বৈশাখ এলো রে!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

১

গ্রাম বাংলায় এলো, পহেলা বৈশাখ এলো রে

চারিদিকে উৎসবের আমেজ বাংলার নুতন বছরে

দু’হাত বাড়িয়ে বুকে ধরে রাখি উজ্জ্বল দিনগুলোকে

কল্পনা আমার জেগে উঠুক ঝড়ের তালে তালে।

২

ঘুম থেকে উঠে তরুণ বৃদ্ধ হাতে হাত মিলিয়ে

সেজেছে দারুণ ফতুয়া পাঞ্জাবীতে

এ যেন বাঙ্গালীর চিরচারিত রূপে

সংস্কৃতির নিবিড় পরিচয়ে বেঁধেছে গৌরবে।

৩

দৃষ্টিনন্দন বৈশাখী মেলায় কী আছে?

হস্তশিল্পের ছড়াছড়ি আনাচে-কানাচে

বাংলার প্রাঙ্গন দুলছে গানে গানে

কত যে আনন্দ আকাশে বাতাসে।

৪

ইচ্ছে করে ফুলেল হাত পাখার ঝাপ্টা দিয়ে

পুরোনো বছরের সব দুঃখ গ্লানি দেই উড়িয়ে

পান্তা ভাত, সরষে ইলিশ, বেগুন ভাজি আর শুকনো লঙ্কা

আহা কী মজা, কী তাজা, কী খাসা!

৫

আলুর ভর্তা, শুটকির ভর্তা

বাংলা প্রাণের আকুলতা

মরিচ ও ঝাঁঝালো পেয়াজ ভর্তার ঝালে

পানি পড়ে চোখ দিয়ে টপ টপ করে

এই তো সেই বৈশাখী রাঙ্গা করে মনটাকে।

৬

আমের আচার, কচি আমের টক

জীভে আসে জল, মন করে ছটফট

গজা-বাতাসার মৌ মৌ মিষ্টি

যেন মিষ্টি তরুণীর মধুর হাসি।

ভুলে কী গেছি বাংলার মুড়ি-মুড়কী?

এ যে বাংলার হাতের ছোঁয়ায় মমতার সুরভী।

৭

ফুল এঁকে এঁকে গুণ গুণ করে

সুতো দিয়ে বুনেছি নক্সিকাঁথা মন ভরে

এক সুতোয় আমরা বেঁধেছি

এক সুরে আমরা গাইছি।

৮

কাঁচের চুড়ির ঝনঝনানিতে

বাঙ্গালী ললনা হেঁটে চলে পরম সুখে

খোঁপায় গুজে ফুলের বাহার, নেচে বেড়ায় প্রজাপতি রূপে

তরুণ তরুণীর মিলন মেলা

আড্ডা আড্ডা আর আড্ডার জ্বালা।

৯

ভোর হতে শুরু রঙ্গের খেলা

কী অপরূপ বর্ণাঢ্য মেলা

পুলকিত জনতার ঢল নেমেছে

ঢাকা শহর মুখরিত হয়েছে।

৫ টি +১/-০