নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পাহাড়ে অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে। দল, উপদল বিভক্তি আগেও ছিল, সেটি এখন বেশি প্রকাশ্যে এসেছে। স্থানীয় দল দু’টি- ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। এখন দল ভেঙে দু’টি করে নতুন দল হয়েছে।
এসব নিয়ে বিরোধ, বিসম্বাদ হচ্ছে- এটা নিশ্চিত। কিন্তু তাই বলে এতটা কেন হবে? যেখানে কল্পনা চাকমা অপহরণ ক্ষত হয়ে আছে, তার সুরাহা হয়নি। সেখানে নতুন করে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে তুলে নেওয়ার খবর কেবল উদ্বেগই ছড়াচ্ছে, তা নয়। এটি একইসাথে পাহাড়ে অশুভ শক্তির প্রচ্ছন্ন ছায়ার জানান দিচ্ছে।
এ অশুভ শক্তি কারা? তা হঠাৎ করেই বের করা কঠিন হলেও অসাধ্য নয়। অসাধ্য নয়, এ কারণে বলছি- এ জনপদে মানুষ বেড়েছে, মানুষে মানুষে ভেদ বেড়েছে, দলে দলে কোন্দল যেমন বেড়েছে, তেমনি এসব থেকে স্বার্থ উদ্ধারকামী গোষ্ঠীরও অবস্থান জানার সুযোগ বেড়েছে। তাই সরকারের সংস্থাগুলোর এর খোঁজ রাখাটা জরুরি। নিশ্চয় তারা রাখছেন, তবে এ রকম সংকট কাটানোর জন্য এখন তাদের দৃশ্যমান উদ্যোগ দরকার।
পাহাড়ি-বাঙালি সবাই মিলে আমরা বাংলাদেশি। নাগরিক হিসেবে নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার আশরাফ আতরাফ সবারই সমান। পাহাড়ে বিরোধ বিসম্বাদ সমতলের চেয়ে কম বলে প্রচার থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে তা বেড়েছে। এটা উদ্বেগের বিষয়।
১৮ মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯টার দিকে। রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের পাশে অবস্থিত আবাসিক এলাকায় ৮ থেকে ১০ জন অস্ত্রধারী হামলা চালিয়ে ইউপিডিএফের সহযোগী সংগঠন হিল উইমেন ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অপহরণ করেছে, (সূত্র: প্রথম আলো অনলাইন)।
অপহৃতরা হলেন মন্টি চাকমা ও দয়াসনা চাকমা। মন্টি হিল উইমেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আর দয়াসনা ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।
এ খবর আগের যে কোনো খবরের চেয়ে উদ্বেগজনক এ কারণে যে, এখানে সংঘাতটি পুরুষ কেন্দ্রিকতার বাইরে এসেছে। নারীকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার মতো বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। এ থেকে উত্তরণ অত্যন্ত জরুরি।
সাম্প্রতিককালে ইউপিডিএফ থেকে বের হয়ে একটি অংশ নতুন দল করার পর সহিংসতার খবর বেশি আসছে। এ খবরের মূল কেন্দ্রবিন্দুতেই আছে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি।
পাহাড়ি বাঙালি সম্প্রীতি এবং পাহাড়ি পাহাড়ি ভাতৃত্ববোধ আগে থেকেই ছিল। নানা ছুঁতোয়, কূটকৌশলে দেশি-বিদেশি বেসরকারি সাহায্য চক্র এখানে নতুন মোড়কে নতুন নতুন সংকট তৈরি করে নিজেরা লাভবান হলেও রাষ্ট্র হিসেবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
পাহাড়ে সংকটে কেবল দেশের ভাবমূর্তিই ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না, একইসাথে দেশের এক দশমাংশ জনপদের মানুষের জীবন, রাজনীতি, নিরাপত্তা, ভূ রাজতৈনিক সংকটও তৈরি করছে। তাই এর সমাধানে কেবল রাষ্ট্রকে উদ্যোগী হলেই হবে না, স্থানীয় প্রতিটি গোষ্ঠীকে একসাথে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
পাহাড়ের সম্প্রীতি আমাদের রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্থিতির সঙ্গে জড়িত, এটাকে হালকা করে দেখা কোনোমতেই ঠিক হবে না। অপহৃত নারীরা উদ্ধার হবেন, সে আশা করছি।
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছে প্রিয় ডট কমে।
২৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:২০
মোরতাজা বলেছেন: হুমমম
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১৮
অশুভ. বলেছেন: ঠিক বলেছেন, পাহাড় এখন আগের থেকে বেশী অশান্ত হয়ে গেছে।
নানা ধরণের কোন্দল বেড়ে গেছে।