নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সু-স্বাগতম। আপনার আগমনে ধন্য আমি। মানুষ আমি, আমাকে মানুষই ভাববেন, আমি তাই হতে চাই njnoyon.com
দেশ ভারতের কাছে বিক্রি করে দিবে আওয়ামী লীগ' এই মিথ্যে প্রোপাগান্ডা এখন আর বিশ্বাস করেনা বাংলার জনগণ। এখন আর বোকা ভাববেন না বাংলার মানুষকে। মিথ্যাচার আর প্রোপাগান্ডায় বাংলাদেশের উন্নয়ন চেপে রাখতে পারবেননা। আপনি স্বীকার না করলেও জনগণের চোখে দৃশ্যত আওয়ামী লীগ সরকারের দেশপ্রেম ও উন্নয়ন।
শুনেছি সত্তরের নির্বাচনে নির্বাচনের আগে মসজিদের ইমাম'রা নৌনায় করে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হিন্দু, ভারতের দালাল, পূর্ব বাংলাকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। সেদিনও ঠেকাতে পারেননি আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয়।
স্বাধীনতার পর থেকেও মানুষকে বিএনপি জামায়াত কর্তৃক বুঝানো হচ্ছে 'আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে'! অথচ বাংলাদেশ এখনও বাংলাদেশই আছে। তিল পরিমাণ জায়গা ছাড়েননি, বরঞ্চ বাংলাদেশের মানচিত্রে আয়তন (নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতের (পিসিএ) রায়ে বিরোধপূর্ণ সমুদ্র সীমানার ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটারের অধিকার পেয়েছে বাংলাদেশ। আর, ছিটমহলের ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর ভূখণ্ড বাংলাদেশের মালিকানাভুক্ত হয়।) বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ'ই।
আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে বাংলাদেশ বেচেনি, বরঞ্চ অধিকার আদায় করতে সফল হয়েছে, যা বিগত কোন সরকার করতে পারেনি, এই সরকার তা সুন্দর সসুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছেন, যাতে কোনপ্রকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেনি, আওয়ামী লীগের এই সফলতা কোনপ্রকার সমালোচনা ছাড়াই।
ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্য আদায় যতটুকু তার সবটুকুই আওয়ামী লীগের অবদান। বাংলার মানুষ বুঝে গেছে কে গোলামী করেছিল ভারতের।
কথায় কথায় বাংলাদেশে উন্নয়ন নিয়ে ঠাট্টাতামাসা করেন, স্বীকার করতে কষ্ট লাগে বা আপনাদের স্বভাবদোষ আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ঢেকে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করা। তবে আকাশের সূর্যকে মেঘ সাময়িক আড়াল করতে পারলেও সূর্যের আলো ঢেকে রাখতে পারেনা। তেমনি যতই ঠাট্টাতামাসা করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দেশপ্রেম দেশের উন্নয়নেই প্রকাশ পেয়ে চলছে, পাবেই।
আসেন এক নজরে দেখে নেই আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ ও জনগণের প্রাপ্ত উন্নয়নমূলক কিছু......
বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রসবকালীন মৃত্যু হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বৈশাখী ভাতা, ফেয়ার প্রাইজ কার্ড, ডিজিটাল করণ, ফাইবার অপটিকে বাংলাদেশকে যুক্তকরণ, পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভার নির্মান, মেট্রোরেলের কাজ শুরু, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মান, বিনামূল্যে বই বিতরন, উপ বৃত্তি প্রদান, স্কুল-কলেজ ও মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ, গ্রামীন রাস্তাঘাট উন্নয়ন, ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক, বিনোদন কেন্দ্র নির্মান, রাজাকারের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, মাদক ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ, জেলেদের খাদ্য সহায়তা, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, মোবাইলের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, দারিদ্র্যতার হার নিম্ন পর্যায়, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধি, জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি, শিশু মৃত্যু হার রোধ, পোষাক রপ্তানিতে বিশ্বে ২য় স্থান দখল, সমুদ্র সীমা জয়, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ বৃদ্ধি, খাদ্য উদ্বৃত, রাজস্ব বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, খেলাধুলায় উন্নতি, নারীর ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধি, ভারতের সাথে দীর্ঘ দিনের অমিমাংসিত ছিটমহল সমস্যার সমাধান, পার্বত্য শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দান, ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া, ৭ই মার্চের ভাষণ ওয়াল্ড হেরিটেজ ডকুমেন্ট রেজিস্ট্রারে স্হান পাওয়া, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রেরন, দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করা, ইত্যাদি ইত্যাদি।
এগুলো যদি আপনার কাছে দেশ জনগণের প্রাপ্য না মনে হয় তাহলে আপনি কতটুকু পুরু টিনের চশমা পড়ে আছেন তা আপনিই জানেন।
আপনাদের ভাষ্যমতে বিএনপি তো ভারতের গোলামী করেনি, তবুও ভারতের কাছে বিএনপিই বাংলাদেশের স্বার্থ ছেড়েছে বহুবার, তার মধ্যে একটা বলি, জাপানি গাড়ি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ছিল কেবল মাত্র ভারতের সুজুকি মারুতি নামের সস্তা মানের গাড়ির এদেশে এক চেটিয়া মার্কেট পাইয়ে দেয়ার জন্যই, আর ফাইবার অপটিক সংযুক্তির অফার ফেরত দিয়ে ভারতকে পাইয়ে দেয়ার কথা তো আপনার জানার বাহিরে থাকার কথা নয়। এছাড়াও টাটা কোম্পানির জন্য ১০% রাষ্ট্রীয় শেয়ার নিজের বন্ধুর কোম্পানির নামে দাবী করার কথাও এখন জনগণ জেনে গেছে। গ্যাস দেয়ার চুক্তি করে ক্ষমতা বহাল রাখার কথাও চাপা নেই ভাইজান।
'হাওয়া ভবন' নামে দ্বিতীয় '১০% সংসদ'-এর কথা চেপে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন, জনগণ সব জেনে গেছে।
বলবেন তিস্তা পানি চুক্তির বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ? এই ব্যর্থতা কিন্তু বিএনপি জাতীয় পার্টিরও। এটা ভারতের একান্তই নিজস্বতা, তাদের স্বার্থ তারা ছাড়বে কেন? তবুও জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক চেষ্টা করেছেন/ করছেন, এটাতেও সফল হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এই তিস্তাচুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করতে ভারত সফরে গিয়ে দেশে ফিরে বলেছেন, 'ও হ! মনেই ছিল না তিস্তা পানি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করার'!! হা হা হা আমাদের দুর্ভাগ্য এমন একজন নেত্রী এদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
হিংসা প্রতিহিংসা ছেড়ে, দেশের জন্য রাজনীতি করেন, দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করেন, জনগণ ঠিকই খুঁজে নিবে আপনাদের। মিথ্যা আর ভুল প্রচার করে বর্তমান জনগণকে আর বোকা বানাতে পারবেননা ভাই, বর্তমান জনগণ ঠিকই বুঝে কাদের মাধ্যমে দেশ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব। আপনি স্বীকার না করলেও বিশ্ববাসী ঠিকই দেখছেন, বুঝছেন।
আসুন, দলমত নির্বিশেষ আমরা দেশকে ভালোবাসী, দেশের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের চিন্তা করি, গড়ে তুলি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
আমি গর্বিত আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থক
আমি গর্বিত আমি মুসলমান, আমি গর্বিত আমি বাঙালি, আমি গর্ববোধ করি আমি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলাম।
আমার হৃদয়ের বিনম্র শ্রদ্ধা-ভক্তি দিয়ে স্বরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'কে, যিনি আমাকে মুক্ত স্বাধীনভাবে চলার যোগ্যতা অর্জন করে দিয়ে গেছেন, যার জন্ম হয়েছিল বলেই বাঙালি জাতি পেয়েছিল শোষনের হাত থেকে মুক্তি, যিনি উপহার দিয়ে গেছেন মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ। ইতিহাসের মহানায়ক, মুক্তি স্বাধীনতা যুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা মহান শেখ মুজিবুর রহমান, এই অভিনব ইস্পাত সমান দৃঢ চিত্তের মানুষটি আমাকে সদাই ভাবিয়েছে- তার আদর্শ আমাকে শিখিয়েছে দেশ প্রেম, নেতৃত্ব ও বাঙ্গালীর চেতনা। তাকে তো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রেখে যাবো আমার হৃদয়ের জায়নামাজে।
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বাংলার আকাশ থেকে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। সেই সূর্য উদিত করতে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়মী লীগের জন্ম। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবের ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির ও দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠতার সহিত নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে।
'৪৯ সালে জন্মের পর আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীরা কারনে-অকারনে কারাবরণ করেছে, অত্যাচার নির্যাতনে অনেকে পরপারের বাসিন্দা হয়েছেন। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে আসছেন। বঙ্গবন্ধু তথা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বোভৌমত্বের দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
৫২ এর ভাষা আন্দোলন, '৫৪ তে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, '৬৬-এর ছয় দফাসহ প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামী লীগ অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাঙালি জাতির অর্জনের ইতিহাস, ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস।
যে মহান নেতার জন্য আমরা বাঙালি জাতি এত কিছু পেয়েছি, যেই মানুষটি দেশের মানুষকে ভালবেসে সারাটি জীবন সবকিছু বিসর্জন দিলেন তাকে আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে, বাংলাদেশি হিসেবে কি দিতে পেরেছি? শুধুই লাঞ্ছনা। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শেখ মুজিব হয়ে যায় রাজাকার আর বাঙালি জাতির কলঙ্ক বাংলাদেশের জাতীয় বেঈমান জিয়াউর রহমান হয়ে যায় স্বাধীনতার ঘোষক, শেখ মুজিবের ছবির জায়গাতে উঠে আসে জিয়ার ছবি। এই কি তাহলে আমাদের প্রতিদান?
আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের প্রাচীনতম দল গুলোর মধ্যে একটি। জাতির পিতাকে হত্যার পর ইয়াহিয়া ইস্টাইলে আওয়ামী লীগ নিধন শুরু করেছিল মেজর জিয়া! শত প্রতিকূলতার মাঝেও আওয়ামী লীগ টিকে আছে, থাকবে। কোন জঙ্গি নেত্রীর জঙ্গিবাদকে আওয়ামী লীগ ভয় করে না। বঙ্গবন্ধুর মত মহান ব্যক্তিত্বের আদর্শের উপর ভিত্তি করে যে দল প্রতিষ্ঠিত সে দলকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাছ্ছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশপ্রেমী নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে দেশের উন্নয়নে আদর্শ, নীতি, অসাম্প্রদায়িকতা, ভবিষ্যৎ দৃষ্টি, দেশ ও জনগণের প্রতি মমত্ববোধ, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকার, সার্বোভৌমত্বের প্রশ্নে অটল অবস্থান এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া ও নিম্নআয়ের বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাছ্ছেন। আজ বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে সয়ংসম্পন্ন, বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও তার আইটি উপদেষ্টা সুপুত্র দেশের ভবিষ্যৎ সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়ক সজীব ওয়াজেদ জয়'এর হাত ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
তাই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে, জননেত্রী শেখ হাসিনা'র হাতকে আরও শক্তিশালী করতে 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ'-এর সাথেই থাকুন।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। জয় হোক এদেশের গরীব-দুঃখী মেহনতি মানুষের। পরিবর্তনের অগ্রদূত ডিজিটাল ও স্বাবলম্বী বাংলাদেশের রূপকার দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা'র হাত ধরেই বিশ্ব-দরবারে বাঙালি মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।
[কাউকে কষ্ট দিতে নয়, আমার ব্যক্তিগত মতামত তোলে ধরার চেষ্টা করেছি, ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া আপনার দায়িত্ব ]
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৫৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সাধারণ জনগণ বর্তমানকাল বিগত একশ বছরের মধ্যে ভালো কাটাচ্ছে।
দুর্নীতি আমাদের দেশের প্রতিটি সেক্টরে, যেকোনো সরকার অপেক্ষা বর্তমান সরকার দুর্নীতি অনেকটা কমিয়েছে, আমার বিশ্বাস কোনএকদিন আমাদের দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে। আমরা যদি দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়তে পারি তবেই জনগণ তাদের আসল মর্যাদা আর অধিকার ফিরে পাবেন। প্রথমে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য দরকার।(আমার ব্যক্তিগত মতামত)
২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৩৯
খনাই বলেছেন: প্রিয় কবি,
"মিথ্যাচারে আ'লীগের দেশপ্রেম ও উন্নয়ন ঢেকে রাখা সম্ভব নয়" দেশের মানুষ এটা বিশ্বাস করে কি না প্রশ্ন কিন্তু সেটা নয়, প্রশ্ন হলো প্রধানমন্ত্রী,তার দল ও তার সমর্থকরাও আপনার হেডিংটা সত্যিকার অর্থেই বিশ্বাস করেন কি না ? যদি বিশ্বাস করেন তাহলে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে সেটা যাঁচাই করার সাহস তারা দেখতে পারছেন না কেন ?
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:১৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: নির্বাচন সংবিধান মোতাবেকই হবে, দরকার স্বচ্ছ নির্বাচন।
তবে বর্তমান জনগণ অনেক সচেতন মনে হয় আমার কাছে, তারা নিশ্চয় বুঝে গেছেন বর্তমান সরকারের পক্ষেই সম্ভব দেশ ও জনগণের জীবনযাত্রা'র মান উন্নয়ন।
আপনারা কিন্তু অবৈধ নির্বচনও করেছিলেন, নির্দলীয় নির্বাচন আওয়ামী লীগ আন্দোলন করে নিয়েছিল আপনাদের কাছ থেকে, সেটা বৈধ ছিল, কিন্তু এখন সেটা অবৈধ।
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
@খনাই,
আপনি বলেছেন, "প্রশ্ন হলো প্রধানমন্ত্রী,তার দল ও তার সমর্থকরাও আপনার হেডিংটা সত্যিকার অর্থেই বিশ্বাস করেন কি না ? যদি বিশ্বাস করেন তাহলে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে সেটা যাঁচাই করার সাহস তারা দেখতে পারছেন না কেন ? "
-এখন পুরপুরি "নিরপেক্ষ" নির্বাচন দিলে, শেখ হাসিনার দল জিতবে; তবে, শেখ হাসিনা এটা পুরোপুরি বিশ্বাস করেন না। আপনি যদি উনাকে ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা দেন যে, উনি বিরোধীদলে থাকলে আপনার লোকেরা উনার উপর গ্রেনেড মারবে না, উনি নিশ্চয় রিস্ক নেবেন, মনে হয়।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:২০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনি সবসময় অকপটচিত্তে সত্য প্রকাশ করেন, সেজন্য আপনার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখি সবসময়।
উত্তরটি খনাই ভাই নিজেই দিয়ে যাবেন হয়তো
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৫২
খনাই বলেছেন: প্রিয় কবি,
প্রেমের কবিতার কবির কাছ থেকে দলীয় ধাঁচের উত্তরটা পেয়ে খুব কষ্ট পেয়েছি I একটা একাডেমিক ডিসকাশন মনে করেই আমি প্রশ্নটা করেছিলাম I আগে কি হয়েছে সেটা মনে করে যদি সত্যিকার গণতন্ত্রের কাঠামো তৈরির চেষ্টা কেউ না করে তাহলে সবাইতো স্বৈরাচারী হবে গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে তাই না ? অন্যরা অধম বলে আপনি উত্তম হবার চেষ্টা করবেন না? যদি না করেন তাহলে অধমের সাথেতো আর আপনার পার্থক্য থাকে না I আর আরেকটা কথা আপনার উত্তরের মধ্যে স্ববিরোধিতা আছে কিন্তু I দুর্জনের ছলের অভাব হয় না I এই কথাটা কিন্তু আমাদের সব সরকারের ব্যাপারেই প্রযোজ্য I এই অসংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে কথাটাই কিন্তু ছলনাময় তাই না ? একটা নোংরা প্লেটে ভালো খাবার খেলেও আপনার কিন্তু আমাশয় হতে পারে I এই কথাটাও তেমন আর কি, একটা অগণতান্ত্রিক সংবিধানের আওয়তায় আপনি কখনো স্বচ্ছ নির্বাচন আশা করতে পারেন না,ওটা অগণতান্ত্রিকই হবে I এখন প্রশ্ন হলো, অনির্বাচিত ১৫০-৬০ জন এমপি নিয়ে গঠিত সংসদের সংবিধানিক সংশোধনগুলোকে আপনি বৈধ মনে করবেন কি না ? যদি করেন তাহলে আপনার স্বচ্ছ নির্বাচনের আশা ঠিক আছে I আমি খানিকটা সন্দেহবাদী মনে হয় এব্যাপারে I যাক আমার কথা এখানেই শেষ I
@ চাঁদগাজী, আপনার মন্তব্যে সত্যি মিথ্যে দুটোই আছে | প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন না উনি জিতবেন নিরপেক্ষ নির্বাচনে এটা সত্যি I বিশ্বাস করলে উনি নির্বাচনটা দিয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দিতেন সেটা, শুধু ভারত না দৌড়ে I আর মিথ্যেটা হলো জীবনের নিরাপত্তা পেলে উনি নিরপেক্ষ নির্বাচনে দিতেন I আমার ধারণা কোনো কারণেই প্রধানমন্ত্রী নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন শুধু সামনেই না কখনোই দিতে পারবেন না I নিরপেক্ষ নির্বাচনে তার দল ও তার নিজের হারার ব্যাপারগুলোকে উনি কখনো গণতান্ত্রিক মনোভাবের সাথে নিতে পারেন নি I তাই আমার মনে হয় গণতন্ত্র, স্বচ্ছ নির্বাচন এসবের ব্যাপারে উনার কোনো আগ্রহ নেই |
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দুঃখিত @খনাই ভাই, আপনাকে কষ্ট দেয়ার উদ্দেশ্য আমার ছিল না, নেই। আমি কথান প্রেক্ষিত কথা বলেছি।
এদেশে অনেক রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত, এদের মধ্যে একদল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেই যে গণতন্ত্র নেই তা আমি মানতে রাজি নই। স্বচ্ছ নির্বাচন হচ্ছে তার প্রমাণ সিটি নির্বাচন। যদি কারচুপি বা একদলীয় নির্বাচন হতো তাহলো প্রায় সমান সমান ভোট পেতো না। একন জিততে নারপারলেই একদলীয় নির্বাচন বলে দোষারোপ করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারেনা। আপনি কর্মীর পিঠে চেপে নিজের পা না ভিজিয়ে ভোটারের কাছে ভোট চাইবেন আর সেই ভোটা এসব দেখে ভোট দিবে এতটা বোকা ভোটার এখন বর্তমানে নাই, অনেক সচেতন বর্তমান জনগণনা, তারা বুঝে কোস দলে দেশ জনগণের কথা বলে।
গাজী ভাইয়ের কথা যুক্তিহীন মনে করার কোন যৌক্তিকতা নেই আমার কাছে।
আপনি ভাবুন, বিএনপি নেত্রীর উপর কেন এযাবতকালে কোন হামলা হঢ না? অথচ শেখ হাসিনার জীবন কেড়ে নিতে বিশবার আত্মঘাতি হামলা গুলি গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে। আল্লাহ্'র অশেষ রহমত আর জনগোষ্ঠীর আন্তরিক দোআ বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছেন দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
নিরপেক্ষ নির্বাচন বলতে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া না ভাই,
৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:২৮
জগতারন বলেছেন:
কোন রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র বা প্রচার সম্পাদক ???
অথবা নিলজ্জ হায়ার সংকটে ভোগা রুগী ????
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভুল বললেন, আমি কোন রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র বা প্রচার সম্পাদক নই। আমি সত্যের পক্ষে, কারণ কোন একদিন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম নিজের এলাকার। দেশটাকে ভালোবাসি, দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের স্বপ্ন দেখি। আর আমার এই ছোট্টখাট্টো জীবনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দেখেছি খুব ভালোভাবে অনুভব করেছি, আর এই সিদ্ধান্তে নিজেকে স্থির করেছি যে, আমার দেশ ও জনগণের ভাগ্যোদয় একমাত্র আওয়ামী লীগের পক্ষেই সম্ভব।
আপনি বিগত একটা সরকারের দেশ জনগণের ভাগ্য ইন্নয়নমূলক কিছু কাজ দেখান, আর আমি অনেক দেখাতে পারবো আওয়ামী লীগের। গায়ের জোড়ে সবকিছু চলে না ভাই, জনগণ সব বুঝতে শিখেছে, তারা যোগ্য দল ঠিকই বেছে নিবে বারবার।
বাংলার জয় ঠেকাতে পারবেনা দেশবিরোধী চক্র
৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৬:৫৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: মানুষ যেদিন কোটার সংস্কারের আন্দোলনের জন্য রাস্তায় নেমে হাতুরীপেটা হবে না, যেদিন সড়ক দুর্ঘটনার খবরে মন্ত্রী ফ্যালফ্যাল করে হেঁসে ভারতের ইতিহাস গাইতে লজ্জা বোধ করবেন, যেদিন তনু থেকে শুরু করে কৃত্তিকাসহ সকলের প্রতি নৃশংসতার বিচার হবে। প্রতিহিংসার অপরাজনীতি বন্ধ হবে, মানুষ শান্তিতে ঘুমোতে পারবে- সেদিন প্রমাণ হবে আ'লীগের দেশপ্রেম ও উন্নয়ন।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কোটা সংস্কারের নামে রাজকার জঙ্গি দেশবিরোধী ভাতিজি ছেলেপেলে নেতৃত্বে থাকলে বাংলার মানুষ সহ্য করবে কেন? কোটা সংস্কারের নামে রাজকার দের এই দেশে প্রতিষ্ঠা করার চিন্তাভাবনা করলে প্রতিরোধ নিশ্চিত হবে। কোটা সংস্কারের নামে বাংলার সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানকর ঠাট্টাতামাসা বরদাশত হবার যোগ্য নহে।
হ্যা প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার, ছাত্রীর মৃত্যুতে হেসে উঠা অকৃতজ্ঞ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবী আমারও। তাইবলে সবাইকে এক করে দেখার কোন যৌক্তিকতা নাই।
জনগণ শান্তিতে ঘুমাক সেটা আমারও কাম্য, এবং বিশ্বাস তা আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষেই সম্ভব। কারণ, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালিন জঙ্গি আর দেশের শত্রু জামাত শিবিরের পুনর্বাসন করা ছাড়া সাধারণ মানুষের শান্তি নিয়ে ভেবেছেন বলে কোন নজির দেখাতে পারবেননা।
দেশ ও দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আওয়ামী লীগই উত্তম, আপনি না মানলেও জনগণ এখন বুঝে গেছেন, বিশ্ববাসী অনুভব করছেন বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রাপথ কতটা দৃঢ়ভাবে পরিচালিত হচ্ছে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতধরে।
বাংলার জয় হবেই হবে, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র যতই মহান স্বাধীনতাকে ব্যর্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করুক, বাংলাদেশকে আর দাবায়ে রাখা সম্ভব হবে না।
৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
@খনাই,
আপনি বলেছেন, " আর মিথ্যেটা হলো জীবনের নিরাপত্তা পেলে উনি নিরপেক্ষ নির্বাচনে দিতেন I আমার ধারণা কোনো কারণেই প্রধানমন্ত্রী নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন শুধু সামনেই না কখনোই দিতে পারবেন না I নিরপেক্ষ নির্বাচনে তার দল ও তার নিজের হারার ব্যাপারগুলোকে উনি কখনো গণতান্ত্রিক মনোভাবের সাথে নিতে পারেন নি I তাই আমার মনে হয় গণতন্ত্র, স্বচ্ছ নির্বাচন এসবের ব্যাপারে উনার কোনো আগ্রহ নেই | "
-উনার বর্তমান শক্ত অবস্হানে, বিএনপি'কে উনি কোন অবস্হায় ক্ষমতায় যেতে দিবেন না; কারণ, ইহাতে উনার বাবা ও পরিবার হত্যার স্মৃতি জড়িত। উচিত ছিলো, বিএনপি'কে বিলুপ্ত করে একটা সঠিক নির্বাচন দেয়া। বিএনপি;তে নতুন নবী আসলেও উনি উহাকে বিশ্বাস করবেন না
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর সত্য প্রকাশ করেছেন শ্রদ্ধেয়, বিএনপি নামক বন্দুকের নল ঠেকিয়ে দেশ পরিচালনা করা কোন রাজনৈতিক দল বাংলার জমিন থেকে বিদায় হবে এটাই স্বাভাবিক।
আফসোস লাগে একজন সন্ত্রাসী গডফাদার পাকিস্তানি জঙ্গিকে এদেশের কিছু আবাল জনতা দেশনায়ক বলে, দুঃখ হয় এদের বোধবিচার দেখে, মনে প্রশ্ন জাগে এরা কি আসলে বাংলাদেশকে ভালোবাসে ? শুধুমাত্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য মানুষ কতটা বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে দেশ-জনগণের সাথে তা এইসব ছাগলমার্কা সমর্থক দেখেই অনেকট বুঝা সম্ভব।
ধন্যবাদ, সত্য কথা অকপটে বলে যাওয়ার জন্য
৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৫৫
স্রাঞ্জি সে বলেছেন: কর বাড়িয়ে ভাতা প্রদান। তাহা উন্নয়ন।
এইসব ভাবতেও গা ঘিনঘিন করে।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কর বাড়িয়ে ভাতা প্রদানে গা ঘিনঘিন করে ভাই, আবার জনগণের প্রতি মায়া মমতার কোন কমতি নেই! অবাক হয়ে যাই আপনাদের মতো দেশপ্রেমী দেখে। শুধু ভাতা প্রদান ইন্নয়ন নয়, এর বাহিরেও আওয়ামী সরকারের অনেক ক্ষেত্রে উন্নয়নে ছাপ আছে, সেগুলো দেখবেন, কিছুটা শান্তি পাবেন যদি দেশপ্রেমী হয়ে থাকেন।
প্রথম ক্ষমতায় এসে আওয়ামী সরকারের সফলতা দেখবেন, আর মিলিয়ে নিবেন অন্যান্য দল গুলোর সাথে।
আসেন দেখি প্রথম আওয়ামী সরকারের দেশপ্রেম ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত রূপ কি ছিল.......
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্য(১৯৯৬-২০০১)
সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করা সত্ত্বেও উন্নয়ন, অগ্রগতি, স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার বৃহত্তর লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার প্রতিষ্ঠা।
জাতীয় পার্টি, জাসদ (রব) এবং পরবর্তীতে বিএনপির দুই সদস্যের মন্ত্রিসভায় যোগদান।
কেবল বাংলাদেশই নয়, উপমহাদেশের ইতিহাসে জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের নজির এই প্রথম।
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের মতো নির্দলীয় ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে জাতীয় ঐক্যের পথে আরও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন। সংসদকে অধিকতর কার্যকর করে তোলার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান পদে মন্ত্রীর বদলে সংসদ সদস্যদের (বিরোধী দলেরসহ) নিয়োগ দান। রুলস অব বিজনেস প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের এখতিয়ার সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।
কুখ্যাত কালো আইন ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিলের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করা এবং আমাদের সংবিধানের পবিত্রতা পুনরুদ্ধার।
দীর্ঘ ২৩ বছর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সদস্যদের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা হয়।
আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণের মাত্র ছয় মাসের মধ্যে, ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সাথে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টনে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি সম্পাদন করতে সক্ষম হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে দীর্ঘ দুই দশক ধরে বিরাজ করছিল হানাহানি ও সংঘাত। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর জননেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে শান্তি বাহিনীর নেতা সন্তু লারমা শান্তিচুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরের মাধ্যমে সংঘাতের অবসান ঘোষণা করেন।
১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ির স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ‘শান্তিবাহিনী’ প্রধান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র সমর্পণ করেন। সেই সাথে ওই বাহিনীর প্রায় ২ হাজার সশস্ত্র সদস্যও গোপন অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসে অস্ত্র সমর্পণ করে ফিরে যান স্বাভাবিক জীবনে।
একই সময়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী প্রায় ৬৫ হাজার চাকমা শরণার্থী মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন।
১৯৯৭ সালের উপকূলীয় ঘূর্ণিঝড়, ১৯৯৮ সালের শতাব্দীর প্রলয়ঙ্করী বন্যা এবং ২০০০ সালে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১১টি জেলায় ৫০ বছরের মধ্যে প্রথম আকস্মিক ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য দেশবাসী ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের বিপুল প্রশংসা অর্জন করে।
১৯৯৮ সালে দেশের ৫৩টি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিধ্বংসী বন্যায় ২ কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে বলে বিরোধী দল যে প্রচার করেছিল, তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
একজন মানুষও খাদ্যের অভাবে মারা যায়নি।
শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই দেশ সর্বপ্রথম খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জন করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের দুই বছর আগেই খাদ্যে বিএনপি আমলের ৪০ লাখ টন ঘাটতি পূরণ করে স্বয়ম্ভরতা অর্জন এবং ২ কোটি ৭০ লাখ মেট্রিক টনের রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন আওয়ামী লীগ সরকারের একটি যুগান্তকারী সাফল্য।
২৫ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত খাদ্য উৎপাদন করে আওয়ামী লীগ সরকার দেশবাসীর জন্য গড়ে তুলেছে একটি নির্ভরযোগ্য খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিকাশে আন্তরিক ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ। দীর্ঘ ২১ বছরের ইতিহাস বিকৃতির অবসান। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞানদানের উদ্যোগ গ্রহণ। অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে তাদের সন্তানদের জন্য চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ৩০০ টাকা হারে সম্মানী-ভাতা প্রদান, মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন বা সৎকার এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তন স্থাপন ও স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভ নির্মাণসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতি সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বরে ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ সম্মেলনে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে বাঙালি জাতির গর্ব ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করে। বিগত কোন সরকার তার জন্য কোনপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহন না করাই দেশপ্রেম এর প্রশ্ন আসে।
নারীর অধিকার, মর্যাদা ও ক্ষমতায়নে আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালের ৮ মার্চ নারী উন্নয়ন নীতিমালা ঘোষণা করে। ব্যবস্থা করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচনের।
২১ বছরের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগ পাঁচ বছরের শাসনামলে গড়ে সর্বোচ্চ প্রায় ৬ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। মাথাপিছু আয় ২৮০ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৩৮৬ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনসংখ্যার হার কমে আসে। অনুচ্চ দারিদ্র্য সূচক বিএনপি আমলের ৪৭.২ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪ শতাংশ। গড় আয়ু ৫৮.৭ থেকে ৬১.৮ বছরে উন্নীত হয়।
শিল্প-বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। স্থাপিত হয় ১ লাখ ৬ হাজার ৭৭৭টি ছোট-বড় শিল্প-কারখানা। এতে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
বিশ্বের ১১তম বৃহত্তম দীর্ঘ সেতু বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়।
নির্মিত হয় ধলেশ্বরী ১ ও ২ নম্বর সেতু, পঞ্চগড়ে করতোয়া সেতু ও বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুসহ অসংখ্য ছোট-বড় সেতু। এ ছাড়া রূপসা ব্রিজ, পাকশীতে এম মনসুর আলী সেতু ও ভৈরবের কাছে মেঘনা নদীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু, কুড়িগ্রামে ধরলা সেতু, বরিশালে দোয়ারিক-শিকারপুর সেতুসহ আরও বড় বড় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। নির্মিত হয়েছে মাঝারি ও ছোট-বড় অসংখ্য সেতু। পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। জাপানি সহায়তায় শুরু হয়েছিল সমীক্ষার কাজ।
আওয়ামী লীগের পাঁচ বছরের শাসনামলে নতুন ১৫ হাজার ৯২৮ কিলোমিটার পাকা রাস্তা, ৩৫ হাজার ৮০২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ও ১৯ হাজার পুল ও কালভার্ট এবং ২ হাজার ৪০১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়।
বিদ্যুৎ উৎপাদন বিএনপি আমলের ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থাৎ, ৩৮০৩ মেগাওয়াট উন্নীত হয়।
গ্যাস উত্তোলন বিএনপি আমলের ৭০ কোটি থেকে বেড়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৩০ কোটি ঘনফুট ছাড়িয়ে যায়।
টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার এক বিপ্লবের সূচনা করে। মোবাইল ফোনের দাম ১ লাখ থেকে ৫-৬ হাজার টাকায় নামিয়ে আনা হয়। ফলে মোবাইল টেলিফোন গ্রাহকের সংখ্যা বিএনপি আমলের ২১ হাজার থেকে বেড়ে আড়াই লাখ ছাড়িয়ে যায়।কম্পিউটার আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়।
একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রণীত হয়। শিক্ষা খাতে দেওয়া হয় সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ। সাক্ষরতার হার বিএনপি আমলের ৪৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৫ শতাংশে দাঁড়ায়।
দেশে সেই প্রথম একটি চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়, দুটি নতুন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, দুটি নতুন সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, একটি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, ৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিপুল সংখ্যক নতুন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদ্রাসা স্থাপন করা হয়।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগই প্রথম দেশে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়।
স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে দেশে প্রথম জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি প্রণীত হয়। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি করে ১৮ হাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করার কাজ হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। দেশের হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা আগের চেয়ে ৭ হাজার বৃদ্ধি করা হয়। প্রতিষ্ঠা করা হয় কিডনি, ক্যানসার ও নিউরোলজিসহ বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট।
দারিদ্র্য বিমোচন ও দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের মধ্যে সর্বপ্রথম বয়োজ্যেষ্ঠ সমসংখ্যক (প্রতি ইউনিয়নে ৯০ জন) দুস্থ মহিলা ও পুরুষের জন্য মাসিক ‘বয়স্ক ভাতা’ এবং বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা ভাতা স্কিম চালু করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ছিন্নমূল মানুষদের আবাস ও কর্মসংস্থানের জন্য গৃহীত আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ পর্যন্ত ৩৩ হাজার পরিবারের ২ লাখ মানুষ পুনর্বাসিত হয়। ‘আদর্শ গ্রামে’ পুনর্বাসিত করা হয়েছে ৪৫ হাজার ছিন্নমূল পরিবারকে।
এ ছাড়া বস্তিবাসীদের গ্রামে পুনর্বাসনের জন্য ‘ঘরে ফেরা’ কর্মসূচি, অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের থাকার জন্য ‘শান্তি নিবাস’ এবং গৃহায়ন তহবিল থেকে দেশের ইতিহাসে এই প্রথম গ্রামীণ দরিদ্রদের জন্য গৃহ নির্মাণ ঋণদান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া দারিদ্র্য নিরসন ও প্রতিটি বাড়িকে স্বয়ম্ভর অর্থনৈতিক ইউনিটে পরিণত করার লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে গ্রহণ করা হয় ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই প্রথম বন্যা-ঝড়-জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়, প্রতিবছর ফসল ওঠার আগে এবং প্রতি ঈদ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের উৎসবের সময় লাখ লাখ দরিদ্র পরিবারকে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে খাদ্য সাহায্য দেওয়া হয়।
শ্রমিক-কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন কর্তৃক প্রণীত শ্রমিকদের নির্দিষ্টিতম মজুরির সুপারিশ বাস্তবায়িত করা হয়।
নির্বাচনী ওয়াদা অনুযায়ী একটি গণতান্ত্রিক ‘শ্রমনীতি’ প্রণয়ন করা হয়। ১১টি রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-কারখানার মালিকানা ও পরিচালনার দায়িত্বভার সংশ্লিষ্ট শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সেই প্রথম মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য একটি স্বতন্ত্র ‘কল্যাণ ট্রাস্ট’ গঠন করা হয়েছে।
মাতৃভাষার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ভাষায় পারদর্শিতা অর্জনে ২০০১ সালের মার্চে ঢাকায় স্থাপিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট।
শিল্পী-সাহিত্যিকদের কল্যাণে গঠন করা হয় শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট।
বাংলাদেশ ক্রিকেট টেস্ট মর্যাদা লাভ করে।
সার্ক ফুটবলে সোনা জয়সহ অন্যান্য খেলাধুলার ক্ষেত্রেও সাধিত হয়েছে আশাপ্রদ অগ্রগতি।
দেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বিগত নির্বাচনে দেওয়া আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার ও কর্মসূচি দেশকে বিশ্বসভায় অধিষ্ঠিত করে এক গৌরবের আসনে।
প্রতিবেশী ভারতের সাথে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন, দুটি দেশের মধ্যে সরাসরি বাস সার্ভিস ও ট্রেন যোগাযোগ চালুসহ অন্যান্য অমীমাংসিত সমস্যার সমাধানে অর্জিত হয়।
সার্কভুক্ত অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ এবং মিয়ানমারের সাথে সৎ প্রতিবেশীসুলভ বহুমুখী সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ত্রি-দেশীয় বাণিজ্যিক শীর্ষ সম্মেলন, ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন এবং এশিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান সংসদের প্রথম সম্মেলন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা ফাও-এর সেরেস পদক লাভ এবং ২০০০ সালের এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বের স্বীকৃতি অর্জন করেন।(উত্তরণ)
বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ চালায় ২০০১ সালে বিএনপি সরকার। রাজনৈতিকভাবে কোমায় চলে যাওয়া দুর্নীতির অতলে ডুবে যাওয়া বিএনপি বিরোধী দলীয় নেত্রীসহ সকল নেতাকর্মীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড গুলি চালিয়ে বিশ্বের বুকে কলঙ্কিত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ইতিহাস স্থাপন করেন বিএনপি জামাত জোট সরকার। গণতন্ত্রকে জীবন্ত দাফন করেছিল তৎকালিন বিএনপি জামাত সরকার। লজ্জা, বাংলাদেশি হিসেবে লজ্জা সকল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের জন্যও। সেই আপনাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না ভাই।
৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪০
ডট কম ০০৯ বলেছেন: এত উন্নয়ন কি বাইশ ক্যারেট নাকি আঠারো ক্যারেট?
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বাইশ ক্যারেট বাইশ ক্যারেটেই আছে, আঠারো ক্যারেট আঠারোর জাগায়, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছেন সোনা ঠিকই আছে জায়গামত, সোনা কোনপ্রকার নড়চড় হয়নি। আমরা কেবল প্রথম আলুর সোনা গায়েব নিয়েই আশংকিত হয়ে সোনা খুঁজছি।
বিগত শোয়া তিনবারের সরকারের কিছু ভালো দিক উল্লেখ করে দেখান, যা জনকল্যাণকর ছিল? ৫০০ ব্রিপক্যাস সৌদি নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও কিছু জানাবেন যদি জানা থাকে।
১০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪১
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: উন্নয়নের আগে প্রয়োজন সুশাসন। সুশাসন না থাকলে সেই দেশে উন্নয়নের কোন দাম নাই।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: একদম সত্য কথা, আমার মনে চাওয়া এটা। স্বাধীনতার এতবছর পর এদেশের নামদারী মেধাহীন মেধাবী নেতৃত্বাধীন সজ্ঞানে সগৌরবে 'রাজাকার' লিখে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার দুঃসাহস দেখাতে পারার মাঝে প্রমাণ হয় আইনের শাসন দুর্বল অনেকটাই।
আমাদের বৈষম্যবিহীন সমাজব্যবস্থা, টেকসই উন্নয়ন পেতে দুর্নীতিমুক্ত দেশ চাই, প্রতীক্ষিত এর জন্য।
আমাদের দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার জন্য জাতীয় ঐক্য দরকার।
১১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার যাবতীয় অর্জন-উন্নয়ন ধুলায় ধুসরিত হয়ে যাচ্ছে কতিপয় এমপি, মন্ত্রী, ছাত্র লীগ, যুব লীগ, হাইব্রিড লীগারদের কারণে।
আপনি সতর্ক ও কঠিন হোন।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: একদম উচিৎ ও সত্য কথা বলে গেছেন ভাই, গ্রেট মন্তব্য। হাইব্রীড লীগারদের কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ফ্যাকাসে হয়ে যাচচ্ছে। মোশতাক মীরজাফর দেশবিরোধী কুত্তারা আবারো ঘ্রাস করতে চাইছে আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।
ধন্যবাদ ভাই সাবধানতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য।
১২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৯
চোরাবালি- বলেছেন: উন্নয়নের ঠেলায় ৫মিনিটের রাস্তা ৩০মিনিট লাগে তাও কেও আসতে চায় না। সর্বশেষ কতদিন আগে টঙ্গী গাজিপুর রাস্তায় ভ্রমণ করেছেন??
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: রাস্তাঘাট প্রশস্ত করা হয়েছে, জ্যাম নিরসনে ফ্লাইওভার ব্রীজ তৈরিকরা হয়েছে, তবুও যানজট লেগেই আছে।
আমরা দয়াশীল জনগণ, অটোরিকশা, সিএনজি রিক্সা ছোট ছোট যানবাহনই জ্যাম সৃষ্টকারী, এগুলোর নির্দিষ্ট সাইট থাকার পরও রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলবে, জ্যাম সৃষ্টি হবে, এটাও সরকারের দোষ, এখন এদের যদি নিষিদ্ধ করা হয় হাইওয়ে রোডে তখনও দেখবেন আমাদের দয়ামায়া সব গালি হয়ে সরকারের দিকেই যাবে। সরকার বিপাকেই পড়েছে। আসলে জনগণের কোন দায়িত্বই নাই!! এখন তিন তলা রাস্তার প্রয়োজন।
যানজট আগেও ছিল ভাই, হয়তো কম ছিল, তবে ছিল, এখন গাড়ি বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপকভাবে। রাজধানী শহরে গাড়ি ব্যবহারের উপর নিয়মনীতি প্রয়োগ সময়ের দাবী হয়ে দাড়িয়েছে।
১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩
ক্স বলেছেন: দেশটাকে ভারতের কাছে বিক্রি করতে বাকি কি আছে?
- দেশের পররাষ্ট্রনীতি পুরোপুরি ভারত নির্ভর
- যেকোন নির্বাচনের আগেই ভারতের উচ্চপর্যায়ের কেউ এসে ধমকা ধমকী দিয়ে যান
- দেশের বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সিইও পোস্টগুলো ভারতীয়দের দখলে
- দেশী কোম্পানিগুলোর বড় বড় পোস্টগুলোও ভারতীয়েরা দখল করে আছে
- বাংলাদেশের সেনা ও সীমান্ত রক্ষীদেরকে ট্রেনিঙয়ের জন্য শত্রুদেশ ভারতে পাঠানো হচ্ছে
- বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি ইতিহাসের সমস্ত রেকর্ড ছাড়িয়েছে
ভারত এমনিতেই জনসংখ্যার ভারে জর্জরিত হয়ে আছে, তার উপর ১৭ কোটি মানুষের দেশ দখল করে আলগা বোঝা ঘাড়ে নেবার ঝুঁকি সে নেবেনা, তাই বাইরে থেকে দেশটাকে চুষে খাবার জন্য এই দেশে তাদের একটা তাবেদার সরকার বসানো দরকার ছিল - আওয়ামী লীগ সেই কাজটাই খুব বিশ্বস্ততার সাথে করে চলেছে।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: মুখরোচক কিছু কথা বলে গেলেন আর তা জনগণ বিশ্বাস করে গিলবে ভাবেন কি করে? আওয়ামী লীগ তাবেদার করছে না, তাবেদার করেছিল বিএনপি জামাত সরকার। আপনারাই একবার বলেন বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণ করছে ভারতকে, আবার আপনেরাই বলেন ভারতে নিয়ন্ত্রণ করছে বাংলাদেশকে, স্বার্থে সামান্য আঘাত পড়লেই কথবার্তা চেঞ্জ হয়ে যাওয়াই স্বভাব আপনার মতো অনেকেরই। ভারত সব চুষে নিচ্ছে, আর বাংলাদেশের উন্নতি করছে সবক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিএনপি জামাত ভূমিকা রাখছে। এইসব উল্টাপাল্টা কথাবার্তা ফেসবুকে লিখলে অনেক লাইক পেতে পারতেন।
কথা হচ্ছে আওয়ামী সরকার সবকিছু ভারত দিয়ে দিয়েও দেশ দেশের মানুষের জন্য যা করছেন তার ১০০ ভাগের একভাগও বিগত সরকার দেখাতে পারবেনা, নাকি দেখাবেন বিএনপি জামাত সরকারের উল্লেখযোগ্য কোন জনকল্যাণকর কাজ ? ভারত বিদ্বেষী মনোভাব এখন শিকেয়তোলা দরকার আপনাদের, কারণ সত্তর বছরেও ভারত বিদ্বেষী মনোভাবে কিছুই করতে পারেননি আপনারা। ঠেকাতে পারেননি বাংলার অগ্রযাত্রা।
[sI]আসেন দেখি আওয়ামী সরকারের দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পর দেশ ও দেশের জনগণের কি পরিমাণ উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, দেশপ্রেম থাকলে দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা থাকলে দেশ-জনগণের ভাগ্যোদয় করা সম্ভব তার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা, আসেন দেখি অাওয়ামী লীগ বিদ্বেষী স্বাধীনতার শত্রুদের পিছুটান উপেক্ষা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দ্বিতীয়বার সরকার থাকাকালীন উন্নয়ন কাজ গুলো.....
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আয়াম লীগ সরকারের দ্বিতীয় দফার ৫ বছর (২০০৯-২০১৩)
বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগই দেশের উন্নয়নে একটি দীর্ঘমেয়াদি সুস্পষ্ট কর্মসূচি গ্রহণ করে।
২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত রূপকল্প-২০২১ বা ভিশন উপস্থাপন করে। ২০০৯-১৪ পাঁচ বছর মেয়াদে এই কর্মসূচি ও রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের অগ্রগতির সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরা হলোÑ
বিশ্বমন্দার প্রভাব সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশে গড়ে ৬.২ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়। সামষ্টিক অর্থনীতির এই চিত্র আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসাসূচক স্বীকৃতি অর্জন করে। এই পাঁচ বছরে জাতীয় বাজেটের আয়তন ২০০৬-এর তুলনায় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩.৭ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পায়। রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩.৭ গুণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ গুণ, রপ্তানি আয় বাড়ে আড়াই গুণ। মূল্যস্ফীতির হার ১১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭.৫ শতাংশে স্থিতিশীল করা হয়। এ সময়ে জনগণের আয়-রোজগার ও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলের পাঁচ বছরই বাংলাদেশ শীর্ষ দুর্নীতিপরায়ণ দেশ হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছিল।
আওয়ামী লীগের পাঁচ বছরে দুর্নীতি ও অনিয়মের উৎসমুখগুলো বন্ধ করার লক্ষ্যে অনলাইনে টেন্ডারসহ বিভিন্ন সেবা খাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে দুর্নীতি কমিয়ে সেই দুর্নাম মোচনে সক্ষম হয়।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অর্জিত হয়েছে অভূতপূর্ব সাফল্য। ২০১৩ সালের মধ্যে ৭০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে তা ১০০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়। ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। ২০২১ সালের মধ্যে ২৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে রাশিয়ার সাহায্যে ২০০০ মেগাওয়াটের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হয়। রামপাল ও চট্টগ্রামে কয়লাভিত্তিক আরও দুটি বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ সময়ে দেশের ৬২ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসে।
নতুন নতুন গ্যাসকূপ খনন, গ্যাসক্ষেত্র এবং দুটি তেলক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। শিল্প-কারখানা এবং গৃহস্থালী কাজে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়।
দারিদ্র্য বিমোচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। দারিদ্র্য বিমোচনসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহ¯্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) নির্ধারিত ২০১৫ সালের দুই বছর আগেই অর্থাৎ, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৩ সালে সাধারণ দারিদ্র্যসীমা ২৬.২ শতাংশে এবং হতদরিদ্রের হার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ১১.৯ শতাংশে নেমে আসে এবং ৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার ওপরে মধ্যবিত্তের স্তরে উঠে এসেছে।
পাঁচ বছরে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয় (দেশের ভেতরে ৬৯ লাখ মানুষের এবং বিদেশে ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।) সৌদি আরবে ‘ইকামা’ পরিবর্তনের সুবাদে ৪ লক্ষাধিক কর্মী বৈধ হয়েছে। বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান ও ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অব্যাহত আছে। ন্যাশনাল সার্ভিসের আওতায় প্রায় ৫৭ হাজার প্রশিক্ষণার্থী তরুণের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এই কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
নির্বাচনী ইশতেহার-২০০৮-এ সুশাসন প্রতিষ্ঠা ছিল অন্যতম অগ্রাধিকারের বিষয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, শুরুতেই আওয়ামী লীগ সরকারকে মোকাবিলা করতে হয় অকল্পনীয় চ্যালেঞ্জ। জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দায়িত্বভার গ্রহণ করার মাত্র ৫২ দিনের মাথায় সংঘটিত হয় রক্তাক্ত বিডিআর বিদ্রোহ। চরম ধৈর্য, অসীম সাহস ও রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিডিআর বিদ্রোহের শান্তিপূর্ণ সমাধান করেন। সেনাবাহিনীতে আস্থা ফিরিয়ে আনেন। ইতোমধ্যে বিডিআর বিদ্রোহের ১৮ হাজার আসামির বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধিতে ৮৫০ অভিযুক্তের বিচার করা হয়েছে। এই বিচার সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীতে শৃঙ্খলা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। বিডিআর-এর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) রাখা হয়েছে। নতুন আইনও প্রণয়ন করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে, সম্পন্ন হয়েছে জেলহত্যার বিচার। উন্মুক্ত হয়েছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ। নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে এই মেয়াদে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১০ যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন করে কার্যকর করা হয় কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়।
সংসদকে কার্যকর ও অংশগ্রহণমূলক করতে সংসদের প্রথম অধিবেশনেই ৫০টি স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। বিরোধী দল থেকেও সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান সামরিক ফরমান বলে ’৭২-এর সংবিধান সংশোধন করেন। পরবর্তীকালে সেনাশাসক এরশাদও একইভাবে সংবিধান সংশোধন করেন। ২০০৬ সালে হাইকোর্ট এবং ২০১১ সালে সুপ্রিমকোর্ট জিয়া-এরশাদের সামরিক শাসন ও সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রথম থেকেই সামরিক শাসকদের অবৈধ সংবিধান সংশোধনীর বিরোধিতা করেছে। ’৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ছিল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে ’৭২-এর সংবিধানের মূল চেতনায় ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়। ২১ জুলাই ২০১০ জাতীয় সংসদের সব দলের সদস্য সমন্বয়ে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি সংবিধান সংশোধনী সংসদীয় কমিটি গঠিত হয়। দীর্ঘ প্রায় এক বছর সংসদীয় কমিটি দেশের প্রতিষ্ঠিত প্রায় সকল রাজনৈতিক দল, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, পেশাজীবী, সুশীল সমাজের বিভিন্ন সংগঠন এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময় করে। অসংখ্য সংগঠন/প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি লিখিতভাবেও তাদের মতামত জানায়। সংসদীয় কমিটির ২৭টি সভায় এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ৩০ জুন ২০১১ জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী বিল পাস হয়। এই সংশোধনীর ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্বলিত ’৭২-এর সংবিধানের চার মূলনীতি সংবিধানে পুনঃসংযোজিত হয়। অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়।
নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আর্থিক ক্ষমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিচার বিভাগের জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে স্বতন্ত্র বেতন স্কেল।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম মহামান্য রাষ্ট্রপতি সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে সার্চ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে লোকবল নিয়োগ ও আর্থিক ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। পাঁচ বছরে সংসদ উপনির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন ও মেয়র নির্বাচনসহ ৫ হাজার ৮০৩টি স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ৬৪ হাজার ২৩ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। স্থানীয় সরকার এবং জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনসমূহে নিশ্চিত করা হয়েছে জনগণের ভোটাধিকার। প্রমাণিত হয় আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।
মানবাধিকার নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে কার্যকর স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন। সংবিধানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সম-অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। বৈষম্যমূলক অর্পিত সম্পত্তি আইন সংশোধন করা হয়েছে। প্রণয়ন করা হয়েছে তথ্য অধিকার আইন এবং গঠন করা হয়েছে তথ্য অধিকার কমিশন।
আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ বছর জঙ্গিবাদীদের কঠোর হস্তে দমন করা হয়েছে। সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের কলঙ্ক তিলক মোচন করে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ জনপদ।
প্রবাসী বাঙালিদের জাতি গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের নিমিত্তে ৩টি অনাবাসী ব্যাংক স্থাপিত হয়।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর গ্রহণের বয়স বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬০ বছর। ঘোষণা করা হয়েছে ২০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা। সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত মহিলাদের মাতৃত্বকালীন ছুটি চার মাস থেকে বাড়িয়ে ছয় মাসে উন্নীত করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার রাজস্ব খাতে ৪ লাখ ২৭ হাজারের বেশি পদ সৃষ্টি করেছে এবং ১ লাখ ১৮ হাজারের বেশি পদ স্থায়ী করেছে। চাকরিরত অবস্থায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করলে ২০ হাজার টাকার স্থলে ৫ লাখ টাকা এবং আহত হলে ২ লাখ টাকা অনুদান প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি কর্মচারী আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে। বেতন, ভাতা, আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ দেশের পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসমূহকে আধুনিক ও দক্ষ করে গড়ে তোলার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রংপুরে নতুন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিভাগীয় শহর রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও গাজীপুরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করে সেসব করপোরেশনের নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে। ময়মনসিংহকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করা হয়েছে।
২০১২ সালের মধ্যে খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করে। কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনা, কৃষি গবেষণা এবং কৃষির আধুনিকায়নে অর্জিত হয়েছে যুগান্তকারী সাফল্য। সারের দাম কয়েক দফা হ্রাস, কার্ডের মাধ্যমে কৃষি উপকরণ বিতরণের ব্যবস্থা, মাত্র ১০ টাকায় কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগদান এবং বর্গাচাষিদের বিনা জামানতে কৃষি ঋণ প্রদান প্রভৃতি পদক্ষেপের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। ধান ছাড়াও শাক-সবজি, ফল-মূল, তেল, ভুট্টা ও মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। পাট ও পাঁচ শতাধিক ছত্রাকের জীবনরহস্য আবিষ্কার, পুষ্টি (ভিটামিন ‘এ&rsquo সমৃদ্ধ উন্নত ধান বীজ উদ্ভাবন, লবণাক্ততা, খরা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু উচ্চফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনসহ অন্যান্য কৃষি পণ্যের হাইব্রিড জাত আবিষ্কার বাংলাদেশের কৃষিতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেছে।
একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণীত ও বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রাথমিক স্তরে শতভাগ শিশুর ভর্তি, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত প্রতিবছর বিনামূল্যে বই বিতরণ, পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষার প্রবর্তন, ঝরে পড়ার হার হ্রাস, ছাত্রীদের অনুপাত বৃদ্ধি এবং প্রাথমিকে ৭৮ লাখ ৭০ হাজার ১২৯ জন, মাধ্যমিক স্তরে ৪০ লাখ ও উচ্চ মাধ্যমিক থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত ১ লাখ ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীর সরকারি বৃত্তি পাওয়া প্রভৃতি শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী অগ্রগতির সাক্ষর।
২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৩ হাজার ৮৪৫ শিক্ষক-শিক্ষয়িত্রীর চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকদের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতা, ট্রেনিং ও দক্ষতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে মাল্টিমিডিয়া ও ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান, কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা, প্রতি উপজেলায় একটি করে বিদ্যালয়কে মডেল বিদ্যালয়ে পরিণত করার কার্যক্রম চলছে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন, ভর্তি পরীক্ষা, পরীক্ষার ফল প্রকাশ প্রভৃতি কার্যক্রম জনগণের প্রশংসা অর্জন করেছে।
আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে ৬টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। ৯টি নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১ হাজার কোটি টাকার স্থায়ী তহবিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়ক ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে। পাঁচ বছরে দেশে সাক্ষরতার হার ৬৫ শতাংশ হয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়। শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক সম্প্রসারণ ছাড়াও প্রশাসন, ব্যাংকিং, চিকিৎসাসেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং গণযোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে। প্রতিটি ইউনিয়নে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন প্রায় ৩ কোটি ৮৬ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। মানুষ ব্যবহার করছে ১০ কোটি মোবাইল সিম। মোবাইলে থ্রি-জি চালু করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতে বিশেষত শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে সাউথ-সাউথ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বর্তমানে শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৫৩, মাতৃমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ১৪৩ জন। এমডিজি-তে নির্ধারিত ২০১৫ সালের এই লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশ ২০১৩ সালেই অর্জন করেছে। এ ছাড়া মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বেড়ে ৬৭.৭ বছরে উন্নীত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মোট ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু ও ২৪টি নতুন সরকারি হাসপাতাল চালু হয়েছে। ১০০ শয্যার জেলা হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় এবং ২৫০ শয্যার হাসপাতাল ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শয্যা সংখ্যা ৩০ থেকে ৫০-এ উন্নীত হয়েছে। ৭টি সরকারি নার্সিং ইনস্টিটিউটকে কলেজে উন্নীত, ১২টি নতুন নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপন এবং ৪টি নতুন হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট চালু করা হয়েছে। স্থাপিত হয়েছে ১ হাজার ৩৫টি নতুন বেসরকারি হাসপাতাল। টেলিমেডিসিন ও ইন্টারনেট সংযোগের ফলে ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবার সুযোগ সৃষ্টি ও বাড়ানো হচ্ছে। সরকারি হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে। সংক্রামক ব্যাধি নির্মূল ও প্রতিরোধে বাংলাদেশ অগ্রগণ্য।
বাংলাদেশ বর্তমানে ৯০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। ডাক্তার ও নার্সসহ স্বাস্থ্য খাতে প্রায় ৩০ হাজার জনকে নিয়োগ দান করা হয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৫টি বাড়িয়ে ৫০টি করেছে।
রাজনীতিতে নারীর বর্ধিত অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য ইউনিয়ন কাউন্সিল ও উপজেলা পরিষদে এবং পৌরসভায় সংরক্ষিত নারী আসন এক-তৃতীয়াংশে উন্নীতকরণ এবং সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, স্পিকার ও সংসদ উপনেতা নারী।
সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়েÑ সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, জেলা প্রশাসক, পুলিশের উচ্চপদ, সশস্ত্র বাহিনী ও জাতিসংঘ শান্তি মিশনে নারীর অংশগ্রহণÑ নারীর ক্ষমতায়নের ক্রমোন্নয়নের উজ্জ্বল সাক্ষর। বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সংখ্যানুপাত ৪৯.৫ ঃ ৫০.৫, যা কেবল জনমিতিক ভারসাম্যপূর্ণ নয়ই, পৃথিবীতে বিরল এই অনুপাত নারী-শিশুর প্রতি সমাজের সমতাপূর্ণ আচরণের প্রতিফলন।
গত '০৯-'১৩ পাঁচ বছরে দেশি-বিদেশি প্রায় ৬ হাজার বড় শিল্প প্রকল্প নিবন্ধিত হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। খুলনা ও সিরাজগঞ্জে দুটি বন্ধ পাটকল পুনরায় চালু করা হয়েছে। পাট শিল্পের পুনরুজ্জীবন ঘটেছে। সুষম শিল্পোন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত শিল্প এলাকা গড়ে তোলা হচ্ছে। স্থাপিত হয়েছে লক্ষাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প।
জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের ফলে ২০১২-১৩ এই দুবছর চাল আমদানি করতে হয়নি। গ্রামীণ হতদরিদ্রদের মধ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাধীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে টেস্ট রিলিফ, ভিজিএফ, কাবিখা এবং স্বল্পমূল্যে ও বিনামূল্যে নিয়মিত খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। ফলে মঙ্গা হয়নি। না খেয়ে কেউ মারা যায় নি। আপদকালীন সময়ের জন্য খাদ্য গুদামের ধারণক্ষমতা ১৪ থেকে ১৯ লাখ টনে উন্নীত করা হয়েছে। দেশ থেকে মঙ্গা চিরতরে দূর করা হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অন্যতম হিসেবে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গ্রহণ করা হয়েছে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা-২০০৯। সরকার নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে বাস্তবায়িত হচ্ছে বহুমুখী কর্মসূচি।
যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং জাতীয় উন্নয়নের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যে সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সম্প্রসারণ ও সংস্কারের বিপুল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়িত হয়েছে এবং চলমান রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ এগিয়ে চলে। মহসড়কগুলোর নিয়মিত সংস্কার করা হয়। তিস্তা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। পাঁচ বছরে নির্মাণ করা হয়েছে ২৯ হাজার ৬৭২ কিলোমিটার সড়ক এবং ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৯৬ মিটার ব্রিজ ও কালভার্ট। বিআরটিসির বহরে ৯৫৮টি নতুন বাস সংযোজিত হয়েছে। রেল মন্ত্রণালয় আলাদা করা হয়েছে। কমিউটার রেল চালু, ২২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণসহ রেলপথের আধুনিকায়ন চলছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
কক্সবাজারে সম্প্রসারিত আধুনিক বিমানবন্দর নির্মাণকাজ শুরু হয়। বাংলাদেশ বিমানের বহরে নতুন বোয়িং বিমান সংযোজন করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট নিরসনে ইতোমধ্যে ছোট-বড় বহুসংখ্যক উড়ালপথ বা ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। হাতিরঝিল প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ঢাকা মহানগরীর একটি অংশ বিশ্বের সেরা শহরগুলোর মতো আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন রূপ ধারণ করে ঢাকা-কে বিশ্বমানের আধুনিক নগর স্থাপত্যের মর্যাদা দান করেছে।
বিভিন্ন শিল্পে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করা হয়। শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ক্রীড়া, তাদের প্রতি বৈষম্য ও নির্যাতন বন্ধ করে আনন্দময় শৈশব নিশ্চিত করতে আইনি ব্যবস্থাসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
প্রতিবন্ধীদের বিশেষ করে অটিস্টিক শিশু-কিশোরদের কল্যাণে অটিজম ট্রাস্ট গঠনসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ছাড়াও তার বিশেষজ্ঞ কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ে এবং জাতিসংঘেও অটিজমের ব্যাপারে বিশ্ব পরিসরে সচেতনতা সৃষ্টি ও কল্যাণমূলক প্রস্তাব পাস হয়েছে।
শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণে সংশোধিত শ্রমনীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি দুই দফায় ১ হাজার ৬০০ থেকে ৫ হাজার ৩০০ টাকা পুনর্নির্ধারণের ফলে ২০১০ সালের পরে মজুরি বেড়েছে ৩ হাজার ৭০০ টাকা।
অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা ৯০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বৃদ্ধি করা হয়। তাদের জন্য আবাসন প্রকল্প ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আয়বর্ধক ভবন ও বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় স্তম্ভের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। সম্মুখ সমরের ১৩টি স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কয়েক দফায় তাদের বিশেষ ‘সম্মাননা’ জানানো হয়েছে।
অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন জনগণের তথ্য জানার সুযোগ নিশ্চিত করেছে। বেসরকারি খাতে আরও বেশ কিছু টেলিভিশন চ্যানেল ও এফএম রেডিও-র অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ভিত্তিতে বহুসংখ্যক কমিউনিটি রেডিও চালু করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
দেশের শিশু-কিশোর, যুবক ও যুব মহিলাদের ৬৪টি জেলায় এবং ৬টি সরকারি কলেজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় এবং পর্যায়ক্রমে উপজেলায় স্টেডিয়াম নির্মাণ ও সংস্কারের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই সময়কালে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আয়োজক হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে। ক্রিকেট, ভারোত্তোলন, গলফ এবং হকিতে এশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
[sI]জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭৪ সালে প্রণীত জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে সশস্ত্র বাহিনীর পুনর্গঠন, উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নের জন্য ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোতে প্রয়োজনীয় সংযোজন, পরিবর্ধন এবং আধুনিকায়নের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন ফরমেশন, ইউনিট ও প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ তিন বাহিনীর জনবল, গুণগত মান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
সেনাবাহিনীতে সিলেট অঞ্চলের প্রতিরক্ষার জন্য নতুন একটি পদাতিক ডিভিশন ও একটি কম্পোজিট ব্রিগেড প্রতিষ্ঠাসহ বহু ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণ ও সমরশক্তি বৃদ্ধির জন্য নতুন প্রজন্মের ট্যাংক, সেলফ প্রপেলড গান, আধুনিক ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র, অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার, লোকেটিং রাডার সংযোজন করা হয়েছে। আধুনিক এপিসি এবং অন্যান্য আর্মড যানবাহনের সমন্বয়ে একটি ম্যাকানাইজড পদাতিক ব্রিগেড প্রতিষ্ঠাসহ আরও বহু উন্নয়নমূলক কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেনাবাহিনীর সমরশক্তি ও চলাচলের ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং যোগাযোগ সরঞ্জামাদি সংযোজন অব্যাহত রয়েছে।
নৌবাহিনীর শক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং আধুনিকায়নের জন্য বিদেশ থেকে নতুন যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমাদের নিজস্ব শিপইয়ার্ডে তৈরি যুদ্ধজাহাজও সংযোজন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার সংযোজন করা হয়েছে। সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গঠনের লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নতুন নেভাল কমান্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। পটুয়াখালীতে একটি পূর্ণাঙ্গ নৌঘাঁটি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলছে।
বিমান বাহিনীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে বিমান বাহিনীতে প্রথমবারের মতো ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রসহ সংযোজিত হয়েছে সর্বাধুনিক সরঞ্জাম। অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার সংযোজন এবং যুদ্ধবিমানসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের সুষ্ঠু ও সাশ্রয়ী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বঙ্গবন্ধু অ্যারোনটিক্যাল সেন্টার স্থাপন আওয়ামী লীগ সরকারের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণের জন্য বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। রেশনের মান বৃদ্ধি, নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সন্তানদের শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ বৃদ্ধিসহ বহু কল্যাণমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।[/sI]
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসৃত পররাষ্ট্রনীতির জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। সমুদ্রসীমা নিয়ে মিয়ানমারের সাথে বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানÑ যা সমুদ্র বিজয় হিসেবে আখ্যায়িতÑ বাংলাদেশ তার ভূ-খ-ের ৭৫ শতাংশের সমান ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমায় সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে। ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকাসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক সুদৃঢ় এবং দ্বি-পক্ষীয় ও বহু-পক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারিত হয়েছে। ভারতের সাথে স্থল সীমান্ত চিহ্নিতকরণ ও ছিটমহল হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারত, ভুটান ও নেপালের সাথে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও অভিন্ন নদীর অববাহিকাভিত্তিক যৌথ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ এবং রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে দ্বি-পক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক উদ্যোগ অব্যাহত আছে।
আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে বহুমুখীকরণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে সার্ক, বিমসটেক, ডি-৮, আসিয়ান রিজিওনাল ফোরাম (এআরএফ), এশিয়া কো-অপারেশন ডায়ালগ (এসিডি), এশিয়া ইউরোপ মিটিং (আসেম)-সহ গুরুত্বপূর্ণ সকল ফোরামে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে। ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনে (আইওআরএ) পালন করা হচ্ছে সক্রিয় ভূমিকা। বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের (বিসিআইএম) অর্থনৈতিক করিডোরের বিভিন্ন উদ্যোগে বাংলাদেশও শামিল রয়েছে। সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ঢাকায় বিমসটেক-এর হেড কোয়ার্টার স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মুসলিম উম্মাহর সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধি, অভিবাসী ও প্রবাসীদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী, জঙ্গিবাদী ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী শক্তিকে বাংলাদেশের ভূ-খ- ব্যবহার করতে না দেওয়ার নীতি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে।
[sI]জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা, অবদান ও প্রস্তাব প্রশংসিত হয়েছে। জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তি ও সমৃদ্ধির মডেল গ্রহণ করেছে।[/sI]
অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী এমডিজি অ্যাওয়ার্ড-২০১০, ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার-২০১০, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড-২০১১, ইউনেস্কো কালচারাল ডাইভার্সিটি পদক-২০১২, এফএও ডিপ্লোমা অ্যাওয়ার্ড-২০১৩ এবং সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন অ্যাওয়ার্ড-২০১৩-তে ভূষিত হয়েছেন। (উত্তরণ)
আওয়ামী বিদ্বেষী আর ভারত বিদ্বেষী মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসুন ভাই, দেশটাকে ভালোবাসতে শিখুন, জনমানুষের কল্যাণকর চিন্তাভাবনা করার মতো মানসিক প্রস্তুতি নিন, খুলে ফেলুক ক্ষমতার মোহ নামের টিনের চশমা। নিজের দেশটিকে প্রকৃত দেশপ্রেমী ও জনদরদী নেত্রীর হাতে সমর্পণ করে নিশ্চিন্তে শ্বাস ছাড়ুন, গড়ে উঠবে সোনার বাংলাদেশ, সমৃদ্ধ জাতি।
১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেকেই বলছেন সাহস থাকলে ফেয়ার ইলেকক্সান দেয় না কেন?
ফেয়ার ইলেকক্সান হলেই কি বিম্পি-জামাত ফলাফল মেনে নিবে?
১/১১ পর্ব শেষে নির্বাচনটি ছিল এজাৎকালের স্মরনকালের সবচেয়ে স্বচ্ছ নিরেপক্ষ হাংগামাবিহীন সর্বজন গ্রহনযোগ্য নির্বাচন।
আপনার আমার জিবদ্দসায় এরুপ বা কাছাকাছি নির্বাচন আর দেখতে পাবেন কি না সন্দেহ।
সেই নির্বাচনের ফলাফলও বিম্পিরা মানেনি।
এখন আর্মি কেন, আমেরিকান আর্মির মাধ্যমে নির্বাচন হলেও ফলাফল বিম্পিরা মানবে না।
একমাত্র কোলে তুলে গদিতে বসিয়ে দিলেই শুধু বলবে নির্বাচন ফেয়ার হয়েছে।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আসল কথাকি ভাই, '৯১ আর '০১ সালে নিজেদের জয় পেয়েছিল অন্যের কাধে ভর করে, সেই থেকে তাদের ধারণা সব নির্বাচন তারা যেরকম কারচুপি করে জয়ি হয়েছিল, এখনো বোধহয় তাই হচ্ছে। আসলে, যারা শত্রু দেশের সাথে সমঝোতা করে ক্ষমতা পায়/চায় তাদের মধ্যে দেশপ্রেম নাই, তা জনগণ বুঝে গেছে। জনগণ পাশে না থাকলে কোন আন্দোলন সফল হতে পারেনা, আর আন্দোলন তখনই সফলতা পায় আন্দোলনে জনগণের স্বার্থ থাকে। তাদের সবকিছু মিথ্যাচার, মিথ্যার সাথে জনসমর্থন থাকেনা।
সুন্দর মন্তব্য রেখে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানবেন শ্রদ্ধেয় ভাই
১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১৭
কলাবাগান১ বলেছেন: "আমি গর্বিত আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থক"
ব্লগের কবি..ঢাবিয়া... এরা কত কবিতা..কত জ্বালাময়ী পোস্ট দিচ্ছে যে দেশের জনগনের পিঠ নাকি দেয়ালে ঠেকে গেছে ...(আগে তো পিঠ নরম বিছানায় ছিল...)...কেন জন গন রাস্তায় নেমে আসছে না তাতে হাহুতাশের অন্ত নাই..
যাদের দূর্নিতি আমেরিকার/সিংগাপুরের কোর্টে প্রমানিত এবং তার প্রমান আমেরিকার সরকারী ওয়েবসাইটে প্রকাশ্যে পাওয়া যাচ্ছে, তারপর ও কোন মুখে সেই দলকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চায়...পারলে হাসিনার দূর্নীতি দেখাক...
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: তারা কোত্থেকে দেখাবে ভাই, দুর্নীতি থাকলে তো দেখাবে।
জনগণ মিথ্যাচারিদের সাথে বেশিদিন থাকে না, জনগণ বুঝে গেছে তারা দেশকে লুটেপুটে দুবাই লন্ডন সিটিজেনশিপ নেয়ার ধান্ধায় আছে। ৫০০ ব্রিফক্যাসে কি ছিল সে হিসেবও বের হচ্ছে সামনে।
তাদের করুন পরিণতি অপেক্ষা করছে সামনের দিনে।
দেশ জাতির সাথে বেঈমানী দেশ জাতি বরদাশত করেনা।
সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা রাখছি ভাই।
১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৬
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনি মুদ্রার একপিঠ মাত্র দেখালেন। নিজের দলের মোসাহেবি, আর বিরোধী দলকে কচুকাটা করতে সবাই পারে। আমি চাচ্ছিলাম ব্লগাররা নিজের দলের গঠনমূলক সমালোচনা করুক। কিন্তু সামু ব্লগে আমি পছন্দের কোন সমালোচক পাই নি।
এটা সত্য যে, হাচু আপার চেয়ে ভালো বর্তমানে নেই। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলেও তিনিই জিতবেন। তবে নিরপেক্
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সমালোচনা মানেই মিথ্যাচারে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো নয় ভাই, সমালোচনা আমিও পছন্দ করি, সাপোর্ট করি, কিন্তু মিথ্যা, দেশ বিরুদ্ধ কথাবার্তা বরদাশত করার মতো বিবেকহীন নই।
১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আপনি মুদ্রার একপিঠ মাত্র দেখালেন। অনেকটা বিটিভির মত...
নিজের দলের মোসাহেবি, আর বিরোধী দলকে কচুকাটা করতে সবাই পারে। আমি চাচ্ছিলাম ব্লগাররা নিজের দলের গঠনমূলক সমালোচনা করুক। কিন্তু সামু ব্লগে আমি পছন্দের কোন সমালোচক পাই নি।
এটা সত্য যে, হাচু আপার চেয়ে ভালো নেতা বর্তমানে নেই। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিলে তিনিই জিতবেন। তবে স্বচ্ছ নির্বাচন দেবার মত সৎ সাহস আওয়ামীলিগের নেতা কর্মিদের নেই। এ পর্যন্ত যারাই গদিতে বসেছে তারা পূর্বের সরকারের কু-কীর্তির ফলে বসেছে। নিজের যোগ্যতায় নয়। দেশের বর্তমান অবস্থা...
এর সমাধান তরুনদের একটা মধ্যম ডানপন্থী দল করতে হবে(ম্যাখোর মত)! আমার হিসেব মতে তারেক/জয় রাজনীতিতে বেশীদুর এগুতে পারবে না। তবে বর্তমানের প্রতিকূল পরিবেশে নতুন নেতা তৈরী হতে সময় লাগবে। সেটা কতদিন, সময়ই বলে দেবে....
পুনশ্চঃ
আমি পাঠক মানুষ, লেখকদের কাতারে পড়ি না। আমার পছন্দের সমালোচক সামুতে আসে না।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমাদের দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ার দাবীতে জাতীয় ঐক্য দরকার,
তবেই দেশে টেকসই উন্নয়ন পাবো আমরা, দেশ হবে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে একটি।
১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫
হাঙ্গামা বলেছেন:
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন সাহেব বলেছেন..............
প্যান প্যান ঘ্যান ঘ্যান ঘ্যান ঘ্যান
প্যান প্যান ঘ্যান ঘ্যান............
আহ হা রে !!!!! উন্নয়নের ফিরিস্তি আরো কয়দিন আগে দিলেই তো স্যাটেলাইটে কইরা মহাশূন্যে চইলা যাইতে পারতাম।
বোল্ড কইরা যা লিখছেন সেগুলা দিয়া কি হবে যদি দেশে আইন আদালত আম্লীগ কিনা ফালায়।
কি হবে যদি প্যাটের ভাত ও ঠিক মত যোগাড় করতে না পারা ফকিরের বাচ্চাগুলা আম্লীগে যোগদান কইরা আমাদের মাথা কিনে ফালায়। একেকজন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হইছে।
পাব্লিকের ট্যাক্স ভ্যাটের টাকায় কত ফুটানি সরকারের !! এহ !!
নিত্য পণ্যের বাজার গগনচুম্বী, বৃষ্টি হইলে রাস্তায় হাটু পানি, হালকা বৃষ্টিতে ঢাকার রাস্তায় কাদাপানিতে সয়লাব।
সরকারসমর্থিত লোকের অত্যাচার.......লেখতে গেলে কলম ফুরাইয়া যাবে।
আর আপনের মত দলকানারা খালি দেখে উন্নয়ন। এই দেশে যতগুলা লোক আম্লীগ বলে স্লোগান দেয় তাদের সবাই কোন না কোনভাবে অনৈতিক সুবিধাভোগী। মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব কইরা কি উন্নতি যে করছেন খোদাই মালুম।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমার কথা আপনার কাছে মেও মেও কেও কেও মনে হবে এটাই স্বাভাবিক।
কারণ, আপনাদের কাছে দেশের উন্নয়ন ফেক্টর না, ফ্যাক্ট হচ্ছে আপনাদের ক্ষমতা দিতে হবে দেশটাকে লুটে খাওয়ার সুযোগ দিতে।
আমি দলকানা না, দলকানা আপনি, কারণ আপনার চোখে দেশের অগ্রযাত্রা পড়ে না, দেশের প্রতিটি সেক্টরে উন্নতির ছাপ আপনার গায়ে কাটা হয়ে ব্যথিত করে। নিচের লেখাটুকু পড়েন, আর ভাবেন দলকানা কে, আপনি নাকি আমি।
আওয়ামী সরকারের ২০১৪-১৬ আড়াই বছরের উন্নয়ন সফলতা
আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নের ফলে গত মেয়াদের পাঁচ বছর এবং এই মেয়াদের প্রথম আড়াই বছরে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে বিশ্বের সামনে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন শুরু হয়েছে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা।
বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি এক বছরের ব্যবধানে ৫৮তম স্থান থেকে ১৪ ধাপ এগিয়ে এখন ৪৪তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। ক্রয়ক্ষমতার সমতা ভিত্তিতে বাংলাদেশ ২০১৩ সালের ৩৬তম অবস্থান থেকে তিন ধাপ এগিয়ে ২০১৫ সালে ৩৩তম অবস্থানে এসেছে।
দারিদ্র্যের হার এখন ২০১৫ সালে তা ২২.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। মাথাপিছু আয় ২০০৫-০৬ সালের ৫৪৩ ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৬ সালে ১ হাজার ৪৬৬ মার্কিন ডলার।
মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭১ বছরে উন্নীত হয়েছে। গত ছয় বছরে গড় প্রবৃদ্ধি ৬.৩ শতাংশ। এ বছর ৭.০৫ শতাংশ হবে। আগামী বছরের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭.২ শতাংশ।
আমরা সরকার গঠনের আগে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ডাবল ডিজিট। চলতি অর্থবছরে গড় মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশ। এপ্রিল মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৫.৬১ শতাংশ। এখন মূল্যস্ফীতি ১০ বছরের মধ্যে সর্বনি¤œ মাত্র ৫.৪৫ শতাংশ।
বিএনপির ২০০১-০৬ সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ১০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চলতি বছর রপ্তানি আয় ৩৪.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
অর্থবছরে রেমিট্যান্স ছিল মাত্র ৪.৮৬ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫-১৬ সময়ে যা দাঁড়ায় ১৫.৩২ বিলিয়ন।
২০০৫-০৬ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩.৫ বিলিয়ন। বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ৩১.০২ বিলিয়ন ডলার।
বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্র ১০০টির ওপরে, ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন প্রায় ১৫০০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে ২৮০০ মেগাওয়াট ক্যাপটিভ জেনারেশন। ফলে ৭৮ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে এবং রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভূমি উন্নয়নের কাজ শেষ পর্যায়ে। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে। এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের কাজ চলছে। ১ লাখ পি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের আগেই ১০০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় আসবে।
শত বাধা ও চাপ উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে কাদের মোল্লার পর কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামান, সাকা চৌধুরী, মুজাহিদ, মতিউর রহমান নিজামী, আবুল কাশেমের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। রাজাকার শিরমণি গোলাম আযম এবং আবদুল আলিমকে আমৃত্যু কারাদ- প্রদান করা হয়েছে (দ-াদেশ বহাল থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ)। দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী রাজাকারকে আমৃত্যু কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। অন্যান্যদের বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সাত বছরে ৪৮টি বৃহৎ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। মগবাজার-মালিবাগ উড়াল সেতুর নির্মাণকাজ চলছে, আংশিক যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। নবীনগর-ডিইপিজেড-চন্দ্রা সড়ক এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হয়েছে। শিগগিরই চালু হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন। পায়রা সমুদ্র বন্দর চালু করা হয়েছে। ঢাকা-মাওয়া সড়কে প্রথমবারের মতো আট লেনের মহাসড়ক চালু করা হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৮ সালের মধ্যে সেতুতে যান চলাচল করবে। দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা এবং দ্বিতীয় গোমতি সেতু নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। রেলের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে ভবিষ্যতে দ্রুতগতি সম্পন্ন এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইলেকট্রিক ট্রেন ও পাতাল ট্রেনের ফিজিবিলিটি স্টাডির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ সময়ে নতুন ২০টি মিটারগেজ এবং ২৬টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ, ১২০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী গাড়ি, ১৬৫টি ব্রডগেজ ও ৮১টি মিটারগেজ ট্যাংক ওয়াগন, ২৭০টি মিটারগেজ ফ্লাট ওয়াগন এবং ২০ সেট মিটারগেজ ডেমু সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া এডিবির অর্থায়নে আরও ২০০টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহের জন্য প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। আগামীতে সব জেলাকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনা হবে।
১৬ হাজার ৪৩৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে ৩০ পদের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। সাত বছরে ১২ হাজার ৭২৮ সহকারী সার্জন এবং ১১৮ ডেন্টাল সার্জন নিয়োগসহ ১৩ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত মাসে ৯ হাজার ৪৮৪ নার্সের চাকরি দেওয়া হয় এবং নার্সের পদমর্যাদা তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত। ৩ হাজার মিডওয়াইফারি পদ সৃষ্টি।
চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে নতুন দুটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। সিলেটেও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতি জেলায় মেডিকেল কলেজ হবে।
দেশের প্রায় সব শিশুকে টিকাদান কর্মসূচি এবং সব মানুষকে নিরাপদ পানি প্রাপ্তি এবং স্যানিটেশনের আওতায় আনা হয়েছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০৬ সালে ছিল ১.৪৯ শতাংশ। বর্তমানে তা ১.২৭ শতাংশ। মাতৃমৃত্যু প্রতি হাজারে ১.৭ এবং শিশুমৃত্যু ৩০ জনে নেমে এসেছে।
আগামী অর্থবছরে বয়স্ক ভাতা, দুস্থ ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বয়স্ক ভাতা, দুস্থ ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা হবে ৫৫ লাখ ৫০ হাজার।
প্রতিবন্ধীদের মাসিক ভাতা ৬০০ টাকায় এবং অন্যদের ভাতা ১০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০০ টাকা করা হয়েছে। হিজড়া এবং বেদে সম্প্রদায়ের জন্য প্রদত্ত ভাতা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করা হয়েছে।
চা-শ্রমিকদের জন্য জন্য অনুদান ১০ কোটি থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ কোটি করা হয়েছে। আশ্রয়ণ, একটি বাড়ি একটি খামার, ঘরে ফেরা কার্যক্রম, দুস্থ ভাতাসহ ১৪৫টি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কার্যক্রম থেকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সুবিধা পাচ্ছেন। সম্প্রতি ১০০টি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক উদ্বোধন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখেরও বেশি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
বর্তমানে মোবাইল সিমকার্ডের সংখ্যা ১৩ কোটি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটি ২০ লাখের বেশি।
২০১৮ সালে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে এবং যশোরে হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। বিভাগীয় শহরে সিলিকন সিটি স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। ২৫ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়েব পোর্টাল তথ্য বাতায়ন খোলা হয়েছে।
কৃষি খাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। সারাদেশে ২৪৫টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগাযোগের জন্য মোবাইল অ্যাপ ‘আলাপন’ চালু করা হয়েছে।
ইন্টারনেট জগতে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডোমেইন (ইন্টারন্যাশনালাইড ডোমেইন নেম বা আইডিএন) ‘ডট বাংলা’ (বাংলা) ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ পেয়েছে বাংলাদেশ। ইন্টারনেটে একটি রাষ্ট্রের জাতীয় পরিচয়ের স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করে এই ডোমেইন।
দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ নির্মাণ সম্পন্ন (উদ্বোধনের অপেক্ষায়)।
দেশের বর্তমানে শিক্ষার হার ৭১ শতাংশ। ২০০১-এ বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় শিক্ষার হার ৬৫ থেকে ৪৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল।
ছয় বছরে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে ১৯৩ কোটি বই বিতরণ। এ বছরের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭২২টি পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রথম শ্রেণি থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত ১ কোটি ৭২ লাখ ৯৩ হাজার ১১৮ শিক্ষার্থীর মাঝে ২ হাজার ৭০৬ কোটি ৭৭ লাখ ৯১ হাজার টাকার মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তি বিতরণ করা হচ্ছে।
মাধ্যমিক পর্যায়ে সহকারী শিক্ষকদের পদমর্যাদা তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে।
সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ১৭২টি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনসহ ২৩ হাজার ৩৩১টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ধাপে ধাপে সারাদেশে ৩২১টি কলেজ ও ৩১৫টি স্কুল সরকারি করা হবে।
নেত্রকোনা ও জামালপুরে সরকারি দুটি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হবে। বিদ্যালয়বিহীন ১ হাজার ১২৫টি গ্রামে নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। যেসব উপজেলায় সরকারি স্কুল বা কলেজ নেই সেসব উপজেলায় সরকারি স্কুল ও কলেজ করা হবে। প্রতি জেলায় একটি করে সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে।
সাড়ে সাত বছরে দেশে কৃষির ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এক দশকে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩ গুণ। শাক-সবজির উৎপাদন বেড়েছে ৫ গুণ। খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধিসহ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়েছে, পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে। আজ বাংলাদেশ আম উৎপাদনে বিশ্বে নবম এবং আলু উৎপাদনে অষ্টম স্থানে এবং মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দেশ হিসেবে স্বীকৃত।
২০১৪-১৫ অর্থবছরে খাদ্য উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টন। ২০১৫ সালে দেশে ৩৬.৮৪ লাখ মেট্রিক টন মাছ, ৫৮.৬০ লাখ মেট্রিক টন মাংস, ৬৯.৭০ লাখ মেট্রিক টন দুধ এবং ১০৯৯.৫২ কোটি ডিম উৎপাদিত হয়েছে।
কৃষিতে ভর্তুকি বৃদ্ধি করা হয়েছে। ছয় বছরে ৪০ হাজার ২৭৮ কোটি টাকার কৃষি সহায়তা প্রদান করা হয়। সেচ কাজে ব্যবহৃত ডিজেল ও বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রদান করা হয়। কৃষকদের জন্য ১০ টাকার বিনিময়ে ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৬টি ব্যাংক হিসাব খোলা সম্ভব হয়। ২ কোটি ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৩৯৭ কৃষককে কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণ করা হয়।
৪ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর কৃষি জমি সেচ সুবিধার আওতায় আনার ফলে অতিরিক্ত প্রায় ২১ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে ৪৯৯টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ৭২৭টি কৃষক তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে সবচেয়ে উদার নীতি গ্রহণ করে আসছে। জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৫, ট্রেডস মার্ক বিধিমালা-২০১৫ প্রণীত হয়েছে। চা-শিল্পের উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের কল্যাণে চা আইন-২০১৫ এবং শ্রমিক কল্যাণ আইন-২০১৫ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
পাট আইন-২০১৬ পাস করা হয়েছে, পাটনীতি-২০১৬ এবং বস্ত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান আইন-২০১৬ এবং বস্ত্রনীতি-২০১৬ প্রণয়নের কাজ চলছে। সরকার শিল্পায়ন এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে, এবং এসব অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়ে তাদের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে চ্যালেঞ্জ ফান্ড গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
একটি শক্তিশালী পুঁজিবাজার উন্নত অর্থনীতি গড়ে তোলার অন্যতম পূর্বশর্ত।
একটি স্থিতিশীল, স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক, দক্ষ ও জাতীয় অর্থনীতিতে যথেষ্ট অবদান সৃষ্টিকারী এক পুঁজিবাজারের জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্সচেঞ্জ ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, শেয়ারবাজারে লেনদেন কারচুপি ও অনিয়ম শনাক্তকরণ ও যথাযথ নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণীত প্রণোদনা প্যাকেজের সফল বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে, পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে, আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট (এফআরএ) প্রণয়ন করা হয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট) রুলস-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। ফলে তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হচ্ছে।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (এসইবিআই) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এমওইউ স্বাক্ষর। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুঁজিবাজারে ভারতের অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন নতুন ইন্সট্রুমেন্ট চালু, পরিদর্শন, অনুসন্ধান, তদারকি ও নজরদারি প্রক্রিয়ায় দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি ১০ কর্মকর্তা এসইবিআই থেকে উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন।
গণকর্মচারীদের পে-স্কেল দিয়ে বেতন-ভাতা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম তাদের বেতন ভাতা ১২৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বউদ্যোগে বাংলা নববর্ষে উৎসব ভাতা চালু করা হয়েছে।
পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদকে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং ইন্সপেক্টর পদকে দ্বিতীয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনীর ঝুঁকি-ভাতা বাড়ানো হয়েছে।
জাতির পিতা প্রণীত ১৯৭৪ সালের প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে আর্মড ফোর্সেস গোল-২০৩০ নির্ধারণ করা হয়। জালালাবাদ সেনানিবাসে ১৭ পদাতিক ডিভিশন গঠন। পদ্মা সেতুর আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ এবং নিরাপত্তার জন্য ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড গঠন করা হয়েছে। রামুতে ১০ পদাতিক ডিভিশন এবং এর অধীন একটি আর্টিলারি ব্রিগেড, একটি পদাতিক ব্রিগেড, একটি আর্টিলারি ইউনিট এবং দুটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ২০১৬ সালের মধ্যে দুটি এফএম-৯০, সারফেস টু এয়ার মিসাইল রেজিমেন্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হবে। মেইন ব্যাটেল ট্যাংক, সেলফ প্রোপেল্ড গান সিস্টেম, উইপন লোকেটিং র্যাডার, এন্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন, আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ারসহ অত্যাধুনিক যুদ্ধসরঞ্জাম সংযোজন করা হয়েছে।
শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের স্থান বর্তমানে প্রথম। বর্তমানে প্রায় ৯ হাজার ৫৯৩ শান্তিরক্ষী বিশ্বের ১০টি দেশে মিশনে অংশগ্রহণ করছে।
সেনাবাহিনীর ৫টি ফরমেশনে ৫টি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। আরও ৫টি ডেল্টাল কলেজ এবং ৫টি নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপনের পরিকল্পনাও প্রক্রিয়াধীন আছে। কুমিল্লা, কাদিরাবাদ এবং সৈয়দপুরে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সাভার ও জালালাবাদ সেনানিবাসে ‘আর্মি স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক ও শক্তিশালী ত্রৈমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। নৌবাহিনীতে মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টারসহ নেভাল এভিয়েশন সংযোজন করাসহ বিমান বাহিনীর সাংগঠনিক উন্নয়ন এবং পেশাগত নৈপুণ্য বৃদ্ধির জন্য বিমান ও প্রয়োজনীয় যুদ্ধোপকরণ সংযোজনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
দুটি পূর্ণাঙ্গ বিমান ঘাঁটি ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘কক্সবাজার’ স্থাপন করা সহ অত্যাধুনিক ঋ-৭ইএ১ যুদ্ধবিমান সংযোজন করা হয়েছে।
আমাদের সরকার নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা ঘোষণা করেছে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ৪০টি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার সেনসিটিভ বাজেট তৈরি হচ্ছে। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে সপ্তম অবস্থানে বাংলাদেশ।
শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন করা হয়েছে ৪ হাজার ১৭৫ টাকা। গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন বাড়িয়ে ৫ হাজার ৩০০ টাকা করা হয়েছে।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ আইএমএসও, আইটিইউ এবং হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলসহ ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে।
ইউনেসকো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘শান্তি বৃক্ষ’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। জাতিসংঘ সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন দফতর এবং অরগানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভিশনারি অ্যাওয়ার্ড-২০১৪ প্রদান করেছে। আমরা এমডিজি ১ থেকে ৪ অর্জন করেছি।
বাংলাদেশ এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড এবং আইটিইউ-এর ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
পরিবেশ উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
২০১৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কার প্রদান করে জাতিসংঘ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে রোল মডেল এখন বাংলাদেশ। বিশ্বে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪তম। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৯৪তম। ২০১৫ সালের বিশ্ব শান্তি সূচকে (গ্লোবাল পিস ইনডেক্স) সূচকে এক বছরে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে ১৪ ধাপ। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের ওপরে তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।
ভারতের সাথে স্থলসীমানা চুক্তির বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৫২ হাজার ছিটমহলবাসীর ৬৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান করে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী দেশ নির্ধারণ করতে পেরেছে। তাদের জীবনমান উন্নয়নে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ভারতের সাথে ছিটমহল বিনিময়ে ১০ হাজার ৫০ একর জমি বাংলাদেশের ভূখ-ে যোগ হচ্ছে।
মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ সমাধানের মাধ্যমে বিশাল সমুদ্রে অঞ্চলে বাংলাদেশে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিমি টেরিটোরিয়াল এলাকায় বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।
অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটান চারদেশীয় মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করা হয়েছে।
২০১৬ সালে গুলশানের হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে জঙ্গিবাদ দমনে সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য। বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত বাংলাদেশ। উত্তরণ।।
আমি দেশকে ভালোবাসি, তাই দেশের উন্নতিতে মনে তৃপ্তি অনুভব করি, সাধারণ মানুষের মুখে হাসি দেখে ভুলে যেতে পারি নিজের অপূর্ণতার কষ্টটুকু। আমি আমার দেশকে দেশপ্রেমী নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে সপে দিয়েই নিশ্চিন্ত মনে ঘুমুতে পারি। কোন জঙ্গিবাদী, চোরদের প্রতি বিশ্বাস করাতো দূর তাদের নাম শুনলেও ঘৃণাবোধ করি।
১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭
আপেক্ষিক মানুষ বলেছেন: আমরা ৩জি পাই না, এরমধ্যেই ৫জির পরিকল্পনা, ভ্যাট বাড়িয়ে ভাতা প্রদান, কোটা নিয়ে কথা বললেই ছাত্রলীগের হুমকি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্ট থেকে ৩ কেজি সোনা এদিক সেদিক, রিজার্ভ চুরি, পদ্মাসেতু বাজেট দ্বিগুণ হওয়া(এখনো বেড়েই চলছে! ) ছত্রলীগের প্রকাশ্যে বিশ্বজিৎ হত্যা, ছাত্রলীগের ধর্ষন, ঢাকার রাস্তায় নৌকা চালানো, ৫ মিনিটের রাস্তা যেতে ১ ঘন্টা, মানুষের মৃত্যুতে মন্ত্রী হেসেই খুন!
উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে বাংলাদেশ!
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: যে দেশে বিদেশী এশে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে চাকরি করে, সে দেশে কোটার বিরোধিতা করা কেমন মেধার পরিচয় তা বোধগম্য নয়। কোটা বিরোধটা একমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে, আর এই আন্দোলনের নেতৃত্বে একাত্তরের বর্বর দেশবিরোধী জাতির চিরশত্র শিবির, আর কুখ্যাত জঙ্গিদের ভাতিজি রা, যারা বাংলাদেশে সগৌরবে গায়ে 'রাজাকার' লিখে আন্দোলন করার স্পর্ধা দেখাতে পারে তাদের সাপোর্ট করবো আমি একজন বাঙালি হয়ে!!? অসম্ভব।
দেশে সর্বকালে সর্বশ্রেষ্ঠ বীর সন্তানদের ঠাট্টাতামাসা করবেন আর সচেতন নাগরিক মেনে নিবে এমনটা ভাবা কোন মেধার পরিচয় বহন করে না ভাই।
উন্নয়ন হচ্ছে কি না হচ্ছে তা দেখতে হলে আওয়ামী বিরোধী টিনের চশমা খুলতে হবে চোখ থেকে।
২০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮
কলাবাগান১ বলেছেন: সবচেয়ে বড় পাওনা হল যে রাজাকারের গাড়ীতে পতাকা দেখতে হচ্ছে না
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: একজন বাঙালি হিসেবে এটাই সবচেয়ে বড় পাওনা, কৃতজ্ঞ শেখের বেটির প্রতি।
২১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
তানভির জুমার বলেছেন: আপনারা এতটা নির্লজ্জ কিভাবে হন?
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কিরকম নির্লজ্জতা আপনার চোখে পড়লো, জানতে পারি কি ?
২২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০২
ব্লু হোয়েল বলেছেন:
০১। চল্লিশ লাখ অসমীয়া পাইপ লাইনে আছে উদ্বাস্ত হওয়ার অপেক্ষায় ।এদেরকে রোহিঙ্গাদের মতই পুশ ইন করার প্রস্তুতি চলছে বলে বিবিসি নিউজে দেখছি ।যেমনটা রোহিঙ্গাদের নিয়ে এখনও কোন সমাধান হয়নি । এটা কিন্তু আমাদের দারুন পররাষ্ট্রনীতির ফসল ।
০২। সত্য ছবি গুলো পোষ্ট করা হলেও মিথ্যা ছবিগুলোর দেখা মিলেনি ।
০৩। এটা কোন যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ নয় এটিকে নতুন করে পুনঃর্গঠনের প্রয়োজন ।
০৪। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের মেঘনা-দাউদকান্দি-কাঁচপুর ব্রিজটা পদ্মা সেতুর চেয়ে বেশি গুরুত্ববহন করে যা একদশকেও শেষ হয়নি ।উন্নয়নের ফলে ঢাকা-চট্টগাম যাতায়াত সময় লাগে ৬ ঘন্টার স্থলে ১৩ ঘন্টা ।
০৫। ১৯৭০ কিংবা ১৯৭৫ বয়সের কারণে ভোট চুরির মহোৎসবটা দেখতে পেলেও মনে নেই । ২০১০ সাল থেকে সবগুলোই মনে আছে । এই যেমন গতকালের বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহীর নির্বাচনের দৃশ্য ।
০৬। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর কর্তা শেখ ফজলে ফাহিম এবং বাংলাদেশ ইকনমিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জামালুদ্দিন আহমেদও বোঝালেন, হাজার রাজনৈতিক সঙ্ঘাতের মধ্যেও এক টানা ৩০ বছর অর্থনৈতিক প্রগতি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। (সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা ২৪/০৭/২০১৮)
৬নং এর বিপরীতে প্রশ্নঃ বর্তমান সরকার কি টানা ৩০ বছর ক্ষমতায় ?
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভোট চুরির মহোৎসব আমি দেখেছি ২০০১, ১৯৯১ সালে, গুম খুন, জঙ্গিবাদ সবই মনে রেখেছি, অনেকে রেখেছে মনে।
সবচেয়ে লজ্জাজনক নির্বাচন মেজর জিয়া উপহার দিয়েছিল, আর খালেদা জিয়া রেকর্ড করেছিল সর্বনিম্ন সময়কাল সরকারে থেকে।
তবে প্রয়োজন বর্তমান সরকারকে আগামী বিশ বছর ক্ষমতায় থাকা, এটা দেশ ও দেশের জনগণের জন্য হলেও।
২৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৭
কলাবাগান১ বলেছেন: বর্তমান সরকার কি টানা ৩০ বছর ক্ষমতায় ? না কিন্তু কোনদিন বিদ্যুত বিহীন খাম্বা দেয় নাই
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: চোরকে চোর বলতে নেই ভাই, তাতে চোরের মনে কষ্ট লাগে।
যে স্বার্থান্ধ দেশের জন্য ১০% শেয়ার বন্ধুর কোম্পানির নামে দিতে বলে, সেই ১০% নেতা নাকি দেশনায়ক! কতটা বেহায়া হলে এমন একজন সন্ত্রাসী গডফাদারকে দেশনায়ক বলা যায়!!!!
২৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৪
লিংকন১১৫ বলেছেন: লেখক বলেছেন: সাধারণ জনগণ বর্তমানকাল বিগত একশ বছরের মধ্যে ভালো কাটাচ্ছে।
ভালোই বলছেন ভাই আসলে, আসলেই তো একশ বছরের মধ্যে ভালো আছি না।
ভাই জুগে জুগে কি সব কিছু পরিবর্তন হয়না নাকি, নাকি জুগের তালে তালে মানুষ পিছিয়ে পরে।
আপনার জানা কি আছে আমারা আবাল বাঙালি কি পরিমান সব কিছু তে ভেট টাক্স দেই ?
গত ১০ বছরে কি পরিমান রেমিটেন্স বেড়েছে জানেন ?
আমরা আবার জনতা এতো কিছু করেও, কি পেলাম । যা পেয়েছি আমরা তা আমরা নিজেই করতে পারতাম । তা ভিক্ষার সমতুল্য ।
কোন সেক্টরে দুর্নীতি কমেছে সুনি !?
১। সোনালী ব্যাংক-হলমার্ক কেলেঙ্কারিতে খোয়া গেছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। খাচ্ছেন, খান...!!
২। শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারিতে ক্ষতি প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার বেশি! খাচ্ছেন, খান...!!
৩। জনতা ব্যাংক ও সরকারি তহবিল থেকে ক্রিসেন্ট গ্রুপ হাতিয়ে নিয়েছে ৫১৩০ কোটি টাকা। খাচ্ছেন, খান...!!
৪। একবছরে ট্রেনে লস ১৮৫২ কোটি টাকা। খাচ্ছেন, খান...!!
৫। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে খোয়া গেছে ৮০০ কোটি টাকা। খাচ্ছেন, খান..!!
৬। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে কয়েকশো কোটি টাকার সোনা চুরি এবং সেখানে লোহার উপস্থিতি। খাচ্ছেন, খান...!!
৭। বাতাসে ২২৭ কোটি টাকার কয়লা উধাও। খাচ্ছেন, খান..!!
৮। বেসিক ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত এবং লোকসান। খাচ্ছেন, খান..!!
৯। শীর্ষে থাকা ইসলামী ব্যাংক সরকারের হাতে গিয়ে'ই ১৬ মাসের মাথায় তাঁদের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ বেড়েছে। খাচ্ছেন, খান...!!
৬। এছাড়া ট্রাস্ট ব্যাংক ও গ্রামীন ব্যাংক ধ্বংশ এবং সোনালী ব্যাংকের ভল্ট থেকে মহা মূল্যবান দরিয়া-ই-নূর হীরক খন্ডটি উধাও। খাচ্ছেন, খান...!!
৭। বিসমিল্লাহ গ্রুপের ১২০০ কোটি টাকা , এনন টেক্সটাইলের ৫৫০০ কোটি টাকা ও ডেস্টিনির কথা নাইবা বল্লাম ...!!
আরও অনেক কিছু বলার ছিল , পারলুম না ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেকগুলো অভিযোগ রেখে গেছেন, এর মধ্যে কতটা সত্য আর কয়টি মিথ্যা তা আমি বলতে যাবো না,
তবে এটা বলবো, যতোই অভিযোগ করেন, অভিযোগের পাল্লা বিগত সরকার গুলোর ভাগেই বেশি ভারী হবে।
এক সঙ্গে সবকিছু ভালো করা সম্ভব হয়না, পর্যায়ক্রমেই সবকিছু হয়, হবে।
দুর্নীতিবাজ খতম করতে পারলে এদেশ সবই পাবে।
তাই বলে দৃশ্যত উন্নয়ন অস্বীকার করার মাঝে কোন দেশপ্রেম থাকতে পারেনা।
২৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৯
ব্লু হোয়েল বলেছেন: খাম্বা দেয়াতে বর্তমানে কুইক রেন্টালের বিদ্যুৎ খুব সহজেই পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে । নয়তো আবার নতুন করে খাম্বা বসাতে হতো । দ্বিতীয়ত বর্তমানে কিছু না দিয়েই সব নিয়ে যাচ্ছে । সোনালী, অগ্রনী, জনতা, বেসিক ব্যাংক, হলমার্ক, বিসমিল্লাহ কেলেংকারি, দরবেশ বাবার শেয়ারবাজার, বাংলাদেশ ব্যাংক আর..........................................বলে শেষ করা যাবে না ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন ভাই, ভালোই লাগলো।
ভাইজান, সবাই অপেক্ষাকৃত ভালো খুঁজেন, অতীত বর্তমান ভেবে আপনার কাছে যার প্রতি ভরসা পাবেন নিজের দেশকে তুলে দিতে সেই রাজনৈতিক দলই সমর্থন করবেন। সবার আগে দেশ,
২৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯
নতুন বলেছেন: পুরাই দলীয় প্রচারপত্রের মতন লাগলো...
দেশে উন্নয়ন অবশ্যই হয়েছে। আর আমাদের দেশের বিরোধী দল তো সবকিছুই বিরোধিতা করে তাই তারা এই রকমের বলবেই।
কিন্তু দেশে কি আসলেই গনতন্ত্র আছে? কদিন আগে কোটার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য হাতুরি মারা হলো...
একটা সভ্য দেশে, গনতান্ত্রিক দেশে ১ জনও গ্রেপ্তার হয় নাই এমন নজির দেখাতে পারবেন????
শেখ হাছিনা যদি তার দলের সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রন না করেন তবে তিনি তার মাসুল দেবেন... সাধারন জনগন অবশ্যই বিএনপিকে কোন আদশের কারনে পছন্দ করেনা।
তারা আয়ামীলীগের সন্ত্রাস/বাড়াবাড়ীকে অপন্ছকরে অনেকেই বিএনপিকে সমথ`ন করে।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: না ভাই, একেবারে দলীয় প্রচার মনে করবেননা,
কেউ যদি মিথ্যাচার প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর তালেই থাকে তাহলে তুলানামূলক আলোচনা আসতেই পারে।
এই ধরণ আপনি স্বীকার করছেন উন্নয়ন হয়েছে হচ্ছে, হ্যা সব সেক্টরে উন্নয়ন হচ্ছে না মানছি, তবে অনেকাংশই হচ্ছে, আগামীতে আরও হবে তার নমুনা গত নয় বছরকার উন্নতি বিবেচনা করলে পাওয়া যায়।
না ভাই, গণতন্ত্র নাই সেটা মানতে পারলাম না, বিএনপি জামাত যেভাবে মিডিয়ার সামনে তাদের বক্তব্য হুমকি দামকি দিয়েছেন, দিচ্ছেন তাতে গণতন্ত্র বা বাকস্বাধীনতা নাই সেটা মানতে কষ্ট হচ্ছে।
কোটা আন্দোলন কবে থেকে শুরু, কাদের মাধ্যমে শুরু, কারা কোটা বিরোধী আন্দোলনে তৎপর, কাদের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন তা যদি আপনি একবার নিরপেক্ষ চিন্তাভাবনা করতে পারেন তবেই বুঝবেন। এমনতো না যারা কোটা পেয়ে ভর্তি হচ্ছে সরকারী চাকুরিতে তারা মূর্খ, না তারা মূর্খ পাগল নয়, তারাও মেধা তালিকা উত্তরণ হয়েই চাকরি করছে।
আমার প্রশ্ন, যারা দেশটাকেই চাইলো না, তাদের যদি এই দেশে অধিকার দাবী করেন, তাহলে যাঁদের বীরত্বকাব্য আমাদের একটা দেশ পেলাম তাদের প্রতি আমরা কেন অকৃতজ্ঞ হবো, কেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখতে পারবোনা আমরা?
যারা কোটা বিরোধী আন্দলোনের নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের ঠিকুজী কুষ্ঠি আমার জানা আছে, আপনিও খুঁজ খবর নিন, দেশের স্বার্থেই নিন।
আওয়ামী লীগেন শত্রু আওয়ামী লীগই, এটা সবাই মানে, আমি দ্বিমত, তারা আওয়ামী লীগে প্রবেশ করা বিএনপি জামাত, তাদের কাজই জনমনে আওয়ামী লীগের বদনাম ছড়ানো, তারাই বাংলার মীরজাফর।
দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পক্ষে জাতীয় ঐক্য গড়েন, দেশ সোনার দেশ হবে।
২৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৬
রায়হান চৌঃ বলেছেন: আচ্ছা আপনি ই বলেন- ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কে নিয়ে কি করবে ? বাংলাদেশ কে কি টিসু মনে হয় না কি ? যে ওদের পাছা পরিষ্কার করবে ? যারা বলে বংলাদেশ বেচে দিবে তারা নিষ্চিৎ আপনাদের মতই ।
তবে হাঁ ইন্ডিয়ার কাছে বাংলাদেশ হলো চির উন্নত বক্ষা- চির যুবতী। বিশ্বাষ হয় না ? আচ্ছা আপনি ই একটু খবর নিয়ে বলুন বছরে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ থেকে কত বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে বৈধ পথে ? মনে রাখবেন বৈধ ভাবে যা যাচ্ছে তার চেয়ে কয়েক গুন যাচ্ছে অবৈধ পথে, এ ধরনের উদাহরণ হাজারো দেয়া যাবে।
আচ্ছা আপনি ই বলেন- উন্নত বক্ষা যদি অটমেটিকলি চাহিদা পুরণ করে তবে কোন বেওকুব বিয়ে করে ?
তবে সমস্যা কি জানেন ? ১৯৭১ বাংলাদেশ কে কিছু বীজ দিয়ে গিয়াছে, কিছু বীজের ফলন হয় ভারতীয় দালাল আবার কিছু বীজের ফলন হয় পাকি দালাল ।
দালালে দালালে দালাল ময় বাংলাদেশের সংসদ,
আপসুসের বিষয় হলো ১৯৭১ এর পরবর্তি বাংলাদেশীর জন্ম হলেও এখনো তারা বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলতে পারে না..। কেন জানেন ? ঐ যে বাংলাদেশের গলায় এক খান শেখ মুজিবের স্বপ্নের তাবিজ আর এক খান জিয়ার আয়না পড়া.
কেউ তাবিজের ফেরি করে, আর কেউ আয়না পড়া ফেরি..... কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে ফেরি করার সময় কারোর নেই।
আসলে আমরা সবাই স্বপনের ফেরিওয়ালা.
বলেন উচ্চ স্বরে-গলা ফাটিয়ে "জয় বাংলা"
কোন বাংলা ? বাংলাদেশের নাকি ইন্ডিয়ার ? জ্বী জনাব ভাবতে থাকেন
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বৈধ অবৈধ কেমনে বুঝবো ভাই, তারা পরিশ্রম করে টাকা কামাই করে নিচ্ছে। আমাদের তো মেধার অভাব নেই তারা কেন ভারতীয় লোকদের জায়গায় কাজ করছেননা?
আমাদের দেশের লোকজনও তো বিদেশ থেকে টাকা আনছেন পরিশ্রম করে, তাই বলেকি সব দেশ বাংলাদেশের গোলাম বা দালাল হয়ে যাবে!!
আমি ভেবেছি ভাই, অনেক ভেবেছি, যারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধীতা করেছেছে, তারা আওয়ামী লীগকে শত্রু মনে করে, ভারত বিদ্বেষানল ছড়ানো তাদেন নিত্যকার কর্ম। ভারতের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা রাখা উচিৎ, বেলুচবাসীদের চিন্তা করে।
জয় বাংলা আছে থাকবে, বাংলার জয় হবেই হবে, যতোই পিছন থেকে টেনে ধরুক দেশবিরোধী চক্র
২৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিম্পি-জামাট এমনকি উপকারি কাজ করেছে? বা করেছিল?
বা ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়া হলে করবে।
এক কট্টর সমর্থককে জিজ্ঞেসের জবাবে কিছুই বলতে পারেনি।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এর জবাব তাদের কাছে পাবেন না ভাই, ওদের একমাত্র আওয়ামী ও ভারত বিদ্বেষানল ছড়ানোই প্রধান লক্ষ্য, দেশের উন্নয়ন চিন্তা করতে দেশপ্রেম লাগে, যার ঘাটতি তাদের রয়েই গেল এখনো!! জামাত না হয় দেশ চায়নি, কিন্তু বিএনপিও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে ভাবে না, দেশটা আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন, একে সুন্দর সমৃদ্ধকরণ করতে তাদেরও বাঁধে কেন সেটা চিন্তার বিষয়।
২৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮
রায়হান চৌঃ বলেছেন: দুরু মিঞা কথায় কথায় আসল কথাই ভুলে গেলাম ১ টাকা চুক্তির কথা মনে আছে ? এই যে রস্তা ঘাট দেখছেন এ গুলো ঐ ১ টাকা চুক্তির ফল, বুজতে পারবেন আরো কিছু দিন পর। যখন দেখবেন ভারতীয় ট্রাকের দাপটে আপনার পা ফেলার যায়গা থাকবেনা। স্ব-দাপটে চলবে ভারতীয় ট্রাক আর ঋনের ভোজা টানবেন আমি আপনি..
আবার বলেন "জয় বাংলা"
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কথাগুলো মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে ভাই, আরও কষ্ট হচ্ছে আপনারা এখনো সেই চল্লিশ সত্তর বছর বিছনেই পড়ে আছেন, সেই ভাঙা রেকর্ড এখনো বাজাচ্ছেন যে ভারতের হয়ে যাবে ভারত সব সুবিধে নিবে, এগুলো এখন পুরনো কথা, পাবলিক খায় না ভাই। স্রেফ অাওয়ামী বিরোধিতা করার জন্যই এমন কথাবার্তা বলে আসছে একটি মহল, এটি অনেকদিনের। দেশ বিক্রি করুক আর না করুক, দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য যদি কোন রাজনৈতিক দল কিছু করে থাকে তা আওয়ামী লীগই করেছে, আপনি স্বীকার না করতে চাইলেও সমস্যা নেই, বিশ্ব এখন অনেক এগিয়েছে।
৩০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ব্যাংকের সোনা গায়েব, কয়লা উদাও, ব্যাংক লুট, সাংবাদিক হত্যা,ট্রাঞ্জিট প্রদান এসব উন্নয়নের কথা কিছু কইলেন না?
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ব্যাংকের সোনায় হেরফের হয়নি ভাই, এটা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কথা, প্রথম আলুর আবাল মার্কা সংবাদ মেনে নিলে তো গৃহযুদ্ধ শুরু হবে দেশে।
আমি কোনভাবেই এটা বুঝাতে চাইনি যে বর্তমান বাংলাদেশ দুর্নীতি মুক্ত, তবে প্রথম থেকে সতেরো নম্বরে নেমে আসাটা লীগেরই অবদান, এটা অস্বীকার করবেন কিভাবে?
৩১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩
ব্লু হোয়েল বলেছেন: দুর্নীতির এই তকমাটা সর্বপ্রথম ২০০১ সালে তাহাদেরই অর্জন ছিল ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পরপর পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, কোনপ্রকার উন্নতি করতে পারেনি, বর্তমানে সতেরো। এতে আপনার মনে হচ্ছে না উন্নতি হচ্ছে? সবকিছু এক সঙ্গে সম্ভব নয়, ধীরেধীরে সব হচ্ছে, হবেই। এটুকুও দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন বিগত সকল সরকার।
৩২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৬
ভোরের সূর্য বলেছেন: প্রথমেই একটা হাসি দেই।আপনার উচিত ছিল এরকম একটি লেখা লেখার আগে আরো বেশী গবেষণা করে লেখা।ইচ্ছা করলে প্রতিটি কথারই উচিত জবাব দেয়া যায়।কিন্ত অতদূরে যাবার দরকার হবেনা।দয়া করে আপনার দেয়া ছবির দিকে তাকান। দয়া করে মুল পদ্মা সেতুর ত্রিডি ছবি,আপ্রোচ রোডের ছবি এবং মূল কাজই শুরু না হওয়া আনবিক চুল্লির ছবি সরিয়ে ফেলুন।এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন না করেই তার এনিমেশন ছবি দিয়ে ক্রেডিট নেয়া আরেকটা বড় মিথ্যাচার। আর হ্যা,আমি আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামায়াত কোন দলেরই সমর্থক না। আমি একজন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। একজন মুসলমান হিসেবে উপরে আল্লাহ, নবী মোহাম্মদ (স কে বিশ্বাস এবং সম্মান করি আর নীচে আছে আমার জন্মদাতা পিতা এবং মাতা।আমার মন্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকলে আগেই ক্ষমা প্রার্থী।ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমিও একটু না হেসে পারলাম না ভাই আপনার থ্রিডি ছবির কথা শুনে, ওটা যে থ্রিডি ছবি এটা সবাই জানে, আমিও। এখন আমি হাসলাম এইভেবে যে, আপনি এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না পদ্মা সেতু হবে, ওই থ্রিডি ছবিটির মতোই দৃশ্যত হবে বিশ্বের কাছে। যদি সন্দেহ থাকে যে পদ্মা সেতু হবেনা, তাহলে সেটা নিজের মনেই চেপে রাখুন, অন্যকে জানালে পরে লজ্জায় পড়ে যাবেন যখন পদ্ধার উপর দিয়ে বাস ট্রাক প্রাইভেটকার অবাদে এপার ওপার হবে।
আপনার চেয়ে মনে হয় কোন অংশেই কম বিশ্বাস করিনা সৃষ্টিকর্তাকে, নিজের বাবা মা তো আছেনই শ্রদ্ধার আসনে, আরেকটা পিতা আছে আমার, সেটা আমার জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজুবুর রহমান, সেও আমার হৃদয় জায়নামাযে শ্রদ্ধায় আসীন।
আপনি আর কি এমন বলেছেন যা আমাকে কষ্ট দিতে পারে! না কষ্ট নিই না আমি। আমি আলোচনা সমালোচসার মধ্য থেকে সঠিকত্ব খুঁজে বের করার চেষ্টা করি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪২
ব্লু হোয়েল বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বর্তমান ১৭ তখনকার ১ম হতে অনেক উঁচুতে । না বুঝলে অন্ধ কানা । এক ব্যাংকিং সেক্টর আর শেয়ার বাজারে যা ঘটেছে তা পর পর পাঁচবার যোগ করলেও অনেক ব্যবধানে হেরে যাবে ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হা হা হা হাসাইলেন ভাই, দুর্নীতি জরিপটা সম্ভবত বাংলাদেশের করা নয়, উত্তরপত্রে কতটুকু সঠিক উত্তর দিলে প্রথম স্থান আর কতটা খারাপ উত্তর দিলে সতেরো নম্বরে যায় তা বুঝার ক্ষমতা আপনার না থাকলেও আমার মোটামুটি আছে মনে হয়।
আপনি উদাহারণ দিলেন তা একরকম গাওরামী ছাড়া কিছুই না।
আমি বলিনি দুর্নীতি মুক্ত হয়েছে, তবে অনেকাংশ কমাতে পেরেছেন আওয়ামী লীগ সরকার, এটা দেশপ্রেমের সাফল্য মনে করি। কোন একদিন দুর্নীতি মুক্ত হবে দেশ সে আশা আমাদের বর্তমান সরকারই দেখাতে সক্ষম।
৩৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯
রায়হান চৌঃ বলেছেন: "বৈধ অবৈধ কেমনে বুঝবো ভাই, তারা পরিশ্রম করে টাকা কামাই করে নিচ্ছে। আমাদের তো মেধার অভাব নেই তারা কেন ভারতীয় লোকদের জায়গায় কাজ করছেননা?"
ঃা
আসলেই আপনারা কি বলবো .... আপনারা আসলেই একটা তেঁদড় সোজা বাংলা বুঝেন না
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কেমনে বুঝলাম না ভাই সোজা বাংলা ? বেসরকারি খাতেও কি মুক্তিযোদ্ধা কোটা দখল করে নিয়েছে নাকি ? কাজের দক্ষতা আর মেধার সমন্বয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ যাকে যোগ্য মনে করবে তাকেই তো চাকরিতে বহাল রাখবেন, তাই নয় কি?
এতে সরকারকে দোষারোপ করাটা কতটা মেধাবীর পরিচয় তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না ভাই!!
৩৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২
সনেট কবি বলেছেন: ভাইপুত রাজীব নুরের সাথে সহমত।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমিও একমত প্রকাশ করেছি শ্রদ্ধেয়, দুর্নীতি আমাদের সর্বক্ষেত্র দখল করে নিয়েছে, এর থেকে মুক্তি চাই
৩৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
ফ্রিটক বলেছেন: গান্জা কি আপনার পেটে দিয়েছেন নাকি পকেটে আছে?আপনি লিগ করেন ঠিক আছে, কিন্তু আপনারা কি রাতেও দিনের মত ফকফকা দেখেন?।দেখবেন তো কারন আপনিও মনে হয়ে মাসোহারা পাচ্ছেন?
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হা হা হা মাশোয়ারা পাওয়ার আশায় কেউ দেশের চিন্তা করে না, আমিও পাই না, যদিও আমার চিন্তায় কোনকিছু আসবে যাবেনা। তবুও প্রিয় দেশটিকে কেমন রাজনৈতিক দলের হাতে নিরাপদ মনে করবো সেটুকু তো ভাবতেই হবে ভাই।
আপনাদের একটা দোষ আছে জানেন তো, কোন কথা বা যুক্তি যদি আওয়ামী লীগের পক্ষে যায় তাহলে হয় গাঞ্জা খোর নয়তো ভারতের দালাল বলার বদ অভ্যাস। আমি তো আমার সমর্থন যোগ্য রাজনৈতিক দলের উন্নয়নের কিঞ্চিৎ তুলে ধরেছি, এখন আপনি আপনার সমর্থন যোগ্য রাজনৈতিক দলটির কিছু ভালো দিক তুলে ধরতে পারতেন, কি তা না করে আমি গাঞ্জা খাইছি বলে দিলেন! সত্য হজম করবার ক্ষমতা সবার থাকেনা ভাই।
৩৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩
তানজীর আহমেদ সিয়াম বলেছেন: বড় হাতের এল ও এল
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনিও কোন ছোট মাপের LoL এর পরিচয় দিলেন না, কারণ আমার কথাগুলো মিথ্যা প্রমাণ করুন, আর কি প্রমাণ করবেন, আছে নি কোন যুক্তি দেয়ার মতো?
LoL বললেই আপনি সুপারস্টার হতে পারবেননা, হয়তো জানতেন না
৩৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: একদম উচিৎ ও সত্য কথা বলে গেছেন ভাই, গ্রেট মন্তব্য। হাইব্রীড লীগারদের কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ফ্যাকাসে হয়ে যাচচ্ছে। মোশতাক মীরজাফর দেশবিরোধী কুত্তারা আবারো ঘ্রাস করতে চাইছে আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।
ধন্যবাদ ভাই সাবধানতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন সবসময়
৩৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০
ভবিষ্যত বলেছেন: ভাইজান মনে হয় বিটিভির ভক্ত...আপনার এলাকায় মনে হয় অন্য চ্যানেল নাই.....আপনার কন্ঠে সেই একি সুর..... উন্নয়ন আর গনতন্ত্র এক নয়....জনগন বুইজা গেছে....গনতন্ত্র দিয়া কিছু হবে না.... দেশে একনায়ক তন্ত্র আনা লাগবো.... আর ৪ বছর এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে......দেশটা ভারতের অঙ্গরাজ্য হয়ে যাবে.....
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:২৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হাসাইলেন ভাই, সত্তর বছর ধরে বাংলার মানুষ এই কথাটি শুনে আসছে, আওয়ামী লীগ দেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিবে, কিন্তু দুঃখের বিষয়, এখনো বিক্রি হয়নি, বরঞ্চ অন্যান্য দল ভারতের কাছ থেকে যে প্রাপ্য আদায় করতে পারেনি, আওয়ামী লীগ সে অধিকার আদায় করেছে, একেই বলে দেশপ্রেম।
আপনার এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডা বাংলার মানুষ আর খায় না ভাইজান,
৪০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অথচ এত উন্নয়ন করার পরও দেশের বেশীরভাগ মানুষ এই সরকারের বিদায় চায়...
৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৩৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: না ভাই, আপনার এই কথাতে একমত হতে পারছিনা, ভুল জরিপ।
বাংলার মানুষের সৌভাগ্য দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন দেশপ্রেমী জনদরদী সৎ একজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছেন, যিঁনি আল্লাহ্ ব্যতীত কারো কাছে মাথা নত করেন না। তিনি আল্লাহ্ প্রদত্ত বাঙালি জাতির জন্য আশীর্বাদ সরূপ, বারবার মৃত্যুর দোয়ার থেকে ফিরে আসা আল্লাহ্'র প্রিয় মানুষদের একজন।
আর যাই করুক বাংলার জনগণ, অন্তত কোন চোরকে দেশের দায়িত্ব দিবেন না এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন। জনগণ এখন আর আগের বোকাচণ্ডী নাই, তারা উপলব্দী করতে শিখে গেছেন কার হাতে নিরাপদ দেশ জনগণ।
৪১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩২
রসায়ন বলেছেন: ১০০ জন মানুষ ব্যক্তিগত কারণে একত্র হলেও ওখানে পুলিশ চলে আসে এতোটাই কনফিডেন্স কম সরকারের । কোটা নিয়ে কি নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও সহিংসতা দেখল সরকার ।
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ১০০ জন জড়ো হলে সেখানে কোনপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তো পু্লিশে গুষ্ঠি তুলে গালি দিবেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আন্দোলন শুরু করবেন, তাই তো পুলিশ তাদের ডিউটি পালন করে।
আর কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা বলছেন? কাদের দাবী মানবেন, দেশ জাতির চিরশত্রুদের?
রাজাকার এদেশের রাজপথে আন্দোলন করবে!! শিবিরের দাবী মানতে হবে??
৪২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৭
হযবরলঃ বলেছেন: এ ব্লগে আওয়ামী লীগ এর বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যার কিছু সত্য, কিছু অসত্য এবং কিছু অতিরঞ্জিত। বর্তমান সরকারের অনেক বিষয় আছে যা নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনা করা যায়, তার মধ্যে অন্যতম হলো বাক স্বাধীনতার সংকোচন যা কোন ভাবেই কারো জন্য (এমনকি সরকারের জন্যও) মঙ্গলজনক নয়, এর বাইরেও অনেক বিষয় নিয়ে সমালোচনা করা যায়।
আবার এ সরকারের অন্যতম সফলতা হলো দেশের মানুষের অথনৈতিক উন্নয়ন। যারা একে শুধু দলের উন্নয়ন বলে উপহাস করেন তারা শুধু কানা নন বরং অন্ধ। দেশের দল, মত, শ্রেণী নির্বিশেষে দেশের মানুষের যে প্রভুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। তবে গত দু -বছর ধরে এই উন্নতির ধারা কিছুটা স্খবীর হয়ে পড়েছে।
দেশে যে পর্যাপ্ত দুর্নীতি হচ্ছে এ ব্যাপারে সন্দেহ নাই। কিন্তু কিছু ব্যাক্তি বলেন দুর্নীতিতে দেশ সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে এবং ব্যাপারটা তারা এমন ভাবে প্রচার করেন যে বেশির ভাগ ব্যাক্তি তা বিশ্বাস করেন। কিন্তু তাদের এ ধরনের প্রচারনার ভিত্তি কি তা মনে হয় বলতে পারবেন না। দুর্নীতি নিয়ে গবেষণা করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এবং তাদের তথ্য এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। বর্তমানে দেশের দুর্নীতির অবস্থা তুলনা করার জন্য এ ব্যাপারে ডেইলি স্টারের প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টাঃ এর ড. ইফতেখারুজ্জামানের বক্তব্যটি তুলে ধরলাম-
Bangladesh was at the bottom of the TI scale for five years from 2001 to 2005. The country started doing better in the following years with its score rising, especially from 2010 to 2013, he said.
"But we could not keep the upward trend. If that had happened, we would have been able to reach the global average of 43," Iftekharuzzaman said.
কাজেই যারা বলেন দুর্নীতিতে দেশ সবকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে তাদের এটা এক ধরণের প্রপাগান্ডা ছাড়া কিছু না। এভাবে পয়েন্ট বাই পয়েন্ট অনেক সমালোচনার বিরোধিতা করা যায় আবার অনেক কিছুর সত্যাতা স্বীকার না করলে সত্যের অপলাপ হবে।
সরকারের কাজের সমালোচনা থাকা উচিত এটা দেশ, দেশের মানুষ, সরকার সবার জন্যই মঙ্গলজনক। কিন্তু সরকারের সমা
লোচনার নামে মিথ্যা প্রচারনা বা কোন গোষ্টির প্রচারিত অপপ্রচার যাচাঁই বাছাই না করেই প্রচার করা কোনভাবেই কল্যাণকর নয়, একইভাবে গ্রহনযোাগ্য নয় সরকারের তোষামোদিও।
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:২৬
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দরভাবে বুঝিয়েছেন, সমালোচনা আলোচনা সবসময় গ্রহণযোগ্য কিন্তু মিথ্যা সমালোচনা মানুষকে ব্যক্তিত্বহীন করে দেয়।
সবসময় দুর্নীতি ছিল, আছে, থাকবে। তবে কমবেশি বা অতিরিক্ত বলে একটা ব্যাপার অাছে সেটা অনেক সচেতন মানুষও বুঝেও না বুঝার বান করে, এরাই মনে হয় বুদ্ধি বেশ্যা।
বাংলাদেশ ২001 থেকে ২005 সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের জন্য টিআই স্কেলের নীচে ছিল। বিশেষ করে ২010 থেকে ২013 সাল পর্যন্ত দেশের ক্রমবর্ধমান ক্রমবর্ধমান সময়ের সাথে দেশটি ভালভাবে কাজ শুরু করে, তিনি বলেন।
"তবে আমরা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রাখতে পারিনি। যদি তা ঘটে তবে আমরা 43 এর বৈশ্বিক গড়ে পৌঁছতে পারতাম",
আসল কথা হচ্ছে প্রতিহিংসা, ক্ষমতার প্রবল লোভ, তাদের বিবেককে নষ্ট করে দিয়েছে,
আমার মাঝেমধ্যে ভাবি, যারা আওয়ামী বিদ্বেষী, ভারতকে শত্রু রাষ্ট ভাবে তারা একাত্তর সা্লে পরাজিত হওয়ার লজ্জা থেকেই হয়তো, কারণ আওয়ামী লীগ আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙালি জাতির জন্য একটি দেশ দিয়েছে, বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি গৌরবোজ্জ্বল বীর জাতি। এটা তাদের সহ্য হয় না যারা বাঙালি হতে পারলো না, হলো হিংসুটে, মুসলিম, বাঙালি মুসলমানরা কি তাদের চেয়ে কম প্রিয় আল্লাহ্'র কাছে? ভারত বাঙালি জাতির জন্য সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেছে, আশ্রয় দিয়েছে বাঁচিয়েছে রেখেছে আওয়ামী বিদ্বেষীদের শত্রুদের। তা হলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো? আওয়াম বিদ্বেষীদের পরিচয় কি মনে করা উচিৎ। তাই, স্বভাবতই বাংলাদেশের উন্নয়নে ওদের গা জ্বলে, ঠাট্টাতামাসা করে, কোন একটা খারাপকে অতিরঞ্জিত করে উন্নয়ন ঢেকে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করে। এইসব অন্ধদের অতিক্রম করে যেটুকু এগিয়েছে দেশ জনমনে যতটুকুই স্বস্তি ফিরে এসেছে তা একমাত্র দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা'র আন্তরিক ভালো্বাসা ও সদিচ্ছার কারণে।
আমরা অনিয়ম দেখে সমালোচনা করি, প্রতিবাদ করিনা, সরকারকে দোষী করে নিজের দায়বদ্ধতা এঁড়িয়ে যাই, আবার মুখে বলি ভালোবাসি দেশকে। আমার হাসি পায় সেইসব দেশপ্রেমিক দেখলে। আমাদের দেশপ্রেমী মেধাবীরা বাংলার রাজপথে আন্দোলন করে জাতীয় শত্রু শোয়রের চেয়েও ঘৃণিত 'রাজাকার' নাম গায়ে লিখে! কতবড় স্পর্ধা এইসব রাজাকারদের!! এদের পক্ষে দেশপ্রেমী জনতা দাঁড়াবে!? এদেরকে মেধাবী বলে মেধা শব্দটিকে কলঙ্কিত করার কোন মানেই হয় না।
আপনার কথাগুলো ভালো লাগলো আমার।
শুভকামনা
৪৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:৫১
নতুন বলেছেন: সাদাকে সাদা আর কালো কে কালো বলার সাহস কি আছে? নেই।
কোটা আন্দলোনের নেতাকে বিরোধিদলের বানালেই তাকে হাতুড়ী দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেওয়া যায় না....
আপনি জনগন না আপনি আয়ামীলীগের কমী` এটা আগে নিজে খুজে বের করুন...
দেশে ছাত্রলীগ যেই রকমের সন্ত্রাস করছে সেটা কখনোই কোন সভ্য গনতান্ত্রীক দেশে চলতে পারেনা।
শেখ হাসিনার পতনের পেছনে এই ছাত্রলীগের ভুমিকা সবচেয়ে বেশি হবে..... এটা দেখতে পারবেন।
টেন্ডারবাজী, দখলবাজী, সন্ত্রাসী করার জন্যই ছাত্রলীগে সবাই যোগ দেয়...
আপনি বলুন যে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপরে হামলার কারনে কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নাই.... এটা কি ঠিক করেছে না ভুল করেছে???
আপনি বুঝতে পারবেন আপনি আয়ামীলিগের কমী` যখন আপনি ভাববেন যে ওদের পিটিয়ে ভালো করেছে ছাত্রলীগ কারন এটা বিরোধি দলের ষড়যন্ত.... সাধারন জনগন হলে আপনি কখনোই আপনার মতন আকেরজন মানুষের গায়ে হাত তোলার সাজা আশা করতেন....
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অবশ্যই সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলার সাহস আমার সবসময় থাকে, সত্যকথা মুখের উপর বলে দেয়ার জন্য অনেকের অপ্রিয় আমি।
না আমি মারামারিতে বিশ্বাসী না, মারামারি কোনকিছুর সমাধান হতে পারেনা। একজন মানুষ হিসেবে এমনই ভাবনা হওয়া উচিৎ।
কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষালয়ে 'রাজাকার' গায়ে লিখে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে ঠাট্টাতামাসা করতে দেখলে বাঙালির রক্তে আগুন জ্বলবে, এটা অস্বাভাবিক মনে করা যায় না।
ছাত্রলীগ সবসময় দেশ জাতির জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে জন্মলগ্ন থেকেই। রাজাকার গায়ে লিখে মুক্তিযোদ্ধাদের গালি দেয়াটা হয়তো সহ্য করতে পারেনি, তবুও না মেরে পুলিশে সোপর্দ করলে ভালো হতো।
এদের নেতৃত্বে আন্দোলন, আবার বাঙালি জাতির স্পর্শকাতর বিষয় মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ঠাট্টাতামাসা, আপনি মেসে নেয়ার পক্ষে?
৪৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৪৯
নতুন বলেছেন: ছাত্রদের রাজাকার বলেছিলো আপনার নেত্রী সংসদে দাড়িয়ে... তাই যখন সাধারন ছাত্রদের রাজাকার বলবেন তখন সাধারন ছাত্ররা লিখেছে।
এটা বুঝতে না পারলে তো সমস্যা.... শিক্ষকে কানধরে উঠবস করার ঘটনার পরে অনেকেই কানধরে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছে...
আর আপনার নেতারা এদের শিবির কমী` বলাতেই প্রমান হয়ে গেলো এরা শিবির কমী`?????
আপনি কি ফেসবুকের ছবি/ পোস্ট বা আপনার নেতারা যা বলেছেন তা শুনেই বিশ্বাস করে থাকেন?
যাই হোক আপনার বিবেক যে পুরু আয়ামীলিগ হয়ে যায় নাই যার প্রমান উপরে বলেছেন যে মারা উচিত হয় নাই। পুলিশে দেওয়া উচিত ছিলো...
আমার কথা হলো দেশে পুলিশ থাকতে আপনার ছাত্রলীগকে রামদা, হাতুড়ি দিয়ে ছাত্রদের মারতে হবেনা। পুলিশকেই তাদের কাজ করতে দিন।
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:০৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আবারও এসে সুন্দর কিছি কথা বলেছেন, কিছু প্রশ্ন রেখে গেছেন,
না এরা যে শিবিরএর সক্রিয় নেতাকর্মী তাতে আপনার সন্দেহ থাকবে পারে, আমার নেই, কারণ এদের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়েছি একটি নিউজ পোর্টালে।
সংসদে কোন মন্ত্রী যদি তাদেরকে রাজাকার বলে থাকে তাহলে সংসদে তাদের রাজাকার বলার প্রতিবাদ করতে পারো, আর সেটা মেধাবীর পরিচয় পেতো, কিন্তু রাজাকার শব্দটি গায়ে আন্দোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধাদদের অপমানমূলক শ্লোগান কেমন মেধা তাতে সন্দেহ আছে ভাই।
৪৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৫৩
রাকু হাসান বলেছেন: কিছূ উন্নয়ন করছে তার চেয়ে বেশি ধ্বংস করছে ,কিছু বিষয় নতুন এনেছে এদেশে যার কৃতিত্ব দিতে হবে আপনাদের এই যেমন স্যাটেলাইট ,ঘুম ইত্যাদি উদাহারণের অভাব নেই ।
বলেছেন গর্বিত আওয়ামী সমর্থক ,শ্রদ্ধা জানাই আপনার মতামত কে , তবে আমি একটু ব্যক্তিগত গল্প বলি ‘‘
আমার কিছৃু বন্ধু ভাল আওয়ামী সমর্থক,দলের সাথে অনেক দিন ,জীবনে ভোট নৌকা ছাড়া দেন নি । এমন আর কি । তাদের কাছে এ সরকারের কাজ কর্ম দেখে বমি করে দিবে ভাব । গোপনীয়তার কারণে স্কিনশট দিতে পারলাম না ।
কোটা অান্দোলন নিয়ে আপনার মতামত দেখে অবাক । পার্থক্য সেটাই কেউ উবাদুল কাদেরর মত ,কেউ বা হাছান মাহমুদ ।
হ্যা আপনাদের গর্ব করার মত অনেক কিছূ আছে কিন্তু বর্তমান লীগের কাজ গুলো নিরপেক্ষ ভাবেদেখেন না ,উত্তর পাবেন আশা করি । কিছু বললেই দেখছি পরিসংখ্যান নিয়ে হাজির হচ্ছেন , কে বা কাদের তৈরী ,কিভাবে মানুষ জানে বুঝে .....হ্যা আপনাদের তথ্য প্রমাণ যে ভুল তা বলছি না ,তবে সর্বজনীনতা অর্জন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ।
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকারের দিক থেকে উন্নয়ন হচ্ছে, তবে উহাতে সাধরণ দেশের নাগরিকদের ভাগ এত কম যে, উহাকে আধুনিক যুগের ভিক্ষা বললেও চলে। -উনার সাথে একমত পোষণ করছি ।
প্রকৃতির আঘাতের অপেক্ষায় আছে আওয়ামী লীগ ,কঠিন আঘাত খুব । সেটা আমি বা আমরা কেউ দিচ্ছি না , এমনিতেই পাবেন , অমোঘ নিয়ম যে ,কাটিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা যে কারও নেই , স্রষ্টার নিয়মের বাইরে কেউ নয় ।যাক সেটা হয়তো বুঝবেন না ,শত বললেও কেননা ক্ষমতা যখন অন্ধ করে দেয় ,তখন কোন কিছূ দেখার ক্ষমতা স্রষ্টা রাখে না ,বিষয় টা এমন হয়েছে আমরাই দেশপ্রেমিক এবং সেরা ।
ভাল কথা আসামের ৪০ লাখ মুসলমান বাংলাদেশের ঘাড়ে আসতে পারে , দেখি কেমন দেখাতে পারেন ,খেল ...। মিয়ানমারের টা না ,হয় বুঝেন নি ঠিকমত । এখন তো বুঝতেছেন ! আর তারা আপনাদের চরম বন্ধু তো , তাদের কাছ থেকে অর্জন ও তো কম নয় ।
বুঝি না আমি কিছূ এখন ও গর্ব কিভাবে হয় একজন মানুষের ! তবে ভাই আপনি খাটি সোনার মত আওয়ামী লীগ,এমন সমর্থক হাজারে একটাও নেই । তবে একটি কথা জানেন ? একটু দৃষ্টি দিলে পরিষ্কার হয়ে যাবে ,বর্তমানে দলটি তার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য থেকে পিছিয়ে পড়ছে ,অনেক পিছিয়ে । আহ! একাত্তর এর আওয়ামী লীগ ,ছাত্রলীগ !! এখনকার ! আকাশ পাতাল হয়ে যাচ্চে !!
খারাপ লাগে এমন একটি দল শেখ মুজিবের আর্দশ মুখে উড়াচ্ছে বাস্তবে প্রতিফলন টা হচ্ছে না । একটি দল টানা এত বছর ক্ষমাতে থাকলে কেন ভোট চাইতে হয় ! ইলেকশান নিয়ে এত ভয় .প্রকাশ্যে ভোট চুরি ,কাল ও তো হাতেনাতে ধরা পড়লো ।
সঠিক জবাব দিয়েছেন /দিতে পারবেন -
বিডিআর বিদ্রোহের ,ব্যাংক লুটের ,খয়লা চুরির,..................না বলি ভাই ,কমেন্ট বড় হয়ে যাচ্ছে ।
যাক অনেক কথা বললাম । আপনি আপনার মত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করছেন পোস্টের মাধ্যমে ,আমি আমার মত প্রকাশ করলাম কমেন্ট এর মাধ্যমে । ভাল থাকুন ,শুভরাত্রি
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব সুন্দর করে গোছানো কথায় বুঝিয়ে গেছেন বর্তমান সরকার দেশটাকে নরকে পরিণত করে রেখেছেন, সামান্য কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সব উন্নয়ন অস্বীকার করা বুদ্ধিমানের কাজ কিনা আমি জানিনা।
এখন তো আপনাকে পরিসংখ্যান দিতেই হবে, কারণ তা না হলে আপনার বোধে আসবে না স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান বাংলাদেশ অনেক ভালো চলছে, জনগণ নিশ্চিন্ত মনে সংসার কাজ পালন করতে পারছে। আওয়ামী লীগের কিছু ঘটনা খারাপ হয়েছে তা স্বীকার করি, কিন্তু ভালো দিকটিই বেশি। আপনার মনে না থাকলেও আমার আছে, ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে মাত্র ৪৫ হাজার আওয়ামী নেতাকর্মী সমর্থক হত্যা করেছিল বিএনপি জামাত। সেই শুরু, পুরো পাঁচটি বছর বাংলার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছিল জঙ্গি নামক বিএনপির গোপন শাখার কাছে। ৬৪ জেলায় একযোগে বোমার বিস্ফারণ কতটা আতংকিত করেছিল বাংলার মানুষকে তা আজ ভুলে গেছেন, সবাই ভুলেনি।
আজকের ছাত্রলীগ রাজাকারদের পিটাইলরও কষ্ট পান আপনারা, বলেন দেশ গেল রসাতলে, কিন্তু ভুলে গেছেন ছাত্রদল আর শিবিরের জীবন নিয়ে হলি খেলার কথা। পাঁচটি বছরে একটি দিন মানুষ আরামে ঘুমুতে পারেনি নিজ ঘরে, ফুটপাথে গরীব ব্যবসায়ী গোল্ডলিফ বেনসন রাখতে সাহস করতো না, বিএনপি শিবিরের ভয়ে, সিগারেট নিয়ে হেটে যেতো টানা না দিয়ে, টাকাচেয়ে জীবন দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে এ দেশে, আজ সামান্য পথের ধারে বসে থাকা দোকানিও গোল্ডলিফ টেনসন রাখেন, এখন আর কেউ সিগারেট নিয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায় না।
আপনাদের বোঝা খুব মুশকিল, আপনাদের চোখে ছাত্রলীগের সামান্য খারাপি অনেক বড় মনে হয়, জীবিত মানুষকে মৃত ঘোষণা করে সরকারকে চাপে রাখতে ব্যর্থ চেষ্টা করতেও লজ্জাবোধ করেন না। আমি কিছু মনে করিয়ে দিচ্ছি, বিএনপির সময় নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করতে আসা বিএনপি ক্যাডারদের কাছে কিশোর মেয়ের মা হাত জোড় করে বলেছেন বাবারা আপনারা একজন একজন করে যাবেন, মেয়েটি আমার ছোট, সহ্য করতে পারবেনা। অবাক লাগে আজ যখন আপনারা এসব আল্লাহ্'র আরশ কাঁপা অত্যাচার ভুলে থাকেন।
অনেক ধর্ষক খুনীর বিচার বর্তমান সরকার করেছেন, আরও হবে সামনের দিনে। বর্তমান আওয়ামী লীগের তাণ্ডব আপনাদের দুর্বিষহ করে তুলেছে, কিন্তু বিগত সন্ত্রাসীর চরম ঘটনাও আপনাদের ভাবায় নি
কতটা দুর্বিষহ করে তুলেছিল বাংলাদেশকে, এখন সুখের দিনে ভুলে গেছেন- একটু মনে করে দেয়ার ইচ্ছে হলো
আপনার যে বন্ধু আওয়ামী লীগের কাজকর্মে বমি আসে, তাকেও একটু স্মরণ করিয়ে দিয়েন, বর্তমান ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগে অনেক শিবির বিএনপি ছলেবলে ঢুকে পড়েছে, যাদের কাজই জনমনে আওয়ামী লীগের বদনাম করা।
নিচের ছবিটিও দেখেন অনেকটা মনে পড়ে যেতে পারে আপনার
ছাত্রদলের ধ্বংসাত্মক অত্যাচার আপনারা ভুলে গেছেন, কিন্তু সবাই ভুলেনি ভাইজান। আজ আপনার আওয়ামী লীগের দু একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনায় দেশ গেল দেশ গেল বলে চিল্লাচিল্লি করছেন, ভালো দলের কাজ দেখে নিন মনে মনে মিলিয়ে দেখবেন
বিডিয়ার হত্যা মামলা, সেটা পাগলেও বুঝবে, যারা বন্ধুকের নল ঠেকিয়ে দেশ শাসনের নামে একাত্তরের পরাজিত শক্তি রাজাকার আলশামস পাকসেনাদের দোষর, এদেশের মা বোনদের যারা পাকসেনা ক্যাম্পে পাচার করার দায়িত্ব পালন করেছিল, সেইসব কুত্তা শোয়রদের ক্ষমতায় এনে তাদের গাড়িতে রক্তগঙ্গা পেরিয়ে অর্জিত লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে চলার পথ করে দিয়েছিল, সেই সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্র ছিল বিডিয়ার বিদ্রোহ। মুর্খরা ভেবেছিল সরকার ঘটন করার একমাসের মাথায় নির্বাচিত সরকারকে সেনাবিদ্রোহে হঠানোর চেষ্টা করেছিল, এগিয়েও গিয়েছিল অনেকদূর, তবে সত্য কখনো চাপা থাকেনা মিথ্যার আঁড়ালে সম্ভব নয় সত্য চেপে রাখা। সব ষড়যন্ত্র এখন জনসমক্ষে।
কয়লা চুরির কথা বলছেন? আরে এটা তো দুর্নীতি, এদের শাস্তি হবে দুদিন আগে পরে।
কিন্তু আপনার কি মনে আছে তিন তিনটি গ্যাস খনি নষ্ট করে দিয়েছিল বিএনপি জামাত সরকার? যে গ্যাস বাংলার মানুষ পঞ্চাশ বছর ব্যবহার করতো। তখন আপনাদের এমন অনুভূতি লক্ষ করা যায়নি।
এদেশে কিছু মানুষ আওয়ামী লীগের সামান্য দোষটাকে বড় করে সমক্ষে জাহির করে, তারা বুঝাতে চায় আওয়ামী সরকার দেশের শত্রু। কিন্তু বাংলার জনগণ এখন পুরোপুরিভাবে বুঝে গেছে কে দেশের প্রকৃত শত্রু, কে প্রকৃত বন্ধু।
হ্যা দুর্নীতি আছে, তবে কমেছে এটা স্বীকার করুন, সদিচ্ছা থাকলে দেশপ্রেম থাকলে দেশ ও দেশের মানুষকে উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ করতে পারে সরকার তার প্রমাণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। আপনি না মানলেও দেশের মানুষ বুঝছে, দেখছে বিশ্ব অবাক চোখে বাংলাদেশের দ্রুত উন্নতি করে এগিয়ে যাওয়া।
৪৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
"অলক্ষীর নিদ্রা বেশী
কাঙ্গালের ক্ষুদা বেশী" - ইহাদের সাথে বাহাস করিয়া লাভ নাই। কবিতা লেখেন। দল জিতবে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন কবিবর, ভালো লাগলো।
সেদিন একজায়গায় মিথ্যাচার দেখে মন্তব্য করেছিলাম, সেই মন্তব্য একটু বাড়িয়ে একটা পোষ্ট করে রেখে দিলাম।
যা বুঝলাম, সবাই আসল কথার ধারেকাছে যায় না, ভাঙারেকর্ড বারবার বলে যায়, নিরপেক্ষ নির্বাচন। অন্যের চালে ডিল ছুড়লে নিজের চালে পাথর পাওয়ার অপেক্ষা করতে হয়, বিএনপি তেমনি পজিশন পার করছে।
হ্যা ভাই, আমার কবিতাই ভালো
৪৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
যার দউলতে রামের মা
তারে তুমি চেননা।- এই হল বাংগালি!
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর কাব্যিক উত্তর, খাঁটি কথা বস।
চিনবে একদিন, সেদিন শুধু কাঁদবে আর বলবে সোনা ছেড়ে রোপা নিয়ে নাচানাচি করেছি।
কৃতজ্ঞতা রইল মন্তব্যে
৪৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
ইহারা ভুলিয়া গিয়াছে -
"আগুন পোহাতে গেলে,
ধোয়া সইতে হয়"
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দেশ বাঙালি জাতি এতকিছু পেলো তার শুকরিয়া না করে দু একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকল উন্নয়ন বিফল করতে ব্যস্ত!
আরে ভাই, সমালোচনা করবেন, অবশ্য করবেন, কিন্তু পাওনাটুকুও স্বীকার করতে সমস্যা কোথায়।
সুন্দর বলেছেস ভাই, কিছু পাইতে গেলে কিছু দিতে হয়। কৃতজ্ঞ করলেন ভাই।
জয় বাংলা
৪৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
ভোরের সূর্য বলেছেন: আপনি আমার মন্তব্য বুঝতে পারেন নাই। আমি বলেছি যে যেই প্রকল্পগুলো এখনও পুরো বাস্তবায়ন হয়নি সেই প্রকল্পগুলোর ছবি দিয়ে সেটার ক্রেডিট নেয়া আরো বড় মিথ্যাচার। এছাড়া রুপপুর এর মূল কাজ শুরুই হয়নি সেটারও ছবি দিয়ে রেখেছেন।যাইহোক আমরা হচ্ছি কুয়ার ব্যাং।আমাদের জানার দৌড় খুব সীমাবদ্ধ।আপনাকে আর আলাদা করে কি বলবো।ভাল থাকবেন।
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বুঝেছিলাম আপনার মন্তব্য। আপনি আমার উত্তর বুঝতে পারেননি।
ছবিগুলো আওয়ামী লীগের রূপকল্প, এগুলো বাস্তবায়িত হবে, আমার আপসোস আপনারা আওয়ামী লীগের উন্নয়ন সুবিধা ভোগ কনেন, কিন্তু মানতে কষ্ট হয় আপনাদের।
আপনাকে আর কি বলবো ভাই, এই ছবিগুলো ব্যতীত আরও অনেক উন্নয়ন আওয়ামী লীগ সরকার করেছেন, সেগুলো আপনার কাছে কি মিথ্যে মনে হয়?
৫০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: বিতর্কিত পোষ্ট সব সময়ই বেশ সাড়া জাগায়। যেমন আপনার এই পোষ্ট।
আপনাকে আর মতিয়া চৌধুরীকে জাতীয় কোন একটা পদক দেওয়া উচিৎ। সরকারের কোন মহলের নজরে একবার এই পোস্টটা আনতে পারলে আর আপনাদের ঠেকায় কে? অগ্রীম অভিনন্দন!
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: কোনটাকে বিতর্কিত পোষ্ট বলছেন? আওয়ামী সরকারের উন্নয়ন আপনার কাছে বিতর্কিত মনে হলো!
আচ্ছা, আপনার ভাষ্য কি ? কি বুঝাতে চাইলেন মতিয়ার সাথে আমাকে তুল না করে?
আমি মতিয়ার বক্তব্য শুনেছি ভাই, বক্তব্যটা ২২ সেকেন্ড ছিল না, আপনারা সেটা কেটে ২২ সেকেন্ড করে মেধার পরিচয় দিয়েছেন, কারণ পুরো বক্তব্যে ব্যাপারটা ভিন্নরকম ছিল, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে ফায়দা লুটা এটা আপনাদের পুরনো অভ্যাস, আপসোস আপনারা সত্যের পথে ফিরে আসতে পারলেন না আজও।
ধরলাম, মতিয়া রাজাকার বলেছেন, কাদের বলেছেন? না সবাইকে বলেননি, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করে শ্লোগান দিয়েছেন, ভিসির বাংলো ভাঙচুর করেছেন তাদের তিনি রাজাকারের বাচ্চাকাচ্চা বলেছেন। এটা আপনার কাছে দোষের হলেও আমি গর্ব করি যে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানে কোন মন্ত্রী সংসদে নিন্দা প্রকাশ করেছেন।
আপনাদের যুক্তিতে যদি সকলকে রাজাকার বলে থাকেন, তবে এরজন্য আপনারা আন্দোলন আরো জোরদার করতে পারতেন, কিন্তু তা না করে নিজেদের রাজাকার মেনে নিয়েছেন, সগৌরবে নিজের গায়ে লিখে রাজপথে মিছিল করেছেন, কিন্তু ভুলে গেছেন এটি বাংলাদেশ, ত্রিশ লক্ষ শহিদের তাজা রক্ত আর প্রায় চার লক্ষ্য মা বোনের পবিত্র ইজ্জতের বিনিময় পাওয়া, যেখানে দেশীয় শক্র রাজাকার'রা শোয়রের চেয়েও নিকৃষ্ট, সেই রাজাকার গায়ে লাগিয়ে বাংলার রাজপথে শ্লোগান দিবেন মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে, তা বাংলার মানুষ মেনে নিবে?? হা হা হা বাঙালি কোন শিবির মিবির ভয় করেনা, ভয় করেনা দেশের শত্রুদের, এর প্রমাণ পাককসেনারা বুঝেছে, বিশ্ব দেখেছে, নতুন করে দেখতে চাইলে আবার রাজাকার লিখে রাজপথে নেমে দেখেন, বাঙালি যতোটা মায়ামমতা ধারণ করে তারচেয়ে বেশি আগুন হয়ে জ্বলতে যানে।
আমার সুবিধা নেয়ার ইচ্ছে নেই রাষ্ট্র থেকে, যা চাই তা হলো দেশ ও দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন। দালাল বা প্রচারক ভাবতে পারেন, দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য জীবন দিতে দ্বিমত নেই কখনো।
আমার কথাগুলো মুখরোচক মনে করে হেসে উড়িয়ে দিবেন না, এটাই আমার জীবনকথা, হৃদয়ে জয় বাংলা।
৫১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: আমাদের প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা সার্বভৌম জাতীয় সংসদে কোটা তুলে দেবার ঘোষণা করে তা বাস্তবায়ন করার জন্য একটি কমিটিও করেছিলেন। সেসময়ে মডিয়ায় অনেকেই একে সাধুবাদ জানিয়ে বক্তব্য প্রকাশ করেছিল, এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত ভিসিও। তখনকার কয়েকটি নিউজ পেপার ঘাটলেই প্রমাণ পাবেন।
দেশের কল্যাণে আওয়ামীলীগ যা করছে, সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য, কোটা বাতিল করেও সাধুবাদ পেয়েছিলে। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন মন্তব্য করেননি, গড়িমসি করছে সেই কমিটি। তারই প্রেক্ষাপটে আন্দোলন দানা বাঁধছিল। ঠেঙারে বাহিনী তা ঠেকিয়েছে। ঠেকানো মানেই সমাপ্তি নয়। ইতিহাস জানে, এর ফল কি হয়।
যাই হোক দালালী করতে পারিনা। সহ্যও হয় না। মতিয়ার কথার পুরো ভিডিওটাই আমি দেখেছি। বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানানোর কথা বলেছিলেন যে বিপ্লবী, তার সেই কথার যেমন নিন্দা করি। সংসদে দাঁড়িয়ে ঢালাওভাবে তার সেই বক্তব্যেরও নিন্দা করি। আপনার বস্তুনিষ্ঠ কথার সমর্থন যেমন করি, চামচামি ধরনের কথা গুলোকেও তেমনি অপছন্দ করি।
জয় বাংলা অনেকেই বলেন। ইদানিং হাইব্রীড অনেকেই এই জয় বাংলা লীজ নিচ্ছে।
আমি শুধু জয় বাংলাই নয়, জয় বঙ্গবন্ধুকেও সম্মান করি। এটা মুক্তিযুদ্ধের অসীম চেতনা। কোন বিশেষ দল বা গোষ্ঠির সম্পত্তি নয়। যার তার কাছে এর অবমাননা সহ্য হয় না বলেই চুপ থাকার চেষ্টা করি, কিন্তু ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে না বলে পারি না।
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হাইব্রীড আওয়ামী লীগারদের উদ্দেশ্য জনমনে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে ভ্রান্তধারণার জন্ম দেয়া। তারা এটা আওয়ামী লীগ গঠনের পর থেকেই করে আসছে। সুবিধা পেয়েছে কয়েকবার, তবে মনে হয় না প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে আর সুবিধা করতে পারবেনা, কারণ বর্তমান জনগণ অনেক সচেতন এবং বুঝতে পেরেছেন তাদের ভাগ্য কোন রাজনৈতিক দলে।
আপনার এবারের কথাগুলো ভালো লাগলো।
আমার কথা হচ্ছে, আপনি দেশকে ভালোবাসেন, তাই দেশ জনগণ যাদের কাছে নিরাপদ মনে করবেন তাকে সমর্থন করবেন।
৫২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩
জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ইদানিং আওয়ামী লীগের কোন সমালোচনা করলেই রাজাকার খেতাব দেওয়া হয়। কাদের সিদ্দিকীকেও এ খেতাবটা দেওয়া হয়েছিল। দলকানারা এটা খুব করে, যারা আত্মস্মালোচনা জানে না, সহ্য করতে পারে না।
বিতর্কিত ভিসির বাসায় যারা হামলা করেছিল তারা কারা, আপনিও জানেন। সিসিটিভির ফুটেজগুলোও গায়েব করা হয়েছিল ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য। ৪৪ নাম্বার কমেন্টে নতুন এর কথাগুলো অনুধাবন হয়তো আপনার পক্ষে সম্ভব নয়। জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনা যা ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি তো আর না বুঝেই বলেননি। তলিয়ে দেখুন, তা বাস্তবায়নে গড়িমসি করছে কারা? সেটা যাচাই না করে সাধারণ ছেলেদের গায়ে ঢালাওভাবে শিবিরের তকমা লাগিয়ে আপনিও একই কথা বারবার বমি করছেন। এতে কেবলই দুর্গন্ধ ছড়ায়, সমাধান হয় না।
৭৫এর অনেক দালাল আওয়ামী লীগে ক্ষমতা নিয়ে ঘাপটি মেরে বসে আছে। আওয়ামী লীগের যা উন্নয়ন তা মলিন হচ্ছে ওদের ভ্রান্তিকর পরামর্শে এবং উস্কানিতে। এদেরকে প্রায়োরিটি দিলে শেখ হাসিনার সব অর্জন ধুলায় মিশাবে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১১
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: জ্বি না আওয়ামী লীগের সমালোচনা করলেই কেউ আপনাকে রাজাকার বলে গালি দিবে না, রাজাকার গালি তখন পাবেন, যখন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করতে গিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে উল্টাপাল্টা সমালোচনা করবেন তখন।
কোটা সমালোচনা নিয়ে আমার উত্তর গুলো আপনার কাছে বমি করার মতো মনে হলো, গান্ধি মনে হলো!!!
আরে ভাই, কোটা সম্পর্কে আমারও সামান্য জ্ঞান আছে, জানি কতটুকু কোটা এদেশে চালু আছে, আপনি কতটুকু জানেন সেটা আমার সন্দেহ আছে। যাক সে বিষয়ে আমি যাবো না, আমি শুধু এইটুকু বুঝাতে চাইছি কোটা কেবল মুক্তিযোদ্ধা কোটাই আপনাদের শরীরে কাটার মতো মনে হচ্ছে। কেন ? মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া সুবিধা আপনার গায়ে কাটা মনে হবে কেন ?
কোটা সংস্কার -
কোটা নিয়ে দেশে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে! কোটা না থাকলে কি চাকুরী পাবো না? আর কোটা থাকলে কি যোগ্যতা না থাকলেও চাকুরী পাবো?
অনেকে এই বিষয়গুলো গুলিয়ে ফেলছেন, অনেকে হা হুতাশ করছেন এই ভেবে যে, আহারে এইজন্যই বুঝি দেশে অনেক বেকার! আসলে কি তাই?
আপনি মেট্রিক পাস দিয়ে কি ব্যাংকের ম্যানেজার হতে পারবেন?
আর দেশে সরকারি সেক্টর থেকেও সবচেয়ে বড় সেক্টর বেসরকারি সেক্টর! সেখানে তো কোটা নাই? তাহলে সেখানে ইন্ডিয়া শ্রীলংকা থেকেও যোগ্য প্রার্থী এসে মোটা অংকের মাইনে নিচ্ছে, আপনি পাচ্ছেন না কেন?
আসলে কোটা জিনিসটা কি?
আসুন দেখি কোটার বিশ্লেষণ --
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হয়। এগুলো হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পোষ্যদের ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা কোটা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুযোগ রয়েছে বাকি ৪৪ শতাংশ।
খেয়াল করে দেখুন এইখানে ৪৪ শতাংশ বলা হলেও আসল অনুপাত আরো বেশি!
যেমন -- নারী ১০% + জেলা কোটা ১০% + প্রতিবন্ধী ১% = মোট ২১ %
এই ২১ শতাংশ কিন্তু সাধারণ সকল জনগণের মাঝে থেকেই করা হয়েছে! ( যাদের কোটা নাই)
আর এইখানে নারী এবং জেলা কোটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়! সাথে প্রতিবন্ধী দের অগ্রাধিকার দেয়া পৃথিবীর সকল মানুষের মানবিক দায়িত্ব!
সুতরাং আসল সমিকরনটা হবে ( ৪৪% + ২১ %= ৬৫ %) যা কৌশলে বাদ দিয়ে ছেঁটে দেখাচ্ছে বিষয়টা জটিল আর আতঙ্কিত করতে একটা গোষ্ঠী!
তাহলে বাকি রইলো কত?
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫% + মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ৩০% = ৩৫%
নৃগোষ্ঠী বা আদিবাসী ৫% কোটা রাখা হয়েছে তাদের রেশিও কম বিধায় রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা থেকে যেন পিছিয়ে না পরে!
আমার মনে হয় এই ৩৫% নিয়েই একটা গোষ্ঠির বিরোধিতা!
আবার এই ৩৫% এর মাঝেও আরেকটা বিশেষ পরিবর্তন হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে,
(এত দিন নিয়ম ছিল নির্ধারিত কোটায় যদি উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না যায়, তাহলে পদগুলো শূন্য থাকবে। মেধাবীদের থেকে সেগুলো পূরণের কোনো সুযোগ ছিল না।)
কিন্তু সম্প্রতি এক সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে নির্ধারিত কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাবীদের তালিকা থেকে পূরণ করা হবে।
এখন বলেন কোটা নিয়ে সমস্যা কোথায়??
কোটা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, মিছিল মিটিং হচ্ছে আলোচনা হচ্ছে--- অনেকে অনেক কথা বলছেন, অনেক পরিসংখ্যান ব্যাখ্যা দিচ্ছেন --- কিন্তু একটা প্রজাতি কোটা কে বিশেষ করে মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে ঠাট্টা তাচ্ছিল্য করছেন ---- এরা কারা?
কোটা নিয়ে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা চমৎকার কথা বলেছেন... " মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিতেই চাকরিতে তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনীদের জন্য কোটা চালু করা হয়েছে। তারা যদি যুদ্ধ না করতেন তাহলে বাংলাদেশ আসতো না, স্বাধীন বাংলাদেশ দেখা সম্ভব হতো না। তারা যুদ্ধ করেছিলো বলেই আপনারা আজ বড় পদে আসীন হতে পারছেন। তাই কোটা থাকবে।"
এখন যারা এই স্বাধীন দেশে বসে মুক্তিযোদ্ধা দের ভিক্ষুক ডাকছেন, ঠাট্টা করছেন -- তারা একটা প্রশ্নের উত্তর দিন--- জীবনের মায়া ত্যাগ করে যারা দেশের জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন, তাদের ছেলেমেয়ে কে এই স্বাধীন দেশ কি দিয়েছে?
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কয়জন মুক্তিযোদ্ধা এই কোটায় চাকুরী পেয়েছে? ৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু কে হত্যার পর ঘাতকচক্র মুক্তিযোদ্ধা দের কখনো সরকারি চাকুরী তে অগ্রাধিকার দিয়েছে?
তখন কোথায় ছিলো আন্দোলন?
আমি এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার দেখাতে পারবো যারা বিন্দুমাত্র রাষ্ট্রীয় সহায়তা নেননি, এমন অনেক আছে যারা কোনদিন কোন অনুদান ও পাননি!
আবার এমন ও আছে যাদের যোগ্যতা না থাকায় চাকরী বাকরির সুযোগ ছিলো না আগে, কিন্তু সন্তানদের সে সুযোগ আছে!
তবে হ্যা কোটা কিঞ্চিৎ সংস্কারের পক্ষে অনেকেই সুপারিশ দিয়েছেন যা মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় গণ ভেবে দেখতে পারেন--
< ভুয়া এবং ঘুষ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ধারী দের চিহ্নিত করে বাদ দেয়া হোক!
< একই প্রার্থী যেন একবারই কোটা নিয়ে চাকুরী পায়! বার বার না!
< তৃতীয় প্রজন্মের পর চতুর্থ প্রজন্ম ( মুক্তিযোদ্ধাদের নাতী নাতনী দের সন্তানদের ক্ষেত্রে) তা কমিয়ে অর্ধেক ১৫ % এ আনা সমুচিত হবে!
ভিন্নমত থাকলে কমেন্ট করে জানান!
ধন্যবাদ!
আমার বিশ্বাস, আপনি যদি স্বাধীনতা কামী মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হয়ে থাকেন তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আপনার মনে কোনরকম দ্বিমত থাকতে পারেনা। কারণ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা আপনার চাকরির পথ আটকে রাখেননি কোনভাবেই।
দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে বুঝতে পারবেন যখন বিগত সরকারদের শাসনামল ভুলে না থাকেন
আওয়ামী লীগের বড় বড় এমপি মন্ত্রী মেরেছে, গুম করেছে প্রধানমন্ত্রীকে বিশবার হত্যা চেষ্টা সবকিছু ভুলে যাবেননা, তাহলে দেশ জাতির কাছে বেঈমান হয়ে রবেন ইতিহাসের পাতায়। সত্যকে স্বীকার করুন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন, সুন্দর সমৃদ্ধ দেশ গড়ুন। জয় হোক বাংলার
৫৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২১
রাকু হাসান বলেছেন: ভাই ! কি বলেন দল আর লীগ কারও কাজ আমার ভাল লাগে না ,ব্যক্তিগতভাবে ,এরা কেউ আমাদের জন্য সঠিক ভাবে কাজ করে না । তবে মন্দের ভাল খুঁজতে গেলে লীগ এগিয়ে থাকবে । কিন্তু মন্দের ভাল আর কত দিন !! এ সরকারের উন্নয়ন করছে সেটা আমি অস্বীকার করিনি ।
‘‘আজকের ছাত্রলীগ রাজাকারদের পিটাইলরও কষ্ট পান আপনারা, এখানে আমাকে মিশালেন ,ভুল বুঝলেন ! স্রষ্টা জানবে কত চাই রাজাকারদের বিচার । তবে সুষ্ঠুৃ হোক।
আপনি যে তথ্য উপাত্ত দিলেন ,এমন তথ্য লীগের বিরোদ্ধেও দেওয়া যাবে । ‘‘
আপনাদের বোঝা খুব মুশকিল, আপনাদের চোখে ছাত্রলীগের সামান্য খারাপি অনেক বড় মনে হয়,’’ কিছুটা বিনোদন পেলাম ।
প্লিজ ,সংস্কৃতি টা পাল্টাতে এগিয়ে আসুন , ভা্ল্লাগে না আর ..........
০২ রা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:
রাকু হাসান বলেছেন: ভাই ! কি বলেন দল আর লীগ কারও কাজ আমার ভাল লাগে না ,ব্যক্তিগতভাবে ,এরা কেউ আমাদের জন্য সঠিক ভাবে কাজ করে না । তবে মন্দের ভাল খুঁজতে গেলে লীগ এগিয়ে থাকবে । কিন্তু মন্দের ভাল আর কত দিন !! এ সরকারের উন্নয়ন করছে সেটা আমি অস্বীকার করিনি -সুন্দর বলেছেন, ভালো লাগলো কথাগুলো, সত্য কথাগুলো অকপটো বলে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আরও খুশি হলাম রাজকারদের বিচার চান জেনে।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্বে লেখার থাকলে লিখবেন, সত্য কথা বলবেন তাতে আমি দোষের কিছু দেখি না, আমি সাধুবাদ জানাই। তবে মিথ্যাকে সত্য বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা না করাই ভালো, কারণ সত্য চাপা থাকেনা বেশিদিন।
প্লিজ ,সংস্কৃতি টা পাল্টাতে এগিয়ে আসুন , ভা্ল্লাগে না আর ........ কথাটুকু ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না, কোন সংস্কৃতি পাল্টাতে বলেছেন?
৫২-৭১ ভুলে জেতে বললেন না তো ...!!
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকারের দিক থেকে উন্নয়ন হচ্ছে, তবে উহাতে সাধরণ দেশের নাগরিকদের ভাগ এত কম যে, উহাকে আধুনিক যুগের ভিক্ষা বললেও চলে।