নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসাধারণ মামুন ভাই

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৮

কিস্তি-২৩





টিএসসিতে দাঁড়িয়ে আছি। বন্ধু এহতেশাম আসলো। বললো, দোস্ত খবর কি। ..ভালো। তোর খবর কি? ও বলল আর বলিস না। ছাত্রদলকে ফাটায়া ফেলছে মানবজমিন। কে যে রিপোর্ট করছে ধরতেও পারছি না। বন্ধু হিসাবে ওকে বললাম, আামি সেই রিপোর্টার। ও যেন আকাশ থেকে পড়লো।

পাশে একজন ছাত্রদল নেতা আমার পরিচয় জেনে গেলো। এহতেশাম চলে যাওয়ার পর ও আমার কাছে এসে বলল, তুমিই তারেক মোরতাজা। তোমারে খুঁজতাছি বলে এগিয়ে আসলো। ওআরো কয়েকজন মিলে আমাকে দাবড়াচ্ছে। আমি সোজা দৌ্ড়।



দৌড়ে সোজা চলে এলাম মধুর ক্যান্টিনে। আমাকে যারা দৌড়াচ্ছে তারা মধু'র সামনে এসে দাঁড়িয়ে পড়লো। ক্যান্টিনের ভেতরে গিয়ে মনির ভাই ও মামুন ভাই দুজনকেই পেলাম। জানলাম ঘটনা। ওনারা দুজনেই আমাকে পরিচয় জেনে একটু চুপ থেকে বললেন, রিপোর্ট তুমি করতেই পার। সে জন্য মারবে এমন সাহস কার। আমি বাইরে দাঁড়ানো ধাওয়াকারীদের দেখিয়ে দিলাম।

মনির ভাই ও মামুন ভাই দুজন বাইরে এসে ওদের শাসালেন। বললেন, তারেক আমাদের ছোট ভাই, ওর কিছু হলে, দলে কারো জায়গা হবে না। এরপর আমাকে আর ঠেকায় কে।

মনির ভাই ও মামুন ভাইয়ের সাথে আমার এক্সটা খাতির ছিল। দৌড়ানি খাওয়ার পর সে সময়কার বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার সাজু ভাই(বর্তমানে বিবিসিতে), কবির ভাই(এখন একটি সরকারি ব্যাংকে আছেন), যাকারিয়া ভাই(চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার), সাবু ভাই (শাবিপ্রবি'র টিচার), শঙ্কর দার(সরকারি কলেজের চটচার ) সাথে পরিচয় হলো। সবাই আমাকে আপন করে নিলেন।

ফয়জুল্লাহ মাহমুদ ভাই(এখন এনটিভিতে) ও সম্রাট ভাইকে(এটিএননিউজে আছেন) আগে থেকে চিনতাম।

ছাত্রদলের তখন শৃঙ্খলা ছিল না। তবুও তারা আমার নিরাপত্তার বিষয়টি এনশিওর করেছিলেন।

মামুন ভাইকে সবাই 'ভয়ঙ্কর' নেতা হিসাবে জানতেন। এ মানুষটা আসলেই দিলখোলা। তার মত একজন অসাধারণ নেতাকে অকালে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। শুনেছি তাকে খুন করা হয়েছে।

কিন্তু এই মামুন ভাই আওয়ামী লীগের সময় ক্যাম্পাসে একাই মিছিল আয়োজন করতেন। ছাত্রদলের অকুতোভয় সাহসী মামুন ভাইকে খুবই পছণ্দ করতাম। তবে রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিতাম না। একবার রেজিস্টার বিল্ডিংয়ে টেন্ডার ড্রপ করতে বাধা দেন মামুন ভাই। সেদিন মামুন ভাই তার মোটর সাইকেলে করে আমাকে মানবজমিন অফিসে নামিয়ে দিয়ে যান। পরের দিন তার বিরুদ্ধে ওই রিপোর্ট ছাপা হলো। উনি কোনো উচ্চাবাচ্য করলেন না। শুধু বললেন, রিপোর্টটা ঠিক আছে। এরপর থেকে তার প্রতি আমার মুগ্ধতা বেড়ে যায়। আমি শুনেছিলাম এক সময় উনি খুব কড়া ছিলেন। বিরুদ্ধে রিপোর্ট গেলে রিপোর্টারকে হয়রানি করতেন, কিন্তু আমি তার কোনো প্রমাণ পেলাম না।





মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

প‌্যাপিলন বলেছেন: ক্যাম্পাসে আমার দেখা সবচে সাহসীদের একজন মামুন ভাই। আওয়ামী আমলে বিএনপির ডাকা হরতালে পুলিশের প্রধান টার্গেট ছিল মামুন ভাই। যেদিন পুলিশ মামুন ভাইরে ট্রেস করতে পারতোনা সেদিনই শাহবাগ, এলিফেন্ট রোড এলাকায় বিকট আওয়াজে ডজন ডজন ককটেল ফাটতো - তবে সন্ত্রাসী হলেও বিহ্যাভিয়ারে মামুন ভাই সত্যিই অসাধারণ ছিলেন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৪

মোরতাজা বলেছেন: হুমমম

২| ১৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: অসাধারন মামুন ভাই

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৫

মোরতাজা বলেছেন: kono sondeho nei

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.