"বাবার বাধ্য মেয়ে" প্রবাসী অনামিকা

১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৪৫

"বিলাত দেশ টি মাটির সেটা সোনা রুপার নয়"
অনামিকার ডায়েরি থেকে

অনামিকা অনামিকা হয়ে থাকবে তার ত্যাগের জন্য ।
কি ত্যাগ সে করেছে ?
কি করে নাই, নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে ভাইবোন আর বাবামার জন্য।
বলতে পারে নাই দেশে পরিবার কে আমার বাড়ি চলে গেছে , স্বামীর চাকুরী নাই এই সব।
অনামিকার বিয়ে হয় বাবার বয়সী এক পুরুষের সাথে। ছেলে বিলাতে পাস করা ব্যারিস্টার । এটা দেখেই বাবা আর কোন কিছু দ্যাখে নাই। এই পাত্র হাতছাড়া করা যাবেনা।
মেয়ের পড়াশুনা এখনো অনেক বাকি। তাতে কি? ওখানে গিয়ে অর্থাৎ লন্ডনে পড়ে নিবে।
কিন্তু সে পড়া আর হয়নাই। কি করে হবে?
পর পর চার বাচ্চার মা হয়ে যায় । স্বামীর কাজ নাই। অনামিকার কাঁধে সংসার এর সব দায়িত্ব এসে পড়ে। বলে রাখা ভালো বেশির ভাগ ব্যারিস্টার এখানে বেকার। পড়া শেষ করতে বিয়ে বয়স শেষ।

বাংলাদেশের মেয়ে খুব স্বস্তা ।

কোন কিছু না দেখেই মা বাপ বিয়ে দিয়ে দায়। পাত্র প্রবাসী সেটায় আসল ।
বাবার অবস্থা তেমন স্বছল নয়। আরও সন্তান আছে অনামিকা ছাড়া ।
বাবার আবদার ফেলতে পারেনা বাধ্য মেয়ে। এই অবস্থায় এক এক করে সবায় কে নিয়ে আসতে হয় স্টুডেন্ট হিসেবে। তাদের পড়ার খরচ চালাতে গিয়ে বাড়ি রিমরগেজ করতে হয় এবং দেউলিয়া হয়ে বাড়ি ব্যাঙ্ক নিয়ে নায় ।
এই হল অনামিকার বিলাতি জীবন।

মাঠে নামতে হয় সংসার চালনার জন্য। স্বামী অলরেডি বৃদ্ধ । তার উপর কাজ নাই।
বৃদ্ধের দেখাশুনার দায়িত্ব ,সন্তান দের খাবার রান্না, আর চাকুরী সব কিছুর দায়িত্ব অনামিকার কাঁধে ।

তার উপরে ভাইবোন দের একে একে নিয়ে আসা ,বাবার আবদার ফেলতে পারে না ।

অনামিকা এখন ভারতীয় ড্রামা সিরিজ " জ্যোতি" র মত। "মে হ্যু না" বাংলা অনুবাদ " আমি তো আছি" ।


দিন শেষে দেখা যায় সবার পড়াশুনা হয় একমাত্র তার আর পড়াশুনা হল না।
বাবার বাধ্য মেয়ে!

৪ টি +০/-০