![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক
এফ.এম রেডিও শোনা হয় কেবল অফিসের গাড়িতে চড়লেই। বিশেষ করে জ্যামে আটকা পড়লে টাইম পাসের জন্য এফ.এম রেডিও এর চ্যানেলগুলো ঘুরাতে থাকি। রেডিও ফুর্তি, এবিসি, রেডিও টু-ডে, রেডিও আমার। ঘুম থেকে তড়িঘড়ি করে অফিসে যাওয়ার জন্য প্রায়দিনই ডেইলী নিউজ পেপারটা না পড়েই গাড়িতে চড়ে বসি- ফলে দিনের প্রথম খবরগুলো পাই এই রেডিও চ্যানেলগুলো থেকেই। ঘন্টায় ঘন্টায় খবর প্রচারিত হয়- ঐ সময়টাতে গাড়িতে থাকলে তা শুনি। বাকি সময়টাতে এ্যাড আর বকর-বকর এর ফাঁকে ফাঁকে গান- গানের খোঁজে এ চ্যানেল ও চ্যানেল ঘুরাঘুরিও কম করা হয় না। যাহোক, আজকের পোস্টের মূল উদ্দেশ্য এফ.এম রেডিও নয়, গানবাজনার হালচাল নিয়ে দু-চার কথা বলতে চাই। এবং শুরুতেই বলে নিচ্ছি যে, এসমস্ত বিষয়ে আমার জানা-বুঝা খুব কম, এগুলো সম্পর্কে আমার কিছু অভিজ্ঞতা, বিশেষ করে আমার অনুভূতি, মনোভাব এগুলোই একটু লিখতে চাচ্ছি।
মূলত এফ.এম রেডিও'র সুবাদে আজকালকার গানগুলো শোনার সুযোগ হয়। অনকে সময়ই রেডিও জকিদের বকর বকর এভোয়েড করা সম্ভব হয় না বলে শ্রোতাদের পাঠানো ম্যাসেজগুলোও শুনি, সেখান থেকে আজকের ইয়ং জেনারেশনের (ধারণা যে- ইয়ংরাই- টিনএজাররাই মূল শ্রোতা) পছন্দ/অপছন্দগুলো বুঝার চেষ্টা করি। ৩১ ডিসেম্বরে কোন রেডিও চ্যানেলে যেন শ্রোতাদের জরিপে ২০০৯ সালের সেরা ১০ গান নির্বাচিত করা হয়েছে- যার ১ম গান হাবিব-ন্যান্সি জুটির দ্বিধা, এছাড়াও আছে ফুয়াদ, শিরিন, বাপ্পা, মিলা, আনিলা .... এমন নানা নাম এবং আরো কিছ ব্যান্ডের নাম (অনেকের নাম আসলে মনে রাখতে পারিনি)। এফ.এম রেডিও এর কল্যানে জনপ্রিয় এ গানগুলোর অধিকাংশই শোনা হয়েছে। এগুলো শুনতে কেমন লাগে, কি অভিজ্ঞতা সেটা দিয়েই শুরু করি।
গত ডিসেম্বর মাস ছিল বিজয়ের মাস। ফলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন গানগুলো (স্বাধীন বাংলার বেতার কেন্দ্রের গান) রেডিও চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত হয়েছে। এটাই কাম্য। ছোটবেলা থেকেই ১৬ই ডিসেম্বর, ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চে পাড়া-মহল্লায় মাইকে, টেলিভিশনে এই গানগুলো শুনে আসছি। এফ.এম রেডিওতেও এ গানগুলো প্রচারিত হবে- সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এবার ডিসেম্বরে অবাক হয়ে প্রথমে শুনলাম নজরুলের একটা বিখ্যাত গান: "দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে যাত্রীরা হুশিয়ার! ..."- কান্ডারী হুশিয়ার গানটি। অবাক হলাম, কারণ এই অসাধারণ গানটি এতদিন যেভাবে শুনে এসেছি- এবার সেভাবে নয়- একটু অন্যভাবে শুনলাম। বিকট সব আওয়াজ, বাজনা- যাকে মনে হয় বলা হয় হার্ড মেটাল, এবং সেই সাথে উৎকট চিৎকার-চেচামেচি। ব্যান্ড আর্টসেলের পরিবেশনা। শুধু এই একটি গান নয়- পুরো ডিসেম্বর জুড়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গানগুলোর অনেক কটিরই এইরকম উৎকট পরিবেশনা পর্যায়ক্রমে সবগুলো চ্যানেলে চলেছে (তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর, নোঙ্গর তোল, রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি, সোনায় মোড়ানো বাংলা, একটি ফুলকে বাচাবো বলে, পূর্ব দিগন্তে- কে গেয়েছে তা মনে নেই)। অবাক ব্যাপার- এই গানগুলো যাতে না চালানো হয়- এমন প্রতিবাদ বা অনুরোধ সম্ভবত রেডিও জকিরা পায়নি এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে- এই গানগুলো বাজানোর জন্য মাঝে মধ্যেই শ্রোতারা অনুরোধ জানাতো!! আমি বেশ কনফিউজড- এগুলো কি কেবল আমার কানেই এমন যন্ত্রণার অনুভূতি তৈরী করছে? অন্যদের কি মত? সমর্থন পেলাম কলিগের কাছ থেকে- সেও প্রচন্ড বিরক্ত হয়ে রেডিও বন্ধ করতে বলে। কিন্তু কলিগের বয়স তো আমার বয়সের কাছাকাছি- মানে আমরা একই জেনারেশনের- নতুন জেনারেশনের আর সবার টেস্ট কেমন? বুঝতে পারছি না।
কিছু বিপরীত যুক্তিও শুনলাম। বেশ অকাট্য যুক্তি। যুক্তি খুব শক্ত হলেও কেন যেন মানতে পারছিলাম না। বেয়াড়াভাবে পাল্টা প্রশ্ন করতে থাকি...
: গানগুলোর প্রেজেন্টেশন যেমনই হোক- আজকের ছেলে-পেলেরা এর ফলেই এইসব গান বেশী করে শুনছে। অন্তত আমাদের সময়কার চেয়ে এখন এসব গানের চর্চা বেশী হচ্ছে- ইয়ং জেনারেশন এই গানগুলোতে আকৃষ্ট হচ্ছে।
: ঐ গানগুলো এভাবে শুনেই বা কি লাভ? কোথায় অরিজিনাল গান আর কোথায় এসব চিল্লা-ফাল্লা!
: এগুলো হচ্ছে নতুন সময়ের নিদর্শন, সময়ের সাথে সাথে সব কিছুই বিবর্তিত হয়। এটাকে তো মানতেই হবে। প্রশ্ন হচ্ছে- বিবর্তনের পথে আমাদের রুটকে পুরো অস্বীকার করা হচ্ছে কি না! এইদিক থেকে মনে হয়- আজকে স্বাধীন বাংলার বেতার কেন্দ্রের গানগুলো, লালনের গান, ফোক গান, প্রান্তিকজনের গানগুলোর চর্চা হচ্ছে। এটাকে তো পজিটিভ বলতেই হবে।
: কিন্তু যে ঢং এ চর্চাটা হচ্ছে- তাতে ভালো কিছু হচ্ছে? লালন ব্যান্ডের গাওয়া লালনের গান, আর্টসেলের গাওয়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান, শিরিনের গাওয়া শেফালি ঘোষের গানে অরিজিনাল লালনের গান, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান, শেফালি ঘোষের গানের ছিটেফোটাও কি পাওয়া সম্ভব? চিৎকার করে "দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবার" গাওয়া আর চিৎকার করে "ওহু- আহু- ইয়া" টাইপের গান- দুয়ের মধ্যে কি পার্থক্য?
: পার্থক্য তো আছেই। "আমি একাকী" বলে চিৎকার করা আর "দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবার" বলে চিৎকার করার মধ্যে অবশ্যই পার্থক্য আছে। এসব গান এখন যেভাবেই গাওয়া হোক না কেন- এদের মাধ্যমে অন্তত পরিচিতিটা তো ঘটছে। পরে শ্রোতারা যখন অরিজিনাল গান শুনবে- তখন নিশ্চয়ই পার্থক্যটা ধরতে পারবে। আনুশেহ'র মুখে লালন শুনে পরে ফরিদা পারভীনের ভক্ত হয়েছে এমন নজীর অনেক আছে।
: আমার সন্দেহ আছে। হাবিবের মাধ্যমে শাহ আব্দুল করিম, লালন ব্যান্ডের মাধ্যমে লালন, শিরিনের মাধ্যমে শেফালি ঘোষ, আর্টসেলের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গানগুলোতে আদৌ কেউ ঢুকতে পারবে বলে মনে হয় না! এইসব শুনলে তো কানটাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা!
: কান এত সহজে নষ্ট হওয়ার জিনিস না। একটা বয়সে একটু হই হুল্লোড় ধাচের গান সবাই শুনে, পরে ধীরে ধীরে এমনিতেই রুচি পরিবর্তিত হয়। সবচেয়ে পজিটিভ দিক হচ্ছে- দশ বছর আগেও ঝাকা-নাকা টাইপের গানের জন্য আমরা হিন্দী-ইংলিশ গানের উপর নির্ভরশীল ছিলাম। কোন পার্টিতে, বা ঈদে-পুঁজায় পাড়া-মহল্লার উঠতি বয়সী ছেলেরা সাউন্ড বক্স এ হিন্দী গান যে হারে বাজাতো আজ কিন্তু তা অনেক কমেছে। কেননা, সাউন্ড বক্সে বাজানোর মত গান আজ এখানেই তৈরি হচ্ছে।
......
তারপরেও আমি কনফিউজড। বুঝতে পারি না- এসবে ভালো কি হচ্ছে! আমার কাছে হিন্দী "ওলে ও - ওলে ও অ", বা "তু তু তু তারা" আর শিরিনের "মাতোওয়ালি", "পাঞ্জাবিপয়ালা" বা মিলার গানগুলোর মধ্যে ইতর বিশেষ নেই। আর, রেমিক্সের নামে যেগুলো হচ্ছে- শচীন দেব বর্মনের গান, বা চিত্রা সিং এর গানগুলোকে যেমনে গাওয়া হচ্ছে- শুনলে তো মেজাজ খারাপ হয়ে যায়! যেসময় ব্যান্ড ফিডব্যাক আর মাকসুদের গান খুব শুনতাম (এবং যখন রবীন্দ্র সংগীত শুনতে তেমন একটা ভালো লাগতো না- বাবা-মামাদের শুনতে দেখতাম ও ভাবতাম এগুলো বুড়োদের গান)- সেই সময়েও মাকসুদের কন্ঠে রবীন্দ্রসংগীত খুব খারাপ লেগেছিল এবং প্রিয় একজন শিল্পী এমন যখন জঘণ্য কাজ করেছে বিধায় লজ্জিতও হয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় হলে বিভিন্ন রুমে ফুল ভলিউমে যখন আনুশেহ'র লালন বাজতো- লালনের ও ফরিদা পারভিনের ভক্ত হিসাবে- তখনও খুব খারাপ লাগতো। তারপরেও আনুশেহ'র গান শুনে মনে হয়েছে- তার গায়কি খুব একটা খারাপ না- কেবল মডার্ন মিউজিকের আধিক্য বাদ দিয়ে দেশীয় ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করলেই তা উতরে যেত! কিন্তু- এখন লালন নামের ব্যান্ডের মেয়েটা যা গায়- সেটা পুরো অখাদ্য ছাড়া কিছুই মনে হয় না।
পাশ্চাত্য বাজনার আধিক্যকে মনে হয় সকলে এখন স্বাগতই জানায়, অন্তত আমার মত সেকেলে অবস্থায় থাকতে কেউ রাজী নয়! এমন ধারণা হয়েছে- জাতীয় সম্পদ রক্ষা সংস্কৃতি মঞ্চের সাংস্কৃতিক সমাবেশে উপস্থিত হয়ে। সেখানে অরূপ রাহী'র গানে ঢিম-ঢুম আওয়াজে তার চিৎকারও পর্যন্ত ঠিকভাবে বুঝতে পারছিলাম না। অথচ খালি গলায় রাহীর "তুমি সেই সোনার কিষাণ" গানটা শুনে ভালোই লেগেছিল। সংস্কৃতি মঞ্চে যখন পাশ্চাত্য মিউজিকের আধিক্য সহকারে গানগুলো গাওয়া হচ্ছিল- এমনকি সমগীত কিংবা কৃষ্ণকলির গাওয়া গণসংগীতেও যখন একই অবস্থা দেখি, তখন বুঝতে পারি- এতো আমারই সমস্যা! যুগের আহবানকে অস্বীকার করা মোটেও উচিৎ নয়। আর, "সংস্কৃতি মঞ্চ" যুগের সাথে তাল মেটাবেই না বা কেন?
আসলেই কি তা-ই? আপনাদের কি মত?
=============================================
দুই
আরো বেশ কিছু যুক্তি পাচ্ছি। সেগুলোকে নিয়ে এবং আমার কিছু বেয়াড়া প্রশ্ন/আলোচনা নিয়ে এই পর্বটা কন্টিনিউ করছি:
: আসলে ব্যাপারটা সময়ের চাহিদা ছাড়া কিছুই না, আপনার কাছে শুনতে খারাপ লাগছে বা আমার কাছে শুনতে খারাপ লাগছে সেটা আমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার, বড় ব্যাপার হচ্ছে যে অনেকেই এই সব গান শুনছে, মানুষ শুনছে জন্যই তৈরি হচ্ছে .....। গান তো আমরা শুনি বিনোদন পাওয়ার জন্যে, আনন্দ পাওয়ার জন্য, কেউ যদি এসব শুনে আনন্দ পায় তাহলে আনন্দ পাক না! তাদের সাথে হয়তো আপনার রুচিটা মিলছে না... একেক জনের রুচি একেক রকম হবে এটাই তো স্বাভাবিক, তাই না?
: একেক জনের রুচি একেক রকম হবে- এটা যেমন স্বাভাবিক- তেমনি নির্দিষ্ট কিছু গোষ্ঠীর নির্দিষ্ট ধরণের রুচি দেখা যায়- যেখান থেকে এটাও বুঝতে পারি যে- এই রুচিগুলো বাই বর্ণ পাওয়া না- এগুলো তৈরি হয়- চর্চার মাধ্যমে পরিপুষ্ট হয়। মাকসুদের গাওয়া রবীন্দ্র সংগীতের বিরুদ্ধে ছায়ানটকেই সবচেয়ে বেশী সোচ্চার দেখেছিলাম। ফরিদা পারভিনকে যখন সাক্ষাতকারে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, "আজ যে লালনের গান নিয়ে ফিউশন হচ্ছে- সেগুলোকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন?"- তার জবাবে তিনি বলেন: "ফিউশন হচ্ছে- হতেই পারে- কিন্তু সবার আগে তো এগুলোকে শ্রাব্য হতে হবে। আজ যা হচ্ছে- তার কোনটা কি শ্রাব্য?" একজন যে বিশুদ্ধ সঙ্গীতের শ্রোতা অর্থাৎ রবীন্দ্র-নজরুল বা ক্লাসিকাল মিউজিক এর যে শ্রোতা বা যে এধরণের সঙ্গীতের চর্চার মধ্যে আছেন- তাদের কাছে - তাদের কানে আর্টসেল, ব্লাক, অর্থহীন, মিলা, শিরিনদের গান বা চিৎকার চেচামেচী ও উৎকট বাজনা কেমন লাগতে পারে? প্রশ্নটা উল্টোভাবে করলেও জবাব কি মিলবে (অর্থাৎ আর্টসেল, মিলা, শিরিনদের গানের শ্রোতাদের কাছে ক্ল্যাসিকাল মিউজিক কেমন লাগে)?
আবার, সবাই বা বেশীরভাগ কি গান পছন্দ করছে- সেটা দিয়েও ভালো গানের বিচার করা কি যায়? এ মুহুর্তে বাংলাদেশে ক্যাসেট/সিডি বিক্রির তালিকার শীর্ষে আছে মমতাজ ও আসিফ- অথচ এদের গানের রিকোয়েস্ট কিন্তু রেডিও চ্যানেলগুলোতে তেমন শুনিনি। এখানে ক্লাসটাও গুরুত্বপূর্ণ। হার্ড রক, হেভি মেটাল গান কাদের টানছে? তাহলে এই রুচির পার্থক্যটা গোষ্ঠীভেদে, শ্রেণীভেদে পার্থক্য হচ্ছে কেন? সিনেমার ক্ষেত্রেও একইরকম প্রযোজ্য। মধ্যবিত্তদের হলে টানার জন্য তানভির মোকাম্মেল, হুমায়ুন আহমেদ, মোস্তফা সারোয়ার ফারুকি, তারেক মাসুদরা যতই চেষ্টা চরিত্র করুক না কেন- এটাকে অস্বীকার করার উপায় নেই যে, মান্না বেঁচে থাকতে মান্নার হাতেই সবচেয়ে বেশী সিনেমা থাকতো। শোবিজ জগতে ডিপজলের ডিমান্ড যেকোন সময়েই জাহিদ হাসান, অপি করিম, চঞ্চল চৌধুরী'র চেয়ে বেশী। মানে- এগুলোরও কাটতি মানুষের কাছে ছিল বা আছে- যতই মধ্যবিত্ত, উচ্চ-মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত শ্রেণীর দর্শকেরা নাক সিটকাক না কেন (অবশ্য উচ্চবিত্তদের জন্য আছে হলিউডি, বলিউডি মুভি- স্টার সিনেপ্লেক্সে কোন ধরণের সিনেমাগুলো স্থান পায়- সেটাও খুব দ্রষ্টব্য)।
এখন কথা হচ্ছে, ময়ুরির নাচের কাটতি খুব আছে বলেই কি- সেটা খুব ভালো কিছু? অন্যের রুচি নিয়ে আমি আপত্তি তুলছি না, তাদের রুচিকে উড়িয়েও দিচ্ছি না। মান্না/ময়ুরির সিনেমা বা আসিফ-মমতাজ (মমতাজের কন্ঠ মানে গলা আমার খুব ভালো লাগে)-আর্টসেল-অর্থহীন-শিরিন-মিলার গানগুলো বন্ধ করার কথাও বলছি না, বরং বন্ধের বিরোধিতাই করি। কারণ- মেইনস্ট্রিমের বাংলা সিনেমাগুলোর যারা দর্শক- তাদের সিনেমাই হচ্ছে একমাত্র বিনোদনের জায়গা, সেটাকেও তো কেড়ে নিতে পারি না। ভালো কিছু দিতে না পারলে- এগুলোই তারা দেখবে- এটাই স্বাভাবিক। একইভাবে, শিরিন-মিলা-হাবিবরা, আর্টসেল-ব্লাকরা যাদেরকে আকৃষ্ট করছে- সেই ডিজুস জেনারেশনকেও তো অলটারনেটিভের স্বাদ দিতে হবে আগে। শুন্যতা তো সেখানেই! আর- সবচেয়ে বড় বিপদ হচ্ছে বাজার সংস্কৃতি। বাজার যখন সংস্কৃতিকে গাইড করে তার চেয়ে ভয়ংকর আর কিছু হয় না- সেটার ফলাফলই হচ্ছে এসব কিছু।
: একটু চিন্তা করে দেখুন আপনার সময় আপনি যে গানগুলো বা তার প্রেজেন্টেশন স্টাইলকে খুব ভালো বলে জেনেছেন তাকেই আপনি ভালো বলছেন... এখন যারা এই সব শুনছে তারাও তো তেমন ই বলতে পারে ....
: হ্যাঁ - এটাতো স্বীকার করিই। একটা সময়ে নজরুল-রবীন্দ্রনাথের গানের যতটুকু চর্চা ছিল- ভালো না লাগলেও পরিবারের গার্জিয়ানেরা যতখানি বাজাতো- তা শুনতে হতো; এখন সে পরিমাণ চর্চা হয় বলে মনে হয় না। বা চর্চা না হলেও- সেসময়ে কিম্ভুত গানগুলো অত শুনতে হতো না। ডিশ কালচার ছিল না, বাংলা চ্যানেলও এত এত ছিল না। সবে ধন নীল মনি ছিল বিটিভি। বিটিভি'র যতই সমালোচনা থাকুক না কেন- এর একটা দায়িত্ববোধ ছিল। সেদিন মোস্তফা মনোয়ারের এক সাক্ষাতকার শুনছিলাম। তিনি বলছিলেন: "প্রাইভেট বাংলা চ্যানেলগুলো দেখতে পারি না। সবগুলোর প্রায় সব অনুষ্ঠানই এত তরল যে দেখা যায় না। এরা তো কেউ কোন রেসপন্সিবিলিটি নেয় না। দেখুন- বিটিভিতে আমরা প্রতিরাতে ১১টা, সাড়ে ১১ টায় সুর লহরী নামে একটা অনুষ্ঠান প্রচার করতাম। গোটা বাংলাদেশ মিলে এর দর্শক খুব বেশী হলে কত হবে? পাঁচ হাজার? বা তারো কম? তারপরেও এটা প্রচার করা হতো। এটাই হলো দায়িত্ববোধ"। (মূল ভাবটা নিজের ভাষায় লেখা)।
আজকে আসলেই- চর্চাটা নেই। টিভি চ্যানেল ঘুরালেই মিউজিক এক্সপ্রেস, গ্লামার ওয়ার্ল্ড, .... আরো নানা ধরণের গানের অনুষ্ঠান, এফ.এম রেডিওতেও গান বাজছে- কিন্তু এগুলোতে সারাদিন চলছে মিলা-শিরিন-হাবিব-ফুয়াদ। ফেরদৌসিকে, নীলুফার ইয়াসমিনকে, কলিম শরাফিকে, কাদেরি কিবরিয়াকে চিনবে কেমনে? মনে আছে- ছোটবেলায় বিটিভিতে সন্ধার সময়ে পল্লীগীতির অনুষ্ঠান হতো- ঐ সময় সে গানগুলো নিজ থেকে মোটেও শুনতাম না; তারপরেও দেখা গেছে- নানা বেড়াতে আসলে- তার কোলে বা পাশে বসে শুনছি- কারণ নানার ঐ অনুষ্ঠানই ছিল প্রিয় অনুষ্ঠান। এসো গান শিখি নামে একটা অনুষ্ঠান হতো, সেটা দেখার জন্য মা-বাবা উৎসাহিত করতো। এই চর্চাগুলো না থাকলে- আমার মনে হয়, আমার রুচিটা পরিবর্তিত হতো না। মাইলস-সোলস-ফিডব্যাক-জেমস বা এ.আর.রহমান বা এইস অব বেইস, মাইকেল জ্যাকসন, ম্যাডোনা, এভারগ্রীন লাভ সংস- এগুলোও এককালে খুব শুনেছি স্বীকার করছি! কিন্তু অলটারনেটিভগুলোও তখন খুব এভেইলেবল ছিল।
: হয়তো আর্টসেল এর ঐ গানটার প্রেজেন্টেশন আপনার ভালো লাগেনি, ঠিকাছে ভালো না-ই লাগতে পারে ... এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু আপনি আর্টসেলের "দুঃখ বিলাস", "অনিকেত প্রান্তর", "ধুসর সময়" এই গানগুলো শুনলে মনে হয় আর্টসেল সম্পর্কে আপনার ধারণা বদলে যাবে ..... আর আর্টসেল হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র প্রগতিশীল মেটাল ব্যান্ড। শুধু আমাদের সংস্কৃতি না বর্তমান পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর সাথে তুলনা করতে গেলেও আর্টসেলই বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য সেরা ব্যান্ড।
: ইউটিউবে "দুঃখ বিলাস", "অনিকেত প্রান্তর", "ধুসর সময়", "চিলে কোঠার সেপাই", "উৎসবের উৎসাহে" গানগুলো শুনলাম। এবং দুঃখের সাথে জানাতেই হচ্ছে- আমার ভালো লাগেনি। ভালো লাগেনি বলাটাও যথেস্ট মনে হচ্ছে না- আমার কাছে ফালতু মনে হয়েছে, এবং "অনিকেত প্রান্তর" গানটা ৯ মিনিট ধরে শুনতে গিয়ে মাথা ধরে গিয়েছিল। (যাদের এসব গান খুব ভালো লাগে - তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি- এভাবে বলার জন্য, এটা একান্তই আমার অনুভূতি ও রুচি)। গানগুলোর সুরে কিছুই পেলাম না হই হুল্লোড় ছাড়া, গায়কের গায়কি/কন্ঠ/গলা একঘেয়েমি ফ্ল্যাট - মনোটোনাস (ব্ল্যাকের তাহসানের গলাও তো দেখি একইরকম, মেটাল যারা গায়- সবার গলা একই রকম নাকি?)। এরা কি কেউ গলা সাধে না নাকি? কলিম শরাফী, নীলুফার ইয়াসমিন, ফরিদা পারভিন ... এনাদের কন্ঠ, কন্ঠের কারুকাজ, উঠা নামা- নিয়ন্ত্রণ- এগুলো কি রাতারাতি হয়েছে? কি পরিমাণ সাধনা করতে হয়- আজকালকার এই সব হিট গায়করা কি তা জানে? শচীন কর্তার গানের একটা অনুষ্ঠানে ছিলাম। সেখানে কিরন চন্দ্র নিজেকে শচীন কর্তার শিষ্য হিসাবে উল্লেখ করে বলছিলেন : "সারাজীবন সাধনা করেও শচীন কর্তার গান শুদ্ধভাবে গাওয়া সম্ভব না। তাই আমি শচীন কর্তার গান গাওয়ার সময়ে সব সময়ই খুব ভয়ে থাকি- খুব নার্ভাস থাকি, এই বুঝি ভুল করে বসলাম!" আর, কি অবলীলায় শচীন কর্তার গানের রিমিক্স করে যায়! এমন শিল্পীকেও চিনি যিনি নজরুল একাডেমি, বুলবুল একাডেমিতে পাঁচ/সাত বছর শিখেও স্টেজে উঠতে ভয় পান- এখনো নজরুল সঙ্গীতটা ঠিকভাবে আয়ত্ত করা হলো না বলে- আর এরা অবলীলায় "দুর্গম গিরি ..." গেয়ে যাচ্ছে! চর্চার দরকার কি- নিজেরা যেভাবে যে স্টাইলে গাইলো- সেটাই তো সবাই খাবে। ফলে কোন সমস্যা তো নেই!
আর, সবচেয়ে প্রগতিশীল মেটাল ব্যান্ড বলতে কি বুঝায়? মেটাল ব্যান্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রগতিশীল? অন্য মেটাল ব্যান্ডের সাথে তুলনা করতে পারবো না- কারণ কোন মেটাল ব্যান্ড সম্পর্কেই জানি না। কিন্তু প্রগতিশীলই বলা হচ্ছে কোনদিক দিয়ে? "প্রগতিশীল" আসলে কি বুঝি? এরা কি করেছে? পাশ্চাত্যে বিটলস, জ্যাজ এমন অনেক গোষ্ঠীকে প্রগতিশীল বলা হতো, কারণ তারা মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জড়িত ছিল, রাস্তায় রীতিমত পুলিশের সাথে ফাইটও করেছে। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন যুদ্ধনীতির বিরুদ্ধে, কালো মানুষের লড়াইয়ে অনেক প্রগতিশীল গান হয়েছে। পিট সিগাল তো জেলেও গিয়েছিলেন। কিন্তু এখানকার মেটাল ব্যান্ডগুলো কি করেছে? আমি আসলেই জানি না। আর, বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্টের কথা যেটা হচ্ছে- সেটার সাথে মোটেই একমত নই। আমাদের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারে একমাত্র আমার দেশের কৃষ্টি-কালচার। পাশ্চাত্যকে অনুকরণ করে আমরা যেগুলো তৈরি করছই- তা ককরে আমাদের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারে?
: মেটাল গানের চিৎকার (screaming) অনেকেই সহজভাবে নিতে পারেনা। কিন্তু আমরা যারা মেটাল ভালবাসি তাদের কাছে এটা হলো আবেগের বহিপ্রকাশ। আমি উদাহরণ দিয়ে বলি:
আর্টসেলের "উতসবের উতসাহে" গানটির কথা এরকম:...
"তখন ভাঙতে হবে ঘর, হাতে রেখে হাত
হেরে যাওয়াকে বন্দি করে রেখে
জাগতে হবে রাত আলো জ্বেলে রেখে
উতসবের উতসাহে"
আপনি গানটা শুনলে বুঝবেন গানটা মেটাল/ হার্ডরক হওয়াতে এটা আবেগের যে প্রকাশ হয়েছে সেটা অন্যভাবে হয়তো হতনা। মেটাল গান আমাদের আবেগ বুকের গভীর থেকে টেনে বের করে আনে। বর্তমান তরুন সমাজ হতাশাগ্রস্থ, আমাদের জীবন খুব জটিল, এটা আমাদের চেয়ে ভালো কেও বুঝেনা, আমরাও একে অপরেরটা বুঝিনা, হতাশার মূহুর্তে মেটাল গান সাথে ঠোট মিলিয়ে আমরা আবেগটাকে বাইরে ছুড়ে দিতে পারি। মেটাল গান আমাদের অনেকভাবে অনুপ্রেরনা দেয়।
"লক্ষ্য হারিও না, স্বপন ছেড়না, ডাকছে জীবন তুমি বসে থেকনা,
তুমি কি সাড়া দিবে, আবারো কি সাড়া দিবে?"
ব্ল্যাকের গানের এ লাইন যে আমাকে কত সময় অনুপ্রেরনা দিয়েছে আমি বুঝাতে পারবনা, লিরিকস নয় গান গাওয়ার ধরনের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।
মেটালিকার এ গানের screaming শুণ অনেকেই ভাবে এটা কি কোনো গান?
অথচ লিরিকস দেখেন:
"Lady Justice Has Been Raped... See More
Truth Assassin
Rolls of Red Tape Seal Your Lips
Now You're Done in
Their Money Tips Her Scales Again
Make Your Deal
Just What Is Truth? I Cannot Tell
Cannot Feel"
আপনি হয়তো গানটাকে বলবেন "চিৎকার" কিন্তু এই চিৎকার আমার কাছে বাস্তবতাকে ঘিরে কিছু আবেগের প্রকাশ।
: এবারে চিৎকারের একটা উপযোগিতাও বুঝতে পারছি। অর্থাৎ এইভাবে গাওয়াটা এক রকম আবেগের বহি:প্রকাশই বটে। এবং এখান থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করাও সম্ভব। আমি আসলেই জানতে চাচ্ছিলাম ও বুঝতে চাচ্ছিলাম - এই গানগুলো কেন অনেকের এত ভালো লাগছে, এগুলোতে আসলে কি আছে, কোন উপাদানের জন্য এই জেনারেশন এই গানগুলোর এত ভক্ত! ভালো লাগার কিছু কারণ/উপাদান পাওয়া গেল। এই ঢং এ গাওয়াতে আবেগের যে বহিপ্রকাশ ঘটে সেটা শ্রোতাকে নাড়া দেয় এবং অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- আমরা অনেকে কেন সেই আবেগটাকে ধরতে পারছি না? আমাদেরই সীমাবদ্ধতা হয়তো! অনুপ্রেরণাটাও পাচ্ছি না- কারণ গানটাই যখন বিরক্তি উদ্রেক করছে- তখন এর কথায় মনোযোগ দেয়ার উপায় থাকে না। ভাবছি- "মুক্ত করো ভয়- আপনা মাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়", বা "ক্লান্তি আমায় ক্ষমা করো প্রভু- পথে যদি পিছিয়ে, পিছিয়ে পড়ি কভু" বা "হাল ছেড়ো না বন্ধু- বরং কন্ঠো ছাড়ো জোরে" বা "ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথীরে", বা "কিসের ভয় সাহসী মন লাল ফৌজের ..", "পাল উড়াইয়া দে", "কারার ঐ লৌহ কপাট" প্রভৃতি যেসব গান আমাদের দারুন অনুপ্রেরণা দেয়- সেগুলো কি এসব মেটাল গানের শ্রোতারা শুনে, বা শুনলে কি তারা কোন অনুপ্রেরণা পায় না? (অনুপ্রেরণার জন্যে কেবল এই গানগুলোই শুনতে হবে- ওগুলো শুনা যাবেনা তা বলছি না)। আর, সঙ্গীত তো কেবল অনুপ্রেরণা পাওয়ার জন্যে না, মনের নানা বিচিত্র অনুভূতি নিয়ে সঙ্গীতের কাজ কারবার, - কোন এক বইয়ে পড়েছিলাম শিল্পের সংজ্ঞা যদি হয় অনুভূতির এবস্ট্রাকশন, তবে সবচেয়ে তীক্ষ্ণ শিল্প হচ্ছে সঙ্গীত কলা এবং তারো মধ্যে সবচেয়ে সবচেয়ে উচ্চমার্গীয় শিল্প হচ্ছে ক্ল্যাসিকাল মিউজিক (ইন্সট্রুমেন্টাল ও ভোকাল)। অনুভূতির সূক্ষাতিসূক্ষ্ম জগতে কি বিচরণ করতে পারে এই হার্ড মেটাল গানগুলো?
: রিমিক্স ব্যান্ডের ব্যাপারে আরো আলোচনা দরকার। মডার্ণ ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে পুরানো গান মূল সুর বজায় রেখে ক্লাসিক গান শালীনভাবে গাওয়া হলে সেটা কোন চোখে দেখবেন?
: তাহলে কি সেটাকে আর রিমিক্স বলা হবে? সুমন তো গিটারেও রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়েছেন। সেতার আর তবলা দিয়ে রাগ নির্ভর রবীন্দ্র সঙ্গীতের একটা প্রযোজনা শুনেছিলাম- বাজনাটাই মূল- ফাঁকে ফাঁকে শ্রীকান্তের কন্ঠ, অসাধারণ একটা কাজ। লালনের গানও তো ফরিদা পারভিন হারমোনিয়ামে গেয়েছেন- দোতারা, একতারা ছাড়া আরো অনেকেই গেয়েছেন। সমস্যা কি? ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহারটার বিরুদ্ধে কিন্তু বলছি না, বলছি না যে- সঙ্গীত স্রষ্টা প্রথম যে যে ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করেছিলেন- সবসময়ই সেটাই করতে হবে। মূল সমস্যাটা সঙ্গীত আয়োজনে, ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহারে পরিমিতি বোধে। "আমার সোনার বাংলা" বা "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি" গান যদি গিটারে বা পিয়ানোতে মূল সুরে গাওয়া হয়- আপত্তি কি? কিন্তু ড্রাম সেটে প্রচণ্ড দ্রিম-দ্রুম শব্দ দিয়ে, হাই বিটে যদি এগান গাওয়া হয় বা গানের মাঝে মধ্যে গিটার-পিয়ানোর ঝ্যা-ঝ্যা আওয়াজ যুক্ত করে দেয়া হয়- তবে সেটা কেমন হবে? আর যদি তাল লয়- সব গড়বড় করে "কাণ্ডারি হুশিয়ার" গানটির মত করে চিৎকার করে করে গাওয়া হয়- তাহলে কি বলবেন? বা দু-চার লাইন গাওয়ার পরে তার মধ্যে র্যাপ সং ঢুকিয়ে দেন তবে কেমন লাগবে?
: ভাই রিমিক্স সবসময় ই ছিল .. এখনো আছে ... মারত্মক কিছু হয়ে না গেলে ভবিষ্যতেও থাকবে ..। আমার তো মনে হয় যে, যারা এর বিরোধী, তাদের সমস্যা রিমিক্স গান নিয়ে না, তাদের সমস্যা "রিমিক্স" শব্দটাতেই। রিমিক্সের জায়গায় যদি সিডি'র গায়ে লেখা হতো "অমুকের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি" অথবা "অমুক স্মরণে", তাহলে দেখা যেত যে বিরোধীরা আর আপত্তি করছে না, মান্না দে যখন নজরুলের গান গায় এবং সুরের কিছুটা অদল বদল করে, তখন কেউ দোষ দেখে না, শ্রীকান্ত যখন হেমন্তের গান নতুন করে গায়, তখন আপত্তি করে না ....। ধরে নিলাম যে আমাদের বাংলাদেশ এর গায়করা এত ভালো গাইতে পারে না জন্যে আসলের কাছাকাছি যেতে পারে না, কিন্তু পুরানো গান গাওয়াটা আমি সমর্থন করি .. কারণ মানুষের মানুষের মানবীয় গুন বা দোষ যাই বলেন- একটা থাকবেই- সেটা হচ্ছে স্মৃতি কাতরতা ..
: দেখুন, আমরা যারা রিমিক্সের বিরোধী তারা সিডি বা ক্যাসেট তো কিনতেই যাবো না, ফলে সেগুলোর কাভারে কি ট্যাগিং আছে তা নিয়ে কোন হেডেকও থাকার কথা নয়। মূল আপত্তিটা করি- অরিজিনাল গানের সুরের বিকৃতিতে। একটা ভালো গানকে বিকৃত ও নষ্ট করা যখন হয়, তখন তার চেয়ে বেদনার আর কিছুই হতে পারে না। আর উদ্বিগ্ন না হয়ে পারি না যখন দেখি- অরিজিনাল গানগুলোর চেয়ে বাজার যখন নষ্ট গানকে অধিক প্রোমোট করে, মূল গানকে যখন নষ্ট গানগুলো রিপ্লেস করতে চায় তখন(গুগল সার্চে অরিজিনাল "কান্ডারী হুশিয়ার" গান খুঁজে পেলাম না, সবই আর্টসেলের পরিবেশনা)।
মান্নার নজরুল গীতিতে কোন বিকৃতি কি আছে? মান্নার গাওয়া নজরুল গীতিকে কি রিমিক্স বলা হয়? আসলে "রিমিক্স" এর সংজ্ঞাটিতেই আপনি বোধ হয় ভুল করছেন। মান্না রীতিমত নজরুলের গানের চর্চা করতেন এবং করেন। যাকে বলে- ওস্তাদের কাছে হাতে কলমে শিখেছেন। এখন নজরুলের গানের বিভিন্ন শিল্পীদের মধ্যে গায়কির, সুরের বেশ কিছু এদিক-ওদিক আছে। আমাদের ফিরোজা বেগম আর ভারতের সতীনাথ একরকম গান না, ড: অঞ্জলি মুখার্জী আর ইফফাত আরার গানেও পার্থক্য পাবেন, শাকিল যতই অজয়ের মত গাওয়ার চেষ্টা করুক না কেন, কিছু এদিক ওদিক তো হয়ই। এই পার্থক্যগুলোকে কি আপনি রিমিক্স বলবেন? শ্রীকান্ত যখন হেমন্ত, শিবাজি, সতীনাথ প্রমুখের আধুনিক গানগুলো করেছেন- তখন কি সুর বিকৃত করেছেন? যতই বলা হোক যে- শ্রীকান্তের গলা খুব ফ্ল্যাট, হেমন্ত-সতীনাথের অরিজিনাল গান যারা শুনেছেন, তাদের শ্রীকান্তের গানে মন ভরবে না ঠিকই, কিন্তু তাই বলে কি শ্রীকান্ত রিমিক্স করেছেন, ঐ গানগুলোতে নতুন সুরারোপ করেছেন- এমন তো কেউ বলতে পারবে না! সাগর সেনের মাধ্যমে রবীন্দ্র সঙ্গীতে আমার প্রবেশ, কিন্তু যখন কলিম শরাফি, কনিকা, সুবিনয় প্রমুখে গিয়ে উপস্থিত হলাম- তখন সাগর সেনের ফ্ল্যাট গায়কিতে তো আর মন ভরে না। সত্যজিৎ রায়ের উদ্যোগে কিশোর কুমার কিছু রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়েছিলেন, চারুলতা সিনেমার গানটির পরে একটা ক্যাসেটও বোধ হয় বের করেছিলেন। বেশ সমালোচনা হয়েছিল- কারণ তিনি সুর-তাল-লয়ে ভুল করেছিলেন। তিনিও রিমিক্স করেছেন এমনটা কেউ বলেননি, তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার চেষ্টা করেছেন- কিন্তু একিউরেট সুরে গাইতে পারেন নি। পরে নিজেই বুঝতে পেরে- সে চেষ্টা আর করেনও নি।
সুতরাং, মান্না-শ্রীকান্তের উদাহরণগুলো হাবিব, আর্টসেলের রিমিক্সের সাথে কিভাবে প্রাসঙ্গিক হতে পারে? আমার মনে হয়েছে না বুঝেই এ প্রসঙ্গকে অহেতুক টানা হয়েছে।
... (চলবে .. এই পোস্টেই যুক্ত হতে থাকবে)
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৮
শয়তান বলেছেন: আলোচনা জমছে । রিমিক্সের প্রতি নেগেটিভ অবস্থান বজায় রাখবো আমি
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৯
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: কারার ঐ লৌহ কপাট গানটাও পেলাম। এটা গেয়েছে পাওয়ারসার্জ নামের একটা ব্যান্ড!
ইউটিউব ভিডিওটা দিচ্ছি:
সাথে অরিজিনাল গানটাও দিচ্ছি (সিনেমায় ব্যবহৃত):
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১২
কুঁড়ের বাদশা বলেছেন: ভাই পোষ্ট গুলো একটু ছোট করা যায় না ?
এত্তবড় পোষ্ট ডরাই
৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১৬
আলিম আল রাজি বলেছেন: আর্টসেল, ওয়ারফেজ, ব্ল্যাক, এদের চিৎকারকে কি করে গান বলা যায় সেটা আমার মাথায় ডুকেনা। সেই তুলনায় শীরোনামহীন-এর অনেক গানই ভালো।
তবে সলো মিউজিসিয়ানদের ভালো লাগে।
৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২০
ধুসর আকাশ বলেছেন: সহমত। সব গান চিল্লা চিল্লি দিয়ে মানায় না।
৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২০
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
আর্টসেলের কান্ডারি হুশিয়ার গানটির ভিডিও লিংক:
অরিজিনাল গান খুঁজে পাচ্ছি না, কেউ পেলে লিংক দিয়েন ...।
৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২২
রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: আমার বয়স যদিও কম কিন্তু আমি আপনার পক্ষে আছি।
৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৩৩
মুনতা বলেছেন:
আমার বয়স যদিও কম কিন্তু আমি আপনার পক্ষে আছি।
agree with raj
১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৪৩
কুঁড়ের বাদশা বলেছেন: সহমত
অনেক ধৈর্য নিয়ে পড়লাম।
ধন্যবাদ বিষয়টা এত যুক্তি দিয়ে উপস্থাপনের জন্য
১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৫১
নাজনীন১ বলেছেন: আজকে আপনার সাথে অনেকটাই, বলা যায় পুরোটাই সহমত।
দুর্গমগিরি গানটা এখানে শোনেন, তবে এটাই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গাওয়া হতো কিনা জানি না।
Click This Link
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৫৩
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
গানটা আমার হার্ডডিস্কেও তো আছে। ডাউনলোড লিংক না, গুগলে সার্চ দিয়ে পাওয়া যায়, ইউ টিউব বা মাইস্পেস লিংক চাচ্ছিলাম ......
আপনাকে ধন্যবাদ।
১২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
আরেকটা গান পেলাম: বিগ্রেড ৭১ এর তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর:
অরিজিনাল গান পরে দিচ্ছি: ....
১৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৯
নাজনীন১ বলেছেন: আমি তো গুগলে সার্চ দিয়েই পেলাম, আর সেটা ডাউনলোড না তো, সরাসরি শোনার লিঙ্ক, তবে কুইক টাইম লেটেস্টটা লাগবে মনে হয়।
১৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৩
_তানজীর_ বলেছেন: অনেক ব্যাপারেই একমত না। কিছু ব্যাপারে হয়তো একমত। তবে আপনার মূল কথার সাথে আমি কখনও একমত হতে পারবোনা। আপনার মনে আছে কিনা জানিনা আমার পরিস্কার মনে আছে ১৯৯৬-১৯৯৮ সালের দিকে যখন বাংলা গানের ভয়াবহ নাজুক অবস্থা, আর সব জায়গায় হিন্দী গানের ছড়াছড়ি তখনই নতুন প্রজন্মের এই ব্যান্ডগুলো এসে পুরো দৃর্শ্যপট পরিবর্তন করে দেয়। বাজার প্রভাবের কথা বললেন- বাংলাদেশ এখন অনেক ক্যাটাগরিতেই হিন্দী গানকে ভালোভাবে টেক্কা দেওয়ার সামর্থ্য রাখে। আমি অনেক বছর ধরে হিন্দী গান শুনিওনা- বন্ধুরা যে কয়টা শোনায় আমার কাছে মনে হয় আমার বাংলাতেই এখন এর চেয়ে অনেক ভালো গান হয়। মেটাল নিয়ে গালাগালি করলেন, হেভী মেটাল সবার জন্য না। যদি বুঝে থাকেন এটা আপনার সয়না, তাহলে কিছু মনে করবেননা, বুঝবেন এটা আপনার জন্য না।
আপনার এই লেখার একটা বড় সমস্যা অনেক গুলো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়কে একসাথে করে নিজের ইচ্ছামতো লজিক দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন।
আপনার বয়েস কতো আমার জানা নাই। সব কিছু পুরনো মানেই ভালো- আর সব কিছু নতুন মানেই আপনার কাছে খারাপ। আমাদের অনেকেই সেই আধমরা (রবি ঠাকুরের ভাষায়) যারা ভয় পায় নতুনকে। নতুন কিছু দেখলেই জাত গেল জাত গেল! এমন দুটা গানের রেফারেন্স দিলেন- ২-টাই কাজী নজরুলের। যিনি সবসময়ে আলিঙ্গন করেছেন নতুনকে। আমি জানিনা নজরুলের এতো বড় ফ্যান হয়ে তার লেখা থেকে আদৌ কি শিখেছেন। আমরা নজরুলেরই পথের দূরন্ত পথিক।
১৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৯
সিউল রায়হান বলেছেন: "ব্ল্যাকের তাহসানের গলাও"
তাহসান নামের হাফ লেডিস, *****, লিপস্টিক কুইন এবং **রের বাচ্চা (আরো গালি মনে আসতিছে, লিখলাম না) -টা ব্ল্যাকের মেম্বার না..... ওরে গদাম দিয়ে বিদায় করা হইসে...... ঠিক করেন তথ্যটা
পোস্ট পুরোটা পড়েছি....... আপনার পয়েন্ট হল পুরনো গানগুলি নতুন করে গাইলে সুর এবং আবেদন অপরিবর্তিত রেখে গাইতে হবে.... এমনটা হলে সহমত...... আমি আর্টসেলের কান্ডারী হুশিয়ার গানটার ফ্যান কিন্তু অন্যগুলির না কারণ অন্য আর একটাতেও আমার গানের ব্যাকগ্রাউন্ডটা ফুটে উঠেছে বলে মনে হয়নি
বাংলাদেশের সর্বাধিক ক্যাসেট বিক্রি হয় যাদের তারা রেডিওতে অনুপস্থিত এটা ভাল পর্যবেক্ষন হয়েছে...... আমি ওদের কোন গান শুনি নাই, শোনার পসিবিলিটিও নাই........ এই দূরত্বটা আগেও ফিল করেছি রেডিও শুনে
১৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৩
আকাশ_পাগলা বলেছেন: উটিউবে "দুঃখ বিলাস", "অনিকেত প্রান্তর", "ধুসর সময়", "চিলে কোঠার সেপাই", "উৎসবের উৎসাহে" গানগুলো শুনলাম। এবং দুঃখের সাথে জানাতেই হচ্ছে- আমার ভালো লাগেনি। ভালো লাগেনি বলাটাও যথেস্ট মনে হচ্ছে না- আমার কাছে ফালতু মনে হয়েছে, এবং "অনিকেত প্রান্তর" গানটা ৯ মিনিট ধরে শুনতে গিয়ে মাথা ধরে গিয়েছিল। (যাদের এসব গান খুব ভালো লাগে - তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি- এভাবে বলার জন্য, এটা একান্তই আমার অনুভূতি ও রুচি)।
কিছু বলার নেই। রুচি যেখানে একেবারেই মিলবে না সেখানে যুক্তি দেখানো বৃথা। অনিকেত প্রান্তর গানটা যখন প্রথম শুনলাম, তখন এত মুগ্ধ হই যে টানা ৮০ বার শুনি। একই গান। এতই মুগ্ধ ছিলাম।
কান্ডারী হুশিয়ার আগেরটা মিষ্টি লাগত, আর্টসেলের টা শুনে মনে হল, আসলেই কী বলতে চাচ্ছে না বোঝা গেল।
আমার সব সময়েই মনে হয় পুরোনো গান গুলোয় অনেক বেশি কণ্ঠের দক্ষতা ছিল, কিন্তু ক্রিয়েটিভিটির দিক থেকে এখনকার গানগুলো ভালই উৎরে যাবে। এখন ইন্সট্রুমেন্টের পেছনে একটা ছেলে কত পরিশ্রম করে ভাবতে পারেন?গান কী শুধু কণ্ঠ? আগে কী কণ্ঠ ছাড়া আর গানে খাঁটনী ছিল? আর কিছু না, অনিকেত প্রান্তরের ঐ ৯ মিনিটের ভেতরে কয়টা সলো?? খেয়াল করছেন? দেখেন সুরটা আপনার ভাল নাও লাগতে পারে, কিন্তু আরেকবার মন দিয়ে শুনে দেখেন, আপনি ফিল করবেন যে, এভাবে বাজাতে একটা মানুষের কী অমানুষিক পরিশ্রম করা লাগে। এমন যে বাজাতে পারে, তার দশটা কাজের একটা হয়ত এক সময় আপনার দারুণ লাগবে।
আপনি কী এই সময়ের লিরিক্সগুলা খেয়াল করছেন? ব্লগার ইমন জুবায়েরের ব্লগে ব্লাকের অনেক লিরিক্স আছে, আর হালকা ব্যাখ্যাও। একটু দেখবেন? আইকনস শুনছেন?অর্থহীন আগের ব্যন্ড। তখন শুনতেন? এখনও দারুণ গায়।
বাই দ্যা ওয়ে, কোন তুলনায় যাচ্ছি না এমনিই প্রশ্ন। পাগানিনি কী আপনার ভাল্লাগে? আয়রন মেইডেন, স্লিপ্নট, ব্রেকিংবেঞ্জামিন কে কী চোখে দেখেন?
১৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৭
আকাশ_পাগলা বলেছেন: অর্ণবের রিমিক্স করা রবীন্দ্র সঙ্গীত কী আপনি শুনছেন?
ওর গান কেমন লাগে?
১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:০৩
পারভেজ আলম বলেছেন: হাঃ হাঃ, প্রগতিশীল মেটাল ব্যান্ড, । প্রগ্রেসিভ মেটাল বলতে বাংলায় আমরা প্রগ্রেসিভ বলতে যা বুঝি তা বোঝায় না, এটা মিউজিকের টার্ম। মেটালের অনেকগুলো জেনার আছে, এসব জেনারের প্রগ্রেসিভ ভার্সন আছে, আর্টসেলকে মোটামুটি ভাবে প্রগ্রেসিভ থ্র্যাস মেটাল ব্যান্ড বলা যায়। মেটাল সঙ্গিতে প্রগ্রেসন হিসাবে চিহ্নিত করা হয় মূলত গিটার আর ড্রামের বারংবার সিগনেচার চেঞ্জ আর দীর্ঘকালিন নোটের ব্যবহারকে। তবে লিরিকের কিছু ব্যাপারও আছে। তবে মূল ব্যাপারটা কোন ধারনা বা আদর্শগত বিষয় নয়, বরং সংগিতের টেকনিকগত। আপনাকে যে বলেছে আর্টসেল প্রগতিশীল মেটাল ব্যান্ড সে ব্যাপারটা না বুঝেই বলেছে।
যাই হোক, প্রবন্ধটা পড়ে ভালো লাগলো, এই বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা জরুরি, খুবই জরুরি। আমি একটু নাক ঢোকাই কয়েক যায়গায়। হাবিব মিলার লিরিক্স আর আর্টসেল পাওয়ারসার্জের মেটালকে এক কাতারে রেখে আলোচনা সমিচিন মনে করি না। আমি একজন মেটাল ভক্ত এ কারনে বলছিনা। শনিরআখড়ার মতো অজ পাড়াগায়ের ছেলে হয়েও স্কুল জীবন থেকে মেটাল গান শুনি। একটা সময় ছিলো যখন এধরণের গান শোনার জন্য নিন্দিত হতাম, এখনকার তরুনরা অবশ্য অনেকেই শোনে, অনেকে অবশ্য ফ্যাশন করেই শোনে। দেশিয় ঐতিহ্য সংস্কৃতি রক্ষায় হিন্দি আর আমেরিকান পপ/হিপহপ সংস্কৃতির কড়া সমালোচক হওয়া সত্ত্বেও আমার এ মেটাল ভক্তি নিয়ে অপরাধবোধেও কম ভুগিনি। এই মন্তব্য লেখার সময়ও শুনছি সুইডিস মেলোডিক ডেথ মেটাল ব্যান্ড ডার্ক ট্রাঙ্কুইলিটির "ফিকশন", খুবই কাব্যিক মেটাল। যাই হোক, মেটাল ভক্ত বলে বলছিনা, সঠিক তথ্য দিচ্ছি। মেটাল মিউজিকএর জন্ম শিল্পের একটা ফর্ম হিসেবে সেই সত্তরের শুরুর ভাগেই। জনপ্রিয় মিষ্টি অথবা সেক্সি পপ ফর্মের পুরো বিপরীতে নন-কমার্শিয়াল শিল্প হিসেবেই এর জন্ম। একটা অস্থির আর হতাস সময়কে ধারণ করেই এর বেরে ওঠা, এক পর্যায়ে এ দেশে আগমন। গত কয়েক দশকে কমার্শিয়ালিজমের চরম বিরোধী এই শিল্পেও কমার্সের পোকা ঢুকেছে। মেটালের সতর্ক শ্রোতা আর বোদ্ধা না হলে এই পোকা চেনা কঠিন। ২০০০ সালের পর পরই এই পোকা আমাদের দেশের মেটালেও ঢুকেছে। বাংলাদেশে শিল্পটা ঠিক মতো বিকাষ লাভ করতে না করতেই ব্যাবসায়িদের হাতে মারা পরলো। নন-কমার্সিয়াল হওয়াতেই সবার কর্ণকুহরে এর শব্দ মধুর লাগল কিনা তা এর মাথা ব্যাথার বিষয় নয়। সম্মিলিত সাংগঠনিক ভালো বাজানো এই ধরনের সংগিতের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন দিক। ভোকালের চেয়ে এখানে বাদকদের দাম কম নয়। এই সংগিতের বেশিরভাগ ফর্মই কাজ করে এড্রেলিনের উপর। উত্তেজনা, অস্থিরতা, ইউফোরিক আধ্যাত্বিকতা, এ সবই মেটালের বিচরন ক্ষেত্র, আশির দশকে অবশ্য অনেক পরিস্কার পলিটিকাল একটা ধারা তৈরি হয়েছিলো, টিকে থাকেনি। এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্থানীয় সংস্কৃতির বিপ্লবী ঐতিহ্যের সাথে মিলে মিশে এর বিকাষ হচ্ছে, বাংলাদেশে হতে হতেও হলোনা। ইংল্যান্ড আর আমেরিকায় জন্ম হলেও ইউরোপের বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোতেই এখন এই শিল্পের বড় বড় শিল্পীরা কাজ করছেন। আর হ্যা, এখনকার বেশিরভাগ বাংলাদেশি পোলাপানই যারা মেটাল গান শোনে এদেরকে মেটাল সংস্কৃতিতে পোজার বলা হয়, মানে যারা শিল্পটা বোঝেনা খালি ভাবটা ধরে, মেটালের একটা ভাবও আছে কিনা। আর্টসেলের মতো অসাধারণ ব্যান্ডও এখন কমার্সিয়াল গান গায়, এই ব্যান্ডের এখনকার বেশিরভাগ শ্রোতারাই পোজার। পাওয়ারসার্জ একটা ভালো ব্যান্ড। মেটালের অন্যতম গুরুত্বপুর্ন দিক, ভালো বাজানো এবং স্ট্যাজ পার্ফরমেন্স, দুটিতেই এগিয়ে। কিন্তু এই থ্র্যাস মেটাল ব্যান্ডটি অতি মাত্রায় আমেরিকান ধাচের। আমি এখন দেখতে চাই এমন কিছু যাকে এদেশিও মেটাল বলা যায়। গণসংগিতের সাথে মেটালের একটা তালমিল দেখার জন্য বসে আছি।
১৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:০৫
পারভেজ আলম বলেছেন: হাঃ হাঃ, প্রগতিশীল মেটাল ব্যান্ড, । প্রগ্রেসিভ মেটাল বলতে বাংলায় আমরা প্রগ্রেসিভ বলতে যা বুঝি তা বোঝায় না, এটা মিউজিকের টার্ম। মেটালের অনেকগুলো জেনার আছে, এসব জেনারের প্রগ্রেসিভ ভার্সন আছে, আর্টসেলকে মোটামুটি ভাবে প্রগ্রেসিভ থ্র্যাস মেটাল ব্যান্ড বলা যায়। মেটাল সঙ্গিতে প্রগ্রেসন হিসাবে চিহ্নিত করা হয় মূলত গিটার আর ড্রামের বারংবার সিগনেচার চেঞ্জ আর দীর্ঘকালিন নোটের ব্যবহারকে। তবে লিরিকের কিছু ব্যাপারও আছে। তবে মূল ব্যাপারটা কোন ধারনা বা আদর্শগত বিষয় নয়, বরং সংগিতের টেকনিকগত। আপনাকে যে বলেছে আর্টসেল প্রগতিশীল মেটাল ব্যান্ড সে ব্যাপারটা না বুঝেই বলেছে।
যাই হোক, প্রবন্ধটা পড়ে ভালো লাগলো, এই বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা জরুরি, খুবই জরুরি। আমি একটু নাক ঢোকাই কয়েক যায়গায়। হাবিব মিলার লিরিক্স আর আর্টসেল পাওয়ারসার্জের মেটালকে এক কাতারে রেখে আলোচনা সমিচিন মনে করি না। আমি একজন মেটাল ভক্ত এ কারনে বলছিনা। শনিরআখড়ার মতো অজ পাড়াগায়ের ছেলে হয়েও স্কুল জীবন থেকে মেটাল গান শুনি। একটা সময় ছিলো যখন এধরণের গান শোনার জন্য নিন্দিত হতাম, এখনকার তরুনরা অবশ্য অনেকেই শোনে, অনেকে অবশ্য ফ্যাশন করেই শোনে। দেশিয় ঐতিহ্য সংস্কৃতি রক্ষায় হিন্দি আর আমেরিকান পপ/হিপহপ সংস্কৃতির কড়া সমালোচক হওয়া সত্ত্বেও আমার এ মেটাল ভক্তি নিয়ে অপরাধবোধেও কম ভুগিনি। এই মন্তব্য লেখার সময়ও শুনছি সুইডিস মেলোডিক ডেথ মেটাল ব্যান্ড ডার্ক ট্রাঙ্কুইলিটির "ফিকশন", খুবই কাব্যিক মেটাল। যাই হোক, মেটাল ভক্ত বলে বলছিনা, সঠিক তথ্য দিচ্ছি। মেটাল মিউজিকএর জন্ম শিল্পের একটা ফর্ম হিসেবে সেই সত্তরের শুরুর ভাগেই। জনপ্রিয় মিষ্টি অথবা সেক্সি পপ ফর্মের পুরো বিপরীতে নন-কমার্শিয়াল শিল্প হিসেবেই এর জন্ম। একটা অস্থির আর হতাস সময়কে ধারণ করেই এর বেরে ওঠা, এক পর্যায়ে এ দেশে আগমন। গত কয়েক দশকে কমার্শিয়ালিজমের চরম বিরোধী এই শিল্পেও কমার্সের পোকা ঢুকেছে। মেটালের সতর্ক শ্রোতা আর বোদ্ধা না হলে এই পোকা চেনা কঠিন। ২০০০ সালের পর পরই এই পোকা আমাদের দেশের মেটালেও ঢুকেছে। বাংলাদেশে শিল্পটা ঠিক মতো বিকাষ লাভ করতে না করতেই ব্যাবসায়িদের হাতে মারা পরলো। নন-কমার্সিয়াল হওয়াতেই সবার কর্ণকুহরে এর শব্দ মধুর লাগল কিনা তা এর মাথা ব্যাথার বিষয় নয়। সম্মিলিত সাংগঠনিক ভালো বাজানো এই ধরনের সংগিতের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন দিক। ভোকালের চেয়ে এখানে বাদকদের দাম কম নয়। এই সংগিতের বেশিরভাগ ফর্মই কাজ করে এড্রেলিনের উপর। উত্তেজনা, অস্থিরতা, ইউফোরিক আধ্যাত্বিকতা, এ সবই মেটালের বিচরন ক্ষেত্র, আশির দশকে অবশ্য অনেক পরিস্কার পলিটিকাল একটা ধারা তৈরি হয়েছিলো, টিকে থাকেনি। এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্থানীয় সংস্কৃতির বিপ্লবী ঐতিহ্যের সাথে মিলে মিশে এর বিকাষ হচ্ছে, বাংলাদেশে হতে হতেও হলোনা। ইংল্যান্ড আর আমেরিকায় জন্ম হলেও ইউরোপের বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশগুলোতেই এখন এই শিল্পের বড় বড় শিল্পীরা কাজ করছেন। আর হ্যা, এখনকার বেশিরভাগ বাংলাদেশি পোলাপানই যারা মেটাল গান শোনে এদেরকে মেটাল সংস্কৃতিতে পোজার বলা হয়, মানে যারা শিল্পটা বোঝেনা খালি ভাবটা ধরে, মেটালের একটা ভাবও আছে কিনা। আর্টসেলের মতো অসাধারণ ব্যান্ডও এখন কমার্সিয়াল গান গায়, এই ব্যান্ডের এখনকার বেশিরভাগ শ্রোতারাই পোজার। পাওয়ারসার্জ একটা ভালো ব্যান্ড। মেটালের অন্যতম গুরুত্বপুর্ন দিক, ভালো বাজানো এবং স্ট্যাজ পার্ফরমেন্স, দুটিতেই এগিয়ে। কিন্তু এই থ্র্যাস মেটাল ব্যান্ডটি অতি মাত্রায় আমেরিকান ধাচের। আমি এখন দেখতে চাই এমন কিছু যাকে এদেশিও মেটাল বলা যায়। গণসংগিতের সাথে মেটালের একটা তালমিল দেখার জন্য বসে আছি
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৪০
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
হুম, ফেসবুকে এই আলোচনা করার সাথে সাথেই- Shuvro Spark উইকির লিংক দিয়ে জানিয়ে দেয় (http://en.wikipedia.org/wiki/Progressive_metal)- প্রগ্রেসিভ মেটাল আসলে কি। Shuvro Spark এর মূল কমেন্টে ভুল বুঝেছিলাম। (আপনার এই কমেন্ট চলে আসায় মূল পোস্টে সেটা আর ঠিক করলাম না, একই বিষয়ে অন্যত্র লিখতে গেলে- বা এই লেখা অন্যত্র প্রকাশ করতে গেলে- ঐ জায়গাটা সংশোধিত করা হবে)।
আপনাকে ধন্যবাদ।
২০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৪৬
প্রিয়তমেষু বলেছেন: আকাশ_পাগলা ভাইয়া কিংবা পারভেজ আলম ভাই এর এমন বিশ্লেষনী মন্তব্যের পরে মেটাল এর পক্ষে আর কোন যুক্তি দেখানো ঠিক না,তবে একজন মেটাল-ফ্যান হিসেবে নয়,বিশ্বজনীন সংগীত শ্রোতা হিসেবে আমি মনে করি মেটাল সহ সংগীতের কোন ধারা কেই অসম্মান করা একদম ঠিক না,ঠিক না সেই ধারা কে নিচু করে দেখা-সেই ধারা যাদের 'পছন্দের তালিকায়' তাদের ই বা নিচু করে দেখা ঠিক নয় বলে আমি মনে করি। আমার কাছে সুর/গান একটি আনন্দ/মনের প্রশান্তি বাহক ছাড়া কিছুই নয়; সেই গান আমি শুনি যে গান আমার মনে আলোড়ন তৈরী করতে পারে-সেক্ষেত্রে আমি যেমন নজরুল সংগীত কে প্রাধান্য দেই তেমনি 'আর্টসেল' কেও বিবেচনায় আনি।গান কিংবা সুর/মেলোডী এর প্রতি যে আকর্ষন তাও একটি চরম আপেক্ষিক বিষয়,আজ যা ভালো লাগছে,কাল তা লাগছে না!! আমি এই বিষয় টা অনেক বার পরীক্ষা করে দেখেছি;লেখক বলতে পারেন 'গানের মতন গান হলে সারাজীবন তা মনে দাগ কেটে রাখতে পারে' আমি বলব 'না' ; সবসময় যে একি গান মানুষের ভালো লাগবে সেই গ্যারান্টী ১০০% আপনি দিতে পারেন না,নো অফেন্স!
যাই হোক আলোচনা থেকে কিঞ্চিত সরে আসার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী!
সত্যি বলতে কি আপনার লেখাটা পড়ে বুঝা যাচ্ছে,আপনি সংগীত বিষয়ক জ্ঞান নেহায়েত কম নয়-তাই কিছু লিখতে ভয় পাচ্ছি! পুরানো ধারার বিশ্লেষন এ যাব না,নতুন ধারার যে বিশ্লেষন করেছেন তাতে তথ্যগত বেশ কিছু ভুল আছে কিন্তু!আপনি পুরানো দিনের গানের সপক্ষে যেসব যুক্তি দিচ্ছেন,নতুন ধারার গানের ভক্ত রা কিন্তু এমন ভুড়ি ভুড়ি যুক্তি নিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়তে পারে,তাই সাব্ধান-তথ্য ও যুক্তি আরো স্পষ্ট হয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি।আপনি যে বিষয়টা তুলেছেন এটা অনেক স্পর্ষকাতর-চারিদিকেই কিন্তু মিলা-হাবিব থেকে শুরু করে আর্টসেল-ব্ল্যাক এর ভক্তরা ঘুরছে কিন্তু; পোস্ট টি আপডেট হলে আমি আবার কিছু বলার চেষ্টা করব।
একটা নিজস্ব অভিমত ও একটা নিজস্ব মন্তব্য দিয়ে কমেন্ট টার ইতি টানছি;
অভিমতঃ আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোন গানের ধারা কেই ঘৃনা করিনা; মেটাল কিংবা হিপহপ এর বিশ্ব জুড়ে অনেক ভক্ত আছে-এত এত মানুষ যে জিনিস টাকে পছন্দ করে আমার/আপনার কিন্তু সেই পছন্দ টাকে ঊড়িয়ে দেয়ার অধিকার থাকেনা।আবার পুরান ক্লাসিকাল গানের ভক্তও আছে বিশ্ব জুড়ে;ঘরে খুজলেই দেখা পাওয়া যাবে-যেমন ধরেন আমার বাবা!এখন আমার বাবা সহ এত লোক সংগীত এর যে ধারা কে পছন্দ করে সে ধারাকে তুচ্ছ বলার মত বৃহত কিন্তু আমরা হয়ে পারিনি! মমতাজের গানের যেমন ফ্যান আছে-শ্রীকান্ত'র ও আছে আছে আর্টসেল দের ও;এইসব কোন একটা আর্টিস্ট/জেন্রি কে ছোট করে দেখা মানে সেই ভক্তদের ছোট করে দেখা,যা অমূলক।সবার পছন্দের মুল্য আছে,তাই কোন ধারাকেই আমি অগ্রাহ্য করিনা।
প্রশ্নঃ বাংলা গানের নতুন / জনপ্রিয় যে জাগরন সেটি কে আপনি কেমন চোখে দেখেন?? আজ থেকে ৫০ বছর পরে কি আমরা এই গান গুলোকে আমাদের নাতিনাতনী দের পরিচয় করিয়ে দিবনা যেভাবে ছোট বেলায় আমরা পরিচত হয়েছি নজরুল/ক্লাসিকাল এর সাথে??
ধন্যবাদ;পোস্ট প্রিয় তে-তর্ক জমলে এসে দেখতে পারবো সহজেই!
২১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৪৯
আমি এবং আঁধার বলেছেন: যেহেতু আপনি মেটাল, ফিউশন আর পপের মধ্যে পার্থক্যই ঠিকমত বোঝেননি(আপনার সবগুলোকে এককাতারে ফেলা দেখে তাই মনে হলো), কাজেই এবিষয়ে আলোচনা করা বৃথা। তাছাড়া রুচির ভেদ আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর!!
বড়ই দুঃখ পেলাম নজরুলকে টেনে আনার জন্য, বেচারার জন্য আসলেই মাঝে মাঝে দুঃখ হয়, তার সময়ে চ্যাংড়া পোলাপান তার গান ভালোবাসছে, বুড়ারা কাফের, হিন্দু, শুধুই ক্রোধাত্মক, গভীরতা নাই বইলা গাইল দিছে। আজ তার গানের বুড়া বয়সে যখন জোয়ানরা সেই আবেদন মডার্ণ ভিউতে ফুটায়া তুলতেসে(দয়া করে খেয়াল করুন এইটা রিমিক্স না, ডিকন্সট্রাকশন, শেক্সপীয়ারের নাটকগুলার ডিকনস্ট্রাকশন না হইলে এহন সেগুলা মিউজিয়ামে থাকতো শুধু) তখন আবার বুড়ারা চিল্লাপাল্লা করতেসে, গেল গেল; নজরুলের গানের জাত গেল, হুদাই চিৎকার, চেঁচামেচি!!!!!! আমার তো মনে হয়, এইসময় নজরুল পয়দা হইলে প্রথমেই মেটাল গানরে বাইচ্ছ্যা নিতেন বিদ্রোহের গানের মাধ্যম হিসেবে।
আর্টসেল নিয়া ঢালাওভাবে যা বললেন তাতে খুবই দুঃখ পাইলাম, পার্থক্য বোঝানোর জন্য নিচে আর্টসেলের দুইটা গানের লিরিক্স দিলাম, মিউজিক ভিডিওএর ডাউনলোড লিঙ্কও দিলাম, ভালো লাগুক বা না লাগুক আর্টসেলরে দয়া করে তাহসান, হাবিব, ফুয়াদ, মিলার সাথে তুলনা কইরেন না। আমরা গোমুর্খ ডিজুসীয় নতুন জেনারেশন তাতে বড়ই দুঃখু পাই!!
"বাংলাদেশ, স্মৃতি ও আমরা"
এখানে নত সময়ে বোবা শহর ফেটে পড়ে-
বাকরূদ্ধ মানুষের রুদ্ধ ক্রোধে।
গ্রেনেডের নিরবতা থেমে আছে-
কবে আবার মিছিল হবে...
স্বপ্নের অনাগত অদেখা জুড়ে-
সময়ের বিবর্ণ অস্থিরতা।
অন্ধ-মানুষ পায়ে হেঁটে-
শহীদ-স্মৃতির হিম-মিনারে-
তবু আসে ভালোবেসে।
এখানে বেড়ে ওঠে শহীদমিনার।
বন্ধুর স্বপ্নের স্বপ্নহীন এক হাহাকার
মৃতমানুষ অচেনা ভয়ে-
মাতৃভূমির ছায়াগারে;
বেঁচে থাকে গ্রেনেডের গঠিত গর্জনে।
তোমাদের দুঃস্বপ্নে লেখা স্বপ্নগুলো-
জানালাবদ্ধ ঘরে
বাতাসের অনাহারে মিশে আছে-
আহত বাংলাদেশে।
স্বাধীনতা লেগে আছে তবু
বিকেলের বৃদ্ধ রোদে।
মানুষের মিছিলে-
আজো জেগে আছে মাথা তুলে শহীদ একুশে......
স্বপ্নের অনাগত অদেখাজুড়ে-
সময়ের বিবর্ণ অস্থিরতা।
অন্ধমানুষ পায়ে হেঁটে-
শহীদ-স্মৃতির হিম-মিনারে;
তবু আসে ভালোবেসে।
এখানে নত সময়ে-
কোনো মানব-অন্ধ চোখে;
শহীদ-সরণী ধরে হেঁটে-হেঁটে-
নিজের স্মৃতির অন্ধকারে ফিরে আসে, ফিরে আসে.........
মিউজিক ভিডিও- http://www.mediafire.com/?mxd2mydmptm
"শহীদ সরণী"
ভোর হোক তোমারও জানালায়
ভোর হোক ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়া শহরে।
শহীদ সরণীর পীচঢালা পথে,
রোদ্র আসুক আশাবাদী অক্ষর হয়ে।
বেঁচে থাকার উৎসাহে তোমার রাইফেল বিনীত হোক,
মানুষের অনন্তকালের ইতিহাসের পায়ে।
তোমার স্থল মাইন আবাদী মাটির প্রাণরসে ভিঁজে,
কান্নাসিক্ত পৃথিবী হোক।
তোমার জানালায় মৃত শিশু, পড়ে থাকে
যুদ্ধাহত সময়ের বাসী রোদ।
কবির মতন দুঃস্থ ও উদার হোক,
তোমার ব্যারাকে ব্যবহৃত প্রতিটি সৈনিক হৃদয়।
তোমার বিনীদ্র প্রহরার রাত,
শব্দ পাক মানুষের গরাদ ভাঙার।
ভোর হোক তোমার অন্ধচোখে,
যুদ্ধের অহর্ণিশ ধ্বংসস্তুপ, ইতিহাস।
মিউজিক ভিডিও- http://www.mediafire.com/?w2xjnmmjzzi
ধন্যবাদ।
২২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:০৩
পারভেজ আলম বলেছেন: দুইটা গানই আমার মারাত্মক পছন্দ। আর্টসেল কতোগুলা ফাচুকি ঠান্ডা গান গাইয়া নিজেগো জনপ্রিয়তা বাড়ানোর দিকে মনযোগ না দিলে অগরে এখনো মাথায় তুইলা রাখতাম। "বাংলাদশ স্মৃতি ও আমরা" গানটাতো খুবই আন্ডাররেটেড, অসাধারণ গান, শুধু লিরিকেই না, এরসাদ বাজাইছেও মারাত্মক, দেশী জাতীয়তাবাদী একটা লিডের কাজ আছে। এওতো আজ থেকে ৫ বছর আগের কথা।
২০০১ এ যখন অন্য সময় আসলো, আমি তখন ইন্টারমিডিয়েটে পড়ি, ঐ সময় আর কেউ এমন কইরা নিজের মনের কথা কয় নাইরে ভাই। অন্য সময়, ভূল জন্ম, রাহুর গ্রাস, ইতিহাস, মুখোস এইগুলা ছিলো আসল আর্টসেল।
"ইতিহাস পেছনে ফেলে যাবেনা ভাঙা চার দেয়াল"
২৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:০৪
নষ্ট ছেলে বলেছেন: "কান্ডারী হুশিয়ার" গানের কথা গুলো মোটেও নমনীয় সুরে গাওয়ার মত গান না। আর্টসেলে এই গানটা তো আমার খুবই ভাল লাগে
২৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১১
আমি এবং আঁধার বলেছেন: @পারভেজ আলম- আপনার সাথে অনেকাংশেই একমত। কি করবেন বলেন, প্যানপ্যানানী গানগুলা না গাইলে যে এলবাম বিক্রিই হইতো না!! কয়জন আর পিওর ডাইহার্ড মেটাল ফ্যান আছে বাংলাদেশে বলেন?? তারপরেও শুধুমাত্র মেটালের জন্য তাদের যে ডেডিকেশন সেটাই প্রশংসা করার মত। লিঙ্কনের একটা ইন্টারভিউ দেখছিলাম, বেচারা দুঃখ করে বলেছিলেন যে নিন্দা, গালিমন্দ আর ব্যাকগিয়ার ছাড়া ন্যুনতম উৎসাহ তারা খুব কমই পাইসেন।
২৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:২৯
সিউল রায়হান বলেছেন: @ আমি ও আঁধার:
"লিঙ্কনের একটা ইন্টারভিউ দেখছিলাম, বেচারা দুঃখ করে বলেছিলেন যে নিন্দা, গালিমন্দ আর ব্যাকগিয়ার ছাড়া ন্যুনতম উৎসাহ তারা খুব কমই পাইসেন।"
- ভাই টেনশন নাই..... আর্টসেলের বিরোধীতা করেছেন যারা তারা অন্য ধারার গানের পূজারী তাই স্বভাবতই মেনে নিতেন পারেন নাই এটা..... খুব সহজ একটা উদাহরণ দেই: ধরেন কেউ ৩০ মিনিট ধরে যেই উচ্চাঙ্গ সংগীত হয় তার বিশাল ফ্যান, এখন তিনি তো আর্টসেলের গানের প্রতিবাদ জানাবেনই...
উল্টাটা আবার আমার ক্ষেত্রে সত্য.... আমার অতীতে, ভবিষ্যতে, বর্তমানে কোনই পসিবিলিটি ৩০ মিনিট ধরে একটা গান হজম করার...... আমি আর্টসেলের ফ্যান....... আমি আপনার সাথে একমত যে নজরুল আজ জন্ম নিলে হারমোনিয়াম নয়, লিড গিটার হাতে তুলে নিতেন বিদ্রোহের গান গাইতে
তবে ব্রিগেড ৭১ বা বাকিদের রিমিক্স গুলো অত জাতের হয়নি, এ ব্যাপারে লেখকের সাথে একমত
এটা জেনারেশন গ্যাপ...... ২ জেনারেশনের পছন্দের হাইপারডাইভ.... মেনে নিতে হবেই সবাইকে..... আর ব্যাক গিয়ার কিংবা গালমন্দের দিন শেষ আমরা গত শতাব্দী ও এই মিলেনিয়ামের প্রথম ১০ বছর ফেলে এসেছি....... It's time to make our make blood cells shout with us, shout for humanity.....And metal will make this possible
২৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৫৬
আমি এবং আঁধার বলেছেন: @সিউল রায়হান- ....... It's time to make our make blood cells shout with us, shout for humanity.....And metal will make this possible
আপনার এই আগুন কমেন্টে কোটি কোটি জাঝা।
বর্তমানে যা হচ্ছে তার সবই ভালো তা আমিও বলছিনা, আমার আপত্তি শুধু গণহারে সবাইকে একপাত্রে ফেলার জন্য। চিন্তা করেন মেটালিকা, আয়রন মেইডেন, শাকিরা, বব মার্লে, এরিক ক্লাপটন, ব্রিটনি স্পেয়ার্স একস্টেজে গান গাইতেসে!!!! এখানে সার্বিক আলোচনাটা সেরকমই হইসে।
আমি যে পুরনো গানের বিরোধী তা কিন্তু না, মহান বৃদ্ধ আর মহান বিদ্রোহী এই দুই দিকপালের গানই আমার অসাধারণ লাগে। বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি কিংবা শাওন রাতে যদি আমার অলটাইম ফেভারিট গান। আবার ইহুদীদের তীব্র বর্ণবিদ্বেষ আর দখলী মানসিকতার বিরুদ্ধে সেপালচুরার টেরিটোরি গানের মত আবেদনও আমি অস্বীকার করতে পারিনা। আমি এটাও ভুলতে পারিনা যে নজরুলের গান যেভাবে আমাদের ৭১এ উদ্দীপ্ত করেছে, সেপালচুরার হেভীমেটালও ঠিক সেভাবে ব্রাজিলের স্বৈরাচারবিরোধী চেতনাকে উদ্দীপ্ত করেছে। মেটাল বর্ণবিদ্বেষবিরোধিতা, যুদ্ধবিরোধীতা, বিদ্রোহ, আর শোষকদের কথা যেভাবে বলেছে সেই তীব্রতায় আমি আর কোনো গান পাই কি?
সবশেষে বলি, মেটাল সবার জন্য না। কাজেই যে মুষ্টিমেয়রা তা পছন্দ করি তাদের মনোভাবকে বোঝার চেষ্টা না করে মেটাল গানের সমালোচনা না করাটাই উচিত।
আপনাকে ধন্যবাদ।
২৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৫৭
দি ওয়ান বলেছেন: গান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলুক। আমার যেটা ভাল লাগে আমি সেটা শুনবো।
২৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:০৯
কালীদাস বলেছেন: গান বাজনার পোস্ট দেখলেই আমার নোংরা নাকটা ঢুকতে আইঢাই করে
ভাইয়েরা আমার, গত দশকের একটা পুরানা প্রশ্ন করে যাই, যার উত্তর জানা আমার জন্য আবশ্যক মেলো রক জিনিসটা কি? পপরে মেলো রক বলে চালানোর মানে কি? গান তো আমিও কিছুকিছু শুনি, ইউরোপ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া...কোথাও এই টার্মটা দেখি নাই, মেলোডিক ডেথ মেটাল শুনছি, বুচছি, .....শুধু বাংলাদেশে শুনি মেলো রক, এইটা আসলে কি জিনিস?
২৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:১২
কালীদাস বলেছেন: আর আমার আর্টসেলরে ভাল লাগে, 'কান্ডারী হুশিয়ার' লিংকনের গলায় দারুন হয়েছে।
৩০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:৪০
আকাশ_পাগলা বলেছেন: এক ধারার ফ্যান হলে, অন্য ধারার উপর মানুষ এত ক্ষেপে যায় কেন সেটা আমার কাছে এখনও পরিষ্কার না।
রবিশঙ্কর, বিসমিল্লাহ খানের সানাই, রশীদ খানের গলার কাজ,পাগানিনি, ইয়ান্নি এদের সবার গানই আমি শুনি। বলতে গেলে রবিশংকরের কাজ ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুনছি। পরীক্ষার আগে যখন সারা রাত পড়তাম, রশীদ খানের গান ছাড়া থাকত।
সুতরাং মেটাল শুনি বলে বাকি গানকে যে পাত্তা দিব না, বা সে ব্যাপারে যে কিছুই জানি না, এমনটা কেউ বলতে পারবে না। আমি মনে করি, যারা পুরোনো দিনের বাংলা গান নিয়ে এত এক্সাইটেড, বা সেই গান গুলোর এমন ফ্যান যে, অন্য কেউ গাইলেই তাদের গায়ে লাগে, তারা রবিশংকর বা রশীদ খান বা পাগানিনি তেমন শুনতে পারে না।
কারণ, হেইফেজ বা রবিশংকর শুনে আমার যেমন লাগে, মানে একটা ফিল হয় যে, একটা সুরের পিছনে সাঙ্ঘাতিক পরিশ্রম করতেছে, একই ফিলটা হয় মেটাল শুনার মাঝেও। রশীদ খান যেমন গলার কাজ দেখান, মনে হয় একই টাইপের কষ্ট করতেছে একটা মেটাল গানের গায়কও। আমি নিজেও ভায়োলিনে রাগ বাজাই, তাই পোস্টের লেখক যদি মনে করে যে, এরা ত ডিজুসীয় মেটাল জেনারেশন এরা আর গানের কী বুঝে, কয়টা গান শুনছে, বা কয়টা ঠাণ্ডা গান সম্পর্কে ধারণা রাখে, তাহলে সেটা ভুল মনোভাব হবে।
যখন আরেকজনের কষ্টের ফিলটা কেউ ধরতে পারে, সেই গান যদি ভাল নাও লাগে(অনেকেরই ভাল লাগবে), তাও অসম্মান করা উচিত না।
যারা চিল্লাপ্ললা গান(তাদের ভাষায়) সহ্য করতে পারে না, আমার ধারণা তারা রাগসঙ্গীতও খুব বেশি শুনতে পারে না। বা শুনলেও সেটা হুদাই ভাব।যে মন দিয়ে শুনবে, শুনতে পারে, সে সব মিউজিকেই ক্রিয়েটিভিটি পাবে।সবখানেই শিল্পীর কষ্ট টের পাবে। তার সামনে আর সুকণ্ঠী ভয়েস দিয়েই গায়ক বা গায়িকা পার পেয়ে যাবে না (যেমনটা আমার মতে আগের যুগের গানে শুনি, শুধু সুকন্ঠীর গলার কাজ।আমি কণ্ঠ চাই না, গান চাই।কণ্ঠ, ইন্সট্রুমেন্ট,এক্সপ্রেশন,লিরিক,ক্রিয়েটিভিটি আর অবশ্যই ফিলিংস।)
পুরোনো বাংলাগান অনেক মিষ্টি তাই অনেকের ভাল লাগে, এটা সবচেয়ে ফালতু যুক্তি। এটা একটা গোঁড়ামী, তাই এদের ভাল্লাগে--এটাই আসল কথা। কারণ, পাগানিনির কম্পোজিশনের দাম যে দিবে, জেসচা হেইফেজের বাজানোর যে মূল্য দিবে, এরা মেটালেরও মূল্য দিতে জানবে। জেসচা হেইফেজরা ত মিষ্টি সুর বাজায়, তাদের সুর ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুনে, এমন ফ্যান কয়টা আছে? সেখানে মেটালের ভক্ত আর কয়টা হবে !!
৩১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৫৯
_তানজীর_ বলেছেন: সবার কথাবার্তাই ভালো লাগলো। কয়েকজন বলতে চেয়েছেন এক জনরার ফ্যানরা আরেক জনরা পছন্দ করেনা। কথাটা সব ক্ষেত্রে সত্যি না। আমি যত হ্যাভি মেটাল ফ্যানকে চিনি (সত্যিকারের ফ্যান- আজাইরা লোক দেখানো না), তাদের সবাইকেই দেখেছি রবি ঠাকুর থেকে শুরু করে লালন, পল্লীগীতিসহ পুরনো দিনের মান্না দে, আর ডি বর্মন- পাশ্চাত্যের ক্লাসিকেল জনরার শুবার্ট মোজার্ট, অপরা, শুধু ইনস্ট্রুমেন্টাল সহ সব ধরণের গান/সঙ্গীত শুনতে। একজন সত্যিকারের সঙ্গীতরসিকের পক্ষেই কেবল সম্ভব ভালো সঙ্গীতের রস আস্বাদন করা- মিউজিকটা কি টাইপের সেটা বিচার করা নয়।
৩২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি গানটা শুনলে বুঝবেন গানটা মেটাল/ হার্ডরক হওয়াতে এটা আবেগের যে প্রকাশ হয়েছে সেটা অন্যভাবে হয়তো হতনা। মেটাল গান আমাদের আবেগ বুকের গভীর থেকে টেনে বের করে আনে।
এইদা কুন ছাগলে নিছে, সাবজেনেরা না চিনা, প্রোগ্রেসিফরে মেটাল বা রক কয়!
মেটাল কয় কুন দুঃখে সেইটাই বুঝলাম না। যদিও গ্রামার মাইনা খুব উচ্চ মানের প্রগ্রেসিভ না (টোন, আর ট্যাকটিকস) তবুও নিজেদের ধারায় প্রেগ্রেসিভ হিসাবে অসাধারন। মাগার ছাগল গুলান উচ্ছাঙ্গ সঙ্গীত বা হাল জামানার মেলোডি শিখা এইসব গানের মেকানিক্স বিচার করে কেমনে?
ওগো কানে ২০০০ ওয়াটের এমপ্লিফায়ারের সামনে বসসাইয়া ডিমু বোর্গি সুনানো উচিত!
৩৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৮
প্রিয়তমেষু বলেছেন: খুব দুঃখের বিষয় ,আলোচনা মরে গেল!!
৩৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৪
পারভেজ আলম বলেছেন: হু, দুঃখের বিষয় অবশ্যই, আলোচনা মরে গেলো। মাঝখানে কিছু সৃষ্টিছাড়া কমেন্টও হলো। নাস্তিকের ধর্মকথা কথায় গেলো?
৩৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাবিব, ন্যান্সি, মিলা এইগুলারে গোনায় ধরিনা। রিচ মিউজিক বলতে যা বুঝায় তার ধারে কাছেও অরা যাইতে পারেনাই। কিন্তু মেটাল হৈলো আলাদা জিনিস। এইটা রক্তের মধ্যে থাক্তে হয়। না হৈলে এর নির্যাস উপভোগ কর্তে পার্বেন্না। ঐ সারাদিন পুতুপুতু মার্কা রোমান্টিক গান শুন্তে থাকেন। পাইছেন তো খালি এক ষাইটের দশক।
৩৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটা রক ব্যান্ডরে মেটাল কইলে তারউপর প্রোগ্রেসিভ কালে ভদ্রে হয়তো অল্টারনেট বা সফটুতে যায়, এই দুঃখ কই রাখি!
৩৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
অবয়ব বলেছেন: ইংলিশ মেটাল আমার কখনোই ভাল লাগে নাই, কারণ কি গাইতেছে কিছুই বুঝি না। আমার অনেক বন্ধু বান্ধবরে শুনতে দেখি এসব। রুমে খুব জোরে সাউন্ড দিয়ে বেশ ভাব নিয়ে মাথা দুলায়...না জানি কি শুনে। জিজ্ঞেস করি, দোস্ত আমারে দুইটা লাইন বুঝাইয়া দে। তখন আর পারে না। ইদানিং অবশ্য নেট থেকে সহজেই লিরিক্স নামিয়ে দু এক লাইন মুখস্ত করে রেখে দেয়।
৩৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩২
যাযাবর শফিক বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: হাবিব, ন্যান্সি, মিলা এইগুলারে গোনায় ধরিনা। রিচ মিউজিক বলতে যা বুঝায় তার ধারে কাছেও অরা যাইতে পারেনাই। কিন্তু মেটাল হৈলো আলাদা জিনিস। এইটা রক্তের মধ্যে থাক্তে হয়।
স হ ম ত
৩৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ২:০৩
কাঙাল মামা বলেছেন: আকাশ_পাগলা বলেছেন: কিছু বলার নেই। রুচি যেখানে একেবারেই মিলবে না সেখানে যুক্তি দেখানো বৃথা।
তবে প্রমিথিউস বা আর্কের গানের চেয়ে যে এখন ভালো কিছু গান হচ্ছে সেজন্য আর্টসেল/ব্ল্যাকরা ধন্যবাদ পেতেই পারে(মিলা-ফুয়াদরা নয়)।
একটা কভার সং শুনে হাদুম হয়ে বসে থাকি না, মূলটা খুজে বের করে শুনি। আনুশেহ থেকে লালন বা শাহানা বাজপেয়ী থেকে এককালে ঘৃণা করা রবীন্দ্রের চরম ফ্যান এখন আমি। একটু আগেও হেমন্তের গলায় "পুরোনো সেই দিনের কথা" শুনছিলাম। এটা প্রথম শুনি গ্রামীনের এডে অর্নবের গলায়...
তবে যারা ফ্যাশন করে গান শুনে, তাদের গোনায় না ধরাই ভালো...
৪০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৪৫
পালক১২৩ বলেছেন: Another wonderful writing. You have just told the things that we the friends always talk about. Though we are also the BTV generation like you. I am very empathizer with the pain that you have expressed in your writing. Believe me first when I heard the remix form of Shochin kortar (as much as I know he is one of your favourite singer) “ Nitol Paer rinik jhinik” my feelings was – if I could shoot the bustard! When I have heard the “Durgomo giri” (I have also heard that on 16 December in FM) - I was so shocked that I just controlled my cry. Because song is not only song to me this is a part of my life. I can not sing. But I love to hear it. From the very beginning of the Fm culture I am a regular listener of the radio because radio is very convenient for me as I don’t have that much money to buy an Mp3. The bad impact of this is – earlier I couldn’t listen to these types of songs but now I normally listen these type of songs. And if you ask me what have I listen just know I can not tell you. Then why am I listening? Because this is the most convenient and available source of songs to me. And I love song. I was a classical dancer so my previous practice made my test. But my husband always was a hard-core listener of western metal song. I am fond of Rabindro-Najrul but my husband literally gets sleep with this songs. But you know what he tells about these re-mix? “Why they have raped this songs!” This is not about the use of music or language or fusion with the western or eastern. To me this is the matter about digging up some thing. Try to feel some thing from the very deep of your thought or emotions. The critic you have made is true not only in case of music this is very much true in case of every part of entertainment available at this time. If you heard the questions and answer of the “Miss Lux bla bla bla ……… some times I think how could a dumb person is exposing such a way? Still I am not pessimistic because some one like - “Shaean” has come from this generation. When I listen to “Shaean” I get optimistic. I‘ll suggest a song of Shaean for the readers that is about this time’s modern song “ Jala Jala Jala re Andamane palare …….”. And another thing I want to request you is it possible to publish this write up in any Daily news paper? Because we all know the percentage of the Bloggers!
৪১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১২
মুরুববী বলেছেন: আমি যদিও ঐ ইয়ং এজ টা পার করে এসেছি ..তবুও প্রথমে আপনার কথায় পুরো একমত হলেও, আকাশ পাগলার কমেন্ট পড়ে মনে হইল, ছেলে কথা খারাপ বলে নাই। একটা ভালো লাগলে আরেকটা কে হেট করার তো কোন কারন নাই। তাছাড়া আমারো মনে হয়, যারা এইসব ইলেক্ট্রিকাল যন্ত্রপাতি দিয়া গান বাজায় তারাও বেশ পরিশ্রম করেই এইসব বাজানো শিখে।
সেতার বাজানো জানতেও ঘাম ঝরে, ঝরে গিটার বাজা্তেও। আর কন্টিনিউয়াসলি ঐরকম হাই স্কেলে গান (চিল্লাফাল্লা টাইপ গানের কথা বলতেছি) গাওয়ার ব্যাপার টাও একেবারে সহজ কাজ না। ওটাতেও গলা সাধার দরকার আছে। যে কেউ চাইলেই ওভাবে গান গাইতে পারবে না মনে হয়।
পোষ্টে প্লাস দিলাম
৪২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৩৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা সংকলন বের করবো। কবিতা দেয়া যাবে? কেউ কেউ আপনার কবিতার লিংক দিয়েছে। মতামত জানান। বিস্তারিত Click This Link
২০ শে জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৫৮
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
"অন্ধ, বধির, হৃদয়হীন ঈশ্বরকে"- এটাকে যদি কবিতা মনে করেন এবং তাকে আপনাদের সংকলনে স্থানযোগ্য মনে করেন- তবে আমার কোন আপত্তি নেই। (কোবতে জিনিসটাই আমি ভালো বুঝি না- আপনাদের কাব্য সংকলনে আমার কোন লেখা স্থান পাইলে- লোকে আবার না আমারে "কবি" কইয়া ফেলায়- সেই ভয়ে থাকতে হইবো!!)
৪৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:১৫
আজম মাহমুদ বলেছেন: সুহৃদ,
আপনার ভালো থাকা কাম্য। ধর্ম বিষয়ক ব্লগে আপনার আগ্রহ এবং জ্ঞান বেশি বলেই আমি জানি। তাই আপনাকে সর্নিবদ্ধ নিমন্ত্রন আমার ধর্ম বিষয়ক মুক্ত আলোচনার ব্লগে। আশাকরি আপনি আসবেন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আলোচনাটিকে সার্থক করে তুলবেন।
Click This Link
৪৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:২৭
লালসালু বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগার লিস্টে রেখেছি। দেখে নিন।
৪৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:১৮
অরণ্যচারী বলেছেন: It's time to make our make blood cells shout with us, shout for humanity.....And metal will make this possible
৪৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:২৪
অরণ্যচারী বলেছেন: It's time to make our make blood cells shout with us, shout for humanity.....And metal will make this possible
৪৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১৫
নগর সংগীত বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: কিন্তু মেটাল হৈলো আলাদা জিনিস। এইটা রক্তের মধ্যে থাক্তে হয়। না হৈলে এর নির্যাস উপভোগ কর্তে পার্বেন্না। ঐ সারাদিন পুতুপুতু মার্কা রোমান্টিক গান শুন্তে থাকেন।///
জটিল বলসেন।
কেন আমি মেটাল গান শুনি
৪৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২৮
নগর সংগীত বলেছেন: আমি এবং আঁধার বলেছেন: যেহেতু আপনি মেটাল, ফিউশন আর পপের মধ্যে পার্থক্যই ঠিকমত বোঝেননি(আপনার সবগুলোকে এককাতারে ফেলা দেখে তাই মনে হলো), কাজেই এবিষয়ে আলোচনা করা বৃথা।
৪৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৪১
ফয়সালরকস বলেছেন:
হুমমম!
গ্যালারীতে বইলাম...
পর্যবেক্ষনে রাখলাম!
৫০| ১১ ই মে, ২০১০ ভোর ৪:৫৫
সিংহ বলেছেন: check this Rabindra song. Would like to get a comment on that.
http://www.youtube.com/watch?v=nCnUfEgQiBk
৫১| ৩১ শে মে, ২০১০ সকাল ৯:০৮
টেকি মামুন বলেছেন: লিখেছেন ভালো এই নিয়ে দ্বিমত করবো না ।কিন্তু আজকে যদি আর্টসেল দুগর্মগিরি কান্তার মরু না গাইতো তাহলে কিন্তু ইয়ং জেনারেশন এই গানের ধার ধারতো না ।আর্টসেল গাইলো আর এই গান হিট হয়ে গেলো।আর একটা জিনিস কিন্তু সত্যি সময় দ্রুত পরিবতর্ন হচ্ছে তাই এর সাথে তাল মেলাতে হবে আপনার হয়তো ভালো লাগেনি কিন্তু পুলাপাই্ন কিন্তু পছন্দ করতেছে আর মানুষের স্বভাব হইলো যেদিকে যশ খ্যাতি বেশি সেদিকে যাবে গায়করা রেসপন্স পাচ্ছে ভালো সবাই বলে ওয়াও আর্টসেলের গিটারের কাজ দেখছো মামা জটিলসসসস।অন্তত হিন্দি ইংলিশের চেয়ে এখন বাংলা শুনতেছে বেশি এটাই পজিটিভ দিক।
৫২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩০
কুন্তলবিডি বলেছেন: খুব দুঃখ পেলাম শুনে... গান গুলো আমার অসাধারন লাগে।
উটিউবে "দুঃখ বিলাস", "অনিকেত প্রান্তর", "ধুসর সময়", "চিলে কোঠার সেপাই", "উৎসবের উৎসাহে" গানগুলো শুনলাম। এবং দুঃখের সাথে জানাতেই হচ্ছে- আমার ভালো লাগেনি। ভালো লাগেনি বলাটাও যথেস্ট মনে হচ্ছে না- আমার কাছে ফালতু মনে হয়েছে, এবং "অনিকেত প্রান্তর" গানটা ৯ মিনিট ধরে শুনতে গিয়ে মাথা ধরে গিয়েছিল। (যাদের এসব গান খুব ভালো লাগে - তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি- এভাবে বলার জন্য, এটা একান্তই আমার অনুভূতি ও রুচি)।
৫৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:১৫
জাকির সজিব বলেছেন: রেডিও জকিদের বকর বকর
৫৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৫
এপিটাফ.. বলেছেন: ভাই যে জিনিস টা আপনাদের সবাই কে বুঝতে হবে তা হ লো, "সব গান সবার জন্য না"
আর্টসেলের গান যে কারো কাছে খারাপ লাগতেই পারে, সেটা তার অনুভূতি ও রুচি'র ব্যপার। আমি নিজে আর্টসেলের অন্ধ ভক্ত...কারণ এই একটি ব্যান্ড ই আমাদের রক মিউজিকের ধারাটা বদলে দিয়েছে।
৫৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:১৫
এপিটাফ.. বলেছেন: ভাই যে জিনিস টা আপনাদের সবাই কে বুঝতে হবে তা হলো, "সব গান সবার জন্য না"
আর্টসেলের গান যে কারো কাছে খারাপ লাগতেই পারে, সেটা তার অনুভূতি ও রুচি'র ব্যপার। আমি নিজে আর্টসেলের অন্ধ ভক্ত...কারণ এই একটি ব্যান্ড ই আমাদের রক মিউজিকের ধারাটা বদলে দিয়েছে।
৫৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৫৬
কানা বাবা বলেছেন:
"সুকণ্ঠী" গায়িকা তিশমার গলায় Enter Sandman হুনোনের দুর্ভাগ্য হৈচিলো একবার... আপ্নের পুস্টোডা পৈরা মুনে পোল্লো...
এগোর বেত্তমিজির কুনু সীমা-পরিসীমা নাই...
ফুয়াদ জুদি অজয় চক্কোত্তির গান (তার্পরো "গান" থাকপে কিনা আল্লামাবুদ জানে!) লৈয়া ডিজে রিমিক্স করে কিম্বা ধরেন শিরিন জুদি ফেরদৌস আরা'র নজরুল গীতি গাওনের কোশেশ করে অবাক হৈয়েন্না... ডিজিটাল বৈলা কথা!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৫৮
আঁতেল বলেছেন: ওই মিয়া এগুলা কি লিখছো? এতো পড়ার টাইম নাইক্কা পারলে সংক্ষেপ করো। যত্তসব আজে বাজে লেখা