তোমরা যারা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে হানাহানি করো”

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

“তোমরা যারা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে হানাহানি করো”



কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে, এই দীর্ঘ জীবনে আমি সবচেয়ে বিচিত্র, সবচেয়ে অবিশ্বাস্য বিষয় কী দেখেছি। আমি এতটুকু দ্বিধা না বলব সেটি হচ্ছে “ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা” সাপোর্টারদের রেশারেশি। তার কারন হচ্ছে , যে বয়সটা আমাদের খেলা দেখার , প্রিয় দল কে নিয়ে মেতে থাকার, সেই বয়সে তারা একে অন্যর দল নিয়ে কুটুক্তি, হাতাহাতি – মারামারি নিয়ে করে সময় কাটায়।... যে বয়সে তাদের হাইপ্রোফাইল “মেসি –নেইমার” দের মত খেলোয়ারদের অনুকরন করার কথা, সেই বয়সে তারা একে অন্যের “মাথায় বারি” দিয়ে হসপিটাল- ক্লিনিকের পথ অনুসরন করছে... যে বয়সে তাদের মুক্ত চিন্তা শেখার কথা, আদর্শ নিয়ে ভাবালতায় ডুবে যাওয়ার কথা, সেই সময় তারা “ দলান্ধ” হতে শেখে।

...



আমি বুঝি না, কিভাবে আর্জেন্টিনা সাপোর্টাররা নেইমারকে “টিউমার” বলে। কিভাবে বাজিলের সাপোর্টাররা মেসির মত খেলোয়ারকে “মাছি” বলে ডাকে!! ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার মত এখনো তেমন কোন খেলা দেখাতে পারেনি। মাঝে মাঝে খুব অবাক হয়ে যাই, যখন দেখি তাদের সাপোর্টাররা স্ট্যাটাস দিয়ে কিবোর্ডেই তাদেরকে বিশ্বকাপ দিয়ে দিয়েছে...

...



যখন এই বিশ্বের সব মানুষ সুন্দর একটা বিশ্বকাপের জন্য অপেক্ষা করছে, তখন “আর্জেন্টিনা সাপোর্টার”, “ব্রাজিল সাপোর্টার” নামে এই হতভাগ্য তরুনরা পথে নেমেছে নিজেদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য। খবরের কাগজ খুললেই দেখতে পাই, এখনো দেশের আনাচে কানাচে থেকে ব্রাজিল- আর্জেন্টিনা মারামারির জের ধরে আহত হচ্ছে, জেলে ঢোকানো হচ্ছে। ... যেখানে মেসি নির্দ্বিধায় স্বীকার করতে পারে, রোনালদিনহোর কাছে থেকে সে অনেক কিছু শিখেছে। যেখানে ম্যরাডোনা মেসিকে বলে নেইমার এর মত খেলতে, যেখানে নেইমার বলে মেসি তার আদর্শ... তাদের নিজেদের মাঝে তো কোন রেশারেশি , হানাহানি, দ্বন্ড নেই...সেখানে আমাদের এতো দ্বন্দ্ব, হানাহানি কেন? ভালো খেলোয়ারকে সম্মান করতে আমাদের প্রজন্মের এতো কুন্ঠা কেন?



সবশেষে একটা কথা , প্রিয়দলকে ভালোবাসার তীব্র (প্রকৃত) আনন্দ যারা উপভোগ করেনি, যারা ভবিষ্যতেও কোনো দিন অনুভব করতে পারবে না, আমি সেসব হতভাগ্য মানুষের জন্য গভীরকরুণা অনুভব করি।

২ টি +০/-০