নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঁধন থেকে ভাগ্নি; শিক্ষা শান্তি প্রগতির বাহকদের কদর্য রূপ

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৩


নারী জাতির প্রতি তাদের অপরিসীম শ্রদ্ধা। শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি তাদের মূল নীতি। কিন্তু দুটো ঘটনা আমাকে খুব আহত করেছে। আমার মত একটা লোকের আহত হওয়া বড় কোনো ঘটনা না; কারণ এ সমাজের সাদা মাইক্রো বাস দেখলে যাদের বুক ধুকফুক ধুকফুক করে তাদের মধ্যে আমি নাই। আবার আছিও। কারণ মানুষ হাওয়া হওনের জন্য কোনো কারণ লাগে না। তবুও ঘটনাটা আমার প্রিয় ক্যাম্পাসের বলে লিখছি-


২০০০ সালের ঘটনা। আমার তখন সেকেন্ড ইয়ারে। বর্ষ বিদায় নিয়ে টিএসসি সরগরম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানেই উৎসব-উচ্ছ্বাস-বাধ ভাঙ্গা আনন্দে মেতে ওঠা। সেই মেতে ওঠার কিছু দিনে অনেকেই আসেন। যাদের আমরা ' বহিরাগত' হিসাবে চিহ্নিত করছি এখন। আবার অনেককে আমরা নিয়ে আসি, আমাদের প্রয়োজনে। সেই প্রয়োজন ব্যাক্তিগত, রাজনৈতিক, জৈবিক কিম্বা শ্রদ্ধাবোধের।

নারী- শব্দ আমাদের কাছে সব সময় শ্রদ্ধার বাইরে কিছু শব্দ-ঘ্রান নিয়ে আসে। যেখানে শিক্ষা-শান্তি- প্রগতির বাইরের বাংলাদেশ- জিন্দবাদঅলারও আছেন। যেহেতু জিন্দাবাদ একটি পাকি শব্দ সেহেতু আমরা তাদের পাকি বর্বরদের সাথে মিলিয়ে নিয়ে সে আলোচনা বাদ দিতে পারি।

কিন্তু যারা খাঁটি বাংলা শব্দ ও প্রগতির ধারক তাদের কিছু বিষয় আমরা চোখ বন্ধ করে এড়িয়ে গেলেও দু একটা বিষয় একেবারেই এড়াতে পারি না।

খুব লজ্জা নিয়ে বলছি, ২০০০ সালে বাঁধনের কাপড় খুলে নেবার পর ২০১৪ সালে আরেকজন নারীর সালোয়ার কামিজ ছিঁড়ে ফেরার মত যে দুবৃত্তপনা শিক্ষা-শান্তি- প্রগতির লোকেরা করেছে বলে প্রমাণিত হলো সেটি খুবই কষ্টের।


পিছিয়ে পড়া দেশকে এগিয়ে নেয়া, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পেছনে যারা কাজ করছেন; যাদের কাজের মধ্যে শিবির ঢুকে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে বলে তাদের সাংগঠনিক নেত্রী অভিযোগ করছেন; তারা খুবই সুশীল এবং প্রগতিশীল তারা এমনটা কেনো করলেন বুঝতে পারি না।


জৈবিক তাড়না সবারই আছে। ক্যাম্পাসে নিজর ক্ষমতা দেখানোরও অনেক জায়গা আছে। সেটি না করে এ রকম নিরীহ নারীর ওপর ওপর তারা কেনো হামলে পড়েন, তা জানি না।


২০০০ সালে বাঁধনের কাপড় টেনে নেয়া এবং নিষ্পেষণ করে তাকে অসুস্থ করে ফেলারা শিক্ষা-শান্তি- প্রগতির দলের লোক বলে সে সময় খবরের কাগজে পড়েছিলাম। এখনো সেই একই লোক। সে সময়ও আম্লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। এখনো তাই। সে সময় আজাদ চৌধুরী স্যার ভিসি ছিলেন, এখন আরেফিন স্যার। দুজনই ক্যাম্পাসে অতিব সুন্দর কথা বলে মানুষকে মুগ্ধ করার অসাধারণ ক্ষমতাবান।


তাহলে এমন হয় ক্যানো, কোন শিক্ষা এরা লাভ করেছেন যার জন্য ক্যাম্পাসের পবিত্র ভূমি অপবিত্র হয়, নারীর শরীরে হাত ওঠে। একেবারেই ব্যাক্তিগত কারণে।

এটা কোন প্রগতি, যে প্রগতি নারীর শরীরের কাপড় টেনে নেয়। হামলে পড়ে হায়েনার মত। তারপরও এ প্রগতিশীলদের পক্ষে কথা বলার লোকের অভাব থাকে না। তারা যখন কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীর আন্দোলনে হামলা করে আমরা তখন বলি- যারা আন্দোলনে ঠেঙ্গানোতে জগতের সব পুণ্য। তাই আসো। ঠেঙ্গাই।


আবার তারা যখন বিরোধি দলে থাকে, তখন কথার ধরণ বদলে যায়, সহ অবস্থান, ছাত্রদের অধিকার, সামনে এগিয়ে যাবার নানা প্রেরণা ময় বক্তব্য দেয়। এ সব শুনে শুনে দেড় দশক পার করেছি। লেখা একবারেই ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লেখা।

অনুসিদ্ধান্ত: এটা সবাই বলেন, আমিও বলছি ২০০০ সালে বাঁধনের ওপর হামলার বিচার হলে ২০১৪ সালের এমন ঘটনা ঘটতো। ২০০০ সালের হামলাকারীওরা কার্জন হল এলাকার ছিল; এবারের হামলাকারীরাও। ঘটনাস্থ কেবল ভিন্ন- ২০০০ সালে টিএসটির রাজু স্মৃতি ভাস্কার্যের সামনে; ২০১৪ সাল কার্জন হল পুকুর পাড়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:



২০০০ সালে বাঁধনের ওপর হামলার বিচার হলে ২০১৪ সালের এমন ঘটনা ঘটতো না।


সহমত !

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২১

মোরতাজা বলেছেন: সহমত !

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আমিনুর রহমান বলেছেন:



২০০০ সালে বাঁধনের ওপর হামলার বিচার হলে ২০১৪ সালের এমন ঘটনা ঘটতো না।


সহমত !

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২১

মোরতাজা বলেছেন: সহমত !

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আমাদের দেশের প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থা যতদিন না ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্ত হতে না পারবে, ততদিন কোন কিছুর সুষ্ট তদন্ত বা বিচার সম্ভব না।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১২

মোরতাজা বলেছেন: হুমমম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.