![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিয়ানমার রহিঙ্গাদের আর বাংলাদেশে আশ্রয় না দেবার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান অবস্থানকে আমি পূর্ণ সমর্থন করি । অনেকে রহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার অনুরোধ করে এটাকে ১৯৭১ এ বাঙ্গালীদের ভারতে আশ্রয় নেয়ার সাথে তুলনা করেছে । তাদের বিনয়ের সাথে বলছি দুটি ব্যাপার এক না । ১৯৭১ এ আমরা যুদ্ধ করছিলাম আর ভারত কৌশলগত ভাবে আমাদের মিত্র হয়ে যায় । যেটা সাথে এখনকার রহিঙ্গা ঘটনার কোনো মিল নাই । আর ভারতে আশ্রয় নেয়া তখনকার বাংলাদেশিরা ভারতে সকল ধরনের ল মেনে যে আশ্রয় নিলে বা থাকলেও রহিঙ্গারা তা করে না । রহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার অতীত তাই বলে । আর এই ব্যাপারে শেষ কথা রাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭১ এর ভারত আর ২০১৬ এর বাংলাদেশর আন্তরজাতিক সক্ষমতা এক না ।
বাংলাদেশ সরকারের রহিঙ্গা নিয়ে বর্তমান নীতিটাকে আমার মনে হয়েছে । এটা বাংলাদের নিবর তবে জোড়াল প্রতিবাদ আন্তরজাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি । ১৯৭৮ সালে শুরু হওয়া এই সমস্যার প্রতি প্রতিটা আন্তরজাতিক সম্প্রদায় এখন পর্যন্ত যে হাস্যকর ভূমিকা পালন করে চলেছে এটা তার ফল । আন্তরজাতিক সংস্থা গুলোর লজ্জা এতো কম যে তারা এখনও র্নিলজ্জের মতো রহিঙ্গাদের বাংলাদেশেকে আশ্রয় দিতে বলছে তাদের অযোগ্যতা লুকাতে । আশ্রয় এই সমস্যার সমাধান না এটা আন্তরজাতিক সম্প্রদায়ের বোঝা উচিত এবং কেনো বাংলাদেশ রহিঙ্গাদের আর আশ্রয় দিতে চাইছে না । তার খোঁজ নেয়া উচিত আগে । কষ্টের বিষয় আমি এখনো কোনো আন্তরজাতিক মিডিয়াতে এই রিপোর্ট দেখলাম না যে,এই এই কারন গুলোর জন্য বাংলাদেশ সরকার রহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে চাইছে না । হয়তো আন্তরজাতিক সম্প্রদায় তাদের ব্যার্থতা লুকাতেই এমনটা করছে , ইচ্ছাকৃত ভাবেই ।
অনেকে রহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেবার ক্ষেত্রে রহিঙ্গাদের ধর্মীয় পরিচয়টাকে বড় করে দেখাচ্ছে । এটা করছে আমাদের দেশের কিছু ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল । তাদের বলছি মধ্যপ্রাচ্য সহ প্রায় সব মুসলীম দেশ কিন্তু এখনও চুপ করে আছে রহিঙ্গাদের ব্যাপারে । যেনো ব্যাপারটা বাংলাদেশ ও মায়ামারের দ্বিপাক্ষিক সমস্যা । আর একটা কথা বলি এই ধর্মীয় পরিচয়টা বড় করে তুলেই মুলত আন্তরজাতিক ভাবে রহিঙ্গাদের দুর্বল করে ফেলা হয়েছে । আর বাংলাদেশের রহিঙ্গাদের আশ্রয় না দেবার অনেক গুলো কারন এর মাঝে এটাও একটা গুরত্বপুর্ণ কারন । কারন রহিঙ্গারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন জঙ্গিদের সাথে মিশে যাচ্ছে । আর বাংলাদশের ইসলামী দল গুলোর মুলত এই জন্যেই রহিঙ্গাদের প্রতি এতোটা আর্কষণ । বাংলাদেশের ইসলামি রাজনৈতিক দল গুলোর দুর্ভাগ্য যে বাংলাদেশ পাকিস্থান না যে রহিঙ্গাদের তালেবান বানিয়ে আরাকানকে আফগান বানাতে সাহায্য করে রহিঙ্গাদের থেকে অবৈধ সুবিধা নেবে ।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:২৪
মেহেদী হাসান+ বলেছেন: সহমত পোষণ করি ।
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪০
কানিজ রিনা বলেছেন: যেখানে মানবতা ভুলুন্ঠিত রক্তস্রোত বয়ে যাচ্ছে
সেখানে বিবেকের বুদ্ধি যুক্তি দেখিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তানিরা যখন এদেশে একই অবস্থার
অবনতি ঘটিয়েছিল ভারত এগিয়ে এসেছিল
ভাই ভাইকে সহয়তা করতে ভাইয়ের অধিকার
ফিরিয়ে দিতে। অথচ আমরা মানবতা বিবেক
দলগত বিভক্ত হয়ে পরেছি। যত শত যুক্তি
নীতি দেখাচ্ছি।
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ব্লগে বা ফেবুতে দেখা যাচ্ছে সুধু জাতীয়তাবাদি ও মউদুদিবাদি ছাগুরাই সুধু রহিঙ্গা আমদানি করার দাবী জানাচ্ছে। ছবি না পেয়ে ভুয়া ছবি বানিয়ে কান্নাকাটি করছে।
জাতিসংঘ ও বড়শক্তি গুলো বার্মাকে হামলা বন্ধ করতে না বলে সুধু বাংলাদেশকে বলে গেইট খুলে দিতে
সীমান্ত উম্মুক্ত করে বাংলাদেশকে পাক-আফগানিস্তানের মত মাদক আর অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসের অভয়ারন্য বানাতে চাচ্ছে মৌদুদিবাদি-জাতিয়তাবাদিরা। সীমান্ত খোলা রেখে চট্টগ্রামকে পেশোয়ার বানাতে দেয়া যায় না। এটাও পড়ুন -
view this link
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৪৪
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এত জ্ঞান আর গরিমা কিভাবে যে অর্জন করব বুঝছি না।