নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেডলি ট্রাভেল লাভিং ওয়ান।

মোরতাজা

আমি সাধারণের একজন। বেড়াতে, বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

মোরতাজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৯৬ থেকে ২০১৫ পেট্রোল বোমায় মানুষ পোড়ানো এবং রাজনৈতিক সক্ষমতা!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

আমার খুব জানার ইচ্ছা, কারা পেট্রোল বোমা বানায়, মারে; তারা ধরা পড়ে না। আইনের আওতায় আসে না। তার মানে কি ! তারা অতিমানব। অতি ক্ষমতাবান এবং অতি শক্তিমান।



১৯৯৬ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত যতগুলো পেট্রোল বোমা, গাড পাউডার দিয়ে বাসভর্তি মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়েছে; সে সব ঘটনাগুলো যারা প্রত্যক্ষ করেছেন, তাদেরও নিশ্চয় এ প্রশ্নটা মনে জাগে। কিন্তু দলদাস বা দলান্ধ হবার কারণে সময় সময় কৌশলে এরা এ সব নিয়ে কথা বলেন।



আমি সব সময় সব সরকারের সময় সব ধরণের মৃত্যু, হত্যা, গুপ্ত হত্যার বিরোধী। - এটা মৃত্যুখেলা বন্ধ করুন।



২০০৪ সালের ৪ জুন তৎকালীন শেরাটন হোটেলের (রূপসী বাংলা) উল্টো দিকে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে আগুন দিয়ে ১১ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়। তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় সরকার। ৪ জুন হরতাল ডেকেছিল তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ।(সূত্র প্রথম আলো)



১৯৯৬ সালের ১৭ মার্চ অসহযোগ আন্দোলনের ৯ম দিনে রাজধানীতে বাসে পেট্রোল বোমায় ২ জন নিহত, চট্টগ্রাম ও সিরাজগঞ্জে আরো ২ জন নিহত হয়েছে বলে সে সময়কার পত্রিকার খবর।



তার মানে পেট্রোল বোমা হঠাৎ আবিষ্কৃত হয়নি। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা কিম্বা আরোহনের এটা একটা বড় অস্ত্র। মানুষের রক্ত মাংস পুড়িয়ে ক্ষমতা- আহা জীবন; নিয়মিত।



২০১৩ , ২০১৪ এবং ২০১৫ এর শুরুতেই যে পরিমাণ মানুষ পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হয়ে কাতরাচ্ছেন, জীবন দিচ্ছেন; তাদের প্রতি সহানুভূতি। তাদের পরিবারের ব্যাথা অনুভব করার মত সক্ষমতা সরকার কিম্বা বিরোধী দলের নেই।



তাই পেট্রোল বোমবাজদের ধরেই একইভাবে তাদেরও পুড়িয়ে মারা পক্ষে আমার ন্যায় বিচারের পূর্ব দাবি আবারো থাকছে।



ঘটনা হলো- এত পুরনো একটা সঙ্কট কাটাতে কোনো রাজনৈতিক দলই সক্ষমতা প্রমাণ করতে পারলেন না। সত্যিক অবাক লাগছে।



বড় কষ্ট লাগে।



কারণ আমি, আপনি যে কেউ যে কোনো সময় এ ধরণের বোমার শিকার হতে পারি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দলমত নির্বিশেষে- অপমৃত্যু-অনাকাঙ্খিত হত্যাকাণ্ড থেকে রক্ষা করুণ।





মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমি সব সময় সব সরকারের সময় সব ধরণের মৃত্যু, হত্যা, গুপ্ত হত্যার বিরোধী। - এটা মৃত্যুখেলা বন্ধ করুন।

তারউপরে সবচে অবাক করা বিষয় .. যে দক্ষ! পুলীশ সব করতে পারে- তারা এতদিন যাবত স্পটে একটাও ধরতে পারলনা!!! তবে কি বিএনপির দাবীউ যৌক্তিক?! তারা তারা স্যাবোটাজ করছে- কিন্তু ঘটনাচক্রে তা বুমেরাং হয়ে যাচ্ছে!

আবার ইদানিং হঠাৎ করেই ব্যপক ধরপাকর চলছে! পুলীশের গ্রেফতার বানিজ্য তো পুরাই রমরমা!!! সন্দেহজনক ধরতে পারলেই ১০,২০,৩০ ৪০....এরকমই বলাবলি করছে সবাই! আর সরকারের পেটোয়াবাহিনী দরকার বলেই জেনেও না জানার ভাণে বসে আছে!!! সকলেরই পোয়াবারো- আমজনতার আমরক্ত! ! X(( X(

মানুষ যাবেটা কোথায়?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

মোরতাজা বলেছেন: 'মানুষ যাবেটা কোথায়?'----- হুমমম ।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

শামীম দ্যা রক্ বলেছেন: তা... অবরোধ বন্ধ করলে কী পেট্রল বোমা বন্ধ হয়না? বিএনপি যখন এতই বুঝধার হইলো, তাইলে তারা অবরোধ না দিলেই হয়! তারা অন্য উপায় এই সরকাররে গদিথেকে নামাক!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

মোরতাজা বলেছেন: ভাই, বিম্পি উঠলো কি আম্লীগ নামলো; এই সব লইয়া ভাবতাছি না। ভাবতাছি আমরা যাতে নিরাপদ তাকি। আম্লীগও আমাদের খাওয়াইবোনা; বিম্পি-জমাতও না। সুতরাং তাদের পেছনে ছুইটা জীবন নষ্ট করণের কোনো মানে নেই।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: ভালো লাগল যে আম্লিগের কথাও কিছু বলেছেন। মনে রাখবেন, ১৯৯৫ সালে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা নবনির্মিত চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন সেই সময়ের চট্টগ্রাম আম্লিগের নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। টানা অবরোধে মানুষ না খেয়ে মরতে বসেছিল। তারপরেও আম্লিগের সাধারন সম্পাদক জেলের বাইরে ছিলেন!

আম্লিগ এই দেশের রাজনীতিকে ১৯৭৫ সালে একবার ধ্বংস করেছে, এইবার আরেক বার ধ্বংস করবে। ১৯৭৫ সালে আম্লিগের পরিণতি যতটুকু খারাপ হয় নাই, এইবারে হবে তার চেয়ে আরো খারাপ!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

মোরতাজা বলেছেন: খালি আম্লীগরে দোষায় লাভ নাই। সব্বাই মিল্লা দেশটারে নরক বানাইছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.