নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

"সত্যিকার ঈমানদার ব্যক্তি হচ্ছে তারা, যারা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসূলের ওপর ঈমান আনে, অতঃপর (আল্লাহ তায়ালার বিধানে) সামান্যতম সন্দেহও পোষণ করে না এবং জীবন ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে; এরাই হচ্ছে সত্যনিষ্ঠ।" {সূরা আল হুজুরাত, আয়াত ১৫}

মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী

"প্রত্যেক প্রাণীই মরণের স্বাদ ভোগ করবে ... এই পার্থিব জীবন কিছু বাহ্যিক ছলনার মাল সামানা ছাড়া আর কিছুই নয়।" {সূরা আল-ই-ইমরান, আয়াত ১৮৫} "সত্যিকার ঈমানদার ব্যক্তি হচ্ছে তারা, যারা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসূলের ওপর ঈমান আনে, অতঃপর (আল্লাহ তায়ালার বিধানে) সামান্যতম সন্দেহও পোষণ করে না এবং জীবন ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে; এরাই হচ্ছে সত্যনিষ্ঠ।" {সূরা আল হুজুরাত, আয়াত ১৫}

মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সকল সৃষ্টির ইবাদত ও আনুগত্য- ১

১৪ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:১৬

আল্লাহ নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও বিশ্বজগতের দৃশ্য-অদৃশ্য সবকিছুর স্রষ্টা, পালনকর্তা, রক্ষাকর্তা ও একমাত্র উপাস্য। সকল সৃষ্ট বস্তুর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হ'ল এক আল্লাহ্‌র ইবাদত ও আনুগত্য স্বীকার করে স্ব স্ব অবস্থানে বিচরণ করা। সৃষ্টির সেরা মানব জাতিকে আল্লাহ্‌র অনুগত থেকে ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ বলেন,



'আমি মানুষ এবং জ্বিন জাতিকে আমার ইবাদত করা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি।' {সূরা আয যারিয়াত, আয়াত ৫৬}



এই অমূল্য বাণীর মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে ইবাদতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য। আল্লাহ তা'আলা মানব জাতিকে শুধু সৃষ্টির শ্রেষ্টই নয় বরং তাঁর প্রতিনিধি হিসাবেও সম্মান ও মর্যাদা দান করেছেন। অতঃপর এই প্রতিনিধিত্বকে ঐতিহাসিক সম্মানে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্যে সৃষ্টির প্রথম মানব আদম (আ.)-কে ফেরেশতাকূল কর্তৃক সিজদা করান। এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে আল্লাহ তা'আলা সমস্ত ফেরেশতা মন্ডলীকে আদম (আ.)-এর প্রতি সিজদা করার আদেশ করেন। একমাত্র ইবলীস ব্যতীত সকলেই সিজদায় অংশগ্রহণ করে। ইবলীস আদেশ অমান্য করে শয়তানে পরিণত হয়। অতঃপর স্বেচ্ছায় মানব জাতির ক্ষতি সাধনের জন্য ব্রতী হয়।



শয়তানের প্রার্থনার প্রেক্ষিতে আল্লাহ তাকে কিছু ক্ষমতা প্রদান করেছেন। এই ক্ষমতা প্রদানের বিষয় মানব জাতিকে পুরোপুরিভাবে অবহিত করা হয়েছে এবং তার শত্রুতা হ'তে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু এই শয়তানের কারণেই ইবাদতের ব্যাপারে মানবজাতির মধ্যে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়। আর এই ভাঙ্গন প্রতিরোধ কল্পে আল্লাহ তা'আলা যুগে যুগে মানব সম্প্রদায়ের হেদায়াতের জন্য নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন। সর্বশেষে প্রেরিত হয়েছেন আমাদের মহানবী মুহাম্মাদ (ছা.)। যিনি বিশ্বনবী, শ্রেষ্ঠ নবী ও নবীকূলের সর্দার। তাঁর প্রতি নাযিল হয়েছে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন।



মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে মানব জাতির ইবাদত ছাড়াও নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের মধ্যস্থিত সৃষ্ট বস্তুগুলোর ইবাদতের বর্ণনা রয়েছে। মানব জাতি ছাড়া দৃশ্য-অদৃশ্য সকল বস্তুই আল্লাহ্‌কে সিজদা করে। সৌভাগ্য নিয়ে জন্মগ্রহণ করে পৃথিবীর অলীক মোহে পথভ্রষ্ট ও পথহারা হতভাগ্য মানব গোষ্ঠীকে হেদায়াত ও জ্ঞান প্রদানের প্রয়াসেই পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থানে এদের আনুগত্য প্রকাশের পদ্ধতির বিশদ বিবরণ বিধৃত হয়েছে। যেমন- আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা করেন,



'নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে তারা সবাই আল্লাহ তা'আলার (পবিত্রতা ও) মাহাত্ম্য ঘোষণা করছে, আল্লাহ তা'আলা মহাপরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়।' {সূরা আল হাশর, আয়াত ১; সূরা আস্ ছফ, আয়াত ১}। অনত্র তিনি বলেন,



'আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তার সব কিছুই আল্লাহ তা'আলার পবিত্রতা এবং মাহাত্ম্য ঘোষণা করে, তিনি পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়। আসমানসমূহ ও যমীনের সার্বভৌমত্ব তাঁরই জন্যে, তিনি জীবন দান করেন, তিনিই মৃত্যু ঘটান, তিনি সব কিছুর ওপর চূড়ান্ত ক্ষমতাবান।' {সূরা আল হাদীদ, আয়াত ১-২} আল্লাহ আরো বলেন,



'সাত আসমান, যমীন এবং এ (দু'য়ের) মাঝখানে যা কিছু (মজুদ) আছে তা সবই আল্লাহ তা'আলার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে; (সৃষ্টিলোকে) কোনো একটি জিনিসই এমন নেই যা তাঁর প্রংশসা, পবিত্রতা ও মাহাত্ম্য ঘোষণা করে না; কিন্তু তাদের এ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পারো না; অবশ্যই তিনি একান্ত সহনশীল ও ক্ষমাপরায়ণ।' {সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত ৪৪}



আল্লাহ তা'আলা শুধু তাঁর ইবাদতের জন্য মানব সৃষ্টি করে যেমন তাকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, তেমনি ইবাদতকে মানুষের জন্য বাধ্যতামূলক কর্তব্য স্থির করায় তারা সকলেই আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে বা আল্লাহ্‌র অনুগত থাকে। উপরের আয়াতগুলোতে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের মধ্যস্থিত সকল সৃষ্ট বস্তুর আল্লাহ্‌র প্রতি পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণার পুনরুল্লেখ রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য সৃষ্ট বস্তুর প্রতি ইবাদত ও আনুগত্যের আদেশ না থাকা সত্ত্বেও তারা স্ব স্ব অবস্থান থেকেই আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে, এর কারণ কি? সঠিক উত্তর একমাত্র আল্লাহ তা'আলাই ভাল জানেন। তবে পবিত্র কুরআনের বাণী হ'তেই জানা যায় সকল সৃষ্টির আনুগত্য। আল্লাহ তা'আলা তাঁর অতীব প্রিয় মানব জাতিকে প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ সহ বহুমূখী উৎস হ'তে শিক্ষা বা জ্ঞান দান করতে চান। তাই উপরোল্লেখিত আয়াতগুলো উক্ত শিক্ষারই অংশবিশেষ। পবিত্র কুরআনে এরূপ বহু আয়াতের অবতারণা হয়েছে, যা মানুষের জন্য অতীব শিক্ষণীয়।



নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের মধ্যবর্তী সৃষ্টবস্তুর আল্লাহ্‌র প্রতি আনুগত্যে বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। যার কিছু মানুষের ইবাদতের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এ বিষয়ে মহান আল্লাহ্‌র প্রত্যাদেশ বাণী হ'ল,



'যা কিছু আছে আসমানসমূহে এবং এ যমীনে বিচরণশীল যা কিছু আছে, আছে যতো ফেরেশতাকুল, তারা সবাই আল্লাহ্‌কে সিজদা করে যাচ্ছে, এদের কেউই (নিজেদের) বড়াই (যাহির) করে না।' {সূরা আন নাহল, আয়াত ৪৯} আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন,



'আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তারা সবাই ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক, আল্লাহ তা'আলাকে সিজদা করে চলেছে, (এমনকি) সকাল সন্ধ্যায় তাদের ছায়াগুলোও (তাদের মালিককে সিজদা করছে)।' {সূরা আর্ রা'দ, আয়াত ১৫}। একই মর্মার্থে আল্লাহ তা'আলা আরো প্রত্যাদেশ করেন,



'তুমি কি এ বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য করোনি, যতো (সৃষ্টি) আসমানসমূহে আছে, যতো আছে যমীনে- সবকিছুই আল্লাহ তা'আলাকে সিজদা করছে, সিজদা করছে সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি, পর্বতসমূহ, বৃক্ষলতা, যমীনের ওপর বিচরণশীল সব জীবজন্তু, (সর্বোপরি) মানুষের মধ্যেও অনেকে; এ মানুষদের অনেকের ওপর (না-ফরমানীর কারণে) আল্লাহ্‌র আযাব অবধারিত হয়ে আছে; আসলে আল্লাহ তা'আলা যাকে অপমানিত করেন তাকে সম্মান দেবার কেউই নেই, অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা তাই করেন যা তিনি ইচ্ছা করেন।' {সূরা আল হাজ্জ, আয়াত ১৮}



আলোচ্য সিজদায় ছোট-বড় সকলের অংশগ্রহণ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন, '(যমীনে উৎপাদিত যাবতীয়) লতাপাতা ও গাছগাছড়া (সব) তাঁরই সামনে সিজদাবনত হয়' {সূরা আর রাহমান, আয়াত ৬}



উল্লেখ্য, মানব জাতির ইবাদতের শ্রেষ্ঠাংশ হ'ল 'সিজদা'। আর সিজদার মাধ্যমে আল্লাহ্‌র নৈকট্য লাভ করা যায়। এই সিজদার বিষয়াদি সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, সৃষ্টির সকল বস্তু আল্লাহ্‌কে সিজদা করে। অতঃপর পৃথক পৃথকভাবে সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি, বৃক্ষ লতাপাতা ইত্যাদিও সিজদা করে। এটা মানব জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উপরোক্ত আয়াতগুলোতে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের মধ্যবর্তী ছোট-বড় সকল বস্তু আল্লাহ্‌কে সিজদা করে বলে বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। পবিত্র কুরআনের এই সত্য বাণীর প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগী তথা আস্থাশীল হ'তে হবে।



সৃষ্টির সকল বস্তু যদি আল্লাহ্‌কে সিজদা করে, তবে সকল মানুষের সিজদায় আপত্তি কোথায়? এ আপত্তিতে শয়তানই মূখ্য ভূমিকা পালন করে। এজন্য সর্বজ্ঞানী আল্লাহ তা'আলা শয়তানকে মানুষের শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। শয়তান মানুষকে সর্বদা ভ্রান্ত পথে চলার পরামর্শ দেয় এবং পৃথিবীর জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশের প্রতি আকৃষ্ট করে। এতে অনেকেই পথভ্রষ্ট হয়ে ইবাদতে অংশগ্রহণ করে না। মহাপ্রজ্ঞাময় আল্লাহ তা'আলা মানুষকে সৎপথ প্রদর্শনের জন্যই সকল সৃষ্টির সিজদা ও আনুগত্যের বাণী সমূহ পবিত্র কুরআনে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা পর্যায়ে প্রত্যাদেশ করেছেন। আলোচ্য বিষয়ে পবিত্র কুরআনের বাণী হ'ল, 'আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহ তায়ালার মাহাত্ম্য ঘোষণা করছে, তিনি রাজাধিরাজ, তিনি পূত পবিত্র, তিনি মহাপরাক্রমশালী, তিনি প্রবল প্রজ্ঞাময়।' {সূরা আল জুমুয়াহ, আয়াত ১}। অন্যত্র আল্লাহ বলেন,



'আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহ তা'আলার পবিত্রতা ঘোষণা করছে, (যাবতীয়) সার্বভৌমত্ব (যেমন) তাঁর জন্যে, (তেমনি যাবতীয়) প্রশংসাও তাঁর জন্যে, তিনি সকল কিছুর ওপর প্রবল ক্ষমতাবান। তিনিই তোমাদের সবাইকে সৃষ্টি করেছেন, (এর পর) তোমাদের কিছু লোক মুমিন হলো আবার কিছু লোক কাফির থেকে গেলো; (আসলে) তোমরা যা কিছু করো আল্লাহ তায়ালা সব কিছুই দেখেন।' {সূরা আত্ তাগাবুন, আয়াত ১-২} আলোচ্য বিষয়ে অনত্র বর্ণিত হয়েছে,



'নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু আছে সবই তো তাঁর (মালিকানাধীন), তাঁর (একান্ত) সান্নিধ্যে যেসব (ফেরেশতা) আছে তারা কখনো তাঁর ইবাদত করতে অহংকার (বোধ) করে না, তারা কখনো ক্লান্তিও বোধ করে না, তারা দিবারাত্রি তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করে, তারা কখনো কোনো অলসতা করে না।' {সূরা আল আম্বিয়া, আয়াত ১৯-২০} মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবীব (ছা.)-কে প্রত্যাদেশ করেন,



'(হে নবী,) তুমি কি (ভেবে) দেখোনি, যতো (সৃষ্টি) আসমানসমূহ ও পৃথিবীতে আছে, তারা (সবাই) আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে, আর পাখীকুল- যারা পাখা বিস্তার করে (আকাশে উড়ে চলেছে), তারা সবাইও (এ কাজ করে চলেছে,) তিনি তার সৃষ্টির প্রত্যেকের প্রশংসা ও মহিমা পদ্ধতি জানেন; এরা যে যা করছে আল্লাহ তায়ালা তা সম্যক অবগত রয়েছেন।' {সূরা আন্ নূর, আয়াত ৪১}। অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন,



'এরা কি আল্লাহ তা'আলা যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তার ছায়া আল্লাহ্‌র সামনে সিজদাবনত অবস্থায় (কখনো) ডান দিক থেকে (কখনো) বাঁ দিক থেকে (তাঁরই উদ্দেশ্যে) ঢলে পড়ে, এরা সবাই তাঁর সামনে অক্ষমতা প্রকাশ করে যাচ্ছে।' {সূরা আন নাহল, আয়াত ৪৮}



মনে রাখা দরকার যে, সৃষ্টির সকল বস্তুই আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে, আবার সিজদা হ'তেও বিরত থাকে না কেউ। এতদ্ব্যতীত আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টির জন্য নানা প্রক্রিয়ার অনুসরণ করে যা সর্বজন বিদিত নয়।



মানুষকে তার শ্রেষ্ট আসনে অধিষ্ঠিত রাখতে এবং আল্লাহ্‌র ইচ্ছার নিকট পরিপূর্ণভাবে সমর্পিত হ'তেই উপরের আয়াতগুলোর অবতারণা। কৌতুহলী মানুষের আরও জ্ঞান সম্প্রসারণের জন্য আকাশের বায়ুমন্ডলে বিচরণশীল পক্ষীকূলের উদাহরণ দেওয়া হয়েছে। উড়ন্ত পাখীরা তাদের ডানা বিস্তারের বা উড়ার সময় আল্লাহ্‌র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং সকলেই আল্লাহ্‌র প্রশংসার উপযোগী পদ্ধতি জানে। সুতরাং সৃষ্টির সকল প্রাণীই আল্লাহ্‌র ইবাদত বা প্রশংসার উপযোগী পদ্ধতি জানে। এমনকি জড় বস্তুরাও আল্লাহ্‌র প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা করে। এমতাবস্থায় অজুহাত খাড়া করার মত কোন যুক্তিই মানুষের নেই। আর সেজন্যই আল্লাহ তা'আলা এতদসম্পর্কিত বিভিন্ন আয়াত দ্বারা মানব জাতিকে বুঝাতে চেয়েছেন।



ইনশাআল্লাহ পরের পর্বে সমাপ্ত হবে ...



লেখকঃ রফীক আহমাদ

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৫৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: শুধু আল্লাহ্ আল্লাহ করলে চলবে? আর কাজ গুলি কে করবে যে, কাজ গুলির কথা মাবুদ বলেছে কোরআনের অনেক জায়গায় যেমন সূলা ইমরা ৩:১১০ আয়াতেঃ
كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِال
অর্থঃতোমরাই হলে শ্রেষ্ট জাতী, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে।

তাহলে আল্লাহ্ বলছেন কেবল তার আরাধনা নয়। মানব জাতীর কল্যাণ করতে আমাদের সৃষ্টি করেছে।
আপনি আপনার লিখায় এক জায়গায় বলেছেন

আল্লাহ তা'আলা যুগে যুগে মানব সম্প্রদায়ের হেদায়াতের জন্য নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন। সর্বশেষে প্রেরিত হয়েছেন আমাদের মহানবী মুহাম্মাদ (ছা.)। যিনি বিশ্বনবী, শ্রেষ্ঠ নবী ও নবীকূলের সর্দার।

আপনি যে লিখলেনঃ মহানবী মুহাম্মাদ (সাঃ)। যিনি বিশ্বনবী, শ্রেষ্ঠ নবী ও নবীকূলের সর্দার। এবার আপনার কাছে প্রশ্ন আপনি এই কথা গুলি কোরআন এর কোথাও দেখাতে পারবেন? যদি পারেন তাহলে সূরা নম্বার ও আয়াত নম্বার দিবেন। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা নমল২৭:৭৫ আয়াতঃ
وَمَا مِنْ غَائِبَةٍ فِي السَّمَاء وَالْأَرْضِ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
অর্থঃআকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।

আপনি কোরআনর আলোয় আমার প্রশ্নে জবাব দিবেন আশা রাখি।


১৪ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪২

মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন: -
আমরা যারা মুসলিম, তারা আল্লাহ আল্লাহ-ও করবো, সব কাজও করবো, কারণ আমাদের রাসূল (ছা.) যিনি বিশ্বনবী, শ্রেষ্ঠ নবী ও নবীকূলের সর্দার তিনি দেখিয়েছেন যে অন্যান্য কাজের সাথেও আল্লাহ আল্লাহ করা যায়।

বিশ্বনবী, শ্রেষ্ঠ নবী ও নবীকূলের সর্দার কথাগুলি কুরআনে কোথাও আছে কি না দেখাতে বললেন তো? আপনার কথায় সন্দেহ হচ্ছে যে, আপনি হয়তো সেই ভ্রান্ত মানুষদের একজন যারা বলে, কুরআন মানবো কিন্তু হাদীছ মানবো না। তাহলে তো আপনার সাথে আমার কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার মানে শুধু শুধু সময় নষ্ট। ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:০২

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
আল্লাহ নভোমন্ডল, ভূমন্ডল ও বিশ্বজগতের দৃশ্য-অদৃশ্য সবকিছুর স্রষ্টা, পালনকর্তা, রক্ষাকর্তা ও একমাত্র উপাস্য
১. শরিয়তের ঈমান যে, 'আল্লাহ' নামের অর্থান্তর হয় না, অনুবাদন্তর হয় না, ভাষান্তর, বচনান্তর, লিংগান্তর হয় না।
তাহলে আপনি ঐ গুলি কি করলেন? আর ৯৯টা নামই বা কি? আর কোন্‌ জন্মদাতা নামগুলি রেখেছে?

আল্লাহ তা'আলা মানব জাতিকে শুধু সৃষ্টির শ্রেষ্টই নয় বরং তাঁর প্রতিনিধি হিসাবেও সম্মান ও মর্যাদা দান করেছেন।
২. সন্মান মর্যাদা কি প্রশংসার আওতায় পড়ে? যদি পড়ে তবে: আল হামদু লীল্লাহী রাব্বিল আলামীন= সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর।
কোরানের ঐ ১ম ছুরার ১ম ঘোষনাই মিথ্যা? না ভুল? না আল্লাহর স্ব বিরোধীতা? না শরিযতের বিভ্রান্ততা?

১৪ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫১

মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন: -
আমি কোথায় আল্লাহ নামের লিঙ্গান্তর করলাম ভাই? আর ৯৯টা নাম যেগুলো, সেগুলো আল্লাহ তা'আলার গুণবাচক নাম ... যা পবিত্র কুরআনেই আছে ...

আমার টপিকে কোথাও কি আমি এজন্য মানব জাতির প্রশংসা করেছি যে, আল্লাহ তা'আলা এ জাতিকে শুধু সৃষ্টির শ্রেষ্টই নয় বরং তাঁর প্রতিনিধি হিসাবেও সম্মান ও মর্যাদা দান করেছেন? আমি বরং বলতে চাইছি যে, উক্ত কারণেই আমাদের আল্লাহ তা'আলার আনুগত্য ও ইবাদত সুষ্ঠুভাবে করা উচিৎ।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:২৭

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
সৃষ্টির সকল জীব-জন্তু ভিদ উদ্ভীদের নামাজ/সিজদার সাথে শরিয়তের নামাজ/সিজদার আকাশ পাতাল পার্থক্য কেন?
বিনীত।

১৪ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন: -
কেন সেটা আল্লাহ তা'আলাই ভালো জানেন, তিনি বলেন,

'তিনি তার সৃষ্টির প্রত্যেকের প্রশংসা ও মহিমা পদ্ধতি জানেন' {সূরা আন্ নূর, আয়াত ৪১} এবং অনত্র আরো বলেন যে,

'কিন্তু তাদের এ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পারো না' {সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত ৪৪}

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১১ রাত ২:১৪

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: সৃষ্টির সকল জীব-জন্তু ভিদ উদ্ভীদের নামাজ/সিজদার সাথে শরিয়তের নামাজ/সিজদার আকাশ পাতাল পার্থক্য কেন?

উপরোক্ত কথা কোরআনের কোন আয়াতে আছে?
লেখকের নিকট আবেদন এরা হলো ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। আপনে যেই ধারণা করছেন সেটাই। হাদিস মানি না কোরআন মানি।

ম জ বাশার আরো কয়,
কোরআনে ভূল নাই কিন্তু কোরআন গ্রন্থে ভূল আছে।
নবী রাসুল শেষ হয় না। কয়েক মাস পর পরই একজন পয়দা হয়। ইত্যাদি ইত্যাদি।

Click This Link

১৫ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:১৪

মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন: -
ধন্যবাদ Abdullah Arif Muslim ভাই, আসলেই এরা ভিন্ন ... এদের সাথে কথা-বার্তা চালিয়ে যাওয়া অযথা সময় নষ্ট ...

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:২১

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
লেখক পাঠকদের একটি বিষয় সকল সময়ের জন্য স্মরণ রাখা উচিত যে, ধর্ম বিষয় আলাপ-আলোচনায় পারতপক্ষে কোরান/হদিছ/ফতোয়া ব্যতীত কেহই ব্যক্তিগত কথা বলেন্না। এজন্যই আপনি আপনি করে কথা বল্লেও তা দলীয় ধর্ম বা শরিয়তের প্রতিনিধি ব্যতীত ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করা উচিত নয়

১. লিংগান্তর ইত্যাদি ব্যক্তিগত নয় বরং দলীয় ঈমান; যার প্রতিনিধিত্ব করছেন।
২. শরিয়তের একাংশ বলে আল্লাহর ৯৯ মতান্তরে বলে ১০২টি নাম। কিন্তু কোরানে এমন কোন নির্দিষ্টতা নেই বরং বলা হয়েছে অসংখ্য নাম; সুতরাং উহা সংখ্যায় মতান্তরে নির্দিষ্ট করা হারাম।
৩. 'সেজদা'র অর্থ ভাবার্থ কি? মানুষ ব্যতীত সৃষ্টির সকল সৃষ্টির সেজদার অর্থ মাথা/মুন্ডু মাটিতে ছোয়ানো নয়! এটাতো মানুষের বুঝ হয়? পক্ষান্তরে মানুষের সেজদার অর্থ মাথা মাটিতে ছোয়ানো হলো কেন? মানুষ যখন অন্যান্য পশু/প্রাণী বা উদ্ভিদের মতই একটি উম্মত (দ্র: ৬: ৩৮)। অন্যান্যদের সেজদার ফলে তাদের মধ্যে ইসলাম/শান্তি বজায় থাকে/আছে। কিন্তু মানুষের সেজদার ফল কি?
৪. শরিয়তের মতে আল্লাহ ব্যতীত মাথা নোয়ানো/সেজদা হারাম। কারণ কি? মাথার মধ্যে কি আছে? আল্লাহ স্বয়ং মাথায় থাকে না থাকে জীবের হৃদয়ে (৮: ২৪; ২৪: ৩১)। সুতরাং জীবের হৃদয় সেজদায় থাকলে মাথা নোয়ানো বা ঠ্যাং নাড়ানো নিষ্প্রয়োজন নয় কি?
৫. অমুখাপেখী আল্লাহর শরিয়তের সেজদার মূখাপেখী করা হয় কেন? গুনের (ছেফাত) কাছে আল্লাহ কি অসহায়? আল্লাহ নাম কি পূর্ণ নয়? উহাতে কি গুনের অভাব?
৬. 'ইবাদত' এর অর্থ অতপর ব্যাখ্যা করুন সম্ভব হলে? অর্থ না জেনে প্রচলিত অনুমানে সেজদা, রুকু বা নামাজ রোজার মাশালা দিয়ে ইবাদতের অপব্যাখ্যাই করা
হয়।
৭. থিংক করুণ? সমস্ত প্রশংসা যদি আল্লাহ নিজেই দাবি করে? আর গুনগান, মর্যাদা, সন্মান যদি প্রসংশার আওতায় পড়ে তবে কি আয়াতগুলির অর্থ সাংঘর্ষিক হয় না। আর এ অবস্থার সৃষ্টি করেছে আপনাদের মত বেদাত প্রযুক্ত শরিয়তী হাদিছ।
৮. আল্লাহর হাদিছ/আয়াত ব্যতীত অন্য কারো হাদিছ মানা নিশিদ্ধ/হারাম (তথ্য: ৪৫; ৬; ৭৭: ৫০; ৫: ৪৪-৪৯)।
৯. কোরানে যেখানে মুহাম্মদকে নবিদের নবি, নবিদের সরদার ইত্যাদি বলেনি বা সমর্থন করে না। সেখানে বোখারীদের কথা সমর্থন করা কি হারাম নয়?
উল্লিখিত কোরানের আয়াত অস্বীকার করে হাদিছ/বোখারীদের উপর ঈমান আন্তে কে বলেছে?
পুন: বলি ধর্ম বিষয কখনো কোন মন্তব্য ব্যক্তিগতভাবে নেয়া সংগত নয়।
ভালো থাকুন।
বিনীত।

৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:৩৩

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. মাটিতে মুন্ডু ছোয়ানোর কথা কোরানে কোথায় আছে? পার্থক্যটা বাস্তবতা, যা বাল্যশিক্ষার ছাত্রও অনুধাবন করে! আপনিও করেন। আপনার/আমার জন্মের শানে নজুল কোরানে আছে? একটু আক্বেল জ্ঞান খাটান (তথ্য: ১৭; ৩৬)
নবী রাসুল শেষ হয় না। কয়েক মাস পর পরই একজন পয়দা হয়
২. শেষাংশটা কি অহি পাইছেন? না আপনাদের ২ নম্বরী রংগীলা রাছুলদের কথা?
৩. হ্যা! ১টি সত্য কথা বলেছেন। আপনারা বেদাত প্রযুক্ত ছুন্নী+হানাফি/হাম্বলী/ওহাবী মুসলমান দাবিদার। পক্ষান্তরে ম জ বাসার 'মুছলিম' দাবিদার।
বিনীত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.