নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করি না; তাই এমন নাম বেছে নিলাম, যা বাস্তব নয়!
আমি মূলত খবর কম দেখি বা পড়ি। দু-একটা পত্রিকা দিনের মধ্যে একবার খুলে দেখি, ডিটেইলস নিউজ পড়িই না বলা চলে।
তার উপর সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) আমার জীবনের খুব একটা চিন্তুযুক্ত সময় গিয়েছে। একাধিক বিষয় নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলাম, এবং এর ট্রমা কাটিয়ে উঠতে না জানি কতদিন আমাকে অপেক্ষা করতে হবে!
সকাল হতে অফিসে-হসপিটালে-এম্বাসিতে-স্কুলে আরও অনেক জায়গায় দৌড়িয়েছি। পুরা সময়টা আমার সন্তানেরা গাড়ির পিছনের সিটে। রাত্রে বাসায় ফিরে ঠিক ৪০ মিনিট বিশ্রামের সময় পেয়েছিলাম। বিশ্রামের সময়ের মধ্যে আগে থেকে সামান্য ভেবে রাখা একটা পোষ্ট পোষ্ট করে অনলাইন থেকে বের হয়ে যাই। সারাদিনে ফেসবুকের জন্য আমি ২০মিনিট সময় রাখি। সেটাও সোমবারে ব্যবহার করা হয়নি।
রাত্রে এয়ারপোর্টে হাজির হয়ে মোবাইলে একটু ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে তুরস্ক-সিরিয়ার ভুমিকম্পের নিউজ দেখে পুরা শরীর কেমন ঘেমে উঠলো। ওখানে বসেই চোখ বন্ধ করেও আমি যেন সেই ভয়াবহ দৃশ্য দেখতে পেলাম, শুনতে পেলাম হাজারো মানুষের কান্নার শব্দ।
২০১৩ সালে যারা রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপ একবারের জন্য হলেও দেখেছেন, তারা হয়ত কিছুটা উপলব্ধি করতে পারবেন তুরস্ক-সিরিয়ার বর্তমান অবস্থা।
মাত্র একটা বহুতল ভবন ধ্বসে পড়ার ১৭দিন পর রেশমার উদ্ধার হওয়ার খবর বুঝিয়ে দেয় যে আমরা ১৭দিনেও মাত্র একটা বিল্ডিং এর ধ্বংসাবশেষ সরাতে পারিনি। সেখানে শত শত বিল্ডিং এর ধ্বংসাবশেষের কি হবে আল্লাহই জানেন।
রানা প্লাজার খবর শুনে আমি ছুটে গিয়েছিলাম, রক্ত দিতে, সাহায্য দিতে এবং সংবাদ কালেকশন করতে। ৪র্থদিনে যখন যাই, সে কি দুর্গন্ধ। ঐ দুর্গন্ধ আমার নাকে ২০১৭ সালেও লেগেছে। ঢাকা থেকে খুলনা যেতে বাসে উঠে ঘুমিয়ে গেলেও ঐ এলাকায় আসলেই অজানা কারণে সেই দুর্গন্ধ আমার নাকে আসতো, আর আমি জেগে যেতাম। ২০১৭ সালে শেষ ঐ রাস্তায় গিয়েছি। কে জানে, হয়ত এখনও ঐ রাস্তায় গেলে গন্ধ পাবো।
একটা বিল্ডিংএর নিচে চাপা পড়া হাজার মানুষের আত্মীয়স্বজন ও ঐ দিন আহত হওয়া মানুষ জন কি আজও সত্যিকার অর্থে ট্রমা থেকে সম্পূর্ণ বের হতে পেরেছে?
১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে তুরস্ক এমনই এক ভুমিকম্পের স্বীকার হয়েছিলো। প্রায় ৩০,০০০ মানুষের মৃত্যু সহ লক্ষাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলো। সেটার কারণে যে ভুমির ডিসপ্লেসমেন্ট হয়েছিলো, তা আজও স্পষ্ট বোঝা যায়।
৬ তারিখের ভুমিকম্প শুধু একবার নয়, ১৫ বারেরও বেশি আফটার শক নিয়ে ফিরে ফিরে এসেছে, যার মধ্যে একটি ৬মাত্রারও ছিলো। নিশ্চিত করে বলে দেওয়া যায়, এই ভুমিকম্পে বেঁচে ফেরা মানুষ গুলি আগামীতে সামান্য কোন নড়াচড়াতেও আতঙ্কিত হয়ে উঠবে। যারা স্বজন হারিয়েছে, তাদের মনের দুঃখ কষ্ট আমরা বুঝে উঠতে পারবো কি কখনও?
এ এমনই এক ধ্বংসলীলা, যা আপনি দেখতে চাইবেন না কখনও। আর এখানে মৃত মানুষের লাশ বাতাসের সাথে যে দুর্গন্ধ ছড়াবে, তাও আপনি শুকতে চাইবেন না কখনও। আর হাজারও মানুষের কান্নার শব্দ, আপনাকে কাঁপিয়ে কাদিয়ে দিতে যথেষ্ট।
ছবিঃ Sky News
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমি আশা করি যে সবাই তার বিবেক-বুদ্ধি কাজে লাগাবে।
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঋণাত্মক শূণ্য,
শিউরে ওঠার মতো।
এমনটা যদি ঢাকার বেলাতে ঘটে যায় ( আল্লাহ না করুন! ) তা হলে যে কি হবে ভাবতেই আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হবার যোগাড় .....
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: একথা ভাবতে আমারও অন্তর কেঁপে ওঠে।
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অলরেডি পাঁচ হাজার মৃতদেহ পাওয়া গেছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে মনে হচ্ছে। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্পে মানুষের সাজানো সংসার সব ধূলিসাৎ হয়ে গেলো। খুবই মর্মান্তিক এক ঘটনা!! আমি যত বার তুরুস্কের দৃশ্য দেখি তত বার ঢাকার কথা ভাবি!!
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০১
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: মৃতের সংখ্যা বাড়াটা খুব একটা অস্বাভাবিক হবে না। তাছাড়া এবারের ক্ষয়ক্ষতি অন্য যে কোন সময়ের থেকে বেশী হবে বলেই ধরা হচ্ছে।
ঢাকার কথা ভাবতে অন্তর কেঁপে উঠে
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১১
রাজীব নুর বলেছেন: এসব আমি সহ্য করতে পারি না। ভীষন কষ্ট হয়।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: এসব সহ্যকরা খুবই কঠিন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৩৬
কামাল১৮ বলেছেন: সারা বিশ্বই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে।আমেরিকার উচিত সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া।