নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের কথা বলি

নাসির আহমেদ কাবুল

নাসির আহমেদ কাবুলের জন্ম ১৯৬০ সালের ৬ জানুয়ারি বৃহত্তর বরিশাল জেলার মঠবাড়িয়া থানার ব্যাংকপাড়ায়। পিতা আনছার উদ্দিন আহমেদ ও মা পিয়ারা বেগমের দ্বিতীয় পুত্রসন্তান তিনি। ১৯৬৯ সালে ছাত্রদের এগার দফা আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে স্কুল জীবনেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৭১ সালে শারীরিকভাবে যুদ্ধ করার ক্ষমতা না থাকলেও মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন তিনি। ছাত্র ইউনিয়ন, খেলাঘর আসর ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী লেখকের প্রিয় সংগঠন। লেখালেখি শুরু কিশোর বয়স থেকে। ১৯৯৪ সালে তিনি বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকারের স্বীকৃতি লাভ করেন। এ যাবত তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৭টি। এর মধ্যে ৪টি উপন্যাস, দু’টি শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ ও একটি কবিতাগ্রন্থ রয়েছে। এ ছাড়াও কবিতা, গল্প ও শিশুতোষ গল্পের বেশ কয়েকটি সম্পাদনা গ্রন্থ রয়েছে তার। তিনি সাহিত্য ম্যাগাজিন জলছবি বাতায়নের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) বাংলা সার্ভিসে কর্মরত।

নাসির আহমেদ কাবুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবি রফিক আজাদ অসুস্থ : আইসিউিইতে আছেন

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০


কবি রফিক আজাদকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এর আগে কবি রফিক আজাদকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে কবি রফিক আজাদ তার বাসায় চেয়ার বসা অবস্থায় হঠাৎ পড়ে যান। তাকে সঙ্গে সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে নেয়া হয়। বারডেমে শয্যা না পাওয়ায় তাকে দ্রুত আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নেয়া হয়। উল্লেখ্য, কবি রফিক আজাদ দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিস, কিডনি ও ফুসফুস জটিলতায় ভুগছেন। -বাসস

কবি রফিক আজাদের ‘ভাত দে হারামজাতা’ বিখ্যাত কবিতাটি কবির ভক্তদের জন্য নিবেদন করা হল।

ভাত দে হারামজাদা
রফিক আজাদ

ভীষণ ক্ষুধার্ত আছিঃ উদরে, শরীরবৃত্ত ব্যেপে
অনুভূত হতে থাকে- প্রতিপলে- সর্বগ্রাসী ক্ষুধা
অনাবৃষ্টি- যেমন চৈত্রের শষ্যক্ষেত্রে- জ্বেলে দ্যায়
প্রভুত দাহন- তেমনি ক্ষুধার জ্বালা, জ্বলে দেহ
দু’বেলা দু’মুঠো পেলে মোটে নেই অন্য কোন দাবী
অনেকে অনেক কিছু চেয়ে নিচ্ছে, সকলেই চায়ঃ
বাড়ি, গাড়ি, টাকা কড়ি- কারো বা খ্যাতির লোভ আছে
আমার সামান্য দাবী পুড়ে যাচ্ছে পেটের প্রান্তর-
ভাত চাই- এই চাওয়া সরাসরি- ঠান্ডা বা গরম
সরু বা দারুণ মোটা রেশনের লাল চাল হ’লে
কোনো ক্ষতি নেই- মাটির শানকি ভর্তি ভাত চাইঃ
দু’বেলা দু’মুঠো পেলে ছেড়ে দেবো অন্য-সব দাবী;
অযৌক্তিক লোভ নেই, এমনকি নেই যৌন ক্ষুধা
চাইনিতোঃ নাভি নিম্নে পরা শাড়ি, শাড়ির মালিক;
যে চায় সে নিয়ে যাক- যাকে ইচ্ছা তাকে দিয়ে দাও
জেনে রাখোঃ আমার ওসবের কোনো প্রয়োজন নেই।

যদি না মেটাতে পারো আমার সামান্য এই দাবী
তোমার সমস্ত রাজ্যে দক্ষযজ্ঞ কাণ্ড ঘ’টে যাবে
ক্ষুধার্তের কাছে নেই ইষ্টানিষ্ট, আইন কানুন-
সম্মুখে যা কিছু পাবো খেয়ে যাবো অবলীলাক্রমেঃ
থাকবে না কিছু বাকি- চলে যাবে হা ভাতের গ্রাসে।
যদি বা দৈবাৎ সম্মুখে তোমাকে ধরো পেয়ে যাই-
রাক্ষুসে ক্ষুধার কাছে উপাদেয় উপাচার হবে।
সর্বপরিবেশগ্রাসী হ’লে সামান্য ভাতের ক্ষুধা
ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে আসে নিমন্ত্রণ করে।

দৃশ্য থেকে দ্রষ্টা অব্দি ধারাবাহিকতা খেয়ে ফেলে
অবশেষে যথাক্রমে খাবো : গাছপালা, নদী-নালা
গ্রাম-গঞ্জ, ফুটপাত, নর্দমার জলের প্রপাত
চলাচলকারী পথচারী, নিতম্ব প্রধান নারী
উড্ডীন পতাকাসহ খাদ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর গাড়ী
আমার ক্ষুধার কাছে কিছুই ফেলনা নয় আজ
ভাত দে হারামজাদা,
তা না হলে মানচিত্র খাবো।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ গুরু। কলেজ লাইফে কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলাম। আজ আবার পুরোটা পড়লাম। যতবার পড়ি পড়তেই ইচ্ছা করে।

২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

ত্রিশোনকু বলেছেন: কবির দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: কবির দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

কিবরিয়াবেলাল বলেছেন: আমার প্রিয় মানুষদের একজন।
তাঁর একটি কবিতার ক'চরণ :
বিরস বালুকা বেলা খেলা করে রৌদ্রদগ্ধ তটে
অস্ত্বিত্তের দূরতম দ্বীপে এ দূসহ নির্জণে
কেবল তোমার জন্য বসে আছি উন্মুখ আগ্রহে
সুন্দর সাম্পানে চড়ে মাধবী এসেই বলে যাই।

কবিগুরু ভাল হয়ে যাক।

৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


জাতির বিবেক।
আমার প্রিয় কবিদের একজন।
দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

ধন্যবাদ... কাবুল ভাই। এবং সালাম! :)

৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:





//দৃশ্য থেকে দ্রষ্টা অব্দি ধারাবাহিকতা খেয়ে ফেলে
অবশেষে যথাক্রমে খাবো : গাছপালা, নদী-নালা
গ্রাম-গঞ্জ, ফুটপাত, নর্দমার জলের প্রপাত
চলাচলকারী পথচারী, নিতম্ব প্রধান নারী
উড্ডীন পতাকাসহ খাদ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর গাড়ী
আমার ক্ষুধার কাছে কিছুই ফেলনা নয় আজ
ভাত দে হারামজাদা,
তা না হলে মানচিত্র খাবো।// ★★★★★

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় থাকতে তার সাথে এক বছর কাজ করার দুর্লভ সুযোগ হয়েছিল। তখনকার যোগ্য সাংবাদিক, সম্পাদক কবি অাবু হাসান শাহরিয়ার ভাই এর সময়ে তিনি পত্রিকার ভাষা সম্পাদক ছিলেন

৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৮

ডি মুন বলেছেন: প্রিয় কবি সুস্থ হয়ে উঠুন।
আল্লাহর কাছে এটাই প্রার্থনা ।

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: কবির সুস্থতা কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.