নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখনো চাই হলে হলে সহ অবস্থান এবং ছাত্রনেতাদের নিষ্পেষণ থেকে সাধারণ ছাত্রদের মুক্তি

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০০

কিস্তি-৩২

হলের রাজনীতিতে গ্রুপিং থাকে, এখনো আছে। বঙ্গবন্ধু হল এর ব্যাতিক্রম ছিল না। আমাদের সময় এ গ্রুপিং খুব একটা চাঙ্গা না হলেও ভালাই ছিল। সোহেলের গ্রুপটা শক্তিশালী ছিল। এটা দু'টি কারণে প্রথমত ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলিম ভাইয়ের সাথে ছিল। দ্বিতীয়ত সোহেল মানুষ হিসাবে দিলখোলা। আমার বন্ধু বলে বলছি না, আসলে সত্যি ঘটনা।

আকরাম ভাইও মানুষ ভালো। নামজুল ভাইও। তবে নাজমুল ভাই কোন গ্রুপে আছেন সেটা খোলাসা ছিল না অনেকের কাছে। আমরা যারা তার কাছের তারা জানতাম।

আকরাম ভাই হলের প্রেসিডেন্ট। উনি মূলত মনির ভাইয়ের গ্রুপের। মনির ভাই রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাওয়ার পর সফিউল বারি বাবু গ্রুপ করতেন।

নোয়াখালীর লোকের গ্রুপ করলেও নোয়াখালীর ছাত্রদের প্রতি তার খুব একটা সহানুভূতি ছিল বলে আমার জানা নেই। আকরাম ভাই নিজেকে একটু প্রগতিশীল ধাঁচের বলে প্রমাণ করতে চাইতেন, তাই অনেকটা ধরি মাছ না ছুই পানি টাইপের ছিলেন ।

সব মিলিয়ে সাধারন ছাত্রদের মধ্যে সোহেলের জনপ্রিয়তা ছিল। বিশ্বাসের জায়গায় আকরাম ভাই, নাজমুল ভাই এবং সোহেল তিন জনই ছাত্রদলের। এটা বলছি কারণ হলো ছাত্রদলের তিনটা ধারা। এক ধারা ছাত্রলীগ পন্থী, আরেক ধারা শিবির প্রশ্রয়ী, আরেক ধারা ছাত্রদলের। এ তিন ধারা মিলে ছাত্রদল। তবে ছাত্রদলের চেয়ে ছাত্রলীগের কমিটিতে ব্যাপক ভিত্তিক ছাত্র শিবির অবস্থান করে, যদিও ছাত্রলীগ সব সময় শিবির বিরোধী। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির সবচেয়ে বেশি প্রশ্রয় পায় ছাত্রলীগের কাছ থেকে। সে কথা থাক।

হলেই ফিরি। আমাদের হলে ছাত্রলীগের সহ অবস্থানের কথা আসলে হল ছাত্রদল এটা মেনে নেয়। সে সুবাধে হল ছাত্রলীগ হল সেক্রেটারি ফজলু ভাই হলে উঠলেন। আরো অনেককে হলে থাকতে আমি সহায়তা করেছি্। এর মধ্যে বন্ধু মোশাররফ, ১১৭ নম্বর রুমে থাকতো আমার রুমমেট তারেক সিকদার, আমাদের আরেক বন্ধু জিল্লু।

এ রকম ছাত্রলীগের অনেকেই হলে থাকতো। তারা যেনো কোনো সমস্যায় না পড়ে সেটি আমি সব সময় খেয়াল রাখতাম, এতে অনেকে মনে করতো আমি ছাত্রলীগ করি। আসলে ঘটনা, তা না। আমি গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছি, আমি জানি গ্রামীন নিম্ন মধ্য বিত্ত পরিবারের এ সব ছেলেদের হলের বাইরে থেকে পড়াশোনা করা খুবই কঠিন। তাই তাদের হলে থাকার ব্যাপারে আমি সব সময় সোচ্চার ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রনেতা সবাইকে আমি এ ক্ষেত্রে সব সময় উৎসাহ যোগাতাম।

আমার হলের নেতারা এ বিষয়ে আন্তরিক ছিলেন। কিন্তু এ আন্তরিক নেতারা মহাজোট সরকারের আমলে ক্যাম্পাসে মিছিল করতে পারেন না, হলে থাকতে পারেন না। এটা আমাকে কষ্ট দেয়। কিন্তু ওরা খারাপ করছে বলে ফের বিএনপি ক্ষমতায় এলে এরা তা করুক আমি চাই না। ছাত্রলীগের অনেক নেতাই ভালো চান, কিন্তু পারেন না। কারণ গ্রুপিং। বরিশাল, শরিয়তপুর মাদারীপুর আর ভেতরে আরো কত রকমের গ্রুপিং ছিল তখণ, এখনো আছে। এ কারণে সব সময় চাইলেও অনেকে অনেক কিছু করতে পারেন না। আমি এখনো চাই হলে হলে সহ অবস্থান এবং ছাত্রনেতাদের নিষ্পেষণ থেকে সাধারণ ছাত্রদের মুক্তি। জানি এটা কেবলই স্বপ্ন। তবে স্বপ্ন দেখতে বাধা নেই, কোনো একদিন এমন হবেই আমি এটা নিশ্চিত করে বিশ্বাস করি।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

সজিব তৌহিদ বলেছেন: আসলে স্বপ্ন দেখা বন্ধ করা ঠিক না। আমি বিশ্বাস করি স্বপ্ন থাকলে সত্যি হয় অপেক্ষায় থাকলে অবসান ঘটে...

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

মোরতাজা বলেছেন: সহমত।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

হুপফূলফরইভার বলেছেন: কয়েকটা পর্বে আপনার লেখার বর্নণা পড়ে মনে হচ্ছে আপনি বোধয় আমার সমসাময়িক সময়েই হলে থাকতেন!

ছাত্রদলের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে নয় আমার ৭বছরের ক্যাম্পাস লাইফে নিজে যা দেখলাম দল মতের সহাবস্থানে ছাত্রদল যতটা উদার ছাত্রলীগে তার ছিটেফোটাও নাই! এটা বোধয় আওয়ামীলীগের মূল সংগঠনের গুন্ডামী মার্কা চেহারার কারনেই!

তবুই স্বপ্ন দেখতে বাধা নেই। কোন একদিন হলে হলে সব দলের সবাই শান্তিপূর্ন সহাবস্থানে থেকে রাজনীতি করবে আদর্শিক শ্রেষ্ঠত্বের!

যান্ত্রিক জীবনে হাপিয়ে উঠা শহরে অফিসে বসে বসে নিজ ক্যাম্পাসকে যেন নতুন করে খুজে পাচ্ছি আপনার কিছু তথ্যে কিছু বর্ননায়নে! পর্বগুলো কন্টিনিউ করেন! অনেক অনেক শূভকামনা জানিয়ে গেলাম!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ।

লেখা পড়েন জেনে ভালো লাগলো।

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

শিপু ভাই বলেছেন:
হুপু ভাইরে ম্যালাদিন পর ব্লগে দেইখা খুব খুশি হইলাম!!!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

মোরতাজা বলেছেন: ব্লগে সবাই, ছদ্ম নামে লেখে, আমি কিন্তু নিজ নামে। তাই কাউকে চিনতে পারি না।

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

আবদুল্লাহ ১৩ হোসেন বলেছেন: স্মৃতীকথা পড়তে ভাল লাগে, আপনার প্রায় সব লেখাগুলো পড়েছি ভাল লেগেছে, হয়ত অন্যএকটা কারণও আছে আপনার লেখাগুলো পড়ার,...আশাকরি লেখাটা চালিয়ে যাবেন। সত্য বের হয়ে আসা দরকার।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১

মোরতাজা বলেছেন: ধন্যবাদ, পড়ার জন্য।

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯

কাকতড়ুয়া007 বলেছেন: Vai ami 04-05 session e BB hall e uthi tokhon o Akram Vai hall e thaken r Saiful Vai ( norshingdir) hall chalaten !!
Pore Mamun + Jewel Vaiyer somoy o hall e chilam , Er por caretaker Gov Er somoy o chilam tar por BAL sorkarer somoyer 2011 Er December e Hall chari !!!

Kintu BAL Er somoyer Cheye onek valo chilo BNP Er somoye !!
Eta j keu bolbe !!

Nobiruzzaman Babu Ke sobsomoy Reading room Er baranday League Er chele der sathe kotha bolte dekhtam !!
R jokhon BAL Power e aslo Erai kauke Campus e Thakte dilo Na !!!!

BAL chorom Okritoggo !!!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

মোরতাজা বলেছেন: সহমত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.