নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘটনা কী

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

সারা দিন খালি কতা কয়, এখন নিজে কি করেছ! এমপি রনি ভাইয়ের এ কী হাল!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

স্বপ্নতরী (রাজু) বলেছেন: দরবেশের গুন্ডাবাহিনী আমাকে ফলো করছে: গোলাম মাওলা রনি

বিডিব্রেকিং২৪ডটকম

দরবেশের সঙ্গে আমার কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বানিজ্য নেই। রাজনৈতিক বা পারিবারিক দ্বন্দ ও নেই। কেবলমাত্র আদর্শ ও নীতিবোধ থেকে তার কিছু কাজের আমি কঠোর সমালোচক সেই প্রথম দিন থেকেই। এরই ধারাবাহিকতায় টেলিভিশন টক শো এবং পত্র পত্রিকায় তার কর্মকান্ড নিয়ে কিছু বক্তব্য দিয়েছি।

মনে হচ্ছে হুজুরের আতে ঘা লেগেছে। তিনি বেসামাল হয়ে পড়েছেন এবং সম্ভবত আমার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন। তার ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে যে, কোন নির্মম হত্যাকান্ড ঘটাতেও তার হাত কাঁপবেনা।
মৃত্যুকে আমি ভয় পাইনা এবং তা যদি দুর্নীতিবাজ কাপুরুষ কর্তৃক হয় তবে তো শহীদি মর্যাদা পাবো। আমার বক্তব্য বা আচরণে যে কেউ সংক্ষুব্ধ হতে পারেন।

পারেন আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে। কিংবা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আমার মত বক্তৃতা, বিবৃতি বা লিখার মাধ্যমে নিজের অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি আমার বক্তব্যের প্রতিবাদও জানতে পারেন। অথবা আলোচনার মাধ্যমে আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে পারেন।

কিন্তু ক্ষমতার দম্ভে যদি সমালোচনাকারীকে হুমকী প্রদান করা হয় কিংবা তাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয় তবে পরিণতি আর যাই হোক ভালো হবেনা।

দরবেশের গত কয়েকদিনের কর্মকান্ডে আমার মনে হয়েছে তিনি প্রচন্ড দাম্ভিক, কাপুরুষ এবং একই সঙ্গে নির্বোধ ব্যক্তিও বটে। আমি তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলায় আমার বিরুদ্ধে ওঠে পড়ে লেগেছেন সর্বশক্তি দিয়ে।

দরবেশের মালিকানাধীন একটি প্রাইভেট টিভি চ্যানেল গত ৬/৭ দিন কাজ করে যাচ্ছে আমার নির্বাচনী এলাকায় আমার দুর্নীতি ও অনিয়ম খুঁজে বের করার জন্য।

আমি তাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছি। তারা আমার বৃদ্ধা মা, শ্বশুর, শাশুড়ী সহ গ্রামের দারিদ্র আত্মীয় স্বজনের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ক্যামেরা তাক করে ছবি তুলছে। তারা আমার অফিসের নীচে এবং ওপরে সকাল সন্ধ্যা ক্যামেরা তাক করে রেখেছে। আমি কয়েকবার এসব ক্যামেরাম্যানদের সঙ্গে কথা বলেছি। চায়ের দাওয়াত দিয়েছি কিংবা কোন প্রশ্ন সকালে জিজ্ঞেস করতে বলেছি। তারা অত্যাচারী সরকারী গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতো নীরব থেকে কেবল বলেছে আমরা উপরের নির্দেশে অ্যাসাইনমেন্টে আছি।

ঐ টিভির ক্যামেরা আমাকে অনুসরন করে সব সময়। বাসা থেকে বের হওয়া থেকে গভীর রাতে বাসায় ফেরা অবধি পর্যন্ত এসব করছে। আমি কখন কোথায় যাই, কি করি – সবই তারা ক্যামেরায় ফুটেজ নেবার চেষ্টা করছে। আমি কিভাবে তাদেরকে বলি যে – এটা করার কোন অধিকার তার নেই।

গত পরশু রাতে আমি যখন অফিস থেকে বের হলাম – তারা পিছু নিলো। তাদের মাইক্রোবাসে ষন্ডা, গুন্ডা প্রকৃতির ৮/১০ জন লোক। ক্যামেরা এবং অস্ত্রশস্ত্র সহ। আমি আমার ভাঙ্গা গাড়ীতে সম্পূর্ণ একা। আমার হাদারাম ড্রাইভার কাঁপাকাপি শুরু করলো। যাচ্ছিলাম চ্যানেল আইতে। ওরাও পিছু নিলো। রাত তখন ৮ টা।

১০ টার দিকে বের হয়ে দেখি দরবেশ বাহিনী দাঁড়ানো। আমি আবার ছুটলাম আরটিভিতে। তারাও পিছু নিলো। রাত সোয়া একটায় সেখান থেকে বের হ্যে দেখি তারা দাঁড়িয়ে আছে। বাসা পর্যন্ত এগিয়ে ছিলো।
এই ধারা এখনো অব্যাহত আছে। এই লিখা যখন লিখছি তখন দরবেশের গুন্ডা বাহিনী আমার অফিসের সামনে ক্যামেরা তার করে বসে আছে। আমার প্রস্তাব এসবের কি দরকার। আমি তো সম্পূর্ণ একা বসে আছি। যে কাউকে পাঠিয়ে একটি গুলি করে দিলেইতো খেল খতম।
লেখক: সংসদ সদস্য, বিডিব্রেকিং২৪ডটকম
http://www.bdbreaking24.com/view.php?id=2970

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.