কখনো ভেবেছেন খেলোয়ার এবং তাদের পরিবারে উপর খেলার প্রভাব কতটুকু?

১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:১২

গতকাল একটা জিনিস খেয়াল করেছিলেন? যখন রোবেন খেলা শেষ করে তার ছেলেকে নিতে গিয়েছিল? তার ছেলে কিন্তু কোলে আসে নি। বরং সে মুখ লুকিয়ে রেখেছিল মায়ের কোলে... ভীষন কাদছিল ছোট ছেলেটা। কারন তার বাবা হেরে গেছে। তার দেশ হেরে গেছে।... রোবেন ও ছেলে কোলে নেওয়ার জন্য জেদ করতে পারেনি। তাকে ড্রেসিং রুমে মাথা নিচু করে ঢুকতে হয়েছে স্ত্রী- সন্তানের কান্না বিজাড়িত মুখ দেখে। কারন সে অপরাধী।... সে পারেনি স্ত্রীর মুখে চোখের পানি মুছে দিতে। সে হয়তো পারেনি ছেলের গা ছুয়ে করা শপথ রাখতে । হয়ত ভ্যান পার্সে, স্নাইডারদের বাবা চোখ মুছে ছেলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে । মা চোখ মুছতে মুছতে হয়ত আর কথা বলতে পারছে না। হয়ত তাদের সন্তানরা ও মুখ গোমরা করে রাতে খেতে ও বসে নি। ভীষন রাগ বাবার উপর...

---

ভাই , এটা পুরোটাই “আবেগ”। মানুষ মিথ্যা হতে পারে, “আবেগটা” কখন ও লোক দেখানো বা মিথ্যা হয় না... “আবেগ” দেখেছিলাম , যখন নেইমার কাদতে কাদতে স্ট্রেচারে শুয়ে মাঠ ছাড়ছিল। “আবেগ” দেখেছিলাম যখন এশিয়াকাপের ফাইনালে হেরে মুশফিক , সাকিব, নাসিররা কাদছিল। ...এগুলো কোনটা শারিরিক কষ্টের কান্না না... এগুলো সব “আবেগ”। এগুলো দেশের জন্য ভালোবাসা।

--



খেলাতে হারা বা কারোর অসুস্থতাতে উল্লাস করাটা “আবেগে” আঘাত করা। যখন নেইমার হসপিটাল এ কাতরাচ্ছে, ডি-মারিয়া সৃষ্টিকর্তার কাছে সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছে, আর আমরা গান গেয়ে, আতশবাজি পুড়িয়ে বা পটকা ফুটিয়ে তাদের “অসুস্থতা” উৎযাপন করি!!... যে দল হেরেছে, যে খেলোয়ার হেরেছে, যে টিমের সাপোর্টাররা হেরেছে তাদের কষ্ট, ব্যথা কোনটাই False বা লোক দেখানো না। এর পুরোটাই মনের আবেগ... খেলাতে হারা-জেতাতে খোচাখুচি, ঘুতাঘুতি, হাসাহাসি পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক...



মারামারি, হানাহানি বা কাওকে ছোট করে মনে আঘাত করার আগে একবার নিজেকে “ ঐ দল, ঐ খেলোয়ার বা ঐ সাপোর্টারের জাগয়ার কল্পনা করে দেখুন।”

১ টি +০/-০