![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তৃতীয় ধরণের পাগল হল সেয়ানা পাগল। এটা সবচেয়ে কঠিন ধরণের পাগলামি। এই পাগল কি সুস্থ না অসুস্থ সেটা বোঝা খুব কঠিন। যখন সে পাগলামি করছে তখন তার কাজকারবার হবে সুস্থ মানুষের মতো। জটিল সব যুক্তি দিয়ে সে তার পাগলামি প্রতিষ্ঠিত করবে। আবার যখন সে সুস্থ থাকবে তখন তার চিন্তা ভাবনা হবে পাগলের মতো। অফিসে এবং বাসায় নিয়মিত ভাবে আমি এই পাগলের ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার কাছে ভালোই লাগে। শুধু মাঝে মধ্যে আমার মাথার মধ্যে জ্যোৎস্না ঢুকে পড়ে। তখন খুব অস্থির লাগে। কেন লাগে জানি না। আপনারা কেউ কি জানেন?
Drinking বোতলজাত ইসুপগুলের ভুষি। কেমন যেন স্যাভলন স্যাভলন গন্ধ! যাক, ব্যাপার না! শরীর খারাপ হলে অনেক কিছুই চক্ষু বন্ধ করে গিলে ফেলতে হয়! সারাদিন অফিস করে বন্ধু সেতুর মতো আমারও "শইলডা ভালা লাগতেছে না বাই!" কিন্তু একটি গ্লাস ফ্রেস ইসুপগুলের ভুষি খাওয়ার পর দেখি বোতলের গায়ে লেখা "Only for horse and camel"। কি সর্বনাশ!
দুর্ঘটনার কোন সাক্ষী রয়ে গেল কিনা সেটা বোঝার জন্য চারপাশে তাকিয়ে দেখি আব্বা খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ফিক ফিক করে হাসছে।
পিত্তিটা জ্বলে গেল!
অফিস থেকে ফেরার পথে আব্বাই এই অশ্বআহার্য খরিদ করে নিয়ে এসেছেন। তখনই আব্বার চেহারা দেখে মনে হয়েছিল সামথিং ইজ রং উইথ দ্যা ডাল।
এখন তো দেখছি ডালের চালানেই ভ্যাজাল।
আমি হুংকার দিয়ে বললাম, "চৌধুরী সাহেব! ... থুক্কু ... আব্বাজান! আমি অসুস্থ হতে পারি! আমার চোখের রং হলুদ হতে পারে কিন্তু আমি ঘোড়া নই! নই!! নই!!!"
"মুহাহাহাহা..." আব্বার প্রাণ খোলা হাসি!
কিন্তু এইটা আবার কোন ধরণের হাসি? মানুষ হাসে হে হে, হি হি, হা হা করে। মুহাহাহা আবার কোন ধরণের হাসি? বুঝলাম না!
হাসি থামিয়ে আব্বা বলল, "দোকানে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম - গাধার চিকিৎসার জন্য কিছু আছে নাকি?
দোকানি বলল - না।
দোকানদার বাচ্চা ছেলে। মাথায় বুদ্ধি কম। একটু হেল্প করা দরকার।
আমি জিজ্ঞেস করলাম - ইসুপগুলের ভুষি আছে নাকিরে ব্যাটা।
দোকানদারের মুখে এতক্ষণে হাসি ফুটল - জি স্যার আছে! ... গলাটা একটু নামিয়ে জিজ্ঞেস করলো, স্যার, মাইনশেরটা না ঘোড়ারটা?
আমি বললাম, দে, ঘোড়ারটাই দে!
দোকানদার ঘোড়ার ইসুপগুলের ভুষি প্যাকেট করতে করতে বলল, ঘোড়াটা নিশ্চিত স্যারের অনেক প্রিয় তাই না?
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ক্যামনে বুঝলিরে? তোর মাথায় তো অনেক বুদ্ধি! দেখে তো বোঝাই যায় না!
ছেলেটা হাসিহাসি মুখে বলল, কি যে বলেন স্যার! ঘোড়ার জন্য কেউ এতো কষ্ট করে এই জিনিষ নেয়?
কিন্তু আমি তো এইটা গাধার জন্য কিনছি!
অ্যাঁ!
হ্যাঁ! ...গাধা আর ঘোড়া একই কিছিমের বলদ। একটায় হুদাই খালি খালি দৌড়ায় আরেকটা তো নামেই গাধা!
স্যার কি গাধা পালেন? তাজ্জব কাহিনী শুনলাম! এতো কিছু থাকতে গাধা?
কি আর করা! যেই ছেলে ১২ বিলুরুবিন নিয়ে অফিসে যায় তারে তো গাধা ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারছি না!
কথা শেষ করে আব্বা তাকাল আমার দিকে
আর...
আমি আরেক দিকে!
ছিঃ! তাই বলে ঘোড়ার ভুষি নিজের ছেলেরে কেউ খাওয়ায়?
আমি মিনমিনে স্বরে জিজ্ঞেস করলাম, “উট?”
মুহাহাহাহা!!
আবার সেই হাসি। উফ!
আব্বা হাসতে হাসতেই জবাব দেয় – একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি! ফ্রি!! ফ্রি!!!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন:
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৪
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, যেমন বাবা তেমন চেলে । তবে এতো বিলুরুবিন নিয়ে অফিসে যাওয়া মোটেই ঠিক না । সুস্থ হয়ে উঠুন জলদি ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৯
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: আরে মামুন ভাই! আপনি তো হারায় গেলেন! খুজেই পাওয়া যায় না আজকাল!
একটা সপ্তাহ অফিস করতেই হবে মামুন ভাই। কিছু কাগজপত্র , বিল আমার সাইন ছাড়া প্রসেস হবে না। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ১২ বিলুরুবিনে কিছু হয় না।
৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৪
ডি মুন বলেছেন: কিন্তু একটি গ্লাস ফ্রেস ইসুপগুলের ভুষি খাওয়ার পর দেখি বোতলের গায়ে লেখা "Only for horse and camel"। কি সর্বনাশ! ------ হাহাহহাহহহাহ
কি আর করা! যেই ছেলে ১২ বিলুরুবিন নিয়ে অফিসে যায় তারে তো গাধা ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারছি না! ----- আহারে
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২৫
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন:
৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২০
আবু শাকিল বলেছেন: প্রথম প্যারায় খুব মজা পাইছি।
"Only for horse and camel"। কি সর্বনাশ!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:২৮
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন:
৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৩
একলা ফড়িং বলেছেন:
চৌধুরী সাহেব! আমি ঘোড়া নই!
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৫
নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহাহা!