নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

জওহরি, ভাটি বাঙলা, রমণীমোহন এবং আম জনতার জীবন

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

খেলাটা ভালোই জমেছে। খেলোয়াড়রা খেলবেনই। এতে আম জনতার আপত্তি করবার কিছু নাই। কিন্তু সে খেলায় যদি আম জনতার জীবন বিপন্ন হবার আশঙ্কা থাকে, তখন বিষয়টা আলাপের জায়গায়।



বলছি জওহরি না ফাওহরির অডিও ক্লিপটার কথা। বাংলাদেশে মুসলিম রাষ্ট্র। এখানে ইসলামি রাষ্ট্র না। হবার সম্ভাবনাও নাই। কারণ এখানকার ইসলামী দলগুলো আম্রিকার পোষ্য। মুসলমানিত্ব হেফাজতকারীর ভারতীয় দর্শনে আসক্ত।কারো কারো যোগাযোগ পাপিস্তানে। এ সব এখানকার মানুষ জানে।



৫ জানুয়ারির নির্বাচন নামীয় একটি অসাধারণ মঞ্চ নাটকের মহড়াকে আমজনতা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মেনে নিতে বাধ্য বা সচেতনভাবে মেনে নেবার পর তাদের জীবনেকে ঝুঁকির দিকে নিয়ে যাওয়া আম্লীগের জন্য একটা মানবিক বিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্ত হতে পারে না।



কোনোভাবেই সন্দেহ করছি না যে, জওহরির অডিও ক্লিপটার পেছনে আম্লীগের হাত আছে। তবে আমি এটা ঠিক জওহরি বার্তা বাঙালি মুসলমানের মনের কথা হতে পারেনা।



আমি নিশ্চিত করে এটা বলতে পারি। জওহরির জেহাদে বা ইন্তিফাদায় সাড়া দেবার মত বোকা মানুষ আমরা নই। এটা এক সময় থাকতে পারতো যে সময়টা অভাব অনটন ছিল। তাও সম্ভব হতো না, কারণ ভৌগলিক কারণেও এখানটায় জঙ্গি চাষ অসম্ভব।



আমাদের পকেটে টাকা পয়সা জমেছে। মানুষ নির্বিঘ্ন, আনন্দময় এবং সম্পদ জমানোর সংগ্রামে ব্যস্ত, সেখানে জওহরির আহবান অটোমেটিক প্রত্যাখ্যাত। কারণ এখানকার মানুষ রক্তে মাংসে জঙ্গিবাদ বিরোধী। এটা জওহরি ভালোই জানার কথা। না জানলে কান পরিষ্কার করে শুনে নিতে হবে, তার খায়েশ বাস্তবায়নের লোক এ দেশে চাওয়ার সাহসটা খুবই নোংলা মনোবৃত্তি থেকে ওঠা। মনে রাখা ভালো এটা আফগানিস্তান, পাপিস্তান কিম্বা ইরাক না।



জওহরি ও আল কয়েদারা যে সব অঞ্চলে তাদের অবস্থান পোক্ত করেছে, সে সব অঞ্চল অনেক পেছনে। তারা সভ্যতার আলো বাতাস থেকে দূরে। জীবন চালাতেই কষ্ট তাদের, নারীর সাথে সময় কাটানো-খুনসুটির সময় বা সামর্থ কোথায়!



এ রকম অনগ্রসর, উগ্র গোষ্ঠীর বিস্তার ঘটে সে সব এলাকায় যারা জীবন-জীবিকা নারী সংসর্গ সম্পর্কে অজ্ঞ অথবা এ সবে মোহ নেই। বাংলার হিস্ট্রি এটা প্রমাণ করেনা। সুতরাং জওহরির আহবান একটা পোক্ত ছাগলামি ছাড়া কিচ্ছু না।



কালনী নদীর তীরে শাহ আবদুল করিম গায়- গ্রামের নও জযোয়ান, হিন্দু মুসলমান, মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম । আবার চট্টগ্রামে শেফালী ঘোষ গায়- ও রে সাম্পান অলা তুই আমারে করলি দেওয়ানা। কিম্বা কাঙালি সুফিয়া গায়- কোনবা পথে নিতাই গঞ্জ যাই।



সেই দেশে উগ্রবাদের বিস্তারে চেষ্টা হতে পারে বা হয়েছে তবে তা সফল হবার কোনো নজির কি আছে? নাই। হতে পারে না।



কেন নাই? কারণ হলো ভাটি বাঙলার এ দেশে মানুষ ধর্ম কর্মও করে, একটু আধু স্পিরিট, ছোলা মদও খায়, সাথে বিড়ি, হুঁকো কিম্বা সিগ্রেট। আবার টাকা হলে একটু নারী শরীরের স্বাদও নেয়। মদের দোকানে যায়। আবার হজের মৌসুমে সৌদি যায়। সেখানে জওহরিদের এই অডিও ক্লিপ আমাদের মত দেশের মানুষের মনন এবং মনোবৃত্তি না বুঝে ফায়দা হাসিলে সহায়তা ছাড়া অন্য কিছু না।



বাংলাদেশের মানুষ শিখছে, পড়ছে, উপার্জন করছে এবং ভালোভাবে বাঁচার লড়াই করছে। যেখানে প্রিয়জনের সঙ্গ দেবার সময় মিলছে না, সেখানে জওহরির ইসলাম উদ্ধার অভিযানে এ দেশের মানুষ ছুটবে।এটা আমি বিশ্বাস করি না। তবে সবার আগে নিশ্চিত হওনের কাম হলো - এ অডিও বার্তা আদৌ জওহরির নাকি । তবে আমি জওহরির বলেই বিশ্বাস করে এ সব কথা বলেছি।



একটা কথা অবশ্য মনে আছে সবার বুশের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচরে আগে ওসামা বিন লাদেনের একটা ভিডিও বার্তা নিয়ে পুরা জুজুর ভয়ে কাতর ছিল আম্রিকা। বুশ দ্বিতীয়বার নির্বাচিত।



এখন তো আম্লীগ নির্বাচিত । তারপরেও কারা এ জুজ ডাকছে। আম জনতার জীবন বিপন্ন করা কতটা যৌক্তিক, তা ভাবতে হবে। জওহরি শিষ্য থাকার অজুহাত খাড়া করে স্বাধীন বাংলার আকাশে কারা পরাশক্তির ড্রোন ওড়াতে চায়, কারা বাঙালির রক্তে লাল করতে চায় হাত! তাদের ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।



মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেখেন ছোট দাদা নয় বড় দাদারা দুষ্টুমি করছে কিনা!!!

এই আমার কথা শুনবি? নইলে এই যে দিলাম লাগ ভেলকি লাগ, ছু: মন্তর ছু!!

জাতীয় হুমকি!!!

তবে আবার কিন্তু এই ভাটি বাংলার মানুষের ভাগ্য নিয়া কিন্তু মিরজাফরের ছিনিমিনি খৈলার ইতিহাসও কিন্তু এই বাংলারই!!
তাই শুধু ফু দিয়ে হেলায় উড়ালে চলবে কেন?

বরং গভীরে গিয়ে এর শেকড় শুদ্ধ উপরে ফেলতে হবে। বাংলার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব জনগণের শান্তি সূখ নিয়ে যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে।
মালিক, দয়ালের নামে, আল্লা রাসূলের নামে যাদের মন পলি মাটির মতোন নরম হয়ে যায়, আবার পূজা-পার্বনেও যাদের সমান অংশগ্রহন সেই আলাভোলা সরলদের নিয়ে যেন কোন কুটিল কূটচাল না চালে তার দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

মোরতাজা বলেছেন: হুমম

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: দেখা যাচ্ছে, আপনার আফসোস যে, কেহ গুহামানব মানসিকরোগী জাওয়াহেরির ডাকে সাড়া দিচ্ছে না।
অসুবিধা নেই, আপনি তো বাংলাদেশের জাওয়াহেরি।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

মোরতাজা বলেছেন: আমার কোনো আফসোসস নাই। আমি প্রপাগাণ্ডার বিরুদ্ধে। আমি জাওহরি না আপনি- সেটা বিবেচনায় না এণে এই সব জঙ্গি ফঙ্গি যাতে না গজাইতে পারে, সেইটা নিয়া কাম করেন। কামে লাগবো।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: প্রপাগান্ডা শুরু হয়েছে!!!

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০৩

মোরতাজা বলেছেন: :)

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৮

nurul amin বলেছেন: বলদ ধনী হইলে গাড়ি নিয়া প্রতিযোগিতা করে আর গরিব হইলে লুঙ্গী উল্টাইয়া প্রতিযোগিতা করে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

মোরতাজা বলেছেন: হা হা হা

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: আপনার ব্লগে আসার ইচ্ছা ছিল না। অভিমান। অতীতে কিছু নিম্নমানের লেখার কারনে। আজকের লেখায় অভিনন্দন ‍

বাংগালী রেশনাল জাতি, (সোজা কথায় ধান্ধাবাজ), অতএব জঙ্গী হবার চান্স কম। রেশনালরা রেডিক্যাল হয় না।

জঙ্গী হবে না কারন, "এটা এক সময় থাকতে পারতো যে সময়টা অভাব অনটন ছিল। তাও সম্ভব হতো না,"

জঙ্গী হবে না কারন, "ভৌগলিক কারণেও এখানটায় জঙ্গি চাষ অসম্ভব।" নরম মাটির মানুষ চরম হবে না, তবে অসহিষ্ঞু । তাই বারে বারে দিক বদলায়।

"সুতরাং জওহরির আহবান একটা পোক্ত ছাগলামি ছাড়া কিচ্ছু না।"

আরেকটা জিনিষ তদন্ত করা দরকার বুক পিঠ নাই যে জামা-তে ইসলামীর, সেই জামা-তে ইসলামীর মীর আবুল কাশেম কত ডলার দিয়েছে জাওয়াহিরিকে । যদিও জামা-তে ইসলামী স্বাভাবিক সময়ে আল কায়েদার মর্তাদর্শের বিরুদ্ধে। এখন মাইনকা চিপায় পড়ে আল কায়েদার দ্বারস্থ হতেও পারে। ঐ যে বললাম, ওদের বুক পিঠ নেই।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

মোরতাজা বলেছেন: অভিমান করে না আসাটা মেনে নিতে পারলাম না। এখানে কথা হবে, বিরোধীতা হবে। কিন্তু আমরা একজন আরেকজনের মতকে শ্রদ্ধা করি, এটাই তো হবার কথা।


আমার আসলে খুব জ্ঞানী গুণি কেউ না। যখন যা মনে লয় এবং যেটা বুঝি সেটা লিখি। হয়ত সব সময় সেটি পাঠক টানতে পারে না। তাতেও আমার আপত্তি নাই।

জমাত ইশলামকে আমি ইসলামী দল মনে করি না।

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সব কিছুই সাজানো ঘটনা বলাটা বিরোধীপক্ষের একটা ব্যাধি।
এরা ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা থেকে ..... হরতালে সকল সহিংসতাকে বিম্পির সুনাম! নষ্ট করার আওয়ামী ষড়যন্ত্র বলে আসছে।

আলকায়েদা ও আমাদের এ দেশীয় কিছু মুসলিম সঙ্গঠনের গোপন কর্মকান্ড চলছে, এতে কোন সন্দেহ নেই।
উত্তর আফ্রিকা ভিত্তিক কুতুবইজম, আরব ওহাবিজমের আদর্শে মুসলিম ব্রাদারহুড, তুরষ্কের একটি বড়দল, ভারত - পাকিস্তানে মৌদুদিবাদ এরা সবাই একই আদর্শের কাছাকাছি অবস্থানে। এরা কিছুদিন আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের তীব্র বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়ে নিজেদের স্বরুপ উম্মচন করেছে। কিছুদিন আগে পাকিস্তানি তালেবানরা পাকি পত্রিকায় বিবৃতি পাঠিয়ে পাকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল। এসব সাজানো হুমকি হলে পাকি সরকার গুরুত্ব দিত না, পাকিতান দুতাবাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়েছিল বিধায় তালেবান কাছে আসতে পারে নি। কিছু করতে পারেনি।

আর হেফাজতের নেতা বাবুনগরি সহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মি মোল্লা ওমরের দিক্ষা নিয়ে আফগান যুদ্ধফেরত যোদ্ধা।
Click This Link

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

মোরতাজা বলেছেন: সাজানো নাটক তো বলিনি, বলেছি কারা এ সব করছে তাদের ধরতে, নইলে ড্রোন আসবে, সেই ড্রোন কাউকে বেছে বেছে মারবে না। আম্রিকার সৈন্য নামতে পারে, সেইটা আমাগোরে বিম্পি আম্লীগ দেইখা মারবো না।

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ইহা অবশ্যই কোন মহলের ষড়যন্ত্র ।যারা ইসলামফোবিয়াকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তারা পশ্চিমাদেরকে বুঝাতে চায় যে আমরাই একমাত্র যোগ্য মৌলবাদীদের উৎখাত করতে, আল কায়েদাকে নির্মূল করতে। অতএব তোমরা আমাদেরকে সমর্থন দাও। আমাদেরকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখ। আমাদেরকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে না পারলে বাংলাদেশ হবে আল কায়েদার আস্তানা। জঙ্গি পয়দার ঘাটি।


অতএব সাধু সাবধান!!!



ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৯

মোরতাজা বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.