নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিস্তি : ৪৯
বেঁটে মানুষ নিয়ে আমাদের সমাজে নানা কিসিমের কথা চালু আছে। নোয়াখালীতে বলে থাকে 'বাডি গুটি শতানের লাড়ি'।
মানে হলো বেঁটে মানুষ শয়তানের লাঠি।
তবে এ কথা যে সত্য না তা আমি সুমন ভাইকে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। আমি যে সব মানুষকে পছন্দ করি, সুমন ভাই তাদের একজন। তাকে পছন্দ করার সবচেয়ে বড় যে কারণ, সেটি হলো উনি সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। মানবজমিনে বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার হিসাবে তাকে ডিঙিয়ে ঢোকার পরেও তার সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হইনি।সুমন ভাই এখন বিবিসিতে আছেন।
ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধু হলেই থাকতেন। যা বলার সরাসরি বলতেন, রিপোর্ট লেখার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতেন, তার কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে। সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় হলো প্রতিহিংসা কোনো কিছুর নিশ্চিত সমাধান হতে পারে না। ভালোবাসা দিয়ে অনেক কিছু জয় করা যায়, সুমন ভাই সেটি করে দেখিয়েছেন। সুমন ভাই ছাত্রলীগ ঘরাণার ছিলেন, আমি তার বিপরীত মেরুর, ছাত্রদল ঘরাণার। কিন্তু সত্য প্রকাশে আমরা দুজনই সব সময় আপস করিনি। এমনকি নিজের দলের সাথেও।
ক্যাম্পাসে আরেকজন সিনিয়র রিপোর্টারকে আমি সমীহ করতাম তিনি সাফিউল ভাই। বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমাদের বিপরীত গ্রুপের সাফিউল ভাই নিরীহ টাইপ মানুষ। তাই নিজের গ্রুপে ভালো কোনো সুবিধা আদায় করতে পারেননি। বা বলতে হবে করেন নি। সর্বশেষ যুগান্তরে ছিলেন। এখন শিক্ষক হিসাবে ভালো করছেন। মাঝে মধ্যে প্রথশ আলোতে তার কলাম চোখে পড়ে।
প্রথম আলোতে শুরুর দিকে সম্রাট ভাই বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ছিলেন। তার রুমে মেট ছিল মিজান। শোনা যাচ্ছিল মিজানই হবে প্রথম আলোর পরবর্তী রিপোর্টার। কিন্তু তা হয়নি। তার পরিবর্তে সেখানে জয়েন করলো মীর মোকাররম হোসেন শুভ। টাঙ্গাইলের ছেলে। বিশ্বদবদ্যালয় রিপোর্টার হিসাবে আমি অনুজদের মধ্যে যাদের পছন্দ করতাম, তাদের অন্যতম। শুভ আমার মতই আড্ডা বাজ। আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে ভাইল রিপোর্টিং করছিলো। কিন্তু ওর মত একটা সম্ভাবনাময় সাংবাদিক এ জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে। এটা আমাকে খুবই কষ্ট দেয়। শুভ ভালো লিখত, ভালো বলতও।ও এখন বাণিজ্যে জড়িয়ে গেছে।
আরেক অনুজ অন্তু। সে সময় আজকের কাগজে ছিল। এখন প্রথম আলোতে আছে। পরিশ্রমী ছেলে বলতে যা বোঝায় অন্তু সে রকমই। নিজের চেষ্টা ও এত দূর এসেছে। ক্যাম্পাসে এবং ক্যাম্পাস লাইফের পরেও যাদের সাথে আমার যোগাযোগ হয় অন্তু তাদেরই একজন।
সে সময় আরো যারা ছিল তাদের মধ্যে- আশিক মোহাম্মদ শফি , ইব্রাহিম বিন হারুণ , ইউসুফ আলী, ওয়াহিদুজ্জামান, সোহেল মাহমুদ, হাবিবুর রহমানসহ অনেকের কথা মনে আছে। সবার সাথেই সখ্যতা ছিল। এখন কেউ দেশে আছে, অনেকে নেই। অনেকে সাংবাদিকতার বাইরে আছে। আবার অনেকে আমার মত হাফ সাংবাদিক!
©somewhere in net ltd.