নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

'ভাই, ভাবি কিন্তু এখনো ড্রেস চেঞ্জ করে নাই। আপনার অপেক্ষা।'

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

কিস্তি -১৩







মিল্টন এসে আমার কানে কানে বললো, 'ভাই, ভাবি কিন্তু এখনো ড্রেস চেঞ্জ করে নাই। আপনার অপেক্ষা।'আমি হাসলাম। সুইটির মা ভাবির কথা হচ্ছে। তিনি আমাদের সাথে আছেন কয়েক মাস।

সেজে গুজে তিনি বাইরে গেলে আমরা ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। এসে গল্প করে যান। কেমন লাগছে জানতে চান! বাংলা সিনেমা দেখার সুবাদে সুইটির মা ভাবিকে খারাপ লাগে না। ওজনদার মহিলা। কিউট কিউট একটা ভাব আছে চেহারায়। আমরা বিষয়টা এনজয় করতাম। একজন আরেকজনকে খোঁচাতাম। ভাবির সাথে আমাদের ভাব ছিল-বেশ। সবচেয়ে বেশি ছিল মিজানের সাথে। তারপর মিল্টন । বড়দের তিনি খুব একটা পাত্তা দিতেন না। ভাবির একমাত্র কন্যা সুইটি সবার আদরের। তাই মেসের সবাইকে ভাবি ভালো জানতেন।



এখন সুইটি এসএসসি করে ফেলেছে। ওর একটা ছোট ভাইও আছে। মেসে আসার পর ভাবির এই বাচ্চা ফয়দা হয়। সেটা নিয়ে আমাদের সবার মাঝে আনন্দ ছিল। ভাবিরা তিনবোন। তাদের মধ্যে তিনিই একমাত্র অবস্থা সম্পন্ন। মুন্সীগঞ্জে তাদের বাড়ি। বাসায় তিনি তারচেয়ে সুন্দরী কাউকে সহ্য করতেন না। বাড়িঅলার তন্বী দু কন্যা এখানে উকি ঝুঁকি মারলে তিনি ক্ষেপে যেতেন। আমাদের সর্বশেষ ঠিক করা বুয়া তারচেয়ে দেখতে ভালো এবং রান্নায় পারদর্শী তিনি এটা মানতে চাইলেন না। একদিন এসে বললেন, তারেক এই বুয়া বিদায় করো। আমি তোমাদের জন্য বুয়া ঠিক করে দিচ্ছি। যেহেতু তিনি ভাবি, তাই তার কথা শুনতে হলো। সবাই বললো, ভাবির সাথে ঝামেলার দরকার নেই।



যথারীতি বুয়া পাওয়া গেলো না। ক'দিন উনি রান্না করে দিলেন। তারপর কয়েকদিন পর উনার ছোটবোন রান্না করে দিলো। এভাবেই ভালোই চলছিলো। তখন আমাদের ভাঙনের পালা। হলে ওঠার তোড়জোড়।



ভাবি হিন্দিতে পারদর্শী। সিরিয়াল দেখে জিনিসপত্তর কিনে, সাজগোজ করেন। মিল্টন ও মিজান দুজন হিন্দি সিনেমা টিনেমা দেখে। ওদের সাথে ভাবি এ সব নিয়ে আলাপ করে, আমি নীরব দর্শক। কারণ আমি বাংলা সিনেমা ও নাটকের লোক। তাই এ নিয়ে আমার কোনো কথা বলার থাকে না।



সুইটির আব্বা সাইফুল ভাই পুরনো ঢাকার মানুষ। কিন্তু বউ নিয়ে কেন যেন বাসায় সবার সাথে বনিবনা হয় না, তাই তিনি আমাদের মেসের একটা রুম নিয়া থাকেন। একদিন কথায় কথায় জানালেন নিজের বাড়ি থাকতেও বাইরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকার কথা। সব কথা একান্তই ব্যক্তিগত, তাই শেযার করা গেলো না। এর মধ্যে সরকার পাল্টে গেলো। আমি ফের হলে ওঠার জন্য তোজজোড় শুরু করলাম। শরণাপন্ন হলাম এক বড় ভাইয়ের ।



তবে তার আগে নায়ক নায়িকাদের নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতার গল্প শোনাব। পরের দু তিন পর্ব তাদের নিয়ে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.