নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিস্তি-৩৭:
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার হিসাবে আমার ওপেন হওয়ার কয়েকদিন পরে মধুর ক্যান্টিন, গোপাল দা'র দপ্তর এবং আশরাফ ভাইয়ের চেম্বারে যাতায়াত শুরু করলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টারদের প্রায় সবাই ছিলেন অচেনা। আমি আস্তে আস্তে চেনার কাজ শুরু করেছি। ডাকসুর সামনে গাছের সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়ানো ফরিদ আহমেদ সাজু ভাই। সে সময় উনি কাজ করতেন ইউএনবি -তে। এখন বিসিসিতে আছেন।
আমার পছন্দের সাংবাদিকদের একজন। সাজু ভাই নামেই আমরা তাকে চিনি। সাজু ভাই যে কোনো ঘটনার পেছনের ঘটনা খুঁজে বের করতে অসাধারণ প্রতিভাধর। তার কাছে অনেক কিছুই শেখার আছে। হালকা পাতলা মানুষ সাজু ভাই হালাকা বিড়ি বুড়ি খান। সাথে পানীয়ও। আমি ও তার সহযোগি ছিলাম।
ভালো লাগতো সাজু ভাইকে, তার সবচেয়ে বড় কারণ উনার একজন ভালো রিপোর্টার।
আমি তাকে সালাম দিয়ে পরিচয় জানতে চাইলে বললেন, রূপালীতে কাজ করেন। আমি তাই সত্য ধরে নিই। পরে অবশ্য অন্যদের সাথে আলাপে জানি উনি ইউএনবিতে কাজ করেন।
সাজু ভাই পরে খুব ফ্রেন্ডলি। আমার সাথে তার সম্পর্ক এখনো চমৎকার। আমাকে পছন্দ করেন বলেই জানি। এখনো যোগাযোগ আছে।
সাজু ভাইয়েরা সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টিংয়ের শেষ পর্যায়ে ছিলেন। এ রকম যে ক'জনই ছিলেন তাদের মধ্যে সাজু ভাই খুবই শার্প রিপোর্টার।
সাজু ভাই ছাড়াও অন্য আরো অনেকের সাথে অল্প সময়ে সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। সে সুবাধে বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টিং এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে কানাচের খবরের উৎস গুলো দ্রুত রপ্ত করে নেয়র সুযোগ হয়েছিল আমার। এ কারণেই হয়ত সবার আগে অনেক খবর পেতে শুরু করলাম। অনেকে মনে মনে ঈর্ষা করতেন। তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। তার ওপর সাংবাদিক সমিতির রাজনীতি। আমি কোন দলে ভিড়ব, কোন দলের সাথে থাকবো তা নিয়ে সংশয় চলছিল। আমি খুঁজলাম কারা আমার সাথে চলতে পছন্দ করতেন তাদের, সিদ্ধান্ত ছিল যে গ্রুপেই থাকিনা কেন, সবার সাথে সমান সম্পর্ক। একই সাথে সবার সাথে সবার একটা সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টিরও ইচ্ছে ছিল। যেটি পরে আমার বিপরীত গ্রুপের বন্ধু শামীম কন্টিনিউ করেছিল।
পরের কিস্তি সাংবাদিক সমিতির তালা খোলা নিয়ে
©somewhere in net ltd.