নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লাজুক লোকটা কথায় কথায় হাসে। বছর চৌদ্দ বা তারো কিছু আগে তার সাথে বিয়ে হয় আমার ফুপাতো বোন রাজিয়ার।
গরিব পরিবারের কর্মঠ ছেলে। ফুপাতো বোনটাও ছিল কর্মঠ। স্বামীর সাথে সোহাগে-আহ্লাদে চেয়ে পরিবারের ভাগ্য ফেরানোর সংগ্রামে মগ্ন ছিল।
ফুপার মৃত্যু ও ফুপির সন্তানদের নিয়ে টিকে থাকার লড়াই; সব মিলিয়ে এর মধ্যে ওর বিয়ে। সন্তান সন্তুতি নিয়ে ভালোই তো ছিল। এর মধ্যে বাবার পরে মাকেও হারায়, বোন আমার। সাহাবুদ্দিন ভাইও একই ।
২৯ মার্চ- দরবেশের হাটে গেছে। মেয়ে জামাইকে আপ্যায়নের জন্য ডিম আনতে গিয়ে ফেরেনি। বেলা গড়িয়ে গেলো- কিন্তু সাহাবুদ্দিন ফিরলো না। কেউ বলছে, বাজার সদাই সেরে সন্দ্বীপ যাচ্ছিল সাহাবুদ্দিন। উরির চরের কাছে বনদস্যু ধরার অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। চলছে 'বন্দুকযুদ্ধও' কিন্তু যে যুদ্ধে গত এক সপ্তাহে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের কারো চেহারায় সাহাবুদ্দিনের মিল নাই।
দিন যায়, রাত যায়, সন্তানরা তাদের পিতার জন্য অপেক্ষা করে। চুলায় আগুন জ্বলেনা। বোবা হয়ে বসে থাকে সব-আর ভাবে আমরা এখনো খোঁজে আছি।
কী নির্মম-বিভীষিকাময় অপেক্ষা!
'নিখোঁজ' সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে কেউ মাথা ঘামাবে না, এটা জানি। তবুও। আশা করতে দোষ নাই।
প্রিয় নোয়াখালীর যে সুবর্ণ চরের মানুষের চোখে মমতা দেখে বড় হয়েছি, রাজনীতির চেয়ে আনাত্মীয়কে আত্মীয় করে নেয়ার বাসনা দেখে আসছি, এখনো যেটি ভাবি। তার মধ্যেও সেখানে মানুষ নিখোঁজ হয়।
জলজ্যান্ত একটা মানুষ নাই হয়ে যায়। গরিব বলে তার কোনো খোঁজ নাই। রাজনীতিক দলের নেতা নয় বলে তার কোনো সত্ত্বা থাকতে নাই- এটা আমরা মানি কীভাবে।
ভিলেজ পলিটিক্স এখানে পুরনো। গরিবের ওপর বড়লোকদের নিপীড়ন বিশেষত স্থানীয় সরকারের কিছু সদস্যের ক্ষমতার অপব্যাহারের সাথেও পরিচিত ছিলাম। তবুও এতটা খারাপ কখনো আমরা ছিলাম বলে মনে হয় না।
স্থানীয় ইউনিয়ন সদস্য তার ওপর বিরাগ ছিল বলে শুনেছিলাম। এর বাইরে তার অমঙ্গল চায় এমন লোক ছিল বলে শুনিনি।
সাহাবুদ্দিন তোমার ফিরে আসার অপেক্ষায় আমরা।
আপডেট:; সাহাবুদ্দিন ফিরেছে।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৫
মোরতাজা বলেছেন: সুবর্ণচরের উরির চরের (চরক্লার্ক ইউনিয়নের) কাছ থেকে হারিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২২
তামীল০০৯৬ বলেছেন: সুবর্নচরের কোথায় থেকে কিভাবে হারিয়েছে? বিস্তারিত জানাবেন কী?