![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?
21/7/13
গতকালকের ঘটনা, আমার ছেলেটা অনেক রাত পর্যন্ত জেগে আছে। কিছুতেই তার ঘুম আসছে না। সারাদিন রোজা রেখে, অফিস করে আমি খুব টায়ার্ড ছিলাম। ছেলেকে ঘুম পাড়াতে গিয়ে যথারীতি আমি নিজেই নির্লজ্জের মতো ঘুমিয়ে গেলাম। আমার ঘুমের বাহার দেখে ইলাও সম্ভবত বেশিক্ষণ জেগে থাকতে পারেনি।
সবাই ঘুমিয়ে গেলেও আমার ছেলে রাত আড়াইটা থেকে চারটা পর্যন্ত জেগে ছিল। এই সময়ের মধ্যে সে একবারও কান্নাকাটি করেনি। কিন্তু, আমরা ঘুমিয়ে যাবার পরপরই -
১) প্রথমে সে হিসি করে নিজের জামা ভিজিয়েছে।
২) সেকেন্ড টাইম সে বাপের জামা ভিজিয়েছে।
৩) থার্ড টাইম মায়ের জামা ভিজিয়ে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমিয়ে গেছে।
বিছানা যে ভেজা সেটা বোঝার পর আমরা তড়িঘড়ি করে ঘুম থেকে উঠে লাইট জ্বালালাম। আলো জ্বালানোর পর আমার ছেলে আড়মোড়া ভেঙ্গে আলিশান স্টাইলে ঘুম থেকে উঠল। তারপর অবাক হয়ে আমাদের দুজনের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে হাসা শুরু করলো। সে কি হাসি! হাসি আর থামেই না!
ওর হাসি দেখে আমি আর ইলা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। কিন্তু পর মুহূর্তেই একজন আরেকজনের ভেজা জামার দিকে অট্টহাসিতে ফেটে পড়লাম।
গতকাল ইফতারির পর আমি আর ইলা ছেলের সাথে খেলছিলাম। এমন সময় হঠাৎ করেই ও হিসি করে বিছানা ভিজিয়ে দিল। জামা কাপড় ভিজিয়ে এমন একটা ভাব করল যেন খুব লজ্জা পেয়েছে। দৃশ্য দেখে আমি আর ইলা হাসতে হাসতে বলেছিলাম, "ওলে গুটু বাবারে! হিসু কলে জামা ভিজায় ফেলসো!! হা হা হা!!!"
গভীর রাতে ছেলের কীর্তি কারবার দেখে আমরা দু'জন ঐশ্বরিক আনন্দে পুলকিত হলাম।
©somewhere in net ltd.