নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বলতে চাই; ক্ষমতা আছে কিন্তু অধিকার নেই

বলতে চাই; ক্ষমতা আছে কিন্তু অধিকার নেই

অমিত হাসান

অমিত হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরকীয়ার সূত্রপাত ও মুক্তির উপায়: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ – ৩

২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৯

প্রথম পর্ব



দ্বিতীয় পর্ব



প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের কিছু আলোচনা না করেই তৃতীয় পর্ব শুরু করছি। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব পড়ে নিলে খুশি হব।



৩) পরকীয়ার সূত্র খুজতে খুজতে এবার চোখ পড়লো এবার বাংলাদেশের বিবাহ ব্যবস্থার উপর। বাংলাদেশে অধিকাংশ বিবাহই পারিবারিক সম্মতিতে বা এরেঞ্জ ম্যারেজ হয়ে থাকে। পরিনয়সূত্রে বিবাহের (লাভ ম্যারেজ) সংখ্যা বাড়লেও তা এরেঞ্জ ম্যারেজের ৫%-১০% এর বেশি হবে না। আবার এরেঞ্জ ম্যারেজ বা লাভ ম্যারেজ যাই বলুন না কেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রীর বয়সে কমপক্ষে ৫-৬ বছরের তফাত থাকে কারন অধিকাংশ পুরুষ যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য তারা চাকুরিতে একটা ভাল অবস্থানে না গেলে বিয়ে করতে চান না। অনেক ক্ষেত্রে স্বামী এবং স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য আরও বেশি হয়ে থাকে যা পরবর্তীতে সমস্যার জন্ম দেয়।



অধিকাংশ এরেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে পরিবারের সিদ্ধান্তেই অনিচ্ছাস্বত্তেও সায় দিতে হয় পাত্র-পাত্রীকে। অধিকাংশ এসব পাত্র-পাত্রীর হয়তো আগের থেকেই কারও সাথে পরিনয় বা অ্যাফেয়ার আছে। কিন্তু তারা তাদের কথা বলার সুযোগ পায় না। এরা বিয়ের পরও তাদের মনের মানুষকে ভুলতে পারে না। তারা তাদের মনের মানুষের কাছেই ফিরে যেতে চায়।



মোবাইলের এ যুগে যোগাযোগ করা কোন ব্যাপারই না। স্বামী অফিসে গেলে কোঁন ফাঁক খুজে স্ত্রী তার পুরানো প্রেমিকের সাথে দেখা করতে যায়। আবার স্বামীও অফিসের মিটিং-এর কথা বলে তার পুরানো প্রেমিকার সাথে সময় অতিবাহিত করে ফিরে। এরকম পরকীয়া সম্পর্ক কতদূর যেতে পারে আশা করি সবার ধারনা আছে।



এরেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বামী-স্ত্রী আগে নিজেদের সম্পর্কে না জানার কারনে, বিবাহের পর মতে অমিল থাকার কারনে সাংসারিক জীবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা জন্ম দেয়। যা তাদের অন্য কারও কথা ভাবতে বাধ্য করে; যার সাথে তারা ভাল মূহুর্তগুলো ভাগাভাগি করে নিতে পারে। হয়তো কোন পুরানো বন্ধু, কলিগ কিংবা প্রতিবেশীর মধ্যে তাদের আকাঙ্খিত গুনগুলো পায় আর পরকীয়ার জন্ম হয়।



লাভ ম্যারেজের ক্ষেত্রেও মতের অমিলের কারনে পরকীয়ার সূত্রপাত হয়। স্বামী-স্ত্রী বুঝতে পারে যে তারা আসলেই তারা “এক দুজে কে লিয়ে” অর্থ্যাৎ “একে অপরের জন্য” ছিলেন না। তাদের বিবাহ পরবর্তী জীবন তাদের পরিকল্পনা মোতাবেক না চললে তারা খুবই হতাশ হয়ে যায় আর নতুন সাথী খুজতে থাকে।



আবার এরেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে অনেকেই পুরুষই যৌতুকের কারনে তাদের অপছন্দ কোন মেয়েকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু সেই অনিচ্ছাকৃত বিবাহের কারনে সাংসারিক জীবনে সুখ অধরাই রয়ে যায় আর সুখের আশায় সেই পুরুষ অন্য কারও প্রতি আকর্ষিত হয়ে পরকীয়ায় লিপ্ত হন।



সমাধানে কি বলবো তা নিয়ে আমিও বিশাল জটিলতায় পড়ে গেছি। কারন প্রত্যেকটা পরিবারের উচিত এরেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে নিজেদের সিদ্ধান্ত না চাপিয়ে পাত্র-পাত্রীরা যাতে একে অপরকে জানতে পারে সে সুযোগটা দেওয়া।কিন্তু কয়টা পরিবারই তা করে? আর স্বামী-স্ত্রীরা একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখে তাহলে পরকীয়া কোনদিনও তাদের জীবনে আঘাত হানতে পারবে না। লাভ ম্যারেজের ক্ষেত্রে বলতে চাই যে সারাদিন ভালবাসায় মগ্ন থেকে বাস্তব ভুলে গেলে তো সবকিছুই গোল্লায় চলে যাবে। ভবিষ্যতের কথাও একটু চিন্তা করা উচিত নয়তো খোলা চোখে দেখা সেই রঙ্গিন সপ্ন সপ্নই রয়ে যাবে। আর যারা যৌতুক নিয়ে বিবাহ করে তাদের কাপুরুষ উপাধি দেওয়া ছাড়া আমি কোন উপাধি দিতে পারছি না।তাদের স্ত্রীদের স্যান্ডেলের বাড়িই একমাত্র মোক্ষম ঔষধ তাদের সঠিক পথে আনার জন্য। আর আমরা কেনই বা যৌতুক প্রথাকে এত প্রশয় দেই সেটা দেখে আমার কষ্ট লাগে। পরিবারগুলোর বোঝা উচিত যে যৌতুক তাদের মেয়ের জীবনে কোনদিনও সুখ বয়ে আনবে না।



আবার স্বামী-স্ত্রীদের প্রতি বলছি যে একে অপরের প্রতি স্বচ্ছ থাকুন। সংসার নামক গাড়ি তো আপনাদের দুজনকেই চালাতে হবে। পরকীয়া হতে সারাজীবন দূরে থাকুন।



(চলবে)



প্রথম পর্ব



দ্বিতীয় পর্ব

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৭/-১

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৯

ফালতু মিয়া বলেছেন: যৌতুক প্রথার মোক্ষম ওষুধ বাতলেছেন ভাই। এছাড়া আর উপায় নাই। ( স্ত্রীদের স্যান্ডেলের বাড়িই একমাত্র মোক্ষম ঔষধ )

২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫২

অমিত হাসান বলেছেন: আমি যতই ঔষধ বাতলাই না কেন রোগী যদি তা সেবন না করে আমারে দোষ দিয়া কিন্তু কোন লাভ হইবে না।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৭

বাংলারগান বলেছেন: বিষয় টি খুব স্পর্সকাতর। আসলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সমঝোতা থাকলে হয়ত পরকীয়া টা আসতে পারবে না । আমি দুজন দুজনকে মানসিক সমঝোতার কথা বলছিলাম , এ বিষয়টি ভেবে চললে হয়ত সব সমস্যার সমাধান দেয়া যাবে।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৭

ডিজিটাল কলম বলেছেন: ভালো বলেছেন...........++

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৯

মেঘ দূত বলেছেন:
আবার স্বামী-স্ত্রীদের প্রতি বলছি যে একে অপরের প্রতি স্বচ্ছ থাকুন। সংসার নামক গাড়ি তো আপনাদের দুজনকেই চালাতে হবে। পরকীয়া হতে সারাজীবন দূরে থাকুন।

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৫৬

অমাবশ্যার চাঁদ বলেছেন: লেখাটা ফেস্‌বুকে শেয়ার করলাম।

২৮ শে অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯

অমিত হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.