নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“একা থাকার এই ভালো লাগায় হারিয়ে গিয়েছি, নিঃসঙ্গতা আমাকে আর পাবে না”

নাবিক সিনবাদ

“রাত্রি বলবে নেই, নক্ষত্র বলবে নেই শহর বলবে নেই, সাগর বলবে নেই হৃদয় বলবে- আছে”

নাবিক সিনবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

১১১ রান!! #:-S

০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১১:১৫

১১১— এই রানটিকে ক্রিকেটবিশ্বে অনেকেই অশুভ বলে মানেন। ক্রিকেটীয় ভাষায় এর নাম দেওয়া হয়েছে নেলসন। এবং বাইশ গজের এই কুসংস্কারের সঙ্গে রীতিমতো ইতিহাস জড়িয়ে আছে।

প্রথমত ১১১ রানের সঙ্গে ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির ফ্ল্যাগ অফিসার হোরেসিও নেলসনের তুলনা টানা হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে নিজের দেশের প্রতি আনুগত্য এবং নেতৃত্বের জন্য বিখ্যাত ছিলেন নেলসন। তাঁর নামের থেকেই ক্রিকেট মাঠে ১১১ রানকে নেলসন তকমা দেওয়া হয়েছে। ১১১-র তিনটি ১ দ্বারা নেলসনের একটি চোখ, একটি পা এবং একটি হাতকে বোঝানো হয়। যা যুদ্ধ করতে গিয়ে তিনি হারিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। যদিও ইতিহাস অনুযায়ী, নেলসন যুদ্ধ করতে গিয়ে নিজের একটি হাত এবং একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারান বলে শোনা যায়। তাঁর তৃতীয় কোনও অঙ্গ যুদ্ধে হারিয়েছিল কি না, তা নিয়ে নানারকম মিথ রয়েছে।

আবার অনেকেই ইংরেজীতে 111 সংখ্যাটির সঙ্গে ক্রিকেটের বেলবিহীন তিনটি উইকেটের সাদৃশ্য খুঁজে পান। বেল পড়ে যাওয়া মানেই ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাটসম্যান আউট হয়ে যায়। দলগত বা ব্যক্তিগত রান হিসেবে কোনও টিম বা ব্যাটসম্যান ১১১-এ পৌঁছনো মানেই তা অশুভ কিছুর ইঙ্গিত বলে ধরে নেওয়া হয়। কুসংস্কারের পিছনে আরও কারণ রয়েছে! নিউজিল্যান্ডের নেলসন ক্রিকেট টিম ১৮৭৪ থেকে ১৮৯১ পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছিল। নিজেদের প্রথম এবং শেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১১১ রানেই অল-আউট হয়েছিল নেলসন ক্রিকেট টিম।

১১১ নিয়ে কুসংস্কারকে ক্রিকেটবিশ্বে আরও জনপ্রিয় করেছিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ আম্পায়ার ডেভিড শেফার্ড। কোনও দল বা ব্যাটসম্যান ১১১ রানে পৌঁছালেই মাঠের মধ্যে এক বা একাধিকবার লাফাতেন ডেভিড শেফার্ড। উদ্দেশ্য ছিল, অশুভ কোনও ঘটনা এড়ানো। এমনকী, ১১১-র মতো ২২২, ৩৩৩-এর মতো রানেও একই কাজ করতেন শেফার্ড। দর্শকদের মধ্যেও ডেভিড শেফার্ডের এই আচরণ যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল।


(স্কোরবোর্ডে ১১১ হলেই এই ভঙ্গিমায় দেখা যেত আম্পায়ার ডেভিড শেফার্ডকে।)

এই নিয়ে আরও একটি মজার ঘটনা ক্রিকেট মাঠে ঘটেছিল। ২০১১-র ১১ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে হওয়া টেস্ট ম্যাচে সকাল ১১.১১ মিনিটে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ১১১ রান প্রয়োজন ছিল। সেই সময়ে আম্পায়ার ইয়ান গোউল্ড এবং মাঠের দর্শকরা ডেভিড শেফার্ডেকে নকল করে এক পা তুলে নেলসন স্কোরের মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখেন।

*নেট থেকে পাওয়া

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

আহমেদ শাহরিয়ার বলেছেন: ২০১১ সালের ঘটনাট সত্যিই আশ্চর্যজনক!

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১২:০৩

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: হুম ঠিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.