নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভীষণ কঠিন পোড়ামাটিকে আবার সেই কাদামাটিতে ফিরিয়ে আনা,ভীষণ কঠিন আঘাত দেয়া শব্দমালা গুলো ফিরিয়ে নেয়া।ভীষণ কঠিন নিজের সম্পর্কে কিছু বলা।যে চোখ দেখিনি সে চোখ কেমন করে বিশ্বাস করবে জানি না।যে কখনো রাখিনি হৃদয়ের উপর হৃদয়;সে কেমন করে বুঝবে আমায়!

নীল মনি

শিশুর মত চোখ দিয়ে দেখি আমার এই বিশ্ব।মানুষ স্বপ্নের কাছে হেরে যায় না, হেরে যায় নিজের প্রত্যাশার কাছে। প্রত্যাশা থাকে আকাশচুম্বী অথচ প্রচেষ্টায় থাকে শুধুই স্বপ্ন।

নীল মনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

লোক সংস্কার

০২ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:০১

রাজশাহী জেলায় একটা বিশ্বাস চালু আছে।ফলমূল বা তরকারির অর্ধেক কাউকে দিতে নেই।এটা যে শুধু ধারণা তা নয়।বিশ্বাস না হলে ঐ এলাকায় কারো বাসায় এমন অর্ধেক কিছু পাঠালে ফেরত পাঠানো হয়।কারণ কী জানেন ওদের বিশ্বাস লোকসংস্কারে পরিণত হয়েছে।
বিশ্বাসে মেলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর -কে না জানে এ কথা!বিশ্বাস করুন আ নাইবা করুন কী আর করা।মূলত যেদিন থেকে মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম শুরু হয়েছে সেদিন হতে মানুষের সংস্কারের শুরু।আগে যখন মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে ঘর হতে বের হত,পাহাড় পর্বতে যেত,বন বাদাড়ে যেত তখন তাদের শিকার অন্বেষণে অনেক সতর্ক থাকতে হত।কান খাড়া করে রাখতে হত,ঘ্রাণ এর দিকে খেয়াল রাখতে হত,এমন কী চলার পথে কোন চিহ্ন শুভ,কোন চিহ্ন অশুভ এমন অভিজ্ঞতা জীবনের সুখে দুঃখে মিশে যেতে থাকল।ডাক ও খনার বচনে কৃষি, বাসস্থান,নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়ে যেসব ভবিষ্যৎ বাণী করা হয়েছে তার বেশিরভাগ অভিজ্ঞতায় জড়িয়ে আছে।
আমাদের দেশে যে শুধু এমন সংস্কার ছড়িয়ে ছিটিয়ে তা কিন্তু নয়।আসুন দেখি কিছু সংস্কার ও বিভিন্ন জেলায় তার ব্যবহার। তবে সবচেয়ে বেশি পেয়েছি এমন এক জেলায়,যে পড়ার সময় অনেক হাসতে বাধ্য হয়েছি।কোন সে জেলা,যে জেলায় সর্বোচ্চ সংস্কার আছে,কু আর যোগ করলাম না।
আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস প্রচলিত আছে first a daughter then a son.আমাদের ইসলাম ধর্মে প্রথম সন্তান কন্যা হলে মঙ্গলজনক বলা হচ্ছে।
স্কটল্যান্ডের অধিবাসীগন ভাবেন হাত থেকে তোয়ালে পড়ে গেলে মেহমান আসে।আমাদের দেশে হাত থেকে চিরুনি পড়ে গেলে এমনটি শুনতে পাওয়া যায়।
শিশুকে অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে আমাদের দেশে মাথার বালিশের নিচে লোহা রাখে।ইউরোপে বালিশের নীচে রাখে লোহার চাবি।
আমাদের দেশে গর্ভবতী মহিলাদের জমজ ফল খেতে দেয় না,পাছে সন্তান জমজ হয়।অষ্ট্রেলিয়াতেও গর্ভবতী মহিলারা জোড়া ফল খান না।
আমাদের দেশে হিন্দু সমাজে মেয়েদের ঘরের বাহিরে গিয়ে ভিক্ষা দিতে নেই।কেন নেই, কারন সীতা ভিক্ষা দিতে গিয়েই রাবণের দ্বারা অপহৃত হয়েছিলেন।
পেঁচার ডাকে বেদে অশুভ শক্তির আবির্ভাব প্রতিরোধের মন্ত্র রয়েছে।
গরু ছাগলের দড়ি লাফ দিয়ে পার হতে নেই-আমাদের নবীজির অবমাননা হয়।
প্রচন্ড ক্ষরায় শস্য উৎপাদন ব্যহত হলে খতম পড়ানো হয়।
সংস্কারের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী যেন একই সূত্রে গাঁথা ফুলের মালা।
পাবনা জেলার কিছু সংস্কার পড়ি
‪#‎কার্তিক‬ ভাদ্রে বিয়ে দেয়া অমংগল।
# বরকে খর দিয়ে পান দিলে কুটুম নষ্ট হয়।
‪#‎বিয়ের‬ দিন ইলিশ খেলে শষ্য(পিশাচ) ধরে।
# যে পুরুষের নাক ঘামেনা তাকে বৌ ভালোবাসেনা।
‪#‎বিয়ের‬ কালিমা পড়ানোর সময় মুরগী ডাকলে উভয় সুখী হয়।
# কোন মেয়ে মানুষ কোন পুরুষের গায়ে থুথু দেয় তবে ওই ছেলের সাথে ওই মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়।
‪#‎যদি‬ কারোর বিয়ের দিন বাড়িতে কোকিল ডাকে তবে তার বৌয়ের কন্ঠ কোকিলের মত হয়।
‪#‎পোয়াতীর‬ সাথে সাথে সব সময় সময় ভূত ঘোরে

এ রকম কু সংস্কারের অভাব যেন নেই।
আমাদের ইসলামে কোন কিছু শুভ অশুভ ধরতে নিষেধ আছে।
এই সংস্কার সম্পর্কিত আরো জানতে পড়ে নিতে পারেন লোকবিশ্বাস ও লোকসংস্কার-সম্পাদনা মফিজুল ইসলাম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:০৭

মাআইপা বলেছেন: ভালই লাগলো। বেশ মজা।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

নীল মনি বলেছেন: হুম শুকরিয়া :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.