নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল]

স্বপ্ন থেকে বাস্তবকে বড্ড ভালোবাসি আমি.......

মোঃ নাজমুল হাসান [নাজমুল] › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন প্রিয়জনদের পাশে দাড়াই

০৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

সময়ের প্রেক্ষাপটে একটি বিষয় অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ, অথচ আমাদের কাছে অবহেলিত রয়ে যাচ্ছে খুব সচেতন অথবা অবচেতন ভাবে; "হতাশা এবং আত্মহত্যা।" গত ২৮/০৫/২০১৬ তারিখের বিবিসি বাংলার 'আত্মহত্যা এবং এর সম্ভব্য সমাধান' বিষয়ক ফোন ইন অনুষ্ঠানের আলোকে কিছু বিষয় তুলে ধরা বর্তমান সমাজিক প্রেক্ষাপটে খুব প্রয়োজন।

আসলে দীর্ঘদিনে ধরে জমা কষ্ট/ক্ষোভ, প্রিয়জনদের অবহেলা/অপমান, প্রত্যাশা-প্রাপ্তির ফারাক, ব্যার্থতা কিংবা কোন অপরাধবোধ মানুষের মধ্যে খুব ধীরে-ধীরে হতাশার জন্ম দেয়। আরো বহুবিধ কারনে একজন মানুষের মাঝে হতাশার জন্ম নিতে পারে। তবে একজন মানুষের মধ্যে এই হতাশার অধ্যায়টি বেশির ভাগ সময় প্রিয়জন, কাছের মানুষ, এমনকি আমাদের সবার অজান্তে অথবা চোখের অন্তরালেই স্লো পয়জিনের মতো প্রবেশ করে। কিন্তু আমরা সেই মানুষটির হতাশার রূপটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে তখনই আবিষ্কার করি, যখন কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয় অথবা একটি দুর্ঘটনা ঘটে যায়। কিন্তু আমরা যদি একটু সচেতন হই, একটু যত্নবান হই আমাদের প্রিয়জন বা কাছের মানুষগুলোর প্রতি; একটু সহযোগীতা/সহানুভূতি এবং স্নেহ-মমতার হাত বাড়িয়ে দেই; তবে কিন্তু খুব সহজেই বেশির ভাগ অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি রোধ করতে পারি। মনে রাখবেন কোন হতাশাগ্রস্থ মানুষকে নিয়ে কখনোই মজা করবেন না। যদি এ কাজটি করেন, তবে জেনে রাখুন আপনি তার বাচার ইচ্ছা এবং পথটিকে আরো সংকুচিত করে দিচ্ছেন। আর এতে করে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে, তার দায় কিন্তু আপনি এড়াতে পারেন না; অন্তত নিজের বিবেকের আদলতের কাছে। একজন মানুষ একদিনে এবং ইচ্ছা করেই হতাশাগ্রস্থ হয়না। চারপাশের পরিবেশ-পরিস্থিতি তাকে হতাশাগ্রস্থ হতে কখনো-কখনো বাধ্য করে। হতাশাগ্রস্থ একজন মানুষকে তাই কখনো অপ্রয়োজনীয় জ্ঞান দিতে যাবেন না। "তুমি তো অনেকের চেয়ে ভালো আছ" অথবা "তোমার কিসের অভাব?" এ টাইপের জ্ঞান একজন হতাশাগ্রস্থ মানুষের কোন প্রয়োজন নেই; কখনোই নেই। এগুলো পক্ষান্তরে ঐ মানুষটির হতাশকে আরো বাড়ায়। কিন্তু ঐ মানুষটির প্রয়োজন তখন নিজের মনের অনুভূতি বা কথাগুলো শেয়ার করার মতো নির্ভরযোগ্য মানুষের। আপনি সে ক্ষেত্র এগিয়ে যান অথবা সে যদি নির্ভরযোগ্য মনে করে আপনার কছে তার কথা বা অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে আসে, তবে মনযোগ দিয়ে তার কথাগুলো শুনুন। এতে করে সে অনেক হালকা হয়ে যাবে এবং তার ভিতরকার বোঝা কিছুটা কমবে। পাশাপাশি আপনি ঐ মানুষটির খুব ভালো বন্ধুতে পরিনত হোন। হতে পারে আপনি ঐ মানুষটির মা/বাবা, ভাই/বোন, সন্তান, স্বামী/স্ত্রী, কোন আপনজন, বন্ধু অথবা পরিচিতজন। তাকে নতুন ভাবে বাচার স্বপ্ন দেখতে সহায়তা করুন; নতুন করে ঘুরে দাড়ানোর প্রেরনা যোগান। জীবনটা যে নিছক মূল্যহীন নয়; এই অনুভূতিটুকু তার মধ্যে জাগ্রত করুন। কোন কিছুর অপ্রাপ্তি, কোন ব্যার্থতা অথবা একটি মাত্র ভুলেই যে জীবনের সবকিছু শেষ হয়ে যায়না; এ কথাটি তাকে যথার্থ ভাবে বুঝিয়ে দিন। তাকে নতুন উদ্যমে পথ চলার সাহস যোগান। তার ভিতরকার নেগিটিভ চিন্তাধারা এবং ইমোশনকে দূর করার চেষ্টা করুন। তাকে উপলব্ধি করতে বুঝিয়ে দিন, নেগেটিভ যে কোন 'ইমোশন এবং চিন্তা' তার অথবা তার পাশের মানুষগুলোর ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার কখনোই বয়ে অনতে পারেনা। তাকে এমন কিছু করতে অনুপ্রানিত করুন, এমন একটা অবস্থান তৈরি করতে বলুন/সাহস যোগান, যা দেখে/যাতেকরে তার হতাশা এবং কষ্টের কারনের পিছনে থাকা মানুষগুলোর মুখে ছাই পড়ে। পাশাপাশি তার ভিতর ধর্মীয় এবং নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার চেষ্টা করুন। ধর্মীয় এবং নৈতিক মূল্যবোধ অনেক হতাশা এবং কষ্টকেই প্রশমিত করে; পাশাপাশি অনেক অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে সাহায্য করে। তবে তা হঠাৎ করেই একসাথে, একদিনেই অথবা খুব দ্রুত করতে যাবেন না। এতে হীতে বিপরীত হবার সম্ভবনাই বেশী। বরং সময় নিয়ে খুব ধীরে ধীরে এই কাজটি করুন। এভাবে আপনি ঐ মানুষটির আপনজনদের আপনজনে পরিনত হোন। নিজের হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে তাকে শুধু খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলুন; দেখবেন কিছুটা সময় পর সে নিজেই ঘুরে দাড়িয়ে দৃঢ়ভাবে পথ চলতে শিখে গেছে।

সুন্দর জীবনের পথে বেঁচে থাকুক প্রতিটি মানুষ; আপনার-আমার প্রিয়জন, আমাদের একটু সচেতনতা আর ভালোবাসায়।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
++++

২| ০৬ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৯

টুথব্রাস বলেছেন:





বন্ধ হতে যাচ্ছে ফেসবুক !

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সর্ববৃহ‍ৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ২০০৪ সালে প্রাইভেট নেটওয়‍ার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার তিনবছর পর ২০০৭ সালে বিশ্বব্যাপী ফেসবুক তাদের সার্ভিসটি উন্মক্ত করে।

একের পর এক নতুন ও আকর্ষণীয় ফিচার এনে ফেসবুক কর্পোরেশন ইতিমধ্যে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং জগতের ধার‍াই বদলে দিয়েছে।

সম্প্রতি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছেন, ২০৭৩ সালে তারা ফেসবুক স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়ে গোয়াবুক নামে নতুন একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট চালু করবেন। ফেসবুকের কোনো ডাটাই সেখানে থাকবেনা। নতুন করে সবকিছূ শুরু করা হবে। এখবরটি শুনে বিশ্বব্যাপী তুম‍ুল হইচই শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বের নানাপ্রান্তের ফেসবুক ইউজাররা ইতিমধ্যেই জুকারবার্গের স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান কে নিয়ে গালাগ‍ালি শুরু করে দিয়েছে।

প্রিসিলা খুব শীঘ্রই আইডি ডিএকটিভেট করে দিবে বলেও জানিয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ। ঘটনাটিতে তিনি খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত। – প্রথম আলু ডেস্ক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.