নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“একা থাকার এই ভালো লাগায় হারিয়ে গিয়েছি, নিঃসঙ্গতা আমাকে আর পাবে না”

নাবিক সিনবাদ

“রাত্রি বলবে নেই, নক্ষত্র বলবে নেই শহর বলবে নেই, সাগর বলবে নেই হৃদয় বলবে- আছে”

নাবিক সিনবাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাঁড়কাক কথন #:-S

০৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬



এডগার অ্যালান পো স্বয়ং তাঁর কবিতায় অমর করে রেখেছেন ‘র‌্যাভেন’ তথা দাঁড়কাককে। সত্যি বলতে, দাঁড়কাক এক আজব প্রাণী। তার কর্মকাণ্ড জানলে তাজ্জব হয়ে যেতে হয়। এখানে উল্লিখিত হল তারই কয়েকটি।

১. দাঁড়কাক বিশ্বের অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। তাদের অসংখ্য কর্মকাণ্ডে এই তথ্য বার বার প্রমাণিত।

২. দাঁড়কাক মানুষের গলা নকল করতে পারে। অনেক সময়ে তা তোতাপাখির চাইতেও চমৎকার হয়।

৩. পিঁপড়ে দেখলে দাঁড়কাক আশ্চর্য আচরণ করে। পিঁপড়ের ঢিপিতে সে গড়াগড়ি খায়। পিঁপড়ে মেরে মরা পিঁপড়ে গায়ে মাখে। পক্ষীবিদরা একে ‘অ্যান্টিং’ বলেন। এর দ্বারা তারা নাকি গায়ের পোকা মারে।

৪. দাঁড়কাক তাদের ‘হাত’ দিয়ে বিশেষ কিছু ভঙ্গিমা করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তারা কমিউনিকেট করতেই এমনটা করে। এখানে মানুষের সঙ্গে তাদের দারুণ মিল।

৫. দাঁড়কাক পোষ মানে। যে কোনও জায়গায় তারা থাকতে পারে। খাওয়ার ব্যাপারেও তারা বিরাট উদার। খুব কম জিনিসই রয়েছে, যা তারা খায় না। তারা দীর্ঘ দিন বাঁচেও। পোষা দাঁড়কাক ৪০ বছর বেঁচেছে এমন উদাহরণ ভুরি ভুরি রয়েছে।

৬. বন্ধু আর শত্রুকে দাঁড়কাক ভালই চেনে। কোনও পাখির সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হলে সে তাকে অনেক সময়েই প্রোটেকশন দেয়। তিন বছর দেখা হয়নি, এমন বন্দু পাখিকেও দাঁড়কাক পরে চিনতে পারে।

৭. দাঁড়কাক খেলতে ভালবেসে। তারা খেলার জন্য নিজেরাই খেলনা তৈরি করে নেয়। কাঠি, গলফ বল, পাথরের টুকরো ইত্যাদি সংগ্রহ করে রেখে তারা খেলনা হিসেবে ব্যবহার করে।

৮. দাঁড়কাকের বাচ্চা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছলে তারা দল বেঁধে ঘোরে। টিন এজ মানবক যেমন গ্যাংগ তৈরি করে, দাঁড়কাকও তেমনই টিন এজ গ্যাংগে বিশ্বাসী।

৯. দাঁড়কাক জুটি বাঁধে। তারা দিব্যি দাম্পত্যজীবন যাপন করে।

১০. মানুষের সঙ্গে দাঁড়কাকের সম্পর্ক দীর্ঘকালের। ইউরোপের অনেক জায়গাতেই তাকে শয়তানের দোসর বলে মনে করা হয়। মনে করা হয়, তারা দুষ্ট পাদ্রি বা নান। অপকর্মের ফলে দাঁড়কাকের অভিশপ্ত জীবন কাটাচ্ছে। আবার এমন ধারণাও রয়েছে, তারা ঠিকঠাক কবর না হওয়া লোকেদের আত্মা।

*অনলাইন থেকে

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

কালনী নদী বলেছেন: nice article!

০৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: thanks

২| ০৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাবিক সিনবাদ ,




জানানোর জন্যে ধন্যবাদ । আপনি না জানালে হয়তো জানাই হতোনা এমন চমৎকার বিষয়টি ।

০৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।।

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭

আহমেদ শাহরিয়ার বলেছেন: বাহ! অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।।

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: :)

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: মজা লাগলো। আরেকটা তহ্য বলি, কাকের নাকি পাকস্থলী নাই। ডাইরেক্ট ইন, ডাইরেক্ট আউট। খাদ্যনালীতেই হজম বা পুষ্টি শোষনের প্রক্রিয়া চলে।

শুভকামনা রলো। :)

১৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

রিকি বলেছেন: অনেক কিছু নতুনভাবে জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ :) :)

৬| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:২২

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.