নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহলুস সুন্নাহ্ ওয়াল জামায়হ্

আহলুস সুন্নাহ্ ওয়াল জামায়হ্ এর। অন্যসারী

নাদিম মাহদী

একজন মুসলিম হওয়ার চেষ্টা করছি

নাদিম মাহদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরীয়তের মানদণ্ডে মাযহাব <<হাদিস ও তাক্বলিদ>>

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:১৮

তাক্বলিদ এর সপক্ষে কিছু হাদিস পর্যালোচনা করিঃ



<<>>হাদিস নম্বর ১<<>>

ﻋﻦ ﺣﺬﻳﻔﺔ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺹ ﺍﻧﻲ ﻻﺃﺩﺭﻱ

ﻣﺎﺑﻘﺎﺋﻲ ﻓﻴﻜﻢ ﻓﺎﻗﺘﺪﻭﺍ ﺑﺎﻟﺬﻳﻦ ﻣﻦ ﺑﻌﺪﻯ ﺃﺑﻰ ﺑﻜﺮ ﻭﻋﻤﺮ

" হযরত হুজাইফা (রা) থেকে বর্ণিত

তিনি বলেন, রাসুল (স) বলেছেন, '

আমি ক'দিন তোমাদের মধ্যে জীবিত

থাকবো তা আমার জানা নেই। তাই

তোমরা আমার পরে দু-ব্যাক্তির আনুগত্য

করো। একজন আবু বকর ও দ্বিতীয়জন উমর

(রা) ".

এখানে বিশেষ ভাবে লক্ষনীয় এই

যে হাদিসে ﺍﻗﺘﺪﺍﺀ শব্দ ব্যাবহার হয়েছে।

যা শাসনতান্ত্রিক বিষয়ে কারো আনুগত্যের

জন্য নয় বরং ধর্মীয়

বিষয়াবলীতে কারো অনুসরণের জন্য

প্রযোজ্য হয়। আরবী অভিধানের বিশিষ্ট

আলিম ইবনে মানযুর (রাহ) লিখেছেন-

ﺍﻟﻘﺪﻭﺓ ) ﺑﻀﻢ ﺍﻟﻘﺎﻑ( ﻭﺍﻟﻘﺪﻭﺓ ) ﺑﻜﺴﺮ ﺍﻟﻘﺎﻑ( ﻣﺎﺗﺴﻨﻨﺖ

ﺑﻪ

' কুদওয়াহ ঐ ব্যাক্তিকে বলা হয় যার

কর্মপন্তা তোমরা অনুসরণ করো".

এরপর লিখেছেন- ﺍﻟﻘﺪﻭﺓ ﺍﻻﺳﻮﺓ কুদওয়াহ

অর্থ উসওয়াহ বা আদর্শ। কুরানুল

কারীমে ও এই

শব্দটি দ্বীনি বিষয়ে নবি (আ) ও

নেককারদের অনুসরণের জন্য ব্যাবহ্রিত

হয়েছে।

এরশাদ হয়েছে-

ﺍﻭﻟﺌﻚ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻫﺪﻯ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﺒﻬﺪﺍﻫﻢ ﺍﻗﺘﺪﻩ

"এদেরকে আল্লাহ তা'আলা সত্য

পথে পরিচালিত করেছেন।

সুতরাং তুমি তাদের অনুসরণ করো".

তাছাড়া নবী (স) এর ম্রিত্যুশয্যাকালীন

এক ঘটনায় প্রকাশ-

ﻳﻘﺘﺪﻯ ﺍﺑﻮ ﺑﻜﺮ ﺭﺽ ﺑﺼﻠﻮﺍﺓ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺹ ﻭﺍﻟﻨﺎﺱ

ﻣﻘﺘﺪﻭﻥ ﺑﺼﻠﻮﺍﺓ ﺍﺑﻰ ﺑﻜﺮ ﺭﺽ

" হযরত আবু বকর (রা) নবী (স) এর

নামাযের অনুসরণ করতেন আর লোকজন

হযরত আবু বকর (রা) এর অনুসরণ

করতেছিলেন।

সাহাবী হযরত আবু ওয়াইল (রা)

থেকে মুসনাদে আহমদে বর্ণিত হয়েছে-

ﺟﻠﺴﺖ ﺍﻟﻰ ﺷﻴﺒﺔ ﺍﺑﻦ ﻋﺜﻤﺎﻥ ﺭﺽ ﻓﻘﺎﻝ ﺟﻠﺲ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ

ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺭﺽ ﻓﻲ ﻣﺠﻠﺴﻚ ﻫﺬﺍ ﻓﻘﺎﻝ ﻟﻘﺪﻫﻤﻤﺖ ﺍﻥ ﻻﺍﺩﻉ

ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻌﺒﺔ ﺻﻔﺮﺍﺀ ﻭﻻﺑﻴﻀﺎﺀ ﺍﻻﻗﺴﻤﺘﻬﻤﺎ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻗﺎﻝ

ﻗﻠﺖ ﻟﻴﺲ ﺫﻟﻚ ﻟﻚ ﻗﺪﺳﺒﻘﻚ ﺻﺎﺣﺒﺎﻙ ﻟﻢ ﻳﻔﻌﻼ ﺫﻟﻚ ﻓﻘﺎﻝ

ﻫﻤﺎ ﺍﻟﻤﺮﺀﺍﻥ ﻳﻘﺘﺪﻯ ﺑﻬﻤﺎ

" আমি একদা শাইবা ইবনে উসমান (রা) এর

নিকট বসাছিলাম। তিনি বলেছেন, একদিন

হযরত উমর (রা) ঠিক এ জায়গাতেই

বসেছিলেন যেখানে তুমি বসে আছ।

তিনি (উমর) বলতেছিলেন, 'আমার

ইচ্ছা হয় কা'বা শরীফে যত

সোনা রূপা আছে সব মানুষের মধ্যে বন্টন

করে দেই। শাইবা বলেন, আমি বললাম

এমনটি করার অধিকার আপনার নেই।

কারণ আপনার পুর্বসূরী দু-জন হযরত রাসুল

(স) ও আবু বকর (রা) তা করেন নি।

একথা শুনে হযরত উমর রা বললেন, ' উক্ত

দু-মহান পুরুষ সত্যি-ই এমন মানদণ্ড

যে তাদের অনুসরণ কিরা কর্তব্য।

(মুসনাদে আহমদঃ৩/৪১০)

তাছাড়া মুসনাদে আহমদেই হযরত আনাস (রা)

থেকে বর্ণিত আছে নবী (স) এক

মজলিসে ইরশাদ করলেন- এখন তোমাদের

মজলিসে একজন বেহেশতি মানুষ প্রবেশ

করবেন। এরপর এক

আনসারী সাহাবী প্রবেশ করলেন। দ্বিতীয়

দিন ও পরের দিন ও তাই হলো। এ ঘটনার

পর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা)

একদিন সেই আনসারী সাহাবীর নিকট

গেলেন এবং সেখানেই রাত্রি যাপন করলেন।

উদ্দেশ্য ছিল ঐ সাহাবী অনেক ইবাদাত

বন্দেগী করে থাকবেন (তা দেখা) কিন্তু

তিনি দেখলেন ঐ সাহাবী নিদ্রা যাবার

পুর্বে কিছু যিকর আযকার করলেন এবং ফজর

পর্যন্ত ঘুমালেন। হযরত আব্দুল্লাহ

ইবনে উমর (রা) তাকে বললেন-

ﻓﺎﺭﺩﺕ ﺍﻥ ﺍﻭﻯ ﺍﻟﻴﻚ ﻻﻧﻈﺮ ﻣﺎ ﻋﻤﻠﻚ ﻓﺎﻗﺘﺪﻱ ﺑﻪ ﻓﻠﻢ

ﺍﺭﻙ ﺗﻌﻤﻞ ﻛﺜﻴﺮ ﻋﻤﻞ

" আমি তো এই উদ্দেশ্যে আপনার কাছে রাত

কাটাতে এসেছিলাম যে আপনার আমল

দেখবো এবং তা অনুসরণ করবো। কিন্তু

আপনাকে অধিক আমল করতে দেখিনি".

উল্লিখিত সব কয়টি স্থানে ﺍﻗﺘﺪﺍﺀ

শব্দটি দ্বীনি ব্যাপারে কারো আনুগত্য

অনুসরণের অর্থে এসেছে। বিশেষতঃ প্রথম

দু-ই হাদিসে এই শব্দের প্রয়োগ কেবল আবু

বকর (রা) এর অনুসরণের অর্থে এসেছে।

তাই আলোচ্য হাদীসের মুল অর্থ

হচ্ছে দ্বীনি ব্যাপারে হযরত আবু বকর ও

উমর (রা) এর আনুগত্যের নির্দেশ প্রদান

করা। বলাই বাহুল্য যে এর নাম-ই তাক্বলীদ

বা মাযহাব অনুসরণ।

চলবে ইনশা আল্লাহ।



ধন্যবাদঃ বাশার আহমদ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.