নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দূরে থাকুন; ভালো থাকুন।

ঋণাত্মক শূণ্য

নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!

ঋণাত্মক শূণ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেখানে রেডিও ছিলো না, কিন্তু রেডিও বেজে চলেছিলো!

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৭

২০১৪ এর কথা। কল্যানপুরে একটা বাসায় উঠেছি। ১৪তলায় আমার বাসা। দুর্দান্ত ভিউ, প্রচুর বাতাস। শীতের সময় পুরাটাই রদ্দুর পাই। ব্যালকনি থেকে সূর্যাস্ত এবং মাঝ রাতের পর পূর্ণিমার চাঁদ, গাবতলী থেকে কল্যানপুর ও কল্যানপুর থেকে গাবতলীতে যাওয়া আসা করা গাড়ির দীর্ঘ সারি... সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত পরিবেশ।



৭/৮ বছর পরে এসেও ঐ বাসাটাকে মিস করি। মনে হয় যে কখনও টাকা হলে ঐ বাসাটা কেনার চেষ্টা করা যায়।

যাই হোক, সব মধুরতার মধ্যে প্রতিদিন সকালে বাধ সাধে এক রেডিও। ক্যানক্যান করে বাজতে থাকে। আমাদের পাশের ফ্লাটে মাত্র দুই রুমের ভিতরে থাকে তিনটি পরিবার। সব মিলিয়ে সদস্য ৯জন। তারা প্রায়দিন সন্ধ্যায় উচ্চ শব্দে পুরান দিনের বাংলা সিনেমার গান চালায়। তবে সকালের রেডিওর শব্দটা ঐ সন্ধ্যার গানের শব্দের মত নয়।

তবুও আমরা ধরেই নিলাম যে এরা প্রতিদিনই সকালে রেডিও বাজায়। মাধে দুই দিন খুব ইনিয়ে বিনিয়ে রিকোয়েষ্ট করলাম তারা যেন এত শব্দে এগুলি না করে। সন্ধ্যার গানের শব্দ কমে গেলো, কমলোনা সকালের রেডিওর শব্দ। রেডিওর শব্দ দুপুর ১টার পর থেকে কমতে থাকে, এবং ২টার পর ভ্যানিস হয়ে যায়। প্রতিদিন!

একবার আমরা দুজনেই সারারাত একজন আত্মীয়ের সাথে হসপিটালে ছিলাম। সকালে বাসায় এসে ঢুকেই শুনি শব্দ। বিরক্তির একশেষ অবস্থা। অগ্যতা না পেরে আমরা ওদের বাসায় হানা দিলাম। বললাম রেডিও বন্ধ করো। তারা তো অবাক! বলে আমাদের ঘরেতো কিছু বাজে না। আমরা ঘরে ফেরৎ গেলাম। নাহ, শব্দ তখনও আসছে। চল আসলাম নীচ তলায়। হয়ত ওখানে কেউ বাজাচ্ছে। নাহ, তারাও বললো কোন শব্দ নাই। চলে গেলাম ছাদে, নাহ, এত সকালে ছাদেও কেউ নেই।

হঠাৎই মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করা শুরু করলো। বাইরে শব্দ নেই, কেউ বাজাচ্ছেও না। এদিকে আমাদের ঘরে রেডিও নাই। তাহলে শব্দ আসছে কোথা থেকে?

কি মনে করে হঠাৎ আমি কম্পিউটারের লাইন খুলে দিলাম, আর ধপ করে শব্দ হয়ে রেডিও বন্ধ হয়ে গেলো! আমার বউ ভয়, রাগ, বিস্ময় সহ আরও কয়েক ধরণের মিশ্র অনুভূতির দৃষ্টি দিলো আমাকে!

তখনকার মত কম্পিউটারের লাইন খুলে রেখে ঘুমাতে গেলাম। কিন্তু আমার ঘুম হচ্ছিলো না। কম্পিউটারে তো রেডিও নাই। আর কম্পিউটার চলছেও না! তাহলে রেডিও বাজে কোথায়।

ঘুম বাদ দিয়ে বসে গেলাম ইন্টারনেটে। একধাপ পড়া লেখার পর ও কিছু টেষ্টিং এর পর বুঝলাম যে ল্যান কেবলকে এ্যান্টিনা বানিয়ে আমার স্পিকারই এই অকম্য করে চলেছে!

ঐদিন বিকেলে পাশের বাসার এক ভাই জিজ্ঞাসা করলেন যে রেডিও কে বাজাচ্ছে উদ্ধার হয়েছে কি না। ভ্যাবলার মত তার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। কারণ আমি যেটা খুঁজে পেয়েছি, সেটা উনি বুঝবেন কিনা সন্ধেহ!

Computer speakers capturing radio signal

Photo by Dave Weatherall on Unsplash

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: বাহ দারুন তো ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৭

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: দারুন, তবে ঐ সময় আমাদের অবস্থা কাহিল হয়ে গিয়েছিলো।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৬

রানার ব্লগ বলেছেন: হুম অশরীরী কান্ডকারখানা!!

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৮

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: সেই রকমই মনে হয়েছিলো তখন!

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অবস্থাতো বেগতিক!!

১৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৮

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: পুরাই!

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৪

বাংলার এয়ানা বলেছেন:


একটা হরর হরর ভাব ছিল, আমি কল্যানপুরের আদি বাসিন্দা, আপনি কি মিজান টাওয়ারে ছিলেন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: কেয়ারী বুরজ!

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আমি প্রথমেই সমস্যাটি বুঝতে পেরেছিলাম।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বাহ্‌... বেশ ভালোতো!

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি কল্যাণপুর নাভানা তে ছিলাম ২০০৫ পর্যন্ত , পাশেই ছিল রেডিও কলোনির বিশাল পুকুর আর খোলা জায়গা ! ভীষণ পছন্দের ছিল। ঐ বাসায় আমি আমার দেবর কে বিয়ে করিয়ে বউ কে রেখেছিলাম, ওর বাসর হয় আমার গেস্ট রুমে, ওর জন্য সেই বাসা আপনার মত নস্টালজিক!!!

হাহাহা ভূতের আছর যে নেমেছে তাতেই বাঁচোয়া সাথে ফ্রি তে ইজ্জত ও বেঁচেছে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমি কেয়ারী বুরজ এ আসবার আগে ৩মাস নাভানাতে ছিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.