মিডিয়া এবং আমাদের দেশের রাজনীতী-

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫

সংবাদ,তথ্য আর সত্য ঘটনা জানার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল মিডিয়া।কথাটা পুরো বিশ্বের জন্য সত্য হলে ও বাংলাদেশের জন্য মিথ্যা! মিডিয়ার সংজ্ঞাটা শুধু বাংলাদেশের জন্য পরিবর্তন করতে হয়।সংবাদ আর তথ্য প্রাপ্তি বা ঘটনা শব্দ গুলো ঠিকই আছে,কিন্তু সত্য বা আসল ঘটনার জায়গায় মিথ্যা,বিভ্রান্তিকর অথবা দলীয় শব্দ গুলো যোগ করলে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মিডিয়ার সংজ্ঞা সঠিক।



সংবাদপত্র বা মিডিয়ার স্বাধীনতা নামক যে কথা আছে তা সারা বিশ্বের জন্য সঠিক হলে ও তা বাংলাদেশের জন্য সঠিক না।কোন মিডিয়া দলীয় চাপে,বা ভীত হয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করে না আবার কোন মিডিয়া আত্মস্বার্থে দলীয়ভাবে কাজ করে।কিন্তু কথা একটাই আসল তথ্য প্রকাশ না করা।



ঘটনাঃ(ধরি )

পদ্মা নদীতে লঞ্চডুবি ৪০ জন নিহত।



প্রথম আলোঃ হরতালে সারা দেশে বিএনপি জামাতের তান্ডব,বাস বন্ধ থাকায় লঞ্চে অধিক যাত্রী হওয়ায় পদ্মায় লঞ্চডুবি,নিহত শতাধিক।



বিটিভিঃ উপরের খবর ঠিক থাকবে শুধু মৃতের সংখ্যা কমে ১০ বা ১৫ জনে আসতে পারে।



আমারদেশঃ ব্যর্থ সরকারের অবহেলার কারনে ঝুকিপূর্ন লঞ্চ নিমজ্জিত।৭০ এর ও বেশি নিহত।এর সম্পূর্ন দায় সরকারের।



দিগন্তঃ পদ্মায় লঞ্চ ডুবিতে অর্ধশত মানুষক নিহত।সরকারের অবহেলা,অসচেতনতাই এর প্রধান কারন। বিশ্লেষকরা বলছে গনহত্যার শামিল।



মখার বানীঃ লঞ্চটিকে পানির নিচে ডুবে থাকা হরতাল সমর্থকরা ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দিয়েছে।

(এটাকে অনেক পরিমার্জিত,কিছু সংযুক্ত বা এডিট করে প্রকাশ করবে বিভিন্ন চ্যনেল।)



বিএনপিঃ ব্যর্থ সরকারের দূর্নীতির কারনে এ দূর্ঘটনা,তাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।



হেফাজতঃ গজব!! গজব! নাস্তিক সরকারের কারনে এই গজব।তাদেরকে দমন না করে আমরা ঘরে ফিরব না।



আমরা এসব কথা আর বানী গুলো পাব মিডিয়া তে।তাদের এসব বানী বিভিন্ন চ্যনেল বিভিন্নভাবে প্রকাশ করবে।সাংবাদিকরা ও ব্যস্ত হয়ে পড়বে নিজ দলের দোষগুলো মিনিমাইজ করে খবর প্রচার করা।দল গুলো ব্যস্ত হয়ে উঠবে কে লঞ্চ ডুবাল এটা নিয়ে।এটা চলতেই থাকবে ৬ মাস পর্যন্ত।আর ওইসব মানুষ যাদের প্রানহানি হল??



তাদের পরিবারকে হয়ত ৫ হাজার করে দিয়ে বিদায় করে দেওয়া হবে আর ৭ দিনের মাঝেই ভুলে যাবে সবার আর কে লঞ্চ ডুবাল এই গবেষনা চলবে ৬ মাস।এই আমাদের মিডিয়া,রাজনীতী আর দেশ!

০ টি +০/-০