![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাঃ নেহাল এইচ সার্জা https://about.me/drnhsarja
হঠাৎই আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া আর সাথে প্রায় টানা বৃষ্টির সাথে যোগ হয়েছে ভাইরাল জ্বর, তাও প্রায় সবারই। আমাদের দেশের বেশিরভাগ যায়গার কন্ডিশন অনেকটা এই রকম।
মূলত হঠাৎই আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় আমাদের শরীরের ইম্যুনিটি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) কিছুটা কমে যায় ফলে আমরা আশে পাশে অবস্থানরত তুলনামূলক কম শক্তিশালী জীবানু দিয়ে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই জীবানু হয় ভাইরাস।
কখনো তা আপার রেস্পিরেটরি ট্রাক ইনফেকশন করে, আমরা ফিল করি ঠান্ডা লাগা, আবার কখনোবা পেট ব্যথা হয়ে ফুড পয়সনিং এবং ডায়রিয়া আবার কখনো বা প্রচন্ড মাথা ব্যথা বা শরীর ব্যথা।
এখানে একটি ব্যাপার জেনে রাখা দরকার যে আমরা যেই এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাই সেটা কখনোই ভাইরাস এর উপর কাজ করে না, বরং সেটা কাজ করে ব্যাকটেরিয়া এর উপর, তাও একেক ধরনের এন্টিবায়োটিক কাজ করে একেক ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার উপরে। ফলে এখনকার চারিদিকে যেই ভাইরাল ফ্লু জ্বর ছড়িয়ে পড়েছে সেজন্য এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কোনো দরকার নেই।
কখন বুঝবেন যে এটা ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন?
যখন ৪, ৫ দিন পরও জ্বর কমে আসবে না বা শরীর কিছুটা ভালো হওয়ার পরিবর্তে খারাপ হয়ে যাবে
যখন এক ধরনের ইনফেকশন এর সাথে নতুন ধরনের ইনফেকশন দেখা দিবে, ধরুন ডায়রিয়া-র সমস্যা ছিলো, তার সাথে যোগ দিলো ঠান্ডার সমস্যা নতুন করে
যখন ৭ দিন পরও জ্বর কমবে না
ভাইরাল জ্বরের জন্য এন্টিবায়োটিক খেলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে?
এক্ষেত্রে, সুপারএডেড ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশ বেড়ে যায়।
এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি হতে পারে।
শারীরিক দূর্বলতা স্বাভাবিকের চাইতে বেশি হতে পারে।
সুপারএডেড ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশনঃ
অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের জন্য আমাদের শরীরের কমেনসেল ব্যাক্টেরিয়া (যা আমাদের শরীরে স্বাভাবিক ভাবে থাকে এবং যেগুলো রোগ সৃষ্টিকারী নয়) নষ্ট হয়ে সেখানে প্যাথোলোজিক্যাল ব্যাক্টেরিয়া এসে নতুন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন সৃষ্টি করতে পারে। ব্যপারটা অনেকটা এক ধরনের ইনফেকশন এর ভিতর অন্য ইনফেকশন সৃষ্টি করা মতো।
এন্টিবায়োটিক রেজিস্টান্টঃ
এটা এক ধরনের ড্রাগ রেজিস্টান্ট, কারো ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন না হওয়ার পরও যদি সে এন্টিবায়োটিক গ্রহন করে তখন শরীরে অবস্থিত অন্যান্য ব্যাক্টেরিয়া এই ঔষধ এর বিপরীতে রেজিস্টান্ট হয়ে যায়, ফলে পরবর্তীতে এই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হলে আর কাজ করে না ব্যাক্টেরিয়া এর জন্য।
সেজন্য, ভাইরাল জ্বরের জন্য এন্টিবায়োটিক খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। সাধারন জ্বরের ঔষধ খেলেই ৬ – ৭ দিনের ভিতর এই জ্বর কমে আসবে।
ফেসবুক এ ফলো করতে পারেন এখানে - Dr N H Sarja
২৬ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬
ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: না, আপনার ভাইরাল + ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশান হয়েছিলো বলেই আপনাকে এন্টি বায়োটিক খাওয়া লেগেছিলো! এন্টিবায়োটিক কখনোই ভাইরাল ইনফেকশান-এ কাজ করে না!
২| ২৬ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: হুমম, তা হতে পারে। ধন্যবাদ।
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:০১
ডাঃ এন এইচ সার্জা বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো। সুস্থ থাকুন।
৩| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৯
ফকরুল আলম বলেছেন: আমার প্রচন্ড মাথা ব্যথা সেই সাথে শরীরে ব্যথা এবং তাপমাত্রা আছে। কি ধরনের চিকিৎসা নিলে আমার উপকার হবে পরমার্শ দিলে উপকৃত হব।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০৭
নক্শী কাঁথার মাঠ বলেছেন: আমি গত সপ্তাহেই ভাইরাস জ্বর থেকে সেরে উঠলাম। টানা ৩ দিন জ্বর ১০০ এর নিচে কখনই নামেনাই। প্যারাসিটামল খেলে ১০০ থাকতো, আবার কয়েক ঘন্টা পর ১০২ হয়ে যেত, তখন খুব খারাপ লাগতো। প্যারাসিটামল দিনে ৩টার বেশি খেতামও না। এরপর কাশি শুরু হলে এ্যান্টিবায়োটিক খেলাম, Azyth. এটা খাওয়ার পরই জ্বর ভালো হয়ে গেলো, তবে খুবই দূর্বল করে দিয়েছিলো শরীর। জ্বর সারার পরও ৬/৭ দিন একটা অবসন্ন ভাব ছিলো। আসলে এন্টিবায়োটিক না খেয়ে উপায় থাকেনা।