নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দলীয় নিক্তিতে সম্বাদিকতাকে মাপাটাকে আমি কখনই সমীচীন মনে করিনি, এখনো করি না। সামনেও করবো না। এ আস্থা ও বিশ্বাস আমার ওপর আছে।
আম্লীগ সরকারন গঠনের পর সম্বাদিকদের গ্রেপ্তার করার বিষয়ঠা কঠিন করে একটা আইন করা হয়েছে বকলে প্রচার আছে। এতে খুশিতে পা চাটা নেতারা লাফাইয়া উঠলো- দেখছো আম্লীগের কি দয়া!
এখন ওরা কই
মাহমুদুর রহমান না হয় অসাংবাদিক সম্পাদক। কিন্তু আবু সালেহ আকন! ক্যাম্পাস লাইফ থেকে সাংবাদিকতা করছেন। তার ওপর ক্রাইম রিপোর্টার। পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজমে। ক্রাইম রিপোর্টারদের সংগঠন ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক। নয়া দিগন্তের স্পেশাল করেসপনডেন্ট।
বরিশালে তার গ্রামের বাড়িতে যৌথবাহিনী সন্ত্রাসমী খুঁজতে গেছে।- কী নির্মম প্রতিশোধ পরায়ণ যৌথ বাহিনী। বিরোধি মতের পত্রিকায় কাজ করে বলে তাকেও দলীয় বিবেচনায় এনেছে যৌথ বাহিনী। এ রকম বিবেচনা কেবল কাপুরোষিতই নয়, আত্মঘাতিও বটে।
আমি ভাবছি- কাল যে আমার বাড়িতে হানা দেবে না- যৌথ বাহিনী! তার নিশ্চয়তা কই। নিজের চেয়ে পডিরবারের জণ্য বেশি অনিশ্চয়তা বোধ করছি। সম্বাদিকরা যেখানে হয়রানির শিকার সেখানে আমার মত কেরানী পাবলিকের কী অবস্থা!
যারা চোখ বন্ধ করলে প্রলয় বন্ধ বলে ধরে নিয়ে এখন যৌথ বাহিনীর অভিযানের পক্ষে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে দাঁড়াবেন- তারা যে নিরাপদ সেটাও মনে হয় না। কারণ প্রলয় কখনো ভালো মন্দের বিচার করে না। এ এক অশুভ অসুর!
আমরা শুনে আসছি যৌথ বাহিনী নিষ্পাপ- নিষ্কলঙ্ক। কিন্তু নদীর জলে মানুষের ফুলে ওঠা লাশ, কচুরি ফেনার নিচে বনি আদমের লুকায়িত শরীর, আর সাংবাদিকের বাসায় হানার পর তাদের পক্ষে আর ওকালতি করা যায় না।
অবশ্য ক্ষমতার লোভে- অনেকেই তা করবেন। করুণ না। তাদের জন্য পেটে পড়লে পিঠে সয়। কিন্তু সম্বাদিকগো তো সে ধান্ধা নাই। তাই সম্বাদিক ও তাদের পরিবারের সুরক্ষায় সরকার কি করে সেটি দেখার অপেক্ষায় আছি!
©somewhere in net ltd.