নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংস্কৃতির কী বিপর্যয়, সেটি উপলব্ধি করার মত অবস্থাও আমাদের নেই। দিনে দিনে ভুলে যাচ্ছি সব। ছটুছি টাকার পেছনে- সায়ীদ স্যারের অনুযোগ এটা। বললেন, আমরা পাঠ্যবই পড়াই, সন্তান যদি না পড়ে পিটিয়ে পড়াই। কারণ এর সাথে টাকার যোগ আছে। আমাদের শেখানো হয়- পড়ালেখা করে যে/ গাড়ি ঘোড়ায় চড়ে সে। কিন্তু যেই বই পড়লে নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায় সেটি আমরা পড়িনা এবং পড়াইও না।
টাকা কামাই করতে হলে দরকার ক্ষমতা, সেই ক্ষমতার পদতলে দিচ্ছি মদ, শরীর এবং চাটুকারিতা।
ফুলের কথা বল্লাম না, কারণ ফুলের নন্দনগুণ উপলব্ধি করার মত অবস্থা আমাদের নেই।
বিষুদবার (৯ জানুয়ারি) স্যারের বক্তৃতা শুনছিলাম দৃক গ্যালারিতে। স্যার বললেন, আমরা হাসতে ভুলে গেছি। অট্ট হাসি তো অনেক দূরের কথা। অভিজ্ঞতা থেকে বললেন- অট্টহাসি কি সেটাই নাকি আজকালকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা জানে না। স্যার এক স্কুলে ঘর ভর্তি শিক্ষার্থীদের অট্টহাসি কি? সে প্রশ্ন করে নিজেই বেকুব হয়ে গেছেন!
স্যার বললেন- বাঙালি অট্টহাসি হাসতে পারেনা। কারণ হলো এতে তার বেশি ক্যালরি পুড়ে যাবে। ক্যালরি বেশি পুড়লে তার দাঁড়িয়ে থাকা অসম্ভব। শুয়ে পড়বে। আমাদের ডিজিটাল উন্নতির যুগে স্যার এ সব কি কয়?
স্যার বললেন- আমি বাঙালির হাসির একটা নাম দিছি- এটা হলো ছাগ হাস্য। মানে ছাগলের মত হাসি । হে হে হে । এতে হাসিও হয়, ছাগলের মত আওয়াজও হয়। আবার ক্যালরিও পোড়ে না।
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের সাথে আমার আমার প্রথম কথা হয় ১৯৯৯ সালে। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের দোতলায়। আলোচনার বিষয় ছিল রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা। আমরা সে সময় বই পড়া এবং তা নিয়ে আলোচনা-যেটিকে পাঠচক্র বলা হতো, তা নিয়ে মশগুল। সেই সুবাধে কেন্দ্রে যাতায়াত ছিল। আজকে আর সেই পাঠচক্রের প্রতি তারুণ্যের আগ্রহ নেই।
©somewhere in net ltd.