্মেন্টেসের কর্মীরাও তো দিন-রাত কাজ করে, কিন্তু ভাল বেতন পায় না। আসলে, সমস্যার মূলে ডাক্তারদের জন্য বিদ্যমান সিস্টেম দায়ী। এ থেকে উত্তোরণের পথ হচ্ছে, ডাক্তাররা সরকারের মাঝে সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবে। জনগন এখানে কোনভাবেই সহায়তা করতে পারে না। আবার একটু অন্যভাবে বলি, আপনি জামা কিনতে গিয়ে কি দাম দিয়ে ছেড়া জামা কিনবেন? কিনবেন না; যদি কিনেই ফেলেন, সেটা আবার দোকানে ফেরত দিতে যাবেন, দোকানীকে গাল দেবেন; ডাক্তার-রোগী সর্ম্পকের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে। যে কোন কারণেই হোক, রোগীরা ভুক্তভোগী হচ্ছে, ডাক্তাররা গাল খাচ্ছেন, ঘটনা চরম হলে হাতাহাতি-মারামারি পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। আপনারা যারা ডাক্তার, তারা দিনে অনেক রোগী দেখেন, পারলে কোন একদিন রোগীদের জিঞ্জেস করে দেখবেন, কেন তারা ডাক্তারদের উপর এত নাখোশ? ডাক্তার-রোগী সর্ম্পকের ক্ষেত্রে দুরত্বটা ডাক্তাররা নিজেরাই দূর করতে পারেন। এই দুরত্বটা দূর করতে না পারলে এধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আরো ঘটবে। আরেকটি কথা, একটা সময় ছিল, ক্লাশের সেরা ছাত্রটিই ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হত। বেসরকারী মেডিকেলের কল্যানে এখন থার্ড ক্লাশ পাওয়া ছাত্রও টাকার জোরে ডাক্তারী পড়তে পারে। কাক যেমন কোনভাবেই মযুর হতে পারে না, তেমনি থার্ড ক্লাশ পাওয়া ছেলে ডাক্তারী পেশার মহত্য ও দায়িত্বহীনতা কোনদিনই বুঝতে পারবে না।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: আপনি চমৎকার বলেছেন, আমি আপনার সাথে সত্যি ১০০% একমত। সমস্যা সিস্টেমের, না ডাক্তারদের না সাধারন মানুষের - কিন্তু ভুক্তভোগী প্রধানত আপনারাই এবং এখানে সাধারন মানুষের করার ও কিছু নেই।

আরেকটি অপ্রিয় সত্য হচ্ছে এখানে আমাদের সাধারন ডাক্তারদেরও করার কিছু নেই, ব্যপারটা অনেক উপরের যেখানে আমাদের হাত যায় না!

আর থার্ড ক্লাস পাওয়া ছাত্রের কথা বলছেন, এখানেও আমি একমত, প্রোপার মনিটরিং হয়না, দেশে প্রধানত ৪ ৫ টা প্রাইভেট মেড ছাড়া অন্য মেড গুলা সেই লেভেল মেইনটেন করতে পারে না - অবশ্য এজন্যই এখন পোস্ট গ্রাডুয়েটেড ডাক্তারদের চাহিদা দেশব্যপী!

১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক বলেছেন: ডাক্তারদের উপর যে হামলা হয়েছে তা সত্যিই ন্যাকারজনক। তীব্র নিন্দা জানাই এই ঘৃণ্য অপরাধের। তবে একটা কথা কি ভাই, আপনাদের কারো কারো ভাবখানা দেখলে মনে হয়, আপনারা ডাক্তাররা সব্বাই (মানে পাইকারি হারে সবাই) একেকটা ফেরেশতা। আপনাদের কোন ভুল নেই, আর হলেও সেটা অগণ্য। সারা বাংলাদেশে কি পরিমাণ কুচিকিৎসা হচ্ছে তার হিসাব রেখে এই লিখাটা দিয়েছিলেন কি? এই হিসাব মাথায় থাকলে কই সেই কথা আপনার লিখায়????? আমি মানি এবং বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে অনেক নিবেদিতপ্রাণ চিকিৎসক আছেন। কিন্তু বর্তমানে 'ব্যবসায়ী' ডাক্তারদের সংখ্যাও কম না। রোগীদের এইসব স্বজনদের ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হয়ে এক সময় উদগিরিত হয়। কিছুটা সিগন্যাল ট্রান্সডাকশনের কোরাম সেন্সিং এর মতো। অনেক সময় সেই ক্ষোভ বেশি মাত্রায় উদগিরিত হয়ে ভুল সিগন্যাল দিয়ে দেয়। যেমনটা হয়েছে বারডেমে। কিন্তু আপনাদের ভাবখানা দেখলে মনে হয়, আপনারা অত্যাচারিত জনতা, জালিমের অনাচারে জর্জরিত। কিন্তু আপনারা যখন ক্ষেত্রবিশেষে অনেক নিচ প্রকৃতির আচরণ দেখান সেটা কি অস্বীকার করতে পারবেন? বি দ্র আমার আপন আপা এই আপনাদেরই এক বন্ধুবরের ভুল চিকিৎসায় আজ ওপারের বাসিন্দা। আমার মা, আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটা আপনাদের মতো এক ডাক্তারের স্রেফ অপচিকিৎসায়... আপনাদের দোষে আমি আজ মা হারা, আপনাদের ভুল অপারেশনে আমি আজ থেকে প্রায় আড়াই বছর আগে নিজ হাতে আমার মাকে কবর দিয়ে এসেছি। অতএব এক হাতে তালি না বাজিয়ে সব কিছুকে তুলে আনুন। আপনাদের ডাক্তার নাম্মী কিছু 'শুয়োরের' বাচ্চাদের জন্য এদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা যে যায় যায় তার কথা নির্লজ্জের মতো অস্বীকার করবেন না। তবে সবশেষে একটা কথা বলবো, যেসব নিবেদিতপ্রান চিকিৎসকরা মানুষের সেবাকেই তার ব্রত বানিয়ে নিয়েছেন তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধামিশ্রিত ভালোবাসা ছিল, আছে এবং থাকবে... ইন শা আল্লাহ্‌

১৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৭

মুন্না২৭ বলেছেন: আমার বাবা ৭ দিন বারডেমে ভর্তি ছিল কিন্তু এর মধ্যে মাত্র দুই দিন ডক্টর দেখছে । কোন পরিবর্তন হয়নি তার ১৫ তারিখ তারা তারি সবাইকে বেড ছেরে দিতে বলছে আমরাও চলে আসছি

বাবা আজেক আবার অসুস্থ হয়ে পরছে । বারডেমের কতৃপক্ষ ডক্টর কাউকেই আমি সাপোর্ট করিনা । এদের শুধু টাকা হলেই হয় রোগি ভাল হলো না খারাপ হলো এটা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নাই ।।।।।।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৫

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: আমি সত্যি দুঃখিত! :(

আমি আশা করছি চাচা সুস্থ হয়ে উঠবেন! বিশ্বাস করেন, কোনো ডক্টরই(মেজোরিটি) রোগীকে কষ্ট দিতে চাননা, কিন্তু যা শুনছে পরিস্থিতি চুড়ান্ত খারাপ হয়ে যাওয়াতেই এই রকম সিদ্ধান্তে যেতে হয়েছে তাদের, তবে সাপোর্টেড রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসা চলেছে!

২০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠিক বলেছেন কিন্তু মর্গের ব্যবস্থাপনাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আন্ডারে থাকে সাধারন ডাক্তারদের আন্ডারে নয়। আমাদের সিস্টেম ডিফেক্টিভ, এবং শুধু স্বাস্থ্য বিভাগ নয়, দেশের সব বিভাগ ই ডিফেক্টিভ।

আশা করি বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আপনি আমাদের নিরাপদ কর্মস্থল দাবির পাশে দাঁড়াবেন।

দোয়া করি, আল্লাহ আপনাকে আরো সচ্ছলতা দিন, আপনি ভালো ভাবে বেচে থাকার জন্য আরো ভালো ডাক্তারের শরনাপন্ন হোন।


মর্গের কথা তুললেন কেন ? আমিতো বলেছি একটি মানুষকে মৃত অবস্থায় লাইফ সাপোর্টইং লাগিয়ে রাখা হয়েছে শুধু বিল আদায়ের জন্য । মৃতের জামাই ধরে ফেলে দল্ বল নিয়ে নিজেরাই আত্মীয় ডাক্তারকে সাথে নিয়ে দেখল লাশটি জমে গেছে এবং সে মারা গেছে দুদিন আগে । মর্গ কোথা থেকে এলো ? এটি ক্লিনিকের ভেতর এবং পত্রিকায় দেখেছি ।

বারডেম এ কিভাবে আমার ১১,৭ সুগারে ইনসুলিন ধরিয়ে দেওয়া হয় । আজ পর্যন্ত ওজন বেড়েছে ২৪ কেজি । ঐ শালা কসাই তো এয়ার কুলার পেয়েছে । আরও কিছু বলতে হবে? সব ডকুমেন্ট আলাদা পোস্টে ছাপিয়ে দেবো । ইউরিন ইনফেকশন তিন দফা টেস্ট করে নরমাল পেয়েও ডিসচার্জ ডকে লেখা ইউরিন ইনফেকশন আছে । বলুন কি জবাব দেবেন ?

সচ্ছলতা আনতে হয় বেচে থাকার জন্য আর আপনাদের মতো কসাইদের পেট আর চ্যাটের চাহিদা পুরনের জন্য ।

পোস্ট শুরু করছি ।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: মর্গের ব্যপারটা বোঝার ভুল ছিলো।আর আমি কখনো বলিনি যে দেশের সব ডাক্তার ভালো, সব সিস্টেমেটিক হচ্ছে, সেক্ষেত্রে আমাদের দোষ না দিয়ে সিস্টেমকে দিন।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: আমি না জেনে বলতে পারবো না কেনো ১১ ৭ এ ইন্সুলিন দেয়া হয়েছিলো। কোনো ইন্ডিকেশান থাকতে পারে, লাইক এনি ইনফেকশান, যাই হোক, আপনি কনশাস মানুষ, আপনার কোনো কিছু নিয়ে কনফিউশন থাকলে অবশ্যই উচিত ছিলো দ্বায়িত্যরত ডাক্তার কে জিজ্ঞেস করে বুঝে নেয়া। আর আপনার ডাক্তার পছন্দ নাও হতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনি ডাক্তার চেঞ্জ ও করতে পারতেন।

২১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

শাহ আজিজ বলেছেন: একটি সংবাদ সন্মেলনে যে লোকটি মারা গেছে তার কন্যার বিবৃতি যথেষ্ট লক্ষণীয় ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি শুধু ডাক্তারদের মন্ত্রী? নাকি জনগণের?’ প্রশ্ন তুলেছেন ফারহানা নাসরিন। তিনি বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া সিরাজুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফারহানা নাসরিন বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি শুধু ডাক্তারদের মন্ত্রী? কই, তিনি তো একবারও আমাদের কথা বললেন না। আমার বাবা তো চিকিৎসকদের অবহেলায় মারা গেছেন। আমার মা ২৩ দিন আগে মারা গেছেন। রমনা থানায় রাত একটা পর্যন্ত বসে থেকেও মামলা করতে পারিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি আমাদের মন্ত্রী নন?’

সংবাদ সম্মেলনে ফারহানা দাবি করেন, ১৩ এপ্রিল রাতে তাঁর বাবার মৃত্যুর পর হাসপাতালে কোনো ভাঙচুর হয়নি। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ‘আমার বাবা ১৩ তলায় ভর্তি ছিলেন। বারডেম হাসপাতাল বলছে, ভাঙচুর হয়েছে পাঁচতলায়। হাসপাতালে পুলিশ-র‌্যাব হাজির ছিল। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ছিল। ১৩ তারিখের পর পুরো এক দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর বারডেম হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ করছে। এটা কী করে সম্ভব?’

আজ সংবাদ সম্মেলনে ফারহানার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর ছোট ভাই হাসান শাহরিয়ার। ফারহানা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

১৩ এপ্রিল বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রেসক্লাব কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মারা যান। তাঁর মৃত্যুর জেরে বারডেম হাসপাতালে তিনজন চিকিৎসককে বেধড়ক পেটানো হয়েছে বলে চিকিৎসকদের অভিযোগ।

ফারহানা অবশ্য বলেছেন, বারডেম হাসপাতালের প্রতি তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ ওই রাতে কর্মরত দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তাঁর দাবি, চিকিৎসকেরা আন্তরিক হলে তাঁর বাবাকে বাঁচানো যেত।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৬

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: ভাই শাহ আজিজ, আমি ব্যক্তিগত ভাবে আপনার সাথে কোনো যুদ্ধ ঘোষনা করিনাই, আপনি ডাক্তাদের ঘৃনা করতেই পারেন, সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যপার, আমার কথা ক্লিয়ার ছিলো, আমি বলেছি, আমরা যারা বাংলাদেশি ডাক্তার, আমরা প্রকারান্তে এদেশের মানুষ, সব চেয়ে বড় ব্যপার আমরা মানুষ, আর মানুষ হিসেবে আমরা আমাদের নিরাপদ কর্মস্থলের দাবী করতেই পারি + তাতে অন্যদের সমর্থন ও পেতে পারি।

ভেরি সিম্পল! - হয়তো আপনি ধরেই নিয়েছেন, আমাদের সম্পদায়ের সবাই মানবিক গুন হারিয়েছে, সো ইউ ক্যান্ট সাপোর্ট ইট! ক্লিয়ার এনাফ!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৬

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: আর বারডেম এর ৫ তলা সার্জারি + ডায়ালাইসিস ইউনিট - ওখানে কোনো ভাংচুর হয়নাই!

২২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১০

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: এখানে এখটি নিরপেক্ষ তদন্ত হতে পারে। তবে কিছু হলেই চিকিৎসা বন্ধ করে শাহবাগে অবস্থান নেওয়া, মানববন্ধ করা এটা মোটেও ঠিক এর নিন্দাও জানাই

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৮

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: ধন্যবাদ - তবে আশা করি আপনি ইচ্ছা হলেই ভুল চিকিৎসা উপাধি দিয়ে ডাক্তার মারার ও নিন্দা জানাবেন!

২৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: মানুষ মাত্রই যেমন ভুল করে, ডাক্তাররাও ভুল করে; ডাক্তাররা নিশ্চয় ফেরেশতা না যে তাদের ভুল হয় না। ডাক্তারের ভুলে রোগী মারা গেলে তার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া দরকার। আপনারা কি সেই নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করার মত একটা সিস্টেম তৈরী করতে পারেন না। তাহলেই এমন অনাকাংখিত ঘটনা এড়ানো যায়।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: এটা আমারও কথা, ডাক্তাররাও মানুষ, তারাও ভুল করতে পারে। কিন্তু অন দ্যা আদার হ্যান্ড যেকোনো তদন্তের পূর্বেই কেউ যদি নিজের জোরে "ভুল চিকিৎসা" দাবী করে কাউকে মারতে মারতে মেরেই ফেলে সেটা সভ্যতার ভিতর পড়ে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.