নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী মহলে খ্যাতি

২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৪

কিস্তি ৫৬ :



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হলের ৩১৪ নম্বর কক্ষটি আগে থেকেই বিখ্যাত! কারণ এখানে যারা ছিলেন আগে থেকেই তাদের নারী মহলে বিশেষ খ্যাতি ছিলো। এখনো যারা আছে, তাদের হাল সম্পর্কে জানি না। তবে আমরা হল থেকে বের হওয়ার সময় যাদের রেখে এসেছি তারাও খ্যাতিমান!

আমাদের রুমমেটদের মধ্যে মাসুদ চৌধুরী ও আজাদ বসের কথা বলতে হবে। মাসুদ ভাই একেবারেই এখন মাটির মানুষ। কন্যা সন্তানের জনক। বিয়ে থা করেছেন পড়াশোনা করা অবস্থায়।

৩১৪ নম্বর রুমে প্রায় প্রতিদিনই কল আসত। সে কল যে কারো হতে পারে। গেটে কেউ না কেউ আসবেন, এটাই স্বাভাবিক। একদিনের কথা বলি, সকালে কল আসল। মহসিন মামা জানিয়ে গেলেন, গেস্ট আছে। আমি তখন ওই রুমে নতুন। নিচে গেলাম। দেখলাম গেস্টরুমে একজন বসে আছেন, নিজের পরিচয় দিয়ে বললাম, মাসুদ ভাইয়ের কাছে এসেছেন? বলল, হ্যাঁ। কিন্তু আমি জানতাম না উনি মাসুদ ভাইয়ের বউ। আমাকেও উনি প্রথম দেখলেন? তাই চান্সে কিছু তথ্য জেনে নিলেন।

আমার কাছে জানতে চাইলেন, মাসুদ কই। বললাম, বাইরে গেছে, বান্ধবী এসেছিল। আমি তার নাম জানতে চাইলাম, বললেন, সালেহা এসেছে, এটা বললেই হবে। আমি বললাম, আচ্ছা ঠিক আছে। মাসুদ ভাইয়ের কাছে হলে আর কেউ আসে কিনা জানতে চাইলেন। আমার সোজা জবাব কত জন আসে, সবার চেহারা মনে নেই, নামও মনে নেই। রাতে মাসুদ ভাই হলে এলেন। তাকে জানালাম একজন এসেছেন, সালেহা নাম। মাসুদ ভাই তো পুরা বিলা। আমি আবার তারে ক্ষেপালাম। মাসুদ ভাই তো ক্ষেপে অস্থির। তুই এ সব বলতে গেলি কেন? আমি বললাম, আমি তো মিথ্যা বলিনি।

আমাদের রুমে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নারী কল পেতো আজাদ বস। নারী জগতে তার সমধিক খ্যাতির কারণে আমরা তাকে বস ডাকতাম। এখনো আমরা তাকে বস নামেই ডাকি। মাসুদ ভাই ও আজাদ ভাই এখন সবচেয়ে সুখী মানুষ বলে অনুমান করি। আগের সে অবস্থান থেকে তারা দূরে সরে এসেছেন। স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভালো আছেন।

তবে ৩১৪ নম্বর রুমের সবারই প্রেমের বিয়ে, একাধিক প্রেমের ঘটনা এখানে বিরল নয়। কামাল তাদের একজন। বরিশালের কামাল অবশ্য এখন বিয়ে করে থিতু হয়েছে। আমরা যখন একে একে হল ছাড়ছি তখনো এ রুমে সব পিস। আজগর, এখন যে সরকারি কর্মকর্তা ও বিয়ে করে কাউকে কিছু জানায়নি। পরে জেনেছি বিয়ে করেছে। আমরা হল ছাড়ার অনেক পরে বলেছে, ভাই জানেন তো, আমি তো আগেই বিয়ে করেছি। হুমায়ূনও কেয়ার সাথে প্রেম ছিল। বিয়েও করেছে। পুতুল আমাদের একমাত্র রুমমেট যে একজনের সাথেই প্রেম করতো। সে আবার তার খালাতো বোন, পড়তো শিকদার মেডিকেলে। এখন অবশ্য দুজনের সংসারী। ভালোই আছেন।

আমাদের রুমে সবাই রাত বাড়ার সাথে সাথে মোবাইলফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়তো। সেই উচ্চমূল্যের কলরেটও সে সময় কাউকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত সবাই সফল এটাই আসল কথা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

একাকী বালক বলেছেন: তো কি এমন হইল বুঝলাম না। এইগুলা তো ঘর ঘর কা কাহিনী।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

মোরতাজা বলেছেন: ta thik ;)

২| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩১

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: আপনার পেছনের কাহীনি গুলো পড়ে খুব ইন্টারেস্টিং মনে হল আপনার হল লাইফ টা।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

মোরতাজা বলেছেন: :)

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: চলুক।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

মোরতাজা বলেছেন: Sure

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.