নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সু-স্বাগতম। আপনার আগমনে ধন্য আমি। মানুষ আমি, আমাকে মানুষই ভাববেন, আমি তাই হতে চাই njnoyon.com
চার অক্ষরের একটি শব্দ 'ভালোবাসা'।
প্রতিটি প্রাণের মাঝেই ভালোবাসা থাকে। মিশে থাকে ভালোবাসার অস্তিত্ব। ভালোবাসা কখনো নিজের অবস্থান বিচার করে আসে না। অথবা দেখে না ভালোবাসার মানুষটির অবস্থান। সবার জীবনেই কোন একসময় ঠিকই আসে ভালোবাসা। হ্যা, সবার জীবনেই আসে। কারো জীবনে ভালোবাসা সৌভাগ্যোদয় হয়ে আসে কারো বা আবার এই ভালোবাসাই নরকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। কারো মনে ভালোবাসা আনন্দ উল্লাস আর খুশি হয়ে থাকে কারো বা কেবল বেদনাময়।
ভালোবাসা কোন জাত-বেজাত, উচু-নিচু, ধনী-গরীব, সাদা-কালো, জ্ঞানী-অজ্ঞানী, ছোট-বড় বিচার করে আসে না। ভালোবাসা সবসময় মুক্ত। যখনতখন যেকেউ যেকোনো মানুষকে ভালোবাসতে পারেন। ভালোবেসে মনের ঘরে সাজাতে পারেন গোপন স্বর্গ। মনের ঘরের ভালোবাসা, স্বর্গ কারো নজরে আসে না। মনে মনে অনেক কিছুই করা যায় কল্পনায় ভেসে ভেসে। বাঁধা দিতে পারেনা কেউ মনের ভিতর সাজানো ভালোবাসার সাম্রাজ্যে। তেমনি মনের ভেতর খুব গভীর ভালোবাসায় সাজানো একটা সাম্রাজ্যের নীরবে হারিয়ে যাওয়ার গল্পই আজ শোনাতে এসেছি। আমি তো গল্পবাজ নই, তাই সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনাদের বোঝাতে পারবোনা। তবে একটা নীরব ভালোবাসার কথা বলে যেতে পারবো নিজের মতো করে।
জীবন অনেক দিন যাবত ফেসবুক চালায়। দিনরাত চব্বিশঘণ্টার মধ্যে ঘুম বাদে খাওয়ার সময়ও বাম হাতে মোবাইল টিপে আর ভাত খায়। ছেলেটি সারাক্ষণ মোবাইল নাড়াচাড়া করার তালেই থাকে। তার হাতে থাকা মোবাইল যেন কেবল আল্লাহ্ আল্লাহ্ করে তার টিপাটিপি সহ্য করতে না পেরে। ফেসবুক গুগলি টুইটার ইউটিউব সবই চালায় সে। পুরা যৌবন তার। সারাক্ষণ কেমন যেন যৌবন জ্বালা তাকে তাড়া করে বেড়ায়। কাউকে কিছু বোঝতে দেয় না। মনের চাওয়া আকাঙ্ক্ষা তার মনেই থাকে। ফেসবুকে নাকি কতজনে প্রেম করে। জীবন মাঝেমধ্যে এগুলো খবর শুনে আর মনে মনে ভাবে হাইরে পুড়া কপাল আমার! আমার জন্য একটা মাইয়াও নাই, যে আমারে ভালোবাসবে, আদর করে মিষ্টি কথায় আমার মন ভোলাবে! ফেসবুকে অনেক মেয়ের আইডি। কিন্তু কখনওই কোন মেয়ের সাথে জীবনের কথা হল না, বা কোন মেয়ে ভুলেও তার সাথে একবার কথা বললো না! তাই মাঝেমধ্যে জীবন নিজের ভাগ্যকে দোষে আর কয় হাইরে ভাগ্য! তুই একটা ভালোবাসার মানুষ নিয়েও আইতে পারলি না!
জীবন ফেসবুকে নতুন একটা পেজ খুলেছে। পেজটি তার এক ফেসবুক বন্ধু খুলে দিয়েছে। তাই জীবন খুব খুশিখুশি। মনের আনন্দে লিখে চলেছে সেই পেজ-এ। ভালোই লাইক পাচ্ছে। অনেক বন্ধু খুব আন্তরিক হয়ে ওঠেছে। রাত প্রায় দুটো বাজে। জীবন ফেসবুকের পেজ-এ নতুন একটা পোষ্ট লিখে শেষ করেছে কিছুক্ষণ আগেই। এমন সময় পেজ ইনবক্সে একজন ম্যাসেজ দিল মনে হল। হ্যা, ম্যাসেজই। এই লোকটি এর আগেও ম্যাসেজ দিয়েছে কয়েকদিন। জীবন খুব ভালোই মনে করছে তাকে। খুব সুন্দর করে কথা বলেন (ম্যাসেজ লিখেন)সে। সেই লোকটির ম্যাসেজ দেখে জীবন খুশি বেজার কিছুই হল না। জীবন সবসময় ভাবে কোন মেয়ে তার ইনবক্সে কিছু লেখুক, কিন্তু আজ পর্যন্ত তা আর হল না....!
ম্যাসেজ অপশন খুলে দেখে- 'ভাই কেমন আছেন?'
জীবন লিখে দিল 'ভালো অাছি ভাই'।
প্রতিউত্তর এলো, 'আপনার পোষ্টগুলো খুব সন্দর, আমার খুব ভালো লাগে'। জীবন ধন্যবাদ লিখে বেরিয়ে এলেন। ফেসবুকে ঘুরছে, বন্ধুদের পোষ্টে লাইক আর কমেন্ট করছে.....।
কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে পড়বে ভেবে পেজটা আরেকবার দেখতে পেজ-এ ঢোকলো। নোটিফিকেশন দেখতে গিয়ে ম্যাসেজ দেখে নতুন কয়েকটা। ম্যাসেজ দেখতে গিয়ে জীবন একটু স্থির হলো মনে হচ্ছে! সেই শুভাকাঙ্ক্ষী এবার বেশ কয়েকটি ছবি পাঠিয়েছে। সবগুলি ছবিই মেয়ে মানুষের। সবগুলি মেয়েই খুব সুন্দরী মনে হচ্ছে। জীবন এবার ভাবনায় পড়ে গেল। লোকটি কি মজা করছে আমার সাথে। নাকি লোকটি নিজেই একটা মেয়ে? অনেক মেয়েই তো আজকাল ছেলেদের নামে আইডি খুলে ফেসবুকে ঘরছে। তাই প্রোফাইলে ছবিগুলো ডাউনলোড দিয়ে লোকটির প্রোফাইলে গিয়ে দেখছে। তার প্রোফাইল পুরাই লক করা। কিছুই জানা গেল না। যাক, সে যেই হোক তাতে আমার কিছু যাবে আসবে না। এখন ছবিগুলো দেখি। জীবন ইনবক্স থেকে লোড করা ছবিগুলো দেখছে বারবার....।
একটা ছবি খুব সুন্দর লাগছে জীবনের। মেয়েটির সালোয়ার কামিজ পড়া মেকআপ ছাড়া সাদাসিধে ছবিটি জীবনের চোখদুটিকে জয় করে নিয়েছে মুহূর্তেই। জীবনের চোখ যেন সড়তে চায়ছে না মেয়েটির চোখ থেকে। ভাবছে, ওই চোখে যেন যাদু আছে। যতো দেখছি ততোই চেয়ে থাকতেই মন চাইছে। আজই প্রথম দেখছি, অথচ মনে হচ্ছে.... কত যুগযুগান্তরের পরিচিত সে। ছবিতেও কি প্রাণবন্ত জীবন্ত মনে হচ্ছে মেয়েটিকে...!
সম্ভবত গায়ের রং শ্যামা মনে হচ্ছে। পরনের সালোয়ার কমিজ দেখে মনে হচ্ছে অনেক ভদ্র একটি মেয়ে। যাকে দেখামাত্র চোখ বন্ধ করে বলা যায় ভালোবাসি। জীবনও দেরি করেনি। মেয়েটির চোখের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে বলে দিল আই লাভ ইউ...। তোমার মতো একজনকেই আমি খুঁজছি বহুবছর দুচোখের সীমানা জুড়ে। আজ পেয়েছি। তুমি আমার মনের সীমানা পুরোটাই দখল করে নিয়েছো একটি দেখাতেই। এই মন তোমার বাধ্যপ্রজা হয়ে তোমাকে রাণী করে রাখতে চায়। তুমি শুধু ভালোবাসা দিও উজাড় করে। আমি দিনরাত্রি তোমার ভালোবাসার সাগরে ভাসবো রংধনুর কাছ থেকে সাতরঙ চেয়ে নিয়ে। রাঙিয়ে তুলবো তোমার মনের ভূবন আমার ভালোবাসার অমিত ঢেলে। তুমি হবে আমার...? ছবি নিরুত্তর। কোন কথা বলে না। জীবন একা একাই মনের কথাগুলো বলে গেল....।
জীবন সেই ভালো লাগার মেয়েটির পাশে নিজের নাম লিখে সুন্দর করে পেজ-এর প্রোফাইল পিকচার করে দিল। মনে তার অনেক আনন্দ আজ। কত যুগ যুগান্তরের চাওয়া যেন আজ পূরণ হয়েছে। মনে মনে ভাবছে, কার না কার ছবি প্রোফাইলে দিলাম। যদি কিছু বলে তো...? বলুক, তবুও আমার মনের মতো ছবিটি আমার প্রোফাইল পিকচার হিসেবেই থাকবে। মনের অানন্দে ফেসবুক অফ করে শুয়ে পড়লো জীবন।
অনেক কিছু ভাবছে শুয়ে শুয়ে। মেয়েটির কি নাম, কোথায় বাড়ি, বিয়ে হয়েছে কিনা আরও কত কি ভাবনা আজ জীবনের চোখের ঘুম চোখ থেকে সরিয়ে সপ্তম আসমানে পাঠিয়ে দিয়েছে হয়তো। অনেকক্ষণ শুয়ে আছে ঘুম আসছে না। বারবার মেয়েটির মমতাময়ী গভীর চোখ দুটির ভাষা খুঁজতে ব্যাকুল জীবনের সকল ইন্দ্রীয়। মনে মনে বুকের সাথে জড়িয়ে কপালে চুমো দিয়ে বলছে, আমি তোমার অপেক্ষাতেই হয়তো এতটা বছর পুড়েছি মনের অশান্ত কামনার আগুনে। আজ থেকে তোমাতেই ভাগ করবো আমার যতো কামনা বাসনা। তুমি আমার হবে তো....? এই একটা প্রশ্নেই জীবনের সকল তন্দ্রা কেটে যায় নড়েচড়ে ছলছল করে ওঠে চোখের পাতা....।
ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছে জীবন, তার ঠিক নেই। ঘুম থেকে জেগে গোসল সেরে আবারও তৈরি ফেসবুক খুলার জন্য। নেট অন করতেই অনেকগুলো নোটিফিকেশন। নোটিফিকেশন পড়ছে। হঠাৎ চোখে পড়ে গেল সেই আইডি থেকে পেজ ইনবক্সে ম্যাসেজ। তাড়াতাড়ি পেজ-এ ঢোকেই ইনবক্সে ঢোকে দেখে 'ভাই করছেন কি, আপার ওই ছবিটা প্রোফাইলে দিয়েছেন কেন? জানেন সে কে?' জীবন তো সত্যিই কিছু জানেনা সেই ছবিটি সম্পর্কে! সর্বনাশ! না জানি কি হয়েছে। তাড়াতাড়ি লিখে দিল, 'জানিনা তো ভাই, কে উনি? ম্যাসেজটি লিখে পরবর্তী ম্যাসেজ গুলো দেখেই জীবনের সব বোঝা হয়ে গেল, সে ভুল করেছে। সেই ছবিটি তার প্রোফাইলে দেওয়া মোটেও উচিৎ হয়নি। তার উপর তার নাম লিখে। ইসরে, কেউ যদি দেখে তো সত্যিই সর্বনাশ হয়ে যাবে জীবনের। তাড়াতাড়ি প্রোফাইল পিকচার ডিলিট করে নতুন আরেকটি ছবি সেট করে দিল জীবন। তারপর ইনবক্সে গিয়ে লিখে আসলো, 'সরি ভাই, বোঝতে পারিনি। সাদাসিধে পোষাকে দেখে ভেবেছিলাম খুব সুন্দরই তো, তাই প্রোফাইল পিকচার করে দিয়েছিলাম। ক্ষমা করবেন।
একরাতের সামান্য ভাবনায় মেয়েটি মনের অনেক খানি জায়গা দখল করে নিয়েছিল। মনে সামান্য দুঃখবোধ হলেও কিছু করার নেই, ভুলে যেতেই হবে। জীবন যে অতোটা যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি, আর পারবেও না। মনের ভালোবাসাটুকু আর কোথাও প্রকাশ করেনি জীবন। চুপচাপ মনের ঘরে তালা দিয়ে রেখেছিল। অনেকদিন, অনেকসময় দেখেছে সেই ছবিটি। নীরবে মনে মনে বলেছেও অনেক কিছু। সে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।
হঠাৎ একদিন মধ্যরাতে জীবনের মোবাইলে কল হচ্ছে। জীবন তখনো ফেসবুকেই ঘুরিতেছিল। একটা টেলিফোন নাম্বার থেকে কলটি এসেছে। রিসিভ করে সালাম দিয়ে কান পেতে শুনতে চাইছে, কে ? ওপাশ থেকে মেয়ে কণ্ঠ শুনে জীবন একটু অবাকই হলো। কারণ, এত রাতে জীবনকে খোঁজার মতো কেউ নেই। তারপর একটা মেয়ে! ওদিক থেকে, 'আপনি কে?' জীবন কোন বনিতা না করে সোজাসুজি বলে দিল জীবন।
আপনার বাড়ি কোথায়?
এবার জীবন একটু জানার চেষ্টা করে বললো, আপনি কে? তাছাড়া আমার নাম্বার পেলেন কোথায়?
আমি একটা মেয়ে বুঝতেই পারছেন। আপনার নাম্বারটা আপনার ফেসবুক থেকেই পাওয়া। বিরক্ত হচ্ছেন?
না না, বিরক্ত হচ্ছি না। আমার ঠিকানা জানতে চাইলেন, তাই আপনাকে জানতে চাওয়া।
লাইনটা হঠাৎ কথা বলার মাঝে কেটে গেল। জীবন আর ট্রাই না করে আবার ফেসবুকে মন দিল। ভাবছে, এত সুন্দর কণ্ঠ, আমাকে খোঁজে.... কে হতে পারে...? না, কিছু ঠাওর করতে পারলো না। এর মধ্যেই আবারও কল, সেই নাম্বার থেকেই। এবার বলছে 'আপনি কি করেন?'
জীবন সরাসরি বলে দিল 'আমি চাকরি করি'। আপনি কি করেন, কোথায় থাকেন?
আপনি খুব ভালো।
কেমনে বোঝলেন?
না মানে, আপনার লেখা গুলো ভালো লাগে।
ভালো লাগলো প্রশংসা শুনে। আপনি কিন্তু আপনার পরিচয় দিলেন না?
ও ও, আমি বিদেশ থাকি। জ্বি এর কাজ করি, বাড়ি যশোর।
ও আচ্ছা। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না আপনি জ্বি এর কাজ করেন। আপনি কি বিবাহিত?
না, পাত্র খুঁজছি মনে মনে হা হা হা।
এমন সময় আরেকটা মেয়ে কণ্ঠ মনে হলো তাকে ডাকছে। সে বললো, আসছি...। লাইন কেটে গেল।
জীবন ভাবছে, সে কি সত্যিই বিদেশ থাকে বা জ্বি এর কাজ করে! মোটেও বিশ্বাস হলো না। কারণ, তাকে যে ডাক দিল সেও একটা মেয়ে মনে হলো। মনে হলো তারা হাসাহাসি করছে। তবে কেনই বা আমার নাম্বারে ফোন দিল। কিছুই বোঝে ওঠতে পারছেনা জীবন। যাক সে যেই হোক। তার চিন্তা করে আমার লাভ নেই। জীবন আবার ফেসবুকে ঘুরছে। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন, সেই নাম্বার থেকেই! রিসিভ করে ওপাশের হাসাহাসির শব্দ শুনতে পাচ্ছে।
হ্যা ভাই, আপনি খুব সুন্দর।
ধন্যবাদ। খুশি হলাম।
আপনি কিসের চাকরি করেন?
আমি গরীব মানুষ আপু....। কোনরকম একটা সরকারি চাকরি ভাগ্যে জোটেছে, সেটাই ধরে পড়ে আছি আর কি।
আমিও গরীব ভাই। তাই তো বিদেশের নামে মানুষের বাড়িতে জ্বি এর কাজ করছি।
ওপাশে হাসি শুনা যাচ্ছে তাই জীবন চুপ হয়ে বোঝতে চেষ্টা করছে। কিছুই বোঝতে পারছে না।
কাকে যেন চুপ হতে বলে আমাকে বলছে, হ্যালো, বললেন না কিসের চাকরি করেন?
এবার সোজাসুজি বলে দিল জীবন, পুলিশ।
ও ও ভালো। পুলিশ তো ভালো চাকরিই। তো কতদিন ধরে করছেন?
ওপাশে কে যেন বলছে চলবে চলবে, আরও কি যেন বলছে ঠিক বোঝা গেল না। জীবন উত্তর দিল, পুলিশের চাকরি শুনে হাসছেন আপু...?
না না ভাই, সেরকম না। মালিকের মেয়েটা সমবয়সী তো, তাই দুষ্টুমি করছে। বললেন না কতদিন ধরে চাকরি করছেন?
ও হ্যা, চৌদ্দ বছর।
চৌদ্দ বছর....! আপনার প্রোফাইল ছবি দেখে কিন্তু বোঝা যায় না।
হুম, হয়তো। ছবিটা তিনমাস আগেই তুলেছি মোবাইলে।
যাক ভালো লাগলো আপনার কথা শুনে। একটা সত্যি কথা বলবেন?
সবি তো সত্যই বলছি, এখনো মিথ্যে বলিনি আপনার সাথে।
আপনি কি এখনো অবিবাহিত ?
জীবন এবার ভাবছে মিথ্যে বলবে, বোঝবে তাকে, কে সে। কিন্তু হঠাৎ করে সত্য কথাই বলে দিল, 'না, আমি বিবাহিত। আমার একটা আট বছরের ছেলেও আছে।
ওপাশ থেকে ও ও বলে সেই যে ফোন কেটে গেল আর কখনওই সেই নাম্বার থেকে ফোন আসে নি। জীবন ভাবে, ভালোই হলো, মেয়েটি অযথা মনে কষ্ট পেত। তারচেয়ে বরং অাগেই সব বলে দিয়েছি, সেটাই ভালো। জীবন আর কখনো সেই ফোনালাপের মেয়েটিকে ভাবেনি। কিন্তু ছবি দেখে মেয়েটিকে অনেকদিন ভেবেছে। কখনো কখনো মনে মনে আফসোস করেছে। ভেবেছে, ছোটসময় যদি বাপের কথামতো ঠিকমতো লেখাপড়া করতো, হয়তো সেও একসময় ঢাকা ভার্সিটি পড়তো। বাপের স্বপ্ন তো সেরকমই ছিল। তার একটা ছেলে ভার্সিটি পড়বে। আর সেই স্বপ্নটা জীবনের উপরই দেখতো বেশি। কারণ, পড়া লেখায় জীবনই একটু ভালো ছিল। কিন্তু তা আর হয়নি! ইন্টার পাশ করেই জীবনকে চাকরিতে দিতে হয়েছে তার বাপের। জীবন মাঝেমধ্যে একটু ভাবলেও তেমন দুঃখ করে না আর অতীত ভেবে। যা হবার হয়েছে। কিন্তু সেই মেয়ের ছবিটি দেখলেই একটু ভাবে জীবন.....।
এক রাতের ছবি দেখে ভালোবাসা হয়তো পরেরদিন সকালেই শেষ হয়েছিল, কিন্তু, সেই ভালোবাসাটুকু অনেকদিন ভাবিয়েছে জীবনকে। দুঃখ নয়, আফসোসও নয়...। প্রায় দুই বছর পর সেই ছবির মেয়েটির বিয়ের ছবি দেখে জীবনের চোখ যেন আটকে পড়ে। মনে পড়ে তাকে ঘিরে সেই একরাতের পাগলামী। মুহূর্তে ভিজে ওঠে চোখের পাতা। মনে মনে তার সামনের দিনগুলির সুখ ও শান্তি কামনা করে একটা ভালোবাসার সমাধি দিয়ে দিল চুপিচুপি। কেউ জানলো না একটা ভালোবাসার মরণ হলো নীরবেই।
এখন মাঝেমধ্যে জীবন ভাবে, মানুষের মন কতোটা মুক্ত! ভালোবাসা কখন যে কার উপর ভর করে সপে দিতে পারে নিজের মনটাকে তা কোন মানুষই বোঝতে পারেনা হয়তো। এরকম কত ভালোবাসা নীরবে শেষ হয়ে যায় তার কোন হিসেব কেউ রাখে না, কেউ বোঝে না, কেউ হয়তো জানেই না কখনো। কিছু ভালোবাসা হারিয়ে যায় নীরবে, নিঃশব্দে........
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: যাক, একটা বিষয় জানতে পারলাম 'সর্বাধিক আকর্ষণ' হ্যা, সেরকমই হয়তো। আকর্ষণটাই হয়তো ভালোবাসার রূপ নিয়েছিল জীবনের। মেয়েটির সাদাসিধে পোশাক আবার একটু শ্যামা অনেকেরই হয়তো ভালো নাও লাগতে পারতো। কিন্তু জীবনের ভালো লেগেছিল, ভেবেছিল হয়তো তার সমকক্ষ কেউ হবে, তাই হয়তো ভালোবেসেছিল মনে মনে। কিন্তু উল্টো হয়েছে সবকিছু। যাক, কত ঘটনাইতো ভুল হয়ে রয়ে যায় জীবনে। সেটাও একটা ভুল হবে হয় তো।
এখানে যখনতখন যে কাউকে ভালোবেসে ফেলতে পারে তাই বোঝাতে চেয়েছিলাম। হয়তো ঠিকমতো লিখতে পারিনি।
মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা জানবেন। শুভকামনা রইল।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
অতৃপ্তনয়ন বলেছেন: এক রাতের সামান্য ছবি দেখে এত সুন্দর একটা গল্প লিখে ফেলেছেন!!!!! পারবেন ভাই। আপনার জন্য শুভকামনা রইল সবসময়।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:১১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মানুষের মন বড়ই অদ্ভুত রূপ নেয় কখনো কখনো। এক মুহূর্ত নিয়েও পড়ে থাকে জীবনের শেষ বেলা পর্যন্ত। একটা ছবি দেখে যদি মনের ভিতরে অনেকাংশ জায়গা দখল দিতে পারে তো গল্প কেন নয়। এখানে আরও অনেক অনুভব ছেড়ে গেছি। মনের তো আর কাজ নেই, খালি ভাবে আর ভাবে।
প্রশংসা পেয়ে উৎসাহিত হলাম। কৃতজ্ঞতা জানবেন মন্তব্যে।
প্রেরণা হয়ে থাকবেন, শুভকামনা আপনার জন্যও সবসময়।
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই গল্পটি কবিতা হতে পারতো। তবে গল্প লিখে পূর্ণ লিখক হওয়ার জানান দিচ্ছেন তা বুঝতে পারছি। এতো ভাল বাসা আসে কোথেকে ভাবি, আসলে অাপনি নজরুলের অনুসারি। যাই হোক মজা করলাম। কবিতাও একটি ভালবাসার পট। যেখানে আপন মনে আঁকা যায় সব দারূন সব ছবি। ভাল থাকবেন , ভুলবেন না যেন। আড্ডায় আর আসবেন না মনে হয় । না আসার কারণ কি খাকি পোশাক?
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভাই, জীবনে মানুষ অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হয়। অনেকের সঙ্গে জমে উঠে আত্মিক সম্পর্ক। আবার অনেক মানুষকে ভুলেও যায় খুব সহজেই। কিন্তু আমার ব্যাপারটা একটু ভিন্ন। আমি সহজে ভুলে যেতে পারিনা কাউকে। কারো দ্বারা আঘাত পেলে বা অনুভবে আন্তরিক ভালোবাসা পেলে অনেকদিন মনেই রাখি। মনে হয়েই যায়। আমি ভুলতে পারিনা সহজে। আবার সহজে কাউকে বিশ্বাসও করতে পারিনা। যাকে বিশ্বাস করে ফেলি, তাকে মনের মানুষই মনে করি। আপনি আমার ব্লগের প্রথম নিক থেকেই প্রিয় তালিকার। আপনি সেটা বুঝতেন না কখনো। আপনার পোষ্টের মন্তব্য গুলো পড়ে দেখবেন, হয়তো প্রথম নিকটা ধরতে পারবেন। এই নিকে তো আত্মার মধ্যে ঢুকে গেছেন। হয়তো নিয়মিত ব্লগে থাকতে পারিনা তাই খোঁজ খবর নিতে পারিনা ঠিকমতো। কিন্তু ব্লগে ঢুকে যাঁদের আমি প্রথম খুঁজি আপনি তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
আপনাকেই আমার পরিচয় দিয়েছিলাম। এখন সবাই জানবে হয় তো, জানুক। সমস্যার আর কি! গরীবের যে কতো দিকে জ্বালা থাকে তা কেবল যারা গরীব তারাই বোঝে। চাকরি তো করতেই হতো, তাই করছি। যোগ্যতার দিক থেকে ব্লগে সবার নিম্নতম আমিই আছি। আমার মতো নগণ্য একজন ব্লগে আপনাদের এতো আন্তরিক উৎসাহ পেয়েছি তা আমার ভাগ্য হিসেবেই আমি দেখি। বর্তমান বাজারে সবচেয়ে নিম্নমানের চাকরি যেটা সেটাই আমি করছি। কিন্তু তাতে আমার আক্ষেপ নেই কখনওই। এটা আমার কর্মের ফল। ভালো কর্ম করতে পারিনি তো কখনো! বাবা মা'র কথা তো ঠিকমতো মানিইনি। চলেছি নিজের খুশিমতো। তাই, যা পেয়েছি তা আমার ভাগ্য বলেই মানি।
মরা গাঙ্গে নাকি জোয়ার আসে না। শুধু শুনেছি। কিন্তু জীবনের এই সতেরো বছরে তা নিজেই মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছি। মানসিক জোড় বড় জোড়। মনের সাহসটুকু, উদ্দীপনা যা ছিল সব হারিয়ে ফেলেছি জীবনের শুরুতেই। তাই আর কোথাও আমার সফলতা নাই। গ্রামের সবচেয়ে টপ ছেলেটা এখন সবচেয়ে ফ্লপ! এর কারণ, মিনতি হলেও তাকে আর দোষ দেই না এখন। সবই আমার কর্মের ফল। তাই তো যে জায়গায় শুরু করেছিলাম এখনো সেই জায়গাতেই রয়ে গেলাম! এগুতে পারিনাই কোন ক্ষেত্রেই। এখন ভাবি আমি হয়তো পারিই না, কোন যোগ্যতা আমার নেই।
গ্রামের সবচেয়ে হাসিখুশি রসিক আড্ডাবাজ ছেলেটি এখন বেরসিক, ঝিম মেরে বসে থাকে, মুখে হাসি লাগিয়ে সুখী মানুষের অভিনয় করে পথচলে! এখন ভাবি, আমি হয়তো পারিই না!!
আসলে, যতবার নিজেকে সাজাতে চেয়েছি ততবার ভেঙে পড়েছি মাঝপথে! সবকিছু কেমন যেন মুহূর্তেই উলটপালট হয়ে গেছে। এখন আর কিছুই ভাবি না। এখন দিন যায় রাত আসে, কিছুই বুঝি না। কেটেই যাচ্ছে জীবন তবুও, থেমে নেই। আমিও চলছি, আল্লাহ্ আমাকে ঠেকায়নি কখনো। দোআ করবেন এভাবেই যেন চলতে পারি বাকি দিনগুলো।
ভালোবাসা ' কোথা থেকে আসে বুঝি না। তবে অনুভব করি আমার মধ্যে এখনো ভালোবাসার মনটা আছে হয় তো। অতৃপ্ত আত্মার তৃপ্তি সন্ধানী সময় গুলো মাঝেমধ্যে ভালোবাসার গভীরতায় ভরে ওঠে। মনকে আটকাতে পারিনা ভাই। মন ছোটে, কেবল ছোটতে চায় নতুনত্বের সন্ধানে। আবার একাই থেমে যায় কোন এক অজানা বাঁধায়। এই দিক থেকে খুব খারাপ ভাবি নিজেকে। সেই ভাবনা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।
আমি, নজরুলকে ভাবি মাঝেমধ্যে, আল্লাহ্'র অমর সৃষ্টি নজরুল। তাঁকে অনুসরণ করার কোন যোগ্যতাই আমার নাই।
আমি নিজের জীবনকেই ভাবি, নিজেকে খুঁজি, কোথায় কোথায় হারিয়েছি নিজেকে! কেন আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গেল, ভেঙে যায়। কেন চলতে চলতে থেমে যাই, কেন পারিনা আমি! কোন সদউত্তর পাই না আমি। কোন কিছুই মিলাতে পারিনা! কেন? এর কোন সঠিক উত্তর এখন নাই আমার কাছে।
আপনাকে ভুলিনি ভাই, হয়তো ভুলবো না কখনো। আপনার আন্তরিক কথাগুলো আমাকে সবসময় আলাদা একটা সাহস দিয়ে যায়। আপনাকে ভুলে যাওয়ার মতো এত্ত বড় বেঈমান আমি কোন কালেও ছিলাম না, আর হবো না। আড্ডা ঘরে যাওয়া হয় না, কারণ, বেশি সময় থাকতে পারিনা ব্লগে, যে সময়টুকু থাকি কিছু পোষ্টে মন্তব্য আর পড়তেই চলে যাচ্ছে। তবে ভুলি নি ভাই। আপনাদের আন্তরিক প্রয়াসে আমি সবসময় মুগ্ধ। আপুকে মনে পড়ে মাঝেমধ্যে, গুরুজ্বীকে অনেকদিন সালাম দেওয়া হয় না, আপনাকে কতদিন জানানো হয় না 'ভাই ভালো আছি'।
বেশ কয়েকদিন একটু ব্যস্ত যেমন তেমনি শারীরিক একটু অসুস্থতা লেগেই আছে। তবুও মাঝেমধ্যে চলতি পথে কিছু লেখছি, জড়ো হচ্ছে, ব্লগে দিচ্ছি, মন্তব্য প্রতিউত্তরেই চলছে সময়।
অনেক কথা বলে ফেললাম ভাই। জানিনা কেন বললাম এত কথা! আরো অনেক কথা না বলাই রয়েগেলো হয়তো। যেটুকু লিখেছি তাতে যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তো ক্ষমা করবেন তারছেড়া ভেবে।
শুভকামনা জানবেন সবসময়। আপনার ব্যবসায় উন্নতি হোক এমনই প্রত্যাশা থাকে সবসময়।
প্রেরণা হয়েই থাকবেন আমার আগামীর পথধরে।
৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ,
মোটামুটি হয়েছে লেখাটি । তাড়াহুড়ো করেছেন । সময় নিয়ে লিখুন । তাহলে আরও ভালো হবে ।
গতানুগতিক মন্তব্য "সুন্দর" হয়েছে বললুম না কারন তাতে আপনার লেখার আর শ্রীবৃদ্ধি ঘটতোনা ।
আপনার লেখার আরও শ্রীবৃদ্ধি হোক , এ কামনা করি ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনি যে সময় নষ্ট করে আমার পোষ্টে এসেছেন তাতেই আমার অনেক প্রেরণা। আর এত সুন্দর মন্তব্য সেতো সৌভাগ্য ভাই আমার। আপনার শুভেচ্ছা আমাকে অনুপ্রাণিত করবে সামনের সময়গুলোতে। প্রেরণা হয়ে থাকবেন সবসময় নয়নের মনোরাজ্যে।
হ্যা ভাই, একটু তাড়াতাড়ি করেছি। অনেক ভাবনা বাদ পড়েছে। আসলে দুই তিনদিন হলো মনে হয়েছিল, অনেকটা লিখেও ছিলাম। আজ ভাবলাম শেষ করেই ফেলি। একটু তাড়াহুড়ো হয়েগেছে। আর যা বোঝাতে চেয়েছিলাম সে অনুপাতে লিখতেও পারিনি।
অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনার মন্তব্য পেয়ে। এরপর থেকে কোন গল্প লিখলে চেষ্টা করবো ধীরেসুস্থে বোঝে লেখার। কতটুকু পারবো আল্লাহ্ জানেন। দোআ করবেন।
শুভকামনা জানবেন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনার জন্যও।
৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৯
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ভালোবাসা কোন জাত-বেজাত, উচু-নিচু, ধনী-গরীব, সাদা-কালো, জ্ঞানী-অজ্ঞানী, ছোট-বড় বিচার করে আসে না। ভালোবাসা সবসময় মুক্ত।
সুন্দর বলেছেন!
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো লাগলো প্রিয় ভাইয়ের মন্তব্য পেয়ে। অনেক উৎসাহিত হলাম। প্রশংসাটুকু প্রেরণা হয়েই থাকবে ভাই।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।
৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪১
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল ভাই আপনার প্রতিও। আপনার আগমননে ভালো লাগলো।
শুভকামনা রইল ভাই।
৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৭
ধ্রুবক আলো বলেছেন: ভালোবাসা মন দুটোই মুক্ত শুধু সঠিক মানুষ কে চিনে নিতে হয়!
সুন্দর লিখেছেন, শুভ কামনা +
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হা ভাই, মানুষ চিন্তে ভুল করলেই যতো বিপদ। সুন্দর বলেছেন।
প্রশংসা পেয়ে অনুপ্রাণিত হলাম ভাই। প্রেরণা হয়ে থাকবেন।
শুভকামনা রইল।
৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ইথারের গাথুনী এতোই যে সুক্ষ্ম তা আপনার প্রতি মন্তব্যই প্রমাণ। বন্ধু আমরা এই ব্লগ বাড়িতে যারা সবাই কিন্তু এক না এক ভাবে কাছা কাছির কেউ মননে কেউ আবার ক্ষ্যতিতে কারোর কারো হৃদয় গ্রাহি হয়ে থাকবে। আমার কাছে লেখক মানেই একটি পরিবার। যারা লিখে তারা কখনো নিজের জন্য লিখে না। চিন্তায় তারা সবাই একি মননে। এই মহৎ গুন বাহি ব্যাক্তিটিকে কোন মর্যাদার কোন আসনে বসাবো সব সময় ঠিক করতে পারিনা বলে। কখনো বড় ভাই, বন্ধু হয়তো এমন কিছু নামে মগজের এক কোনে স্মৃতি করি। হৃদয়ে সাজাই একটি ক্যাম্পাস, এখানে একেঁ থাকি আপন মনে তার রূপটি। এই হল গতিময় জীবনের গতিসরণ।
আমি জানি আপনি আমার প্রতি রাগ করতে পারেন না। বন্ধু বলেই যখন ফেলেছেন তাতো আর ফেরত নিতে পারবেন না। যতই দূরত্বে যোযন আমাদের প্রার্থক্য তা শুধুই একটি ভূগলিক জ্যামিতিক খসরা মাত্র। মনের দিক থেকে যদি ভেবে নিন এইতো এক সেকেন্টের ও হাজার ভাগের এক ভাগে হৃদয়ে যে ঝংকারটি অনুধাবিত হয় তাতেই খোঁজে পেতে পারেন। আমিও। বন্ধু এমনই হবে। আমি বন্ধ তাকে ভাবি যে সে আমার দর্পণ।
যাই হোক গল্প নিয়ে কথা হচ্ছিল, এখন এখানেই একটু যতি দিয়ে দেখি, গল্প এমনো হতে পারে, মন্তব্যর প্রয়াসটুকু।
মনে আছে, হৃদয় যখন হৃদতার তৃপ্ত হয় তখন তার আউটপুট এমনি হয় যেমন গল্পে বলে গেলেন।
নিজেকে কখনো হেরে যাওয়া সৈনিক ভেবে কষ্ট কষ্ট খেলার কোন মানে হয়না বন্ধু! চারদিক চেয়ে দেখুন আপনার প্রেজেন্ট পয়েন্ট খেয়াল করুণ দেখুনতো আপনি কোথায় দাড়িয়ে আছেন। যেখানে আপনি তার নিচে তাকান ফোকাস হবে তাদের দিকে তাদের কি অবস্থ্যা। যদি আপনার চেয়ে ওদের খারাপ মনে হয় তাদের জন্য কিছু করুণ। দেখবেন আপনি ভুলে গেছেন আপনার অথিত। ফেলে আসা সবি স্মৃতী, বর্তমানকে শুধু এনজয় করতে হবে। তবেই মুক্তি মিলবে সেখান থেকে।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৩৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর মন্তব্য করে গেছেন ভাই। অথচ আমার দেখতে কত দেরি!
আসলে আমার ওয়েব সাইটটা কেন যেন লগইন করতে পারছিলাম না। সে বিষয়ে যার কাছে হোস্টিং করিয়েছিলাম তার সাথে কথা বলে কিছুক্ষণ আগেই সেটা ঠিক হয়েছে। তারপর ফেসবুকে সময় দিতেই হলো, তাই দেরি হয়ে গেল। কিছু মনে করবেন না।
ঠিকই বলেছেন ভাই, যারা লেখে তারা এক পরিবারের মতো, আসলে তাই ভাবা উচিৎ সবার। আমি সেরকমই ভাবি। হয় তো সবার পোষ্টে যাওয়া হয় না। তবুও মন থেকে একটা টান থেকেই যায়। সবার জন্যই শুভকামনা থাকে সবসময়।
নিচের স্টেপ টিতে ভালো পরামর্শ দিয়ে গেছেন, খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভালো লাগলো ভাই। আমার স্মরণে থাকবে।
শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন সবসময়।
শুভকামনা রইল।
৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৩
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: আমার মনে হয় ভালোবাসা, প্রেম, কামনা, আকর্ষণ সব গুলিয়ে ফেলেছেন আপনি।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এখানে কোনপ্রকার কামনা থাকার কথা না, আমি সেরকম ভাবিনি। তবে ভালো লাগা, আকর্ষণ ভালোবাসা ছিল।
দোআ করবেন যেন ভালো বুঝিয়ে লিখতে পারি।
মন্তব্যে আসায় কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।
শুভকামনা সবসময়।
১০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১১
শূন্যনীড় বলেছেন:
"একরাতের সামান্য ভাবনায় মেয়েটি মনের অনেক খানি জায়গা দখল করে নিয়েছিল। মনে সামান্য দুঃখবোধ হলেও কিছু করার নেই, ভুলে যেতেই হবে। জীবন যে অতোটা যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি, আর পারবেও না। মনের ভালোবাসাটুকু আর কোথাও প্রকাশ করেনি জীবন। চুপচাপ মনের ঘরে তালা দিয়ে রেখেছিল। অনেকদিন, অনেকসময় দেখেছে সেই ছবিটি। নীরবে মনে মনে বলেছেও অনেক কিছু। সে পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।" --আমি এখানে ভালোবাসাই দেখতে পাচ্ছি। আপনি ভালোবেসেছেন, কিন্তু প্রকাশ করেননি কেবল যোগ্যতার ব্যবধানে। আপনি বুঝেছেন এই ভালোবাসা ভিত্তিহীন। তবুও ভালো তো বেসেই ছিলেন। এটাই হয়তো মনের অবাধ্যতা। মন সবসময় মুক্ত, ভালোবাসাও।
ভালো লাগলো, আপনার গল্পটা।
শুভকামনা রইল।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, মন ও ভালোবাসা সবসময় মুক্ত, কোন নিয়মে বাঁধা থাকেনা কখনো।
মন্তব্যে অনেক অনেক ভালো লাগা জানবেন। অনেক প্রেরণার।
আপনার জন্যও শুভকামনা সবসময়।
১১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৬
আরিফ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: লিখে যান এভাবেই, আপনি পারবেনই
ভালো লাগা রইল।
শুভকামনা রইল।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দোআ করবেন। ভালো লাগাটুকু প্রেরণা হয়ে থাকুক।
আপনার জন্যও শুভকামনা রইল সবসময়।
১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩২
তোমার জন্য মিনতি বলেছেন: ভালই হয়েছে, ভালো লাগলো আপনার গল্প লেখার স্টাইল। লিখে যান, হবে
শুভকামনা রইল সবসময়।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো হয়েছে জেনে ভালো লাগলো, উৎসাহিত হলাম। প্রেরণা হয়ে থাকবেন আগামীর পথে।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
১৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:০৬
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
দিনদিন লেখার মান ভালো হচ্ছে ,,,, গল্প ভালো লেগেছ ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক প্রেরণা পেলাম ভাই। প্রশংসাটুকু আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।
শুভকামনা জানবেন ভাই।
১৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মোটামুটি । আরও আবেগ দিয়ে লিখুন নয়ন ভাই তাহলে আরও ভাল হবে।
অনেক শুভ কামনা রইল।
আহমেদ জী এস ভাইয়ার সাথে সহমত।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দোআ করবেন ভাই।
জী এস ভাইয়ের সাথে আমিও একমত সবসময়। চেষ্টা থাকবে আমার।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইল মন্তব্যে।
শুভকামনা সবসময়।
১৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৭
ওমেরা বলেছেন: ভালবাসার রকমফের আপনার কাছ থেকেই শিখতে হবে ভাইয়া । লিখা ভাল লেগেছে ধন্যবাদ ভাইয়া ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হা হা হা আপু, আপনার কথা শুনে স্কুল জীবন মনে পড়লো আমার। একটা মেয়ে আমাকে প্রেমিক পুরুষ বলতো। মনে হচ্ছে ঠিকই বলেছিল সে হা হা হা।
প্রশংসা পেয়ে অনেক অনুপ্রাণিত হলাম। প্রেরণা হয়ে থাকবেন।
শুভকামনা সবসময়।
১৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:২৫
ফারজানা সুমা বলেছেন: ভালোবাসা নিয়ে আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগল
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: জীবনের বাস্তবচিত্র এগুলো, বুঝি না তার কিছুই আমি, তাই শেয়ার করে রাখার ইচ্ছে পূরণ করা মাত্র।
আপনার মন্তব্য আমার জন্য অনেকটা প্রেরণা আর উৎসাহ দিয়ে গেল, কৃতজ্ঞতা রাখছি প্রশংসায়।
দোয়া রাখবেন আপু।
শুভকামনা জানবেন সবসময়
১৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টের একেবারে শেষের কথাটা নিদারুণ সত্য।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুপ্রিয় লেখকের উপস্থিতি লেখাটিকে সার্থক করে তুলেছে, কৃতজ্ঞতা রাখছি মন্তব্যে।
দোয়া রাখবেন শ্রদ্ধেয় প্রিয় কবিবর।
শুভকামনা জানবেন, ভালোবাসা সবসময়
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
"পরনের সালোয়ার কমিজ দেখে মনে হচ্ছে অনেক ভদ্র একটি মেয়ে। যাকে দেখামাত্র চোখ বন্ধ করে বলা যায় ভালোবাসি। "
-"যাকে দেখামাত্র চোখ বন্ধ করে বলা যায় ভালোবাসি ", এটা সর্বাধিক আকর্ষণ হতে পারে, ভালোবাসা নয়; ভালোবাসা সম্পর্কে আপনার ধারণা পুরোপুরি পরিস্কার নয়; আকর্ষণ ভালোবাসার রূপ নিতে পারে!