![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। https://www.facebook.com/nana.bhai.5209
বরিশালে শওকত হোসেন হিরনের বাসায় নেতাকর্মীদের অসম্ভব ভিড়। তিন তলা ভবনের কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। নিচে খোলা চত্বরেও ভিড় করে আছেন কর্মীরা। বেশির ভাগ কর্মীদের চোখে জল। চিৎকার করে কেউ কেউ কিছু
নেতার চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করছেন। মাটিতে বসেও একদল কর্মী আহাজারি করছেন। দোতলায় দেখা গেল হিরনকে। একদল নেতাকর্মীর ভিড়ে চুপচাপ বসে আছেন। কোন কথা বলছেন না। নেতারাও চুপ। একবার মুখ তুললেন তিনি। চোখে জল। এ দৃশ্য দেখে অর্ধশত কর্মীর চোখেও জল এলো। কেউ কেউ কেঁদেও ফেললেন। একপর্যায়ে নিচে থেকে কর্মীদের উত্তেজনার আভাসও মিললো। শওকত হোসেন হিরন নিজে উঠলেন পরিস্থিতি সামাল দিতে। কর্মীরা ভবনের ভেতরে কোন কোন নেতার অবস্থান সহ্য করতে পারছেন না। এসব নেতা নির্বাচনের দিন যে ভূমিকা নিয়েছিল তার সমালোচনায় মুখর। এক কমিশনার পদপ্রার্থীকে তো ছাত্রলীগ নেতা জিয়াউর রহমান প্রকাশ্যে গালাগাল করলেন। পরিস্থিতির অবনতি রোধে হিরন নিজে নিচে এসে সবাইকে বোঝালেন। একপর্যায়ে তিনি আফসোসের স্বরে বললেন, কর্মীদের দোষ দিয়ে কি হবে? আমার নেতা আবুল হাসানাত অবদুল্লাহ ও তার পরিবারের যে ভূমিকা তাতে না হেরে কি উপায় আছে? বললেন আমার টাকা দিয়ে তার শ্বশুরালয়ে বসে আনারসে ভোট দেয়ার জন্য কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেছে এটি আমার জানা আছে। আগৈলঝাড়ার সেরালে বসে বিদ্রোহী প্রার্থী মামুনকে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করার জন্য চাপ দিয়েছেন সেটি সবার জানা। তাই অন্যকে দোষ দিয়ে কি হবে?
হিরনের এ আর্তনাদ এখন দলের সব নেতাকর্মীর মধ্যে। নির্বাচনের প্রথম থেকেই হাসানাতের ঐক্য নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে অনেক লেখালেখিও হয়। সন্দেহ দৃঢ় হয় যখন কোন অবস্থায় বিদ্রোহী প্রার্থী মাহামুদুল হক মামুনকে বসানো যায়নি। বিভিন্ন টিভির মুখোমুখি অনুষ্ঠানেও মামুন হিরনের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার। নির্বাচনের দিন আনারসের আহসান হাবিব কামালের পক্ষে সরোয়ার দিনভর ছোটাছুটি করলেও হাসানাত ছিলেন অনুপস্থিত। আর এর সঙ্গে হাসানাতের কর্মী বাহিনীর বিরুদ্ধেও আনারসের পক্ষে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে হিরন মেয়র নির্বাচিত হলে হাসানাতের সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়। এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হাসানাত কখনোই চাননি বরিশালে কেউ একজন এমপি বা মেয়র হন। কেননা তিনি বরিশালের একটি উপজেলার সংসদ সদস্য ছিলেন। বরিশালে আওয়ামী লীগের কেউ এমপি বা মেয়র হলে মহানগরীতে তার কর্তৃত্ব থাকে না। আর ২০০৮ সালে হিরন যখন মেয়র হন তখন হাসানাত দেশে ছিলেন না। তাই বিরোধিতাও হয়নি। এরপর ৫ বছরে একাধিক সংঘর্ষে লিপ্ত হয় হিরন ও হাসানাত সমর্থকরা। এবার যখন হিরনের পাশে এসে দাঁড়ান হাসানাত তখনই অনেকে চোখ বড় করেছিলেন। আশঙ্কা ছিল এ ঐক্য টিকবে তো। আর হিরনের গতকালের কথায় স্পষ্ট হয়ে গেছে আসলে ঐক্য কখনওই ছিল না।
সুত্রঃ মানবজমিন
২| ১৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪১
আরিফ আহমেদ বলেছেন: আমি ব্যক্তিগতভাবে লীগের কাজে বিরক্ত কিন্তু রাজশাহি আর বরিশালে এই দুইজন মেয়র হারুক তা কখনই চাইনি। শালার জনগণই দেশের প্রধান শত্রু, আজব বাপার এত এত কাজ করেও হীরন কে হারতে হল।কেউ আর ভাল কাজ করতে চাইবে না।
৩| ১৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
মীর্জা প্রীয়ম বলেছেন: বাংলার জনগণকে এত ভোদাই মনে করার কারণ নেই, তারা কখনই ভোট দিতে ভুল করে না। লিবিস্টিক মার্কা উন্নয়ন করে ভোট পাওয়া যায় না। ভিক্ষে চাইনা কুত্তে খেদা অবস্থা জনগণ ব্যালট বিপ্লব ঘটিয়েছে...
৪| ১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন: arif_ahamed
ব্রো জনগন ভুদাই না - এইটা তো দলীয় নির্বাচনের মধ্যে ফেলে দিছে সেখানে জনগন আওমীলীগ বিএনপি দেখে ভুট দিছে - এখানে প্রার্থী মূখ্য ছিলোও না ~
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:২৮
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: বরিশাইল্যা হিসেবে নিজের উপ্রে ঘেন্না হয়, আসলে বরিশালেই সমগ্র বাংলাদেশের আবুল জনগনের গনতন্ত্রের নমুনা বোঝা গেছে। যে ব্যাটা বিগত ৫বছর আগের ৩০ বছরের চেয়ে বেশি উন্নয়ন করেছেন.....বরিশালকে পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে মডেল করে দিয়েছেন......পুরে দেশের বিপরীতে বরিশালকে সন্ত্রাস-হানাহানী-খুন থেকে মুক্ত রেখেছেন। সেই হিরন কিনা হেরে গেল এক বিশিষ্ট দূনীতিবাজ 'ঢোল কামাল' এর কাছে। এর চেয়ে লজ্জার আর কি আছে
।
এই হিরনের জন্যই গডফাদার হাসনাত পুরে আওয়ামী আমলে নিষ্কৃয় হয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছে......নিজ চেখে প্রতিবারে বরিশালের পরিবর্তন দেখে অবাক হয়েছি আর গর্ব করেছি.....আর আজ তার এ প্রতিদান। আসলে এই মেয়র ইলেকশন নির্দলীয় প্রচার করে সর্বোচ্চ দলীয় প্রচারনা করাটার মতো ফাজলোমো না করলেই ভালো হতো। আসলে হিরন হেরেছে আওয়ামীলীগের জন্য, আওয়ামীলীগের চুড়ান্ত ব্যার্থতাই ওই দুর্নীতিবাজদের উঠে আসতে সাহায্য করেছে।