![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?
এইসব বিএনপি, জামাত বা আওয়ামীলীগ আসলে কিছুই না। দেশটা আটকা পড়েছে কয়টা শয়তানের ফাঁদে। ভাগ্য ভালো যে দেশের মানুষের বিবেক এখনও নষ্ট হয় নাই। সেজন্যই বুয়েটের স্যার কে যখন ৭ বছর সাজা দেয়া হয় সামান্য একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস এর জন্য -- তখন অনেকেই প্রতিবাদ করেছেন।
হোক সেটা অনলাইনে।
আমরা সাধারন মানুষ। সবসময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কারন পুলিশের মারের ভয় আছে, গ্রেফতার হলে বিনা বিচারে জেলে পচে মরার ভয় আছে আর বিশ্বজিতকে তো চোখের সামনে মরতে দেখলাম!
আমরা সাধারন মানুষ, আম জনতা। অনেকে বলবেন, "আমজনতার সাহস নাই। ঘরে বসে রাজা-উজির মারতে সবাই পারে। পারলে রাস্তায় নেমে দেখাও! " যারা আমাদের এসব বলে গালি দেয়, তাদেরকে বলি, দেশটা আমজনতাই স্বাধীন করেছিল।
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে নানা ধরনের sacrifice করতে হয় আমাদের। মাঝে মাঝে নিজের জন্য, অনেক সময় family-র কথা ভেবে।কয়টা টাকার জন্য অনেক অপমান-লাঞ্ছনাও মুখ বুজে সহ্য করতে হয়। চাকরী, ব্যবসা- বাণিজ্য, সবখানে।
তার মানে কি হেরে গেছি আমরা?
আমার তো মনে হয় না।
চাকরীর প্রথম বেতন দিয়ে আম্মা-কে যেদিন একটা শাড়ি কিনে দিয়েছিলাম, সেদিন আম্মার মুখের হাসি দেখে ভুলে গিয়েছিলাম সামান্য এক ঘটনায় "লাথি দিয়ে" চাকরী থেকে বের দিতে চেয়েছিল কেউ। সময় মত চাকরীটাকে আমিই লাথি মেরেছি।
সব কিছুরই সময় আছে। হয়ত এখনও সময় হয়নি।
©somewhere in net ltd.