| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের অভাবকে অনিদ্রা বলা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক ৩০ শতাংশ লোকই অনিদ্রা এবং অনিদ্রাজনিত উপসর্গের কথা বলে থাকেন। নিদ্রাহীনতা শুধু রাতের সময়টা নষ্ট করে না; বরং দৈনন্দিন কাজেও ব্যাঘাত ঘটায়। নিদ্রাজনিত সমস্যার মধ্যে রয়েছে_দিনের বেলায় তন্দ্রাচ্ছন্নতা, নারকোলেপ্সি (সব সময় ঘুম ঘুম ভাব), প্যারাসম্নিয়া (ঘুমের মধ্যে বিচিত্র স্বপ্ন দেখা, বিচিত্র আচরণ করা, কথা বলা ইত্যাদি), রেম স্লিপ (ঘুমের মধ্যে চোখের নড়াচড়া) বিহেভিয়ার ডিসঅর্ডার, রেস্টলেস লেগ (অস্থির পা) সিনড্রোম, পিরয়ডিক লিম্ব মুভমেন্ট (অঙ্গবিশেষের নড়াচড়া) সিনড্রোম। যেকোনো ধরনের অনিদ্রাই বিষণ্নতার জন্ম দেয়।
অনিদ্রার কারণ
মানসিক এবং শারীরিক সমস্যার সঙ্গে পরিবেশও অনিদ্রা রোগের অন্যতম কারণ। এই তিনটি কারণ অনেকসময় একসঙ্গেও দেখা দিতে পারে।
অনিদ্রার জন্য দায়ী মানসিক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে
* ভয়, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, চাকরিগত সমস্যা, অসুখী যৌনজীবন।
* বিষণ্নতা, উদ্বিগ্নতা, আঘাত-পরবর্তী মানসিক চাপ, সুইসাইডাল বা আত্মঘাতী মানসিক সমস্যা।
অনিদ্রার জন্য দায়ী শারীরিক কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে
* বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগ, হৃদযন্ত্র বিকল ইত্যাদি।
* ফুসফুসের সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ এবং হাঁপানি।
* হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোন বেশি নিঃসরনজনিত সমস্যা), মহিলাদের রজঃনিবৃত্তি বা মেনোপজ।
* স্ট্রোক, আলঝাইমারস্ রোগ (বৃদ্ধকালের স্মৃতিভ্রংশ রোগ)।
* খাবার পরিপাকে সমস্যা।
* প্রেগন্যান্সি বা গর্ভধারণ।
* ক্যাফেইন (চা বা কফিতেও থাকে), কোকেইন, এফেড্রিন, এম্ফিটামিন, মিথাইলফেনিডেট ইত্যাদি উপাদান যে ওষুধে থাকে, তা সেবন।
পরিবেশগত কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে
* রাতের শিফটে কাজ করা।
* উচ্চশব্দের মধ্যে বসবাস বা কাজ করা। যেমন_কারো বাসা যদি এমন রাস্তার পাশে হয়, যেখানে রাতেও গাড়ি চলাচল করে।
* শয্যাসঙ্গী বা সঙ্গিনীর নাকডাকা ইত্যাদি।
অনিদ্রার উপসর্গ
অনিদ্রা শব্দটার মানে যেমন ঘুম না হওয়া_ব্যাপারটা বাস্তবে তেমনটি নাও হতে পারে। অনেক ঘুমালেন, কিন্তু ঘুম শেষে অপর্যাপ্ত ঘুমের অনুভূতি হচ্ছে_এটাও এক ধরনের অনিদ্রা। নিচের লক্ষণগুলো থাকলে চিকিৎসকরা ধরে নেন যে রোগী অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভুগছেন।
* ঘুম শুরু হতে দেরি হওয়া।
* বিছানায় শোয়ার পরও দীর্ঘসময় ঘুম না আসা।
* ঘুম থেকে উঠেও অপর্যাপ্ত ঘুমের অনুভূতি হওয়া।
* দৈনন্দিন কাজে একাগ্রতার অভাববোধ।
* স্মৃতিভ্রংশ হওয়া বা কোনো কিছু সহজে মনে করতে
না পারা।
* সব কিছুতেই বিরক্তিভাব পোষণ।
* সামাজিক চলাফেরায় অস্বাচ্ছন্দ্যবোধ।
অনিদ্রার প্রকার
চিকিৎসকরা দুই ধরনের অনিদ্রার কথা বলেন_ স্বল্পস্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী। এগুলোর চিকিৎসাও আলাদা।
স্বল্পস্থায়ী অনিদ্রা সাধারণত অল্প কিছুদিনের জন্য হয়ে থাকে। মানসিক আঘাত, দৈনন্দিন কাজের হঠাৎ গতি পরিবর্তন ইত্যাদি স্বল্পস্থায়ী অনিদ্রার কারণ। এটি সময়ের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই ঠিক হয়ে যায়। তবে এ অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে তা স্থায়ী অনিদ্রায় রূপ নিতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রার ক্ষেত্রে দেখা যায়, রোগীরা কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত অনিদ্রায় ভুগছেন। ফলস্বরূপ, দৈনন্দিন কাজের ব্যাঘাতসহ উচ্চরক্তচাপ ও মানসিক বৈকল্য দেখা দিতে পারে।
* চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫
বোকামন বলেছেন: ধন্যবাদ