![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাঃ নেহাল এইচ সার্জা https://about.me/drnhsarja
বর্তমানে আমাদের দেশে যে পরিমানে গরম যাচ্ছে সেটা সাধারন কথায় অসহ্যনীয়, আর এই গরম আবহাওয়ার উপর ভর করে আমাদের শরীরের ইম্যুনিটি তথা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল হয়ে যাচ্ছে, ফলাফল আমরা বিভিন্ন রোগে সহজে আক্রান্ত হয়ে পড়ছি, আর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দূর্বল হওয়ার ময়লে যেই সমস্যা কাজ করছে তা হচ্ছে শরীরে পানি শুন্যতা বা ডিহাইড্রেশান।
বর্তমানে যেই পরিমানে উচ্চ তাপমাত্রা আমাদের দেশে তৈরি হচ্ছে তাতে ডিহাইড্রেশান হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ব্যপার। এবং সব মিলিয়ে পুরা গ্রীষ্মেই আমাদের কিডনীর উপর দিয়ে প্রচুর চাপ যায়, কেননা কিডনী আমাদের শরীরের প্রধান অঙ্গ যা শরীরের পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইট ম্যানেজমেন্ট-এ প্রধান ভূমিকা পালিন করে।
কেনো পিপাসা লাগে?
আমাদের শরীরে ব্রেনের একটি অংশে (হাইপোথালামাস-এ) পিপাসা সৃষ্টি হওয়ার জন্য Thrust Center থাকে। আমাদের রক্তের অসমোলারিটির উপর এই সেন্টারের কাজ নির্ভর করে। রক্ত যখন হাইপার অসমোলার হয়ে যায়, তখন সেটা ব্রেনের Thrust Center কে স্টিম্যুলেটেড করে, ফলে আমরা পিপাসা অনুভব করি এবং পানি পান করি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে - পিপাসা আগে নাকি কিডনীর কার্যকলাপ আগে?
হ্যাঁ, এটাই একটা ইমপর্টেন্ট প্রশ্ন কেননা ধরে নিলাম, যদি এমন হয় যে কিডনীর পানি রিএবসরব করে ফেলার কাজটা যদি পিপাসার পর হয়, সেক্ষেত্রে পিপাসার পর পানি খেয়ে নিলেই আমাদের কিডনীর উপর চাপ কম সৃষ্টি হবে।
কিন্তু বাস্তবে হয় এর উল্টা, কারন কিডনীর উপর যেই হরমোন কাজ করে পানি রিএবসরব করায়, সেটাও কাজ করে রক্তের অসমোলারিটির উপর ভিত্তি করেই এবং এর ট্রিগার পয়েন্ট ব্রেনের হাইপোথ্যালামাস এর পয়েন্টের আগে কাজ করে ফলে আমাদের পিপাসা সেন্টার কাজ করার পূর্বেই কিডনী তার ফিল্টার করা পানি রিএবসরব করার জন্য চেষ্টা করে এবং যখন কিডনীর এই চেষ্টার পরও আমাদের রক্তের অসমোলারিটি ম্যানেজ করা সম্ভব হয় না, তখন আমাদের পিপাসা সেন্টার স্টিম্যুলেটেড হয়, এবং আমরা পানি পান করতে উদ্যত হই!
সেজন্য গ্রীষ্মে শুধু পিপাসা লাগার পর পানি না খেয়ে কিছুক্ষন পর পরই পানি খাওয়ার চেষ্টা করেন এতে শরীর ভালো থাকবে এবং কিডনীর উপর চাপ কম পড়বে!
কি পরিমানে পানি পান করবেন?
যেহেতু এখন গ্রীষ্মকাল, তাই আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পানি লস হয়, চেষ্টা করতে হবে বেশি পরিমানে পানি পান করতে, আমি সাধারন একটা আইডিয়া দিয়ে রাখছি - পূর্ন বয়স্ক পুরুষ মানুষের ক্ষেত্রে ২.৫ লিটার থেকে ৩ লিটার আর পূর্ন বয়স্ক নারীর ক্ষেত্রে ২ লিটার থেকে ২.৫ লিটার পানি পান করতে হবে!
গ্রীষ্মের এই সময়ে হতে পারে আরো এক রোগ - হিট স্ট্রোক - প্রচন্ড গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে এই রোগ সৃষ্টি হতে পারে!
ফেসবুকে হেলথ আপডেট পেতে এখানে ফলো করুন!
২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৭
ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৪
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: জানলাম। তবে কতটা মানতে পারব আল্লাহ্-ই জানে।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৭
ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: চেষ্টা করাটাই আসল! চেষ্টা করুন, কিছুটা হলেও শোরীরের উপকারে আসবে!
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫১
দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
তবে বলেছেন পূর্ন বয়স্ক পুরুষ মানুষের ক্ষেত্রে ২.৫ লিটার থেকে ৩ লিটার আর পূর্ন বয়স্ক নারীর ক্ষেত্রে ২ লিটার থেকে ২.৫ লিটার পানি পান করতে হবে!
আমি দিনে অন্তত ৭/৮ লিটার পানি পান করি।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: কোনো সমস্যা নেই, এক্ষেত্রে আপনার কিডনী তুলনামূলক কম পানি রিএবসরব করবে। :-D
৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২১
হাসান মাহবুব বলেছেন: উপকারী পোস্ট। ধন্যবাদ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো।
৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৭
আরজু পনি বলেছেন:
কাজের পোস্ট ।
ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে রাখলাম ।
শুভকামনা জানবেন ।।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৯
ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ এবং শুভকামনা আপনার জন্য।
৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৭
হোসাইনের ছেলে বলেছেন: মুল্যবান পোস্ট; কাজে দিবে।।।।।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯
ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: ধন্যবাদ!
৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা পোষ্ট। ভালো লাগল। এই ধরনের আরো পোষ্ট চাই। বিশেষ করে এই প্রচন্ড গরমে কি কি রোগ হতে পারে আর তার প্রাথমিক চিকিৎসাই বা কি
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০১
ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৫৪
কমল০০৭ বলেছেন: সময়োপযোগী দরকারী পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০২
ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: শুভেচ্ছা!
৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২০
আব্দুর রাজ্জাক মিয়া বলেছেন: উপকারী পোষ্ট। এই গরমের জন্য অন্যান্য বিষয়ে ও লিখবেন অাসাকরি। আপনাকে ধন্যবাদ।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩
ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো!
১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৯
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: উপকারী পোষ্ট।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫
ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫২
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: কামের পোস্ট।
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: ধন্যবাদ!
১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: কাজের পোস্ট।
কিন্তু আমাকে একবার এক ইউরোলজি স্পেশালিস্ট বলেছিলেন, পানির পরিমাণটা নাকি ওয়েট নির্ভর।
আইমিন, আমার যে বডি ওয়েট তার উপরে ভিত্তি করে বেশি কম হয়, তবে উনি আমারে পানি খাওয়া কমাতে বলেছিলেন একেবারেই
আমি আগে দিনে একটু পরপরই পানি খেতাম, ৫-৭ লিটারের কম বোধহয় না!
ওইরকম বেশি খেলে কি প্রবলেম আছে কোন??
২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১২
ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: জ্বী, ঠিক, এটা বডি ওয়েট এর উপর ডিপেন্ড করে ফলে আমি সাধারন ভাবে গ্রসলি এটা বলেছি। জ্বী অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ করে কিডনী রোগীদের ক্ষেত্রে পানি পানের লিমিটেশান থেকে অনেক রোগের ক্ষেত্রে!
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভালো লিখেছেন, কাজে আসবে।