নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/nana.bhai.5209

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। https://www.facebook.com/nana.bhai.5209

নানাভাই

মানবিক দায় ও বোধহীন শিক্ষা মানুষকে প্রশিক্ষিত কুকুরে পরিণত করে....আইস্ট্যাইন। https://www.facebook.com/nana.bhai.5209

নানাভাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনঃ হীরননামা; কাকের মাংশ কাক খায়

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৪





বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী শওকত হোসেন নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য দলীয় লোকদের দায়ী করেছেন।বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৪ দল সমর্থিত পরাজিত মেয়রপ্রার্থী ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. শওকত হোসেন হিরন নেতাকর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী মতবিনিময় সভা করেছেন।



এ সময় তিনি নিজে যেমন অঝোরে কাঁদলেন, তেমনি কাঁদালেন নেতাকর্মীদেরও।



মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টায় নগরীর বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় হিরন স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘বরিশালের মানুষ আমাকে ঠিকই ভোট দিয়েছে, তবে আমার সাথে বেঈমানি করেছে আমার দলেরই কতিপয় নেতা। তারা নেপথ্যে আমার বিপক্ষে কাজ করেছে।’ তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ উন্নয়ন দেখে টেলিভিশনে ভোট দিয়েছে। আমি সেজন্য কৃতজ্ঞ। আমাকে হারানো হয়েছে। পরাজয়ের মূল কারণ দলের জেলা সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও তার অনুসারীরা।

পরাজয়ের কারণ উল্লেখ করে শওকত হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান, আবুল হাসানাতের শ্যালক কাজী কামালসহ তার অনুসারীরা আনারসের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের প্রভাবিত করেছে। ভোটের আগে তারা হিন্দু বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে টেলিভিশনে ভোট না দেওয়ার জন্য বলেছে। ভোটের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে থেকে টেলিভিশনের বিপক্ষে কাজ করেছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে নগরের বরিশাল ক্লাব চত্বরে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন শওকত হোসেন।

নবনির্বাচিত মেয়র আহসান হাবিবকে উদ্দেশ্য করে শওকত হোসেন বলেন, আপনার যা দুর্নীতি আছে আগে সেইসব দুর্নীতি প্রকাশ করুন। আপনার দলের সাংসদ মজিবর রহমান সরোয়ারের দুর্নীতি প্রকাশ করুন। তারপর আমার কথা বলেন। আমি তিন নম্বরে।

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার করা উল্লেখ করে শওকত হোসেন বলেন, ৪ বছর ৭ মাস বরিশালে রাজনৈতিক সহাবস্থান বজায় রেখেছি। এটাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবেন। নির্বাচন যেতে না যেতেই শেখ হাসিনার ছবি ফেলে দিয়েছেন, নেতা-কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা এখনও প্রধানমন্ত্রী, তিনি পদত্যাগ করেনি। আগামীতে কোন নেতা-কর্মীর ওপর আঘাত আসলে ১৮-দলীয় জোট নেতা-কর্মীদের ছাড় দেওয়া হবে না।

আগামীতে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর আঘাত আসে তাহলে এর দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

বক্তৃতার এক পর্যায়ে শওকত হোসেন আবুল হাসানাতের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি তো কোন দলের সঙ্গে বা নেতা-কর্মীর সঙ্গে অন্যায় করিনি। আমি আপনার হাত ধরে দলে এসেছি। আপনি আমাকে হারাননি, আপনি বঙ্গবন্ধুর কফিনে আঘাত করেছেন। আপনি এসে কর্মীদের কান্না দেখে যান। আপনি ছিলেন আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। অভিভাবক হয়ে এইভাবে আঘাত করলেন? আজ থেকে শেখ হাসিনা ছাড়া আর কোন রাজনৈতিক অভিভাবক নেই।

আগামীতে কোন নির্বাচন না করার অঙ্গীকার করে শওকত হোসেন বলেন, আবুল হাসানাতের কারণে এই বরিশাল আসন থেকে আওয়ামী লীগের কোনদিন সাংসদ বা মেয়র হতে পারেনি আগামীতেও পারবে না। প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ, মাহবুব উদ্দিন আহমেদকে হারানো হয়েছিল। এবার আমাকে হারানো হল। এক ছাদের নীচে থেকে একজন নির্বাচন করবে অন্যজন বিরোধিতা করবে তা হয় না। নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) বলে এখান থেকে সরে দাঁড়াব। ব্যবসা করব।

মতবিনিময় শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে আবুল হাসানাতের বিরুদ্ধে শ্নোগান দেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি নগরের সোহেল চত্বরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৩৫

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: এটা অজানা কিছুই নয়.......। সেই সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে বরিশাল আবারো খবরের শিরোনামে এলো বলে। আওয়ামীলিগের জন্যই হিরনের মেয়র হওয়া........এবং এবার শুধুমাত্র আওয়ামীলীগের সমর্থনের কারনেই তার বিদায় নেয়া। বলা যেতে পারে.....ওনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের এখানেই সমাপ্তি..........আর রাজনৈতিক কোমায় থাকা আরেকজন 'ভাই' এর হয়তো পুরুরুত্থান।

২| ১৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: উনি সহাবস্থান করেলে লীগ কুপাকুপি করছে কার সাথে....

৩| ১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫

জাতির চাচা বলেছেন: হিরন মেয়র হিসাবে বরিশালের যে ঊন্নয়ন করেছেন তা অবিশ্বাস্য।চার বছরে বরিশাল শহরের চেহারা পালটে দিয়েছেন তিনি। এর জন্য অনেক রিস্ক নিতে হয়েছে তাকে।এবার হিরনকে কেউ হারাবে এটা ছিলো কল্পনারও অতীত।তাহলে কেনো হারলেন তিনি? একটাই কারণ ,হেফাজতের উপর আক্রমনকে অন্যান্য সিটির মতো বরিশালের মানুষও ভালোভাবে নেয় নাই। হাসানাতের তেমন প্রভাব সাধারণ মানুষের মধ্যে নাই ।তার কারনে দুই চারশ ভোট কমতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.